আজকের আলোচনার বিষয় ব্রহ্মপুত্র নদী। হিমালয়ের কোলে জন্মগ্রহণকারী এই বিশাল নদীটি তার দীর্ঘ যাত্রাপথে বিভিন্ন নামে পরিচিত। এই নামগুলি কেবল নদীর পরিচয় বহন করে না, বরং নদীর সাথে জড়িত ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যেরও প্রতিফলন ঘটায়। যারা দশম শ্রেণীর মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাদের জন্য এই বিষয়টি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ “ভারতের প্রাকৃতিক পরিবেশ” অধ্যায়ের “ভারতের জলসম্পদ” বিভাগে ব্রহ্মপুত্রের নামকরণ সম্পর্কে প্রশ্ন আসতে পারে।
তিব্বতের রাক্ষসতাল-মানস সরোবরের কাছে চেমায়ুং দুং হিমবাহ থেকে উৎপত্তির পর পূর্বদিকে নামচাবারওয়া পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্রের নাম
- সাংপো – ওখান থেকে অরুণাচলপ্রদেশের ওপর দিয়ে অসমের সদিয়া পর্যন্ত দক্ষিপমুখী প্রবাহপথের নাম
- ডিহং – এখানেই ডিবং ও লোহিত নদী ডিহং-এর সঙ্গে মিলিত হয়েছে। এরপর সদিয়া থেকে (অসমের) ধুবড়ি পর্যন্ত এই তিনটি নদীর মিলিত পশ্চিমমুখী প্রবাহের নাম ও
- ব্রহ্মপুত্র – এরপর বাংলাদেশের আরিচা পর্যন্ত (ওখানেই ব্রহ্মপুত্র নদ গঙ্গায় মিশেছে) এই নদীর দক্ষিণমুখী প্রবাহপথের নাম
- যমুনা – ওখান থেকে গঙ্গা-যমুনার (ব্রহ্মপুত্র) মিলিত জলধারা পদ্মা নামে আরও কিছুটা দক্ষিণ-পূর্বদিকে প্রবাহিত হয়ে শেষে মেঘনার সঙ্গে মিলিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে পড়েছে।
ব্রহ্মপুত্র নদীর নামকরণ কেবল একটি ভৌগোলিক তথ্য নয়, বরং এটি নদীর সাথে জড়িত সমৃদ্ধ ইতিহাস ও সংস্কৃতির প্রতীক। দশম শ্রেণীর পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন এমন শিক্ষার্থীদের জন্য এই বিষয়টি অবশ্যই জেনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ।