অথবা, দ্রাঘিমার বিস্তার ভারতের স্থানীয় সময় ও প্রমাণ সময়ের ওপর কীরূপ প্রভাব বিস্তার করে?
আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলে দেখবো ভারতের প্রমাণ সময় ও দ্রাঘিমার সম্পর্ক আলোচনা করো। এই প্রশ্ন দশম শ্রেণীর পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ, এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভূগোলের পঞ্চম অধ্যায় ভারতের প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারতের অবস্থান ও প্রশাসনিক বিভাগের প্রশ্ন। ভারতের প্রমাণ সময় ও দ্রাঘিমার সম্পর্ক আলোচনা করো। আপনি পরীক্ষার জন্য তৈরী করে গেলে আপনি লিখে আস্তে পারবেন।
ভারতের প্রমাণ সময় ও দ্রাঘিমার সম্পর্ক আলোচনা করো।
ভারতের পূর্ব ও পশ্চিম সীমার মধ্যে দ্রাঘিমার পার্থক্য প্রায় 97°25′ পূর্ব – 68°7′ পূর্ব = 29°18′ বা প্রায় 117 মিনিট। সময় গণনার সুবিধের জন্য এই দুপ্রান্তের দ্রাঘিমাকে যোগ করে সেই যোগফলকে 2 দিয়ে ভাগ করে মধ্যবর্তী স্থানের যে দ্রাঘিমা নির্ণয় করা হয়েছে, তাকেই ভারতের প্রমাণ দ্রাঘিমা হিসেবে গণ্য করা হয়।
অর্থাৎ 97°25′ + 68°07′ = 165°32′ ÷ 2 = 82°86′ | এর সরলীকরণ করে 82°30′ দ্রাঘিমাকেই ভারতের প্রমাণ দ্রাঘিমা (এলাহাবাদের স্থানীয় সময়) হিসেবে গণ্য করা হয়, যা এলাহাবাদের ওপর দিয়ে প্রসারিত হয়েছে।
হিসাব করে দেখা যায় যে, অরুণাচল প্রদেশের পূর্ব সীমায় স্থানীয় সময় যখন দুপুর 12টা, তখন ভারতের পশ্চিমে অবস্থিত গুজরাতের পশ্চিম সীমায় স্থানীয় সময় সকাল প্রায় 10টা। এজন্য দেশের প্রায় মাঝখানে 82°30′ পূর্ব দ্রাঘিমা অনুসারে ভারতীয় প্রমাণ সময় ঠিক করা হয়েছে এবং সেই সময় অনুসারেই সারা দেশের কাজকর্ম সংঘটিত হয়।
আজকের আলোচনায় আমরা দেখেছি যে ভারতের প্রমাণ সময় এবং দ্রাঘিমার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। ভারতের পূর্ব ও পশ্চিম সীমান্তের মধ্যে দ্রাঘিমার পার্থক্য প্রায় ২৯°১৮′ বা ১১৭ মিনিট। সময় গণনার সুবিধার্থে এই দুই প্রান্তের দ্রাঘিমাকে যোগ করে সেই যোগফলকে ২ দিয়ে ভাগ করে মধ্যবর্তী স্থানের যে দ্রাঘিমা নির্ণয় করা হয়, তাকেই ভারতের প্রমাণ দ্রাঘিমা হিসেবে গণ্য করা হয়।
এই প্রমাণ দ্রাঘিমা ৮২°৩০′ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। ভারতের প্রমাণ সময় এই দ্রাঘিমার উপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হয়। ভারতের প্রমাণ সময় গ্রীনিচ মান সময়ের (GMT) চেয়ে ৫ ঘন্টা ৩০ মিনিট এগিয়ে।
এই আলোচনার মাধ্যমে আমরা বুঝতে পেরেছি যে ভারতের প্রমাণ সময় এবং দ্রাঘিমা কীভাবে সম্পর্কিত। এই ধারণাটি দশম শ্রেণীর ভূগোল পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।