এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলা বইয়ের সহায়ক পাঠ “কোনি” থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করব – “বুকের মধ্যে প্রচণ্ড মোচড় সে অনুভব করল। চিকচিক করে উঠল চোখ দুটো” — কার, কেন এমন হয়েছিল? এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য এই প্রশ্নটির গুরুত্ব অনেক।
“বুকের মধ্যে প্রচণ্ড মোচড় সে অনুভব করল। চিকচিক করে উঠল চোখ দুটো” — কার, কেন এমন হয়েছিল?
উদ্দিষ্টের পরিচয় – মতি নন্দী রচিত কোনি উপন্যাসের যষ্ঠ পরিচ্ছেদে ক্ষিতীশ সিংহের এই অবস্থা হয়েছিল।
এমন অবস্থার কারণ –
- নোংরা ষড়যন্ত্রের শিকার – জুপিটার সুইমিং ক্লাবের সঙ্গে ক্ষিতীশ সিংহের ছিল নাড়ির সম্পর্ক। সাঁতারু তৈরি করাই ছিল তাঁর জীবনের ধ্যান-জ্ঞান। এই মানুষটি শেষপর্যন্ত ক্লাবের কর্মকর্তাদের নোংরা ষড়যন্ত্রের শিকার হন। হরিচরণের মতো কিছু স্বার্থপর, সুবিধালোভী মানুষের চক্রান্তে তিনি ক্লাবের চিফ ট্রেনারের পদ ছেড়ে দিতে বাধ্য হন।
- সাঁতার-অন্তপ্রাণ – কিন্তু চ্যাম্পিয়ন সাঁতারু তৈরি করা যার জীবনের সর্বস্ব তিনি থেমে থাকতে পারেন না। কোনি নামে মেয়েটির মধ্যে ক্ষিতীশ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভাবনা দেখে তাকে জুপিটার ক্লাবে ভরতি করতে চান। কিন্তু ক্লাবে ক্ষিতীশের অবদানকে মনে না রেখে কোনিকে ট্রায়াল দিতে বলা হয়। তাতে পাস করার পরেও কোনিকে ভরতি নেওয়া হয় না।
- সম্পর্কের অবসান – অপমানিত ক্ষিতীশ বাধ্য হয়েই প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাপোলো ক্লাবের দিকে পা বাড়ান। জুপিটারের কমলদিঘি, বড়ো ঘড়ি ইত্যাদির সঙ্গে তাঁর যে প্রাণের সম্পর্ক ও স্মৃতি যুক্ত ছিল তা ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় বুকের মধ্যে একটা প্রচণ্ড কষ্ট অনুভব করেন ক্ষিতীশ সিংহ। তাঁর চোখের কোনায় জল দেখা দেয়।
এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলা বইয়ের ‘কোনি‘ সহায়ক পাঠ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “বুকের মধ্যে প্রচণ্ড মোচড় সে অনুভব করল। চিকচিক করে উঠল চোখ দুটো”— কার, কেন এমন হয়েছিল? তা নিয়ে বিশদে আলোচনা করেছি। মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য এই প্রশ্নটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি, এই নিবন্ধটি আপনার জন্য সহায়ক হয়েছে। যদি আপনার কোনো প্রশ্ন থাকে বা আরও সহায়তার প্রয়োজন হয়, টেলিগ্রামে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। এছাড়াও, আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না, যাতে তারাও উপকৃত হতে পারে। ধন্যবাদ!