নমস্কার বন্ধুরা! আজকের আর্টিকেলে আমরা রাজস্থান সমভূমিকে কী কী বিভাগে ভাগ করা যায় সে সম্পর্কে আলোচনা করবো। এই বিষয়টি দশম শ্রেণীর মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। “ভারতের প্রাকৃতিক পরিবেশ” অধ্যায়ের “ভারতের ভূপ্রকৃতি” বিভাগে এই প্রশ্নটি বারবার দেখা যায়। আপনি যদি দশম শ্রেণীর মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তাহলে রাজস্থান সমভূমির বিভাজন সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখা অত্যন্ত জরুরি। এই আর্টিকেলটি আপনাকে বিষয়টি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দেবে এবং পরীক্ষায় ভালো করতে সাহায্য করবে।
রাজস্থান সমভূমির ভূপ্রাকৃতিক বিভাগ –
ভূপ্রকৃতি অনুসারে রাজস্থান সমভূমিকে পাঁচটি অংশে ভাগ করা যায় —
- মরুস্থলী,
- বাগর,
- রোহি,
- থালি এবং
- ভাঙর।
ভূপ্রাকৃতিক বিভাগ | অবস্থান |
মরুস্থলী | রাজস্থান সমভূমির একেবারে পশ্চিমে বালি, পাথর, বালিয়াড়ি, প্রভৃতি দ্বারা গঠিত অংশকে বলা হয় মরুস্থলী। এখানকার অস্থায়ী বা চলমান বালিয়াড়িগুলিকে ধ্রিয়ান বলা হয়। |
বাগর | মরুস্থলীর পূর্বদিকে লুনি নদী অববাহিকার সমতল মরুপ্রায় (semidesert) তৃণভূমি (স্তেপ জাতীয়) অঞ্চলের নাম বাগর। এই অংশে কিছু প্লায়া (স্থানীয় নাম ‘সর’) দেখা যায়। |
রোহি | বাগর-এর পূর্বাংশে আরাবল্লি থেকে আগত ছোটো ছোটো নদী দ্বারা সৃষ্ট উর্বর প্লাবনভূমির নাম রোহি। |
থালি | লুনি নদীর উত্তরাংশে স্থায়ী বালিয়াড়ি সমন্বিত বালুময় অঞ্চলের নাম থালি। |
ভাঙর | পাঞ্জাব সমভূমির দক্ষিণে মরুস্থলীর সীমান্ত বরাবর প্রাচীন পলিময় অঞ্চলের নাম ভাঙর। |
রাজস্থান সমভূমির বিভাজন সম্পর্কে জ্ঞান শুধুমাত্র দশম শ্রেণীর মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষার জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং রাজস্থানের ভৌগোলিক বৈচিত্র্য বোঝার জন্যও এটি জরুরি। এই আর্টিকেলটি আপনাকে রাজস্থান সমভূমির বিভিন্ন অংশ সম্পর্কে ধারণা দিতে সাহায্য করেছে বলে আশা করি।