আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলে দেখবো বারিমণ্ডল আসলে কী? সমুদ্রস্রোতের নামকরণ কীভাবে হয়? এই প্রশ্ন দশম শ্রেণীর পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ, এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভূগোলের তৃতীয় অধ্যায় বারিমণ্ডলের প্রশ্ন।বারিমণ্ডল আসলে কী? সমুদ্রস্রোতের নামকরণ কীভাবে হয়? – আপনি পরীক্ষার জন্য তৈরী করে গেলে আপনি লিখে আস্তে পারবেন।
বারিমণ্ডল আসলে কী?
ভূপৃষ্ঠের মোট আয়তনের প্রায় 71 শতাংশ জলরাশি দ্বারা আবৃত। এই জলভাগের ভৌগোলিক নাম বারিমণ্ডল। ছোটো-বড়ো পুকুর, খাল, বিল, জলাশয়, সাগর, মহাসাগর – সবই বারিমণ্ডলের অন্তর্গত। সমুদ্রের জল সর্বদা এক স্থান থেকে অন্যস্থানে এগিয়ে যায়। সমুদ্র স্রোত সমুদ্রজলের একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ন্ত্রক। সমুদ্র স্রোতের জন্যই পৃথিবীর জলবায়ুর অনেকটা অংশ নিয়ন্ত্রিত হয়।
সমুদ্রস্রোতের নামকরণ কীভাবে হয়?
সমুদ্রস্রোতের নামকরণ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বায়ুর ক্ষেত্রে যেদিক থেকে বায়ু প্রবাহিত হয় সেদিক অনুযায়ী নামকরণ করা হয়। কিন্তু সমুদ্রস্রোতের ক্ষেত্রে সেই ধারণাটি সম্পূর্ণ বিপরীত অর্থাৎ, সমুদ্রস্রোত যে স্থলভাগের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয় বা যেদিকে প্রবাহিত হয় বা যে সাগর বা মহাসাগরের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয় সেই অনুযায়ী নামকরণ করা হয়। যেমন – ক্যারিবিয়ান উপসাগরের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত স্রোতকে ক্যারিবিয়ান স্রোত নামে ডাকা হয় আবার ব্রাজিলের পাশ দিয়ে। প্রবাহিত স্রোতকে ব্রাজিল স্রোত নামে আখ্যায়িত করা হয়।
এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করেছি বারিমণ্ডল এবং সমুদ্রস্রোত সম্পর্কে। বারিমণ্ডল হল পৃথিবীর চারপাশে জলের বিশাল স্তর যা পৃথিবীর জলবায়ু নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সমুদ্রস্রোত হল জলের বৃহৎ প্রবাহ যা মহাসাগরের জলকে বিভিন্ন দিকে বহন করে।
আমরা দেখেছি যে সমুদ্রস্রোতের নামকরণ বিভিন্ন উপায়ে করা হয়। কিছু স্রোত তাদের উৎপত্তিস্থলের নামে নামকরণ করা হয়, যেমন কুরোশিও স্রোত। অন্যরা তাদের গন্তব্যের নামে নামকরণ করা হয়, যেমন গাল্ফ স্ট্রিম। আবারও কিছু স্রোত তাদের আবিষ্কারকের নামে নামকরণ করা হয়, যেমন হুম্বোল্ট স্রোত।
এই আর্টিকেলটি দশম শ্রেণীর পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কারণ বারিমণ্ডল এবং সমুদ্রস্রোত মাধ্যমিক ভূগোলের তৃতীয় অধ্যায়ের অন্তর্ভুক্ত। এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি এই বিষয় সম্পর্কে আপনার জ্ঞান উন্নত করতে পারবেন এবং পরীক্ষার জন্য ভালোভাবে প্রস্তুত হতে পারবেন।