এখনই আমাদের Telegram Community গ্রুপে যোগ দিন।। এখানে WBBSE বোর্ডের পঞ্চম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণির যেকোনো বিষয়ভিত্তিক সমস্যা শেয়ার করতে পারেন এবং একে অপরের সাহায্য করতে পারবেন। এছাড়া, কোনও সমস্যা হলে আমাদের শিক্ষকরা তা সমাধান করে দেবেন।

Telegram Logo Join Our Telegram Community

নবম শ্রেণি – বাংলা – স্বর্ণপর্ণী – টিক্‌ড়ীবাবার আশ্চর্য কাহিনিটি লেখো।

সত্যজিৎ রায়ের স্বর্ণপর্ণী গল্পে টিক্‌ড়ীবাবা একজন আশ্চর্যজনক ব্যক্তি। তিনি একজন সন্যাসী, কিন্তু তিনি একজন চিকিৎসকও। তাঁর কাছে অনেক অলৌকিক ক্ষমতা আছে।

একদিন টিক্‌ড়ীবাবা প্রোফেসর শঙ্কুর বাবা ত্রিপুরেশ্বর শঙ্কুর কাছে এসেছিলেন তাঁর শ্বাসকষ্টের চিকিৎসার জন্য। কিন্তু তিনি টের পেয়ে যান যে ত্রিপুরেশ্বরেরই হার্টের সমস্যা আছে। তার কোনো চিকিৎসা না থাকার কথা বললে টিক্‌ড়ীবাবা তাঁকে সোনেপত্তী বা স্বর্ণপর্ণীর কথা বলেন।

চরকসংহিতায় এই গাছের উল্লেখ থাকলেও আধুনিক যুগে এই গাছড়ার হদিস কেউ পায়নি। কিন্তু বাবাজি জানিয়ে দেন যে, যুবা বয়সে যখন তিনি কাশীতে ছিলেন তখন তাঁর পাণ্ডুরোগ হলে দুটো সোনেপত্তীর শুকনো পাতা গুঁড়ো করে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খাইয়ে দেন। তাতে তাঁর রোগও সেরে যায়।

টিক্‌ড়ীবাবা জানান যে, কসৌলি থেকে তিন ক্রোশ উত্তরে আছে এক চামুণ্ডার মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ। সেই মন্দিরের পিছনে জঙ্গল, জঙ্গলে আছে ঝরনা, আর সেই ঝরনার পাশেই জন্মায় সোনেপত্তীর গাছ। এই গাছ যে হার্টের অসুখে কাজ দেবে তা টিক্‌ড়ীবাবা বলেন।

কিন্তু শঙ্কর বাবার অসুখ তখন শেষ পর্যায়ে পৌঁছে যাওয়ায় তাঁর পক্ষে আর সেখানে যাওয়া সম্ভব ছিল না। কিন্তু বাবার শ্রাদ্ধের অনুষ্ঠান শেষ করেই শঙ্কু স্বর্ণপর্ণীর সন্ধানে যান, তা খুঁজে বের করেন এবং তার থেকেই তৈরি করেন মিরাকিউরল নামক আশ্চর্য বড়ি।

টিক্‌ড়ীবাবার আশ্চর্য কাহিনি থেকে আমরা বুঝতে পারি যে, পৃথিবীতে এমন অনেক কিছু আছে যা আমরা এখনও জানতে পারিনি। প্রকৃতির মধ্যে এমন অনেক অলৌকিক ক্ষমতা লুকিয়ে আছে যা আমরা এখনও আবিষ্কার করতে পারিনি।

স্বর্ণপর্ণী – সামগ্রিক বিষয়ভিত্তিক প্রশ্নোত্তর

স্বর্ণপর্ণী গল্পে বর্ণিত টিক্‌ড়ীবাবার আশ্চর্য কাহিনিটি লেখো।

শুরুর কথা – স্বর্ণপর্ণী গল্পে প্রোফেসর শঙ্কুর বাবা ত্রিপুরেশ্বর শঙ্কু তাঁকে টিক্‌ড়ীবাবার গল্পটি বলেছিলেন।
শ্বাসকষ্টের চিকিৎসা – পেশায় ডাক্তার ত্রিপুরেশ্বরের কাছে টিক্‌ড়ীবাবা এসেছিলেন তাঁর শ্বাসকষ্টের চিকিৎসার জন্য। কিন্তু তিনি টের পেয়ে যান যে ত্রিপুরেশ্বরেরই হার্টের সমস্যা আছে। তার কোনো চিকিৎসা না থাকার কথা বললে টিক্‌ড়ীবাবা তাঁকে সোনেপত্তী বা স্বর্ণপর্ণীর কথা বলেন।
চরকসংহিতায় গাছটির উল্লেখ – চরকসংহিতায় এই গাছের উল্লেখ থাকলেও আধুনিক যুগে এই গাছড়ার হদিস কেউ পায়নি। কিন্তু বাবাজি জানিয়ে দেন যে, যুবা বয়সে যখন তিনি কাশীতে ছিলেন তখন তাঁর পাণ্ডুরোগ হলে দুটো সোনেপত্তীর শুকনো পাতা গুঁড়ো করে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খাইয়ে দেন। তাতে তাঁর রোগও সেরে যায়।
গাছটি জন্মানোর স্থান – টিক্‌ড়ীবাবা জানান যে, কসৌলি থেকে তিন ক্রোশ উত্তরে আছে এক চামুণ্ডার মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ। সেই মন্দিরের পিছনে জঙ্গল, জঙ্গলে আছে ঝরনা, আর সেই ঝরনার পাশেই জন্মায় সোনেপত্তীর গাছ। এই গাছ যে হার্টের অসুখে কাজ দেবে তা টিক্‌ড়ীবাবাবলে দেন।
মিরাকিউরল বড়ি তৈরি – কিন্তু শঙ্কর বাবার অসুখ তখন শেষ পর্যায়ে পৌঁছে যাওয়ায় তাঁর পক্ষে আর সেখানে যাওয়া সম্ভব ছিল না। কিন্তু বাবার শ্রাদ্ধের অনুষ্ঠান শেষ করেই শঙ্কু স্বর্ণপর্ণীর সন্ধানে যান, তা খুঁজে বের করেন এবং তার থেকেই তৈরি করেন মিরাকিউরল নামক আশ্চর্য বড়ি।

টিক্‌ড়ীবাবা একজন আধ্যাত্মিক মানুষ ছিলেন। তিনি প্রকৃতির সাথে গভীরভাবে যুক্ত ছিলেন। তিনি প্রকৃতির অলৌকিক ক্ষমতা সম্পর্কে জানতেন এবং তার ব্যবহার করতে পারতেন।

টিক্‌ড়ীবাবার কাহিনি আমাদেরকে প্রকৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে শেখায়। প্রকৃতির রহস্য আবিষ্কারের জন্য আমাদেরকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।

Share via:

মন্তব্য করুন