আজও ছিল আমার সঙ্গে। – কার থাকার কথা বলা হয়েছে? সে কীভাবে বক্তার সঙ্গে ছিল ব্যাখ্যা করো।

“আজও ছিল আমার সঙ্গে।” এই উক্তিটি দশম বাংলা সহায়ক পাঠ কোনি উপন্যাস থেকে নেওয়া হয়েছে। “আজও ছিল আমার সঙ্গে।” – কার থাকার কথা বলা হয়েছে? সে কীভাবে বক্তার সঙ্গে ছিল ব্যাখ্যা করো। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যান্ত গুরুত্তপূর্ণ। কোনি উপন্যাসের এই রচনাধর্মী প্রশ্নটি তৈরী করে গেলে মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষায় একটি ৫ নম্বরের পাওয়া যেতে পারে।

কোনি একজন তরুণী সাঁতারু। যখনই সে জলে নামে, জলের নীচে তাকালে তার মনে হয় তার সাথে সাথে আরও একটা মুখ এগিয়ে চলেছে। জুপিটার ক্লাব আয়োজিত প্রতিযোগিতাতেও সে এই মুখটা দেখতে পেয়েছে।

এই মুখটা আর কারো নয়, তার প্রয়াত দাদা কমলের। কোনি যখন সাঁতার কাটে, তখন যেন জলের নীচে তার দাদা কমলও তার সাথে থাকে।

ক্ষয়রোগে আক্রান্ত হয়ে কমলের অকাল মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু কোনি তার দাদাকে কল্পনায় সবসময় দেখতে পায়। কোনি জানে, দাদারও স্বপ্ন ছিল একজন বড়ো সাঁতারু হওয়ার। সেও স্বপ্ন দেখত অলিম্পিকে অংশ নেওয়ার। কিন্তু চরম দারিদ্র্য তার স্বপ্ন ভেঙে দিয়েছিল। তাই কমল চেয়েছিল কোনি যেন একজন বড়ো সাঁতারু হয়ে তার সেই দুঃখ আর আক্ষেপ ঘুচিয়ে দেয়।

কোনি কখনও তার দাদার ভালোবাসা ভুলতে পারে না। সবসময় কোনি যেন তার দাদার ছায়া দেখতে পায়। সে যখন সাঁতার কাটে তখন কমল যেন জলের তলায় তার সাথে সাথে এগিয়ে যায়, তাকে আরও দ্রুত সাঁতার কাটার উৎসাহ দেয়। আসলে কমলের ইচ্ছা পূরণ করতে কোনি বদ্ধপরিকর। তাই সে মনে করে, তাকে উৎসাহ দিতেই কমল জলের নীচে তার সাথে সাথে এগিয়ে চলে।

আজও ছিল আমার সঙ্গে। - কার থাকার কথা বলা হয়েছে? সে কীভাবে বক্তার সঙ্গে ছিল ব্যাখ্যা করো।

“আজও ছিল আমার সঙ্গে।” – কার থাকার কথা বলা হয়েছে? সে কীভাবে বক্তার সঙ্গে ছিল ব্যাখ্যা করো।

উদ্দিষ্ট ব্যক্তি – কোনি যখন সাঁতার কাটে তখন জলের নীচে তাকিয়ে তার মনে হয়, তার সঙ্গে সঙ্গে আর-একটা মুখও যেন এগিয়ে চলেছে। জুপিটার ক্লাব আয়োজিত প্রতিযোগিতাতেও কোনি এই মুখটা দেখতে পেয়েছে। মুখটা কোনির দাদা কমলের। কোনি যখন সাঁতার কাটে তখন যেন জলের নীচে তার দাদা কমলও তার সঙ্গে থাকে।

বক্তার সঙ্গে-থাকা – ক্ষয়রোগে ভুগে কমলের অকালমৃত্যু হয়েছে। কিন্তু কোনি কল্পনায় তার দাদাকে সবসময় দেখতে পায়। কোনি জানে, দাদারও স্বপ্ন ছিল বড়ো সাঁতারু হওয়ার। সে-ও স্বপ্ন দেখত অলিম্পিকে অংশ নেওয়ার। কিন্তু চরম দারিদ্র্য তার স্বপ্ন ভেঙে দেয়। তাই কমল চেয়েছিল বড়ো সাঁতারু হয়ে কোনি যেন কমলের সেই দুঃখ আর আক্ষেপ ঘুচিয়ে দেয়। দাদার ভালোবাসা কোনি কখনও ভুলতে পারে না। সবসময় কোনি যেন তার দাদার ছায়া দেখতে পায়। সে যখন সাঁতার কাটে তখন কমল যেন জলের তলায় তার সঙ্গে সঙ্গে এগিয়ে যায়, তাকে আরও দ্রুত সাঁতার কাটার উৎসাহ দেয়। আসলে কমলের ইচ্ছা পূরণ করতে কোনি বদ্ধপরিকর। তাই সে মনে করে, তাকে উৎসাহ দিতেই কমল জলের নীচে তার সঙ্গে সঙ্গে এগিয়ে চলে।

আরও পড়ুন, স্টেট চ্যামপিয়নশিপে কি হলো, সেটা তো তুমি নিজেই দেখেছ। – কে, কখন কথাটি বলেছিল? প্রকৃত ঘটনাটি কী ছিল?

কোনির কাহিনী স্মৃতি, ভালোবাসা, স্বপ্ন এবং অনুপ্রেরণার এক অসাধারণ মিশেল। দাদার প্রতি কোনির ভালোবাসা এবং দাদার স্বপ্ন পূরণের অদম্য ইচ্ছা তাকে একজন সফল সাঁতারু হতে সাহায্য করে।

কোনির কাছে দাদা কেবল স্মৃতিতে সীমাবদ্ধ নন, বরং তার অনুপ্রেরণা ও সঙ্গী। জলের নীচে দাদার মুখ দেখা কোনির কাছে কেবল কল্পনা নয়, বরং দাদার ভালোবাসা ও উৎসাহের প্রতীক।

Share via:

মন্তব্য করুন