আজকের আর্টিকেলে আমরা বিপজ্জনক বর্জ্য সম্পর্কে জানবো। প্রথমে জানব, ঠিক কী এই বিপজ্জনক বর্জ্য? তারপর দেখব, কী কী জিনিস বিপজ্জনক বর্জ্য হিসেবে গণ্য হয়। মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য এই তথ্য খুবই জরুরি। কারণ, ভূগোলের চতুর্থ অধ্যায় বজ্র ব্যাবস্থাপনার এসব প্রশ্নই থাকে। পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য এই আর্টিকেলটি তোমাদের অনেকটা সাহায্য করবে।
বিপজ্জনক বর্জ্য কী?
বিপজ্জনক বর্জ্য বলতে বোঝায় এমন বর্জ্য পদার্থ যা জনস্বাস্থ্য বা পরিবেশের জন্য হুমকিস্বরূপ। এগুলো সাধারণ বর্জ্যের চেয়ে আলাদা কারণ এতে বিষাক্ততা, জ্বলনশীলতা, প্রতিক্রিয়াশীলতা, বা ক্ষয়কারীতার মতো বিপজ্জনক বৈশিষ্ট্য থাকে।
বিপজ্জনক বর্জ্যগুলি কী কী?
মানুষ এবং জীবজগতের পক্ষে ক্ষতিকর রাসায়নিক বর্জ্যকে বিপজ্জনক বর্জ্য পদার্থ বলে। সাধারণত সেইসব বর্জ্যকে বিপজ্জনক বর্জ্য বলা হবে যখন তার প্রজ্জ্বলিত হবার ক্ষমতা থাকবে, সহজে বিক্রিয়া করতে পারবে, তেজস্ক্রিয়তা থাকবে, বিষাক্ত হবে এবং ক্ষয়কারী ক্ষমতা থাকবে। তৈলশোধনাগার, ধাতু নিষ্কাশন প্রক্রিয়া এবং রাসায়নিক দ্রব্য তৈরির কারখানা থেকে এধরনের বর্জ্য পদার্থ তৈরি হয়ে থাকে।
বিপজ্জনক রাসায়নিক বর্জ্যকে ছয়টি ভাগে ভাগ করা যায় –
1. ভারী ধাতু – সিসা, জিঙ্ক, আর্সেনিক প্রভৃতি।
2. পেট্রোলিয়াম শিল্পজাত দ্রব্য – গ্রিজ, গ্যাসোলিন, তেল প্রভৃতি।
3. কৃত্রিম জৈব যৌগ – DDT, ডাইঅক্সিন প্রভৃতি।
4. অ্যাসিড – হাইড্রোজেন, ক্লোরাইড, হাইড্রোজেন, সালফাইড প্রভৃতি।
5. জৈবিক – ব্যাকটেরিয়া, উদ্ভিদ টক্সিন প্রভৃতি।
6. তেজস্ক্রিয় দ্রব্যাদি – রেডিয়াম, ইউরেনিয়াম ইত্যাদি হল বিপজ্জনক বর্জ্য।
এই আর্টিকেল পড়ে আশা করি, বিপজ্জনক বর্জ্য কী এবং কীভাবে পরিবেশের ক্ষতি করে, সে সম্পর্কে তোমাদের আরও ভালো ধারণা হয়েছে। মনে রাখতে হবে, এই বর্জ্য সঠিকভাবে পরিচালনা না করলে আমাদের সবার জন্যই ক্ষতিকারক হতে পারে। তাই সচেতন হয়ে, এগুলোকে আলাদাভাবে ফেলা এবং পুনর্ব্যবহারের চেষ্টা করা উচিত।