ভারতের রাজ্যগুলির পুনর্গঠনকালে কোন্ কোন্ বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল?

Rahul

অথবা, ভারতে রাজ্য পুনর্গঠনের ভিত্তি কী কী ছিল?

আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলে দেখবো ভারতের রাজ্যগুলির পুনর্গঠনকালে কোন্ কোন্ বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল? এই প্রশ্ন দশম শ্রেণীর পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ, এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভূগোলের পঞ্চম অধ্যায় ভারতের প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারতের অবস্থান ও প্রশাসনিক বিভাগের প্রশ্ন। ভারতের রাজ্যগুলির পুনর্গঠনকালে কোন্ কোন্ বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল? আপনি পরীক্ষার জন্য তৈরী করে গেলে আপনি লিখে আস্তে পারবেন।

ভারতের রাজ্যগুলির পুনর্গঠনকালে কোন্ কোন্ বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল?

বিভিন্ন সময়ে ভারতের রাজ্যগুলির পুনর্গঠনকালে প্রধানত তিনটি বিষয়ের ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে –

  • ভাষা
  • সংস্কৃতি
  • প্রশাসনিক ক্ষমতা বৃদ্ধি

1956 সালে প্রধানত ভাষার ভিত্তিতে রাজ্যগুলির পুনর্গঠন করা হলেও পরবর্তী সময়ে রাজ্য পুনর্গঠনকালে ভাষা, সংস্কৃতি এবং প্রশাসনিক কর্মক্ষমতা বৃদ্ধির দিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়।

কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর

কবে কার নেতৃত্বে রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন গঠিত হয়?

১৯৫৩ সালের ডিসেম্বর মাসে বিচারপতি ফজল আলীর নেতৃত্বে রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন গঠিত হয়।

ভারতের রাজ্য পুনর্গঠনের ভিত্তি গুলি কি কি?

১৯৫৬ সালে প্রণীত রাজ্য পুনর্গঠন আইনের মাধ্যমে ভারতের রাজ্যগুলির পুনর্গঠন করা হয়েছিল। এই আইনের ভিত্তি ছিল নিম্নলিখিত নীতিগুলি –
১. ভাষাগত ভিত্তি: রাজ্যগুলি তাদের প্রধান ভাষার ভিত্তিতে গঠিত হয়েছিল।
২. প্রশাসনিক সুবিধা: রাজ্যগুলি এমনভাবে গঠিত হয়েছিল যাতে তাদের সুষ্ঠভাবে প্রশাসন করা যায়।
৩. ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য: রাজ্যগুলি তাদের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ভিত্তিতে গঠিত হয়েছিল।
৪. অর্থনৈতিক উন্নয়ন: রাজ্যগুলি এমনভাবে গঠিত হয়েছিল যাতে তাদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন করা যায়।
৫. জনগণের ইচ্ছা: রাজ্যগুলি তাদের জনগণের ইচ্ছার ভিত্তিতে গঠিত হয়েছিল।
এই নীতিগুলির ভিত্তিতে ভারতকে ১৪টি রাজ্য এবং ৬টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছিল।

রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন কেন গঠিত হয়?

১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতার পর, রাজ্যগুলির সীমানাগুলি ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হয়েছিল। ব্রিটিশ শাসনামলে, রাজ্যগুলি প্রিন্সিপালিটি, প্রদেশ এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মতো বিভিন্ন বিভাগে বিভক্ত ছিল। স্বাধীনতার পর, এই বিভাগগুলির মধ্যে অনেকগুলি একত্রিত হয়েছিল। এই একত্রীকরণের ফলে কিছু রাজ্য খুব বড় এবং কিছু রাজ্য খুব ছোট হয়ে গিয়েছিল। এছাড়াও, কিছু রাজ্য ভাষাগত, সাংস্কৃতিক এবং ঐতিহাসিকভাবে বিভক্ত ছিল। এই সমস্ত সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য, ভারত সরকার ১৯৫৩ সালে রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন গঠন করে।

রাজ্য পুনর্গঠন আইন কবে পাস হয়?

রাজ্য পুনর্গঠন আইন ১৯৫৬ সালের ৩১ আগস্টে পাস হয়।

উপসংহারে বলা যায় যে – ভারতের রাজ্যগুলির পুনর্গঠন ছিল এক জটিল কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া। ভাষা, সংস্কৃতি, প্রশাসন ও অর্থনীতি – এই চারটি মূল বিষয়কে মাথায় রেখেই রাজ্যগুলির সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এই পুনর্গঠন এমনভাবে করা হয়েছিল যাতে স্বাধীন ভারতের জনগণের ঐতিহ্য, ভাষা ও অর্থনৈতিক উন্নতি নিশ্চিত হয়।

JOIN US ON WHATSAPP

JOIN US ON TELEGRAM

Please Share This Article

About The Author

Related Posts

ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে কীভাবে জলসেচ করা হয়?

ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে কীভাবে জলসেচ করা হয়?

অতিরিক্ত জলসেচের ফলে কী কী বিপদ হতে পারে?

অতিরিক্ত জলসেচের ফলে কী কী বিপদ হতে পারে?

ভারতে জলসেচের সম্ভাবনা – ভারতীয় কৃষিতে খাল দ্বারা জলসেচের উপযোগিতা কতখানি?

ভারতে জলসেচের সম্ভাবনা – ভারতীয় কৃষিতে খাল দ্বারা জলসেচের উপযোগিতা কতখানি?

মন্তব্য করুন

SolutionWbbse

Trending Now

Class 9 – English – A Day in The Zoo – Question and Answer

Class 9 – English Reference – Tom Loses a Tooth – Question and Answer

Class 9 – English Reference – The North Ship – Question and Answer

Class 9 – English – His First Flight – Question and Answer

Class 9 – English – A Shipwrecked Sailor – Question and Answer