উপাদানগত তারতম্যের ভিত্তিতে বায়ুমণ্ডলের স্তরবিন্যাস আলোচনা করো।

Souvick

এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “উপাদানগত তারতম্যের ভিত্তিতে বায়ুমণ্ডলের স্তরবিন্যাস আলোচনা করো।” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “উপাদানগত তারতম্যের ভিত্তিতে বায়ুমণ্ডলের স্তরবিন্যাস আলোচনা করো।” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের প্রথম অধ্যায় “পরিবেশের জন্য ভাবনা“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়।

উপাদানগত তারতম্যের ভিত্তিতে বায়ুমণ্ডলের স্তরবিন্যাস আলোচনা করো।
Contents Show

উপাদানগত তারতম্যের ভিত্তিতে বায়ুমণ্ডলের স্তরবিন্যাস আলোচনা করো।

উপাদানগত তারতম্যের ভিত্তিতে বায়ুমণ্ডলকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়। যথা –

  1. সমমণ্ডল ও
  2. বিষম মণ্ডল।

সমমণ্ডল (Homosphere) –

সমুদ্র সমতল থেকে ঊর্ধ্বে 100 কিমি (মতান্তরে 80-90 কিমি) উচ্চতা পর্যন্ত অংশে বায়ুমণ্ডল গঠনকারী উপাদানগুলির অনুপাত মোটামুটি একই রকম থাকে, তাই এই স্তর সমমণ্ডল নামে পরিচিত।

সমমণ্ডলের বিশেষত্ব –

বিভিন্ন প্রকার গ্যাস, জলীয় বাষ্প এবং জৈব ও অজৈব কণিকা দ্বারা এই স্তরটি গঠিত। এই অঞ্চলের প্রকৃতিই পৃথিবীর জলবায়ু নির্ধারণ করে।

বিষম মণ্ডল (Hetero Sphere) –

হোমোস্ফিয়ার বা সমমণ্ডলের ঊর্ধ্বে প্রায় 100 কিলোমিটার থেকে 10000 কিলোমিটার পর্যন্ত অংশে বায়ুমণ্ডল গঠনকারী উপাদানগুলির অনুপাত একই রকম থাকে না এবং বিভিন্ন গ্যাসের স্তরগুলির মধ্যে বিভিন্নতা দেখা যায়। তাই এই স্তর বিষমমণ্ডল নামে পরিচিত।

বিষম মণ্ডলের বিশেষত্ব –

এই স্তরটিতে আণবিক ওজন অনুসারে প্রথমে ভারী গ্যাস এবং ধীরে ধীরে উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে হালকা গ্যাস অবস্থান করে। এই অঞ্চল চারটি স্তরে বিভক্ত। যথা –

  • আণবিক নাইট্রোজেন স্তর (100-200 কিমি),
  • পারমাণবিক অক্সিজেন স্তর (201-1000 কিমি),
  • হিলিয়াম স্তর (1001-2000 কিমি),
  • হাইড্রোজেন স্তর (3500-10000 কিমি)।
উপাদানগত তারতম্যের ভিত্তিতে বায়ুমণ্ডলের স্তরবিন্যাস আলোচনা করো।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর

বায়ুমণ্ডলকে উপাদানগত তারতম্যের ভিত্তিতে কয়টি ভাগে ভাগ করা হয়?

বায়ুমণ্ডলকে দুটি প্রধান ভাগে ভাগ করা হয় –
1. সমমণ্ডল (Homosphere) ও
2. বিষমমণ্ডল (Heterosphere)।

সমমণ্ডল কাকে বলে? এর উচ্চতা কত পর্যন্ত বিস্তৃত?

সমমণ্ডল হলো বায়ুমণ্ডলের নিম্নস্তর, যেখানে গ্যাসীয় উপাদানগুলির অনুপাত প্রায় একই রকম থাকে। এটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে 80-100 কিমি উচ্চতা পর্যন্ত বিস্তৃত।

সমমণ্ডলের প্রধান বৈশিষ্ট্য কী?

1. বিভিন্ন গ্যাস (নাইট্রোজেন, অক্সিজেন, কার্বন ডাই-অক্সাইড), জলীয় বাষ্প ও কণিকাগুলি মিশে থাকে।
2. এই স্তরই পৃথিবীর জলবায়ু নির্ধারণ করে।

বিষমমণ্ডল কী? এটি কত উচ্চতা পর্যন্ত বিস্তৃত?

বিষমমণ্ডল হলো বায়ুমণ্ডলের ঊর্ধ্বস্তর, যেখানে গ্যাসীয় উপাদানগুলির অনুপাত ভিন্ন এবং স্তর অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়। এটি 100 কিমি থেকে 10,000 কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত।

বিষমমণ্ডলের স্তরগুলি কী কী?

বিষমমণ্ডল চারটি স্তরে বিভক্ত –
1. আণবিক নাইট্রোজেন স্তর (100-200 কিমি),
2. পারমাণবিক অক্সিজেন স্তর (201-1000 কিমি),
3. হিলিয়াম স্তর (1001-2000 কিমি) ও
4. হাইড্রোজেন স্তর (3500-10000 কিমি)।

বিষমমণ্ডলে গ্যাসগুলি কীভাবে সজ্জিত থাকে?

গ্যাসগুলি আণবিক ওজন অনুসারে স্তরবদ্ধ থাকে –
1. নিচে ভারী গ্যাস (নাইট্রোজেন, অক্সিজেন),
2. উপরে হালকা গ্যাস (হিলিয়াম, হাইড্রোজেন)।

বিষমমণ্ডলের সর্বোচ্চ স্তরটির নাম কী?

হাইড্রোজেন স্তর (3500-10000 কিমি), যা বায়ুমণ্ডলের সর্বোচ্চ ও হালকা স্তর।

সমমণ্ডল ও বিষমমণ্ডলের মধ্যে কোন স্তরটি মানুষের জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ?

সমমণ্ডল, কারণ এটি বায়ুমণ্ডলের প্রধান স্তর যেখানে শ্বাস-প্রশ্বাস, আবহাওয়া ও জলবায়ু নিয়ন্ত্রিত হয়।

বিষমমণ্ডল কেন বিজ্ঞানীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ?

এটি মহাকাশ গবেষণা, উপগ্রহ স্থাপন ও মহাজাগতিক রশ্মি অধ্যয়নের জন্য প্রয়োজনীয়।


এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “উপাদানগত তারতম্যের ভিত্তিতে বায়ুমণ্ডলের স্তরবিন্যাস আলোচনা করো।” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “উপাদানগত তারতম্যের ভিত্তিতে বায়ুমণ্ডলের স্তরবিন্যাস আলোচনা করো।” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের প্রথম অধ্যায় “পরিবেশের জন্য ভাবনা” -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।

Please Share This Article

Related Posts

গ্লোবাল ওয়ার্মিং কাকে বলে? এর প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা করো।

গ্লোবাল ওয়ার্মিং কাকে বলে? গ্লোবাল ওয়ার্মিং -এর প্রভাব

শক্তির ক্রমবর্ধমান চাহিদার ফলে পরিবেশের ওপর প্রভাবগুলি কী কী?

শক্তির ক্রমবর্ধমান চাহিদার ফলে পরিবেশের ওপর প্রভাবগুলি কী কী?

গ্যাসীয় পদার্থ কাকে বলে? গ্যাসীয় পদার্থের বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ করো।

গ্যাসীয় পদার্থ কাকে বলে? গ্যাসীয় পদার্থের বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ করো।

About The Author

Souvick

Tags

মন্তব্য করুন

SolutionWbbse

"SolutionWbbse" শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনলাইন অধ্যয়ন প্ল্যাটফর্ম। এখানে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য গাইডলাইন, এবং বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সাহায্য প্রদান করা হয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল বিষয়ের শিক্ষণীয় উপকরণ সহজেই সকল শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়া।

Editor Picks

সৌরশক্তি কাকে বলে? সৌরশক্তির ব্যবহার

গ্লোবাল ওয়ার্মিং কাকে বলে? গ্লোবাল ওয়ার্মিং -এর প্রভাব

শক্তির ক্রমবর্ধমান চাহিদার ফলে পরিবেশের ওপর প্রভাবগুলি কী কী?

গ্যাসীয় পদার্থ কাকে বলে? গ্যাসীয় পদার্থের বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ করো।

আণবিক গতির সাহায্যে গ্যাসীয় পদার্থের চাপের ব্যাখ্যা দাও।