আপনারা ক্ষিতীশ সিংহকে জব্দ করার জন্য ওকে ভিক্টিমাইজ করলেন। – বক্তা কে? ক্ষিতীশ সিংহকে জব্দ করার জন্য কাকে কীভাবে ভিক্টিমাইজড করা হয়েছিল?

“আপনারা ক্ষিতীশ সিংহকে জব্দ করার জন্য ওকে ভিক্টিমাইজ করলেন।” এই উক্তিটি দশম বাংলা সহায়ক পাঠ কোনি উপন্যাস থেকে নেওয়া হয়েছে। “আপনারা ক্ষিতীশ সিংহকে জব্দ করার জন্য ওকে ভিক্টিমাইজ করলেন।” – বক্তা কে? ক্ষিতীশ সিংহকে জব্দ করার জন্য কাকে কীভাবে ভিক্টিমাইজড করা হয়েছিল? এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যান্ত গুরুত্তপূর্ণ। কোনি উপন্যাসের এই রচনাধর্মী প্রশ্নটি তৈরী করে গেলে মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষায় একটি ৫ নম্বরের পাওয়া যেতে পারে।

প্রণবেন্দু বিশ্বাস মনে করতেন ক্ষিতীশ সিংহকে দমাতে কোনিকে ভিক্টিমাইজ করা হয়েছে। জুপিটারের ধীরেন ঘোষদের তীব্র বিরোধিতা সত্ত্বেও প্রণবেন্দু কোনিকে বাংলা দলে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। কিন্তু হরিচরণ ও ধীরেন ঘোষরা চক্রান্ত করে কোনিকে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করে। প্রকাশ্যে তারা সংগঠকদের উপর দায় চাপিয়েছিল।

অন্যদিকে, হিয়া মিত্র যখন ২০০ ও ৪০০ মিটারে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, তখন হরিচরণ প্রণবেন্দুর বিরুদ্ধে বাংলার কথা না ভাবার অভিযোগ তোলেন। প্রণবেন্দু তখন গ্যালারিতে বসা কোনির দিকে আঙুল তুলে বলেন, “হরিচরণরা যদি বাংলার কথা ভাবত, তাহলে কোনি গ্যালারিতে বসে থাকত না।”

ক্ষিতীশের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে ধীরেন ঘোষরা কোনিকে দল থেকে বাদ দেওয়ার ঘৃণ্য চক্রান্ত করেছিলেন। তা ব্যর্থ হলে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ থেকেই কোনিকে বঞ্চিত করা হয়। ধীরেন ঘোষ কোনিকে সান্ত্বনা দিয়ে বলেন, “মন খারাপ করিসনি, ন্যাশানাল তো বছর বছরই হয়, সামনের বছর আবার আসবি।” প্রণবেন্দু বিশ্বাস এই লোক-দেখানো সহানুভূতির আড়ালে যে ষড়যন্ত্র ছিল তা স্পষ্ট করে দেন।

আপনারা ক্ষিতীশ সিংহকে জব্দ করার জন্য ওকে ভিক্টিমাইজ করলেন। - বক্তা কে? ক্ষিতীশ সিংহকে জব্দ করার জন্য কাকে কীভাবে ভিক্টিমাইজড করা হয়েছিল?

“আপনারা ক্ষিতীশ সিংহকে জব্দ করার জন্য ওকে ভিক্টিমাইজ করলেন।” – বক্তা কে? ক্ষিতীশ সিংহকে জব্দ করার জন্য কাকে কীভাবে ভিক্টিমাইজড করা হয়েছিল?

বক্তা – আলোচ্য উদ্ধৃতিটির বক্তা বালিগঞ্জ সুইমিং ক্লাব তথা হিয়া মিত্রের কোচ প্রণবেন্দু বিশ্বাস।

ক্ষিতীশ সিংহকে জব্দ করা এবং তার জন্য অবিচার – প্রণবেন্দু বিশ্বাসের ধারণা হয়েছিল ক্ষিতীশ সিংহকে জব্দ করার জন্য কোনিকে ভিক্টিমাইজ করা হয়েছে। জুপিটারের ধীরেন ঘোষদের সঙ্গে অনেক লড়াই করে প্রণবেন্দু বিশ্বাস কোনিকে বাংলা দলে ঢুকিয়েছিলেন। কিন্তু হরিচরণ-ধীরেন ঘোষরা চক্রান্ত করে কোনিকে প্রতিযোগিতায় নামার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করে। যদিও প্রকাশ্যে হরিচরণরা সংগঠকদের ওপরেই দায় চাপায়। এদিকে হিয়া মিত্র ২০০ ও ৪০০ মিটারে না নামার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় যখন হরিচরণ প্রণবেন্দুর বিরুদ্ধে বাংলার কথা না ভাবার অভিযোগ আনে। তখন প্রণবেন্দু গ্যালারিতে বসা কোনির দিকে আঙুল তুলে বলে হরিচরণরা যদি বাংলার কথা ভাবত তাহলে কোনি গ্যালারিতে বসে থাকত না। ক্ষিতীশের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে গিয়ে ঘৃণ্য চক্রান্ত করে কোনিকে দল থেকে বাদ দিতে সচেষ্ট হয়েছিল ধীরেন ঘোষরা, তা সফল না হওয়ায় প্রতিযোগিতায় নামার সুযোগ থেকেই কোনিকে বঞ্চিত করা হয়। ধীরেন ঘোষ কোনিকে সান্ত্বনা দেন, – মন খারাপ করিসনি ন্যাশানাল তো বছর বছরই হয়, সামনের বছর আবার আসবি। এই লোক-দেখানো সহানুভূতির আড়ালে যে ষড়যন্ত্র ছিল প্রণবেন্দু বিশ্বাস তা স্পষ্ট করে দেন।

আরও পড়ুন, অভিনন্দন আর আদরে সে ডুবে যাচ্ছে। – এখানে কার কথা বলা হয়েছে? অভিনন্দন আর আদরের কারণ বিশ্লেষণ করো।

এই ঘটনার মাধ্যমে আমরা দেখতে পাই যে, ক্ষিতীশ সিংহকে দমাতে কোনিকে বলিদান দেওয়া হয়েছিল। প্রণবেন্দু বিশ্বাস যদিও কোনিকে বাংলা দলে অন্তর্ভুক্ত করতে সক্ষম হয়েছিলেন, তবুও হরিচরণ-ধীরেন ঘোষদের চক্রান্তের কারণে কোনি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারেননি। প্রণবেন্দু স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যে, হরিচরণদের আসলে বাংলার কথা ভাবার কোন ইচ্ছা ছিল না, নইলে কোনিকে গ্যালারিতে বসে থাকতে হত না। ধীরেন ঘোষের লোক-দেখানো সহানুভূতির আড়ালে যে ষড়যন্ত্র লুকিয়ে ছিল তাও প্রণবেন্দু উন্মোচন করেছিলেন।

এই ঘটনাটি বাংলা অ্যাথলেটিক জগতে একটি বিতর্কিত অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। কোনির প্রতিভা অপরিসীম ছিল, এবং তার অংশগ্রহণ বাংলা দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারত। কিন্তু ক্ষিতীশ সিংহের প্রতি প্রতিশোধ নেওয়ার আকাঙ্ক্ষায় হরিচরণ-ধীরেন ঘোষরা কোনির ভবিষ্যতের সাথে খেলা করেছিলেন। এই ঘটনাটি আমাদের স্পষ্ট করে দেয় যে, খেলাধুলার জগতেও রাজনীতি ও ব্যক্তিগত বিদ্বেষ কতটা ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।

Share via:

মন্তব্য করুন