ভারতের সীমানা উল্লেখ করো। ভারতকে পৃথিবীর ক্ষুদ্র প্রতিরূপ বলা হয় কেন?

Rahul

আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলে দেখবো ভারতের সীমানা উল্লেখ করো। ভারতকে পৃথিবীর ক্ষুদ্র প্রতিরূপ বলা হয় কেন? এই প্রশ্ন দশম শ্রেণীর পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ, এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভূগোলের পঞ্চম অধ্যায় ভারতের প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারতের অবস্থান ও প্রশাসনিক বিভাগের প্রশ্ন। ভারতের সীমানা উল্লেখ করো। ভারতকে পৃথিবীর ক্ষুদ্র প্রতিরূপ বলা হয় কেন? – আপনি পরীক্ষার জন্য তৈরী করে গেলে আপনি লিখে আস্তে পারবেন।

ভারতের সীমানা উল্লেখ করো। ভারতকে পৃথিবীর ক্ষুদ্র প্রতিরূপ বলা হয় কেন?

ভারতের সীমানা উল্লেখ করো।

  • উত্তরে ভারতের উত্তর সীমানা বরাবর অবস্থান করছে সুবিশাল হিমালয় পর্বতমালা এবং চিন, নেপাল ও ভুটান রাষ্ট্র। উত্তর-পশ্চিমে রয়েছে আফগানিস্তান।
  • পশ্চিমে অবস্থান করছে পাকিস্তান ও আরব সাগর।
  • পূর্ব সীমানায় রয়েছে মায়ানমার, বাংলাদেশ ও বঙ্গোপসাগর।
  • দক্ষিণের উপদ্বীপ অংশের তিনদিক বেষ্টন করে রয়েছে ভারত মহাসাগর, আরব সাগর এবং বঙ্গোপসাগরের সুনীল জলরাশি। ভারতের সর্ব দক্ষিণ প্রান্তে রয়েছে শ্রীলঙ্কা। এই দেশটি পক প্রণালী ও মান্নার উপসাগর দ্বারা ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে।

ভারতকে পৃথিবীর ক্ষুদ্র প্রতিরূপ বলা হয় কেন?

ভারত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দক্ষিণ দিকে অবস্থিত। এই দেশের তিনদিকে সমুদ্র ও উত্তরাংশে হিমালয় পর্বতমালা অবস্থিত। পূর্ব গোলার্ধে অবস্থিত ভারতের মাঝখান দিয়ে কর্কটক্রান্তিরেখা প্রসারিত হয়েছে। ভূপ্রাকৃতিক বৈচিত্র্য অর্থাৎ পর্বত-মালভূমি-সমভূমি সবই ভারতে দেখা যায়, মরুভূমি, সমভূমি, বিভিন্ন ধরনের মৃত্তিকা, বৈচিত্র্যপূর্ণ বিভিন্ন ধরনের জলবায়ু, বিভিন্ন ধরনের স্বাভাবিক উদ্ভিদ যেমন এই দেশে দেখা যায় তেমনি প্রচুর খনিজ সম্পদও ভারতে পাওয়া যায়। এ ছাড়া ভারতে বিভিন্ন ভাষা, সংস্কৃতি, ধর্ম ও বর্ণের মানুষ দেখা যায়। এ ছাড়াও জীববৈচিত্র্যে ভারত পৃথিবীতে অগ্রগণ্য। তাই ভারতকে পৃথিবীর ক্ষুদ্র প্রতিরূপ বলা হয়।

এই আর্টিকেলে আমরা ভারতের সীমানা ও ভারতকে পৃথিবীর ক্ষুদ্র প্রতিরূপ বলা হয় কেন, এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচনা করেছি।

পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে এই আর্টিকেলটি আপনাকে সাহায্য করবে। আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন এবং মুখস্থ করার চেষ্টা করুন। ভারতের মানচিত্রের সাহায্যে সীমানা সম্পর্কে ধারণা স্পষ্ট করুন। এছাড়াও, ভারতের বিভিন্ন ভূপ্রকৃতি, জলবায়ু, বনভূমি, খনিজ সম্পদ, জীববৈচিত্র্য, ধর্ম, ভাষা, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সম্পর্কে জানুন।

Please Share This Article

Related Posts

সিঙ্গাপুরের জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে জলবায়ু ও গোলার্ধ শনাক্ত করো -

সিঙ্গাপুরের জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে জলবায়ু ও গোলার্ধ শনাক্ত করো।

বাংলায় ছাপাখানা ও মুদ্রণ শিল্পের বিকাশে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের কীরূপ অবদান ছিল?

বাংলায় ছাপাখানা ও মুদ্রণ শিল্পের বিকাশে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের কীরূপ অবদান ছিল?

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তীকালে ভারতের শ্রমিক আন্দোলনগুলির সাধারণ বৈশিষ্ট্য কী ছিল?

তুন্দ্রা জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলোচনা করো।

About The Author

Rahul

Tags

মন্তব্য করুন

SolutionWbbse

"SolutionWbbse" শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনলাইন অধ্যয়ন প্ল্যাটফর্ম। এখানে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য গাইডলাইন, এবং বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সাহায্য প্রদান করা হয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল বিষয়ের শিক্ষণীয় উপকরণ সহজেই সকল শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়া।

Editor Picks

সিঙ্গাপুরের জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে জলবায়ু ও গোলার্ধ শনাক্ত করো।

বাংলায় ছাপাখানা ও মুদ্রণ শিল্পের বিকাশে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের কীরূপ অবদান ছিল?

তুন্দ্রা জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলোচনা করো।

ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ুর অবস্থান ও বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা করো।

ক্রান্তীয় মৌসুমি জলবায়ুর অবস্থান ও প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি কী কী তা আলোচনা করো।