ভারতের নদীগুলি দেশের জীবনধারার সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। সেচ, পানীয় জল, পরিবহন, বিদ্যুৎ উৎপাদন, এবং বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য রক্ষায় इनकी भूमिका অপরিসীম। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, আজকের দিনে এই জীবনদায়ী নদীগুলিই দূষণের কবলে পতিত।
এই ব্লগ পোস্টে, আমরা ভারতের নদী দূষণের প্রধান কারণগুলি তুলে ধরব এবং বিশেষ করে গঙ্গা নদীর দূষণ রোধে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা আলোচনা করব।
এই বিষয়টি দশম শ্রেণীর মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ‘ভারতের প্রাকৃতিক পরিবেশ’ অধ্যায়ের ‘ভারতের জলসম্পদ’ বিভাগে এই প্রশ্নটি বারবার দেখা যায়।
নদীর জলদূষণের কারণ –
- কলকারখানা, শহর-নগরের বিপুল আবর্জনারাশি প্রতিনিয়তই নদীতে এসে পড়ে।
- কোথাও কোথাও নদীতে মৃত প্রাণীর দেহ ফেলা হয়।
- কৃষিক্ষেত্রের বিষাক্ত কীটনাশক, রাসায়নিক সার প্রভৃতি ধুয়ে এসে নদীর জলে মেশে।
- গৃহপালিত পশুদের নদীর জলে স্নান করানোর ফলে নদীর জল দূষিত হচ্ছে।
- সর্বোপরি, পরিবেশদূষণ তথা জলদূষণ সম্পর্কে জনসচেতনতার অভাব নদনদীর জলকে নিরন্তর দূষিত করে চলেছে।
গঙ্গার দূষণ রোধে গৃহীত ব্যবস্থা –
গঙ্গার জলদূষণ প্রতিকারের জন্য 1985 সালে সরকারি উদ্যোগে সেন্ট্রাল গঙ্গা অথরিটি নামে একটি সংস্থা গঠন করা হয়েছে। ওই সংস্থার তত্ত্বাবধানে গঙ্গার গতিপথের বিভিন্ন জায়গায় গঙ্গা অ্যাকশন প্ল্যান রূপায়িত হচ্ছে। পরিকল্পনাটির সম্পূর্ণ রূপায়ণ সম্ভব হলে গঙ্গার দূষণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত হবে বলে আশা করা যায়।
নদী দূষণ রোধে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা জরুরি। ব্যক্তি, সমাজ ও সরকার – সকলেরই দায়িত্ব নদীকে রক্ষা করা। নদী দূষণমুক্ত রাখলে আমরা আমাদের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারব। এই আলোচনা দশম শ্রেণীর মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।