আজকের এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ইংরেজির প্রথম অধ্যায় “Father’s Help” সম্পর্কে আলোচনা করব। এই অধ্যায়টি লেখক আর.কে. নারায়ণ এর একটি গুরুত্বপূর্ণ গল্প, যা মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এই আর্টিকেলে লেখকের পরিচিতি এবং গল্পের মূল ভাবনা নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা করব। এই তথ্যগুলি আপনাদের পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য খুবই সহায়ক হবে। আশা করি, এই আর্টিকেলটি আপনাদের উপকারে আসবে এবং আপনাদের প্রস্তুতি আরও ভালো করতে সাহায্য করবে।
Father’s Help About the Author
R. K. Narayan (1906-2001) was one of the leading figures of early Indian literature in English. His notable works include Malgudi Days and The Guide. He was awarded the Sahitya Akademi Award in 1958 for The Guide.
R. K. Narayan was born in erstwhile Madras on October 10, 1906. He studied for eight years at Lutheran Mission School close to his grandmother’s house in Madras and a short time at the CRC High School. When his father was appointed Maharaja’s High School headmaster in Mysore, R. K. Narayan moved there to live with his parents. He obtained his bachelor’s degree from the University of Mysore.
R. K. Narayan was one of the most famous and widely read Indian novelists. His stories were grounded in a compassionate humanism and celebrated the humour and energy of ordinary life.
R. K. Narayan began his writing career with Swami and Friends in 1935. Most of his work is set in the fictional town of Malgudi, which captures everything Indian while having a unique identity of its own. R. K. Narayan’s writing style was marked by simplicity and subtle humour. His stories are about ordinary people trying to live their simple lives in a changing world.
R. K. Narayan’s famous works include The Bachelor of Arts, The Dark Room, The English Teacher, The Financial Expert, The Guide, The Man-Eater of Malgudi, The Vendor of Sweets, Malgudi Days, etc.
R. K. Narayan won numerous awards and honours for his works. These include the Sahitya Akademi Award for The Guide in 1958, the Padma Bhushan in 1964, and the AC Benson Medal by the Royal Society of Literature in 1980.
R. K. Narayan was elected an honorary member of the American Academy and Institute of Arts and Letters in 1982. He was nominated to the Rajya Sabha in 1989.
Father’s Help – লেখক পরিচিতি
আর. কে. নারায়ণ (১৯০৬-২০০১) হলেন প্রথম দিকে ইংরেজিতে যেসব ভারতীয় সাহিত্য রচনা করতেন তাঁদের মধ্যে অগ্রগণ্য। তাঁর উল্লেখযোগ্য সৃষ্টির মধ্যে রয়েছে ‘মালগুডি ডেজ’ এবং ‘দ্য গাইড’। ১৯৫৮ সালে ‘দ্য গাইড’ উপন্যাসের জন্য তাঁকে সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কার দেওয়া হয়।
আর. কে. নারায়ণ তদানীন্তন মাদ্রাজে ১৯০৬ সালের ১০ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন। মাদ্রাজে তার দিদিমার বাড়ির কাছের লুথেরান মিশন স্কুলে তিনি আট বছর পড়াশোনা করেন এবং তারপরে কিছুদিন সি. আর. সি. হাইস্কুলেও পড়াশোনা করেন। মহীশূরের মহারাজার হাইস্কুলে যখন তাঁর বাবা প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হন, আর. কে. নারায়ণও তাঁর বাবা-মায়ের সঙ্গে সেখানে চলে যান। মহীশূরের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি বি. এ. ডিগ্রি লাভ করেন।
ভারতীয় ঔপন্যাসিকদের মধ্যে আর. কে. নারায়ণ হলেন বিখ্যাত ও বহুপঠিতদের মধ্যে অন্যতম। তাঁর লেখা গল্পগুলি সহানুভূতিপূর্ণ মানবতার ওপর ভিত্তি করে লেখা এবং সাধারণ জীবনের মজা ও প্রাণশক্তির জয়গান।
১৯৩৫ সালে ‘স্বামী অ্যান্ড ফ্রেন্ডস’ দিয়ে আর. কে. নারায়ণ তাঁর লেখকজীবন শুরু করেন। তাঁর বেশিরভাগ লেখাই কাল্পনিক শহর মালগুডির প্রেক্ষাপটে লেখা, যেখানে যা কিছু ভারতীয়, সেসব থাকা সত্ত্বেও স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য বর্তমান। আর. কে. নারায়ণের লেখার বৈশিষ্ট্য হল সারল্য ও সূক্ষ্ম রসবোধ। তিনি সাধারণ মানুষের গল্প বলেন, যারা পরিবর্তনশীল পৃথিবীতে তাদের সরল জীবনযাপন করার চেষ্টা করছে।
আর. কে. নারায়ণের বিখ্যাত লেখাগুলির মধ্যে রয়েছে ‘দ্য ব্যাচেলর অফ আর্টস’, ‘দ্য ডার্ক রুম’, ‘দ্য ইংলিশ টিচার’, ‘দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপার্ট’, ‘দ্য গাইড’, ‘দ্য ম্যান-ইটার্স অফ মালগুডি’, ‘দ্য ভেন্ডর অফ সুইটস’, ‘মালগুডি ডেজ’ প্রভৃতি।
আর. কে. নারায়ণ তাঁর লেখার জন্য অনেক পুরস্কার ও সম্মান পেয়েছেন। এগুলির মধ্যে রয়েছে: ১৯৫৮ সালে ‘দ্য গাইড’-এর জন্য সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কার; ১৯৬৪ সালে পদ্মভূষণ, ১৯৮০ সালে রয়্যাল সোসাইটি অফ লিটারেচার-এর দেওয়া এ. সি. বেনসন পদক। ১৯৮২ সালে ‘আমেরিকান অ্যাকাডেমি অ্যান্ড ইনস্টিটিউট অফ আর্টস অ্যান্ড লেটার্স’-এ তিনি সম্মানীয় সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৮৯ সালে রাজ্যসভায় মনোনীত হন।
Father’s Help – Substance and Critical Perspective of the Story
The story is an edited excerpt from ‘Malgudi Days’. It is about a young boy named Swaminathan, who is forced by his father to attend school. The story explores how, through the events that follow, Swami’s original observations about his teacher, Samuel, get transformed considerably.
Swami, like any other kid, does not like school. It’s Monday morning, and Swami lies to his mother to get a day off. Luckily, he gets permission. Trouble brews when his stubborn father is determined to send him off to school even when Swami says he has a headache. From then on, we see the active imagination of a boy who conjures story after story against his teacher Samuel, so that he is not sent to school. But all of it goes against him, and now he is on his way to school with a letter from his father, which he has to deliver to his headmaster.
On his way to school, Swami feels that he is committing a criminal offense. Personally, he has no experience of Samuel’s cruelties against him. To justify what has been written in the letter, he wants Samuel to do something. So he decides to deliver the letter at the end of the day.
When Swami reaches his classroom, Samuel is teaching arithmetic. Contrary to his expectations, Samuel permits him to enter the class. Thereafter, Swami deliberately provokes Samuel, but all his efforts are useless. The arithmetic period comes to an end. At the end of school, he rushes to the headmaster’s room but finds the room locked. When he reaches home, hearing Swami’s excuses, his father reproaches him. Father tears the letter into pieces, commenting, “You deserve your Samuel.”
Narayan gives remarkable insights into Swami’s mind. The lies, which are an outcome of Swami’s active imagination, create guilt that weighs down Swami when he thinks about Samuel, the class teacher. Narayan never fails to capture the inner turmoil as well as the joys and aspirations of any character—a feature of any great writer.
R. K. Narayan reveals the inner psyche of a school-going child. This short story highlights the need for understanding between parents and children and the significance of an ideal teacher-pupil relationship.
Father’s Help – গল্পটির সারসংক্ষেপ এবং রসগ্রাহী আলোচনা
এই গল্পটি ‘মালপুড়ি ডেজ’ নামক রচনার সম্পাদিত অংশবিশেষ। এটি স্বামীনাথন নামক একটি ছেলের সম্পর্কে যার বাবা তাকে স্কুলে যেতে বাধ্য করেন। গল্পটি তুলে ধরে, কীভাবে কিছু ঘটনাপরম্পরার মধ্য দিয়ে স্বামীর তার শিক্ষক স্যামুয়েল সম্পর্কে মতামতের যথেষ্ট পরিবর্তন ঘটে।
অন্য আর পাঁচটা বাচ্চার মতোই স্বামীও স্কুল পছন্দ করে না। সোমবার সকালে স্বামী একটি দিনের ছুটি পাওয়ার জন্য মায়ের কাছে মিথ্যা বলে। সৌভাগ্যক্রমে সে অনুমতি পেয়েও যায়। সমস্যা ঘনিয়ে ওঠে যখন তার জেদি বাবা তাকে স্কুলে পাঠানোর ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হন, এমনকি তখনও যখন স্বামীনাথন বলছে তার মাথা যন্ত্রণা করছে। তখন থেকেই আমরা দেখতে পাই একটি ছেলের সক্রিয় কল্পনাশক্তি যে তার শিক্ষক স্যামুয়েল সম্পর্কে গল্পের পর গল্প বানায় যাতে তাকে স্কুলে পাঠানো না হয়। কিন্তু এই সমস্ত কিছু তারই বিরুদ্ধে যায় এবং এখন সে স্কুলের পথে, তার সঙ্গে রয়েছে বাবার লেখা চিঠি, যেটি হেডমাস্টারমশাইকে দিতে হবে।
স্কুলে যাওয়ার পথে স্বামী অনুভব করে যে সে একটা জঘন্য অন্যায় করছে। স্যামুয়েলের নিষ্ঠুরতার ব্যাপারে তার নিজের কোনো অভিজ্ঞতা নেই। চিঠিতে লেখা কথাগুলির যথার্থতা প্রমাণ করার জন্য সে চায় স্যামুয়েল তার বিরুদ্ধে কিছু একটা করুন। তাই সে ঠিক করল স্কুলের শেষে সে চিঠিটি হেডমাস্টারমশাইকে দেবে।
যখন স্বামী ক্লাসে পৌঁছায়, স্যামুয়েল তখন অঙ্ক করাচ্ছেন। তার সমস্ত প্রত্যাশার বিপরীতে, স্যামুয়েল তাকে ক্লাসে ঢোকার অনুমতি দেন। স্বামী ইচ্ছাকৃতভাবেই স্যামুয়েলকে প্ররোচিত করছিল কিন্তু তার সব প্রচেষ্টাই বিফল হল। অঙ্কের ক্লাস শেষ হয়। স্কুলের শেষে সে হেডমাস্টারের ঘরের দিকে দৌড়ায়, কিন্তু দেখে যে ঘর তালাবন্ধ। সে বাড়িতে পৌঁছামাত্র স্বামীর অজুহাত শুনে তার বাবা তাকে বকাবকি করেন। বাবা চিঠিটি কুচিকুচি করে ছিঁড়ে ফেলেন এই বলে যে, “তোর ওই স্যামুয়েলই প্রাপ্য।”
নারায়ণ স্বামীর মনের মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে অন্তর্দৃষ্টি নিক্ষেপ করেন। যখন সে তাদের ক্লাসটিচার স্যামুয়েলের কথা ভাবে, তখন যে মিথ্যা কথাগুলি আসলে স্বামীর সক্রিয় কল্পনাপ্রসূত, সেগুলো তার মধ্যে এক অপরাধবোধের জন্ম দেয়, যা স্বামীর মনকে ভারাক্রান্ত করে তোলে। নারায়ণ কখনোই কোনো চরিত্রের ভেতরের উথাল-পাতাল মনের অবস্থা, একই সঙ্গে তার আনন্দ ও উচ্চাকাঙ্ক্ষা ধরতে ব্যর্থ হননি – যা যে-কোনো বড়ো লেখকের একটি বৈশিষ্ট্য।
আর. কে. নারায়ণ স্কুলে যাওয়া ছেলেদের অন্তর্নিহিত মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন। এই ছোটোগল্পটি ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে তাদের অভিভাবকদের মানসিক বোঝাপড়ার প্রয়োজনীয়তা এবং আদর্শ শিক্ষক-ছাত্র সম্পর্কের গুরুত্ব তুলে ধরে।
Father’s Help – Significance of the Title
“Father’s Help” begins with the word ‘lying.’ “Lying in bed, Swami realized with a shudder that it was Monday morning.” Here, ‘lying’ means ‘resting in a horizontal position.’ However, the other meaning of the word ‘lying’ plays a major role in the story. The boy tells lies about his physical condition as well as about his teacher. This leads to the dramatic events described in the story. Why does the boy lie? School does not appear interesting to him. But when his father compels him to go to school, all his misconceptions related to school and his teacher are erased. Samuel, the teacher who appeared awe-inspiring, becomes friendly in his eyes. Swami’s father helps him realize his misconceptions about school and the teacher. It is a case of reawakening for Swami. His father helps him do that. Thus, the title is justified both literally and symbolically.
Father’s Help – নামকরণের তাৎপর্য
“ফাদারস্ হেল্প” গল্পটি ‘লায়িং’ শব্দটি দিয়ে শুরু হয়। “লায়িং ইন বেড, স্বামী রিয়ালাইজড উইথ আ শাডার দ্যাট ইট ওয়্যজ মন্ডে মর্নিং।” এখানে ‘লায়িং’ – এর অর্থ আড়াআড়িভাবে বিশ্রাম নেওয়া। কিন্তু ‘লায়িং’ শব্দটির অন্য অর্থ গল্পে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। ছেলেটি মিথ্যা কথা বলে তার শারীরিক অবস্থা ও তার শিক্ষকের সম্পর্কে, যেখান থেকে নাটকীয় ঘটনার সূত্রপাত হয় যেমনটি গল্পে বর্ণনা করা হয়েছে।
ছেলেটি কেন মিথ্যা কথা বলে? তার কাছে স্কুল মোটেই আকর্ষণীয় বলে মনে হয় না। কিন্তু তার বাবা যখন তাকে স্কুলে যেতে বাধ্য করেন, তখন স্কুল ও শিক্ষক সম্পর্কে তার সমস্ত ভুল ধারণা মুছে যায়। স্যামুয়েল নামের যে শিক্ষককে তার ভীতিপ্রদ মনে হত, তিনিই তার চোখে হয়ে যান বন্ধুত্বপূর্ণ। তাই তার বাবা তাকে স্কুল ও শিক্ষক সম্পর্কে ভুল ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করেন। স্বামীর কাছে এটা হল পুনর্জাগরণ। বাবা তাকে সে কাজে সাহায্য করেন। তাই আক্ষরিক ও প্রতীকী উভয় অর্থেই শিরোনামটি যথার্থ।
আরও পড়ুন – Class 10 – English Reference – Father’s Help – ইংরেজি উচ্চারণ ও বঙ্গানুবাদ
আজকের এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ইংরেজির প্রথম অধ্যায় “Father’s Help” এর লেখক ও গল্প সম্পর্কে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নগুলো মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এগুলো প্রায়ই পরীক্ষায় দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, টেলিগ্রামে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন, আমি উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো। এছাড়া, নিচে আমাদের পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।