“বুকের মধ্যে প্রচণ্ড মোচড় সে অনুভব করল। চিকচিক করে উঠল চোখ দুটো” এই উক্তিটি দশম বাংলা সহায়ক পাঠ কোনি উপন্যাস থেকে নেওয়া হয়েছে। “বুকের মধ্যে প্রচণ্ড মোচড় সে অনুভব করল। চিকচিক করে উঠল চোখ দুটো” — কার, কেন এমন হয়েছিল? এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যান্ত গুরুত্তপূর্ণ। কোনি উপন্যাসের এই রচনাধর্মী প্রশ্নটি তৈরী করে গেলে মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষায় একটি ৫ নম্বরের পাওয়া যেতে পারে।
জুপিটার সুইমিং ক্লাবের সাথে ক্ষিতীশ সিংহের সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। সাঁতার কেবল তার পেশা ছিল না, বরং জীবনের ধ্যান-জ্ঞান। কিন্তু ক্লাবের কিছু স্বার্থপর কর্মকর্তার ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে তিনি চিফ ট্রেনারের পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।
চ্যাম্পিয়ন সাঁতারু তৈরি করাই ছিল ক্ষিতীশের জীবনের লক্ষ্য। কোনি নামে এক মেয়েটির মধ্যে তিনি সেই সম্ভাবনা দেখতে পান এবং তাকে জুপিটার ক্লাবে ভর্তি করার চেষ্টা করেন। কিন্তু ক্লাব কর্তৃপক্ষ ক্ষিতীশের অবদানকে উপেক্ষা করে কোনিকে ট্রায়াল দিতে বলে। ট্রায়ালে উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও কোনিকে ভর্তি নেওয়া হয় না।
অপমানিত ক্ষিতীশ বাধ্য হয়েই প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাপোলো ক্লাবে যোগদান করেন। জুপিটারের কমলদিঘি, বড়ো ঘড়ি ইত্যাদির সাথে তার অসংখ্য স্মৃতি ছিল, যা ছেড়ে যেতে তাকে প্রচণ্ড কষ্ট হয়। তার চোখের কোণে জল চলে আসে।
“বুকের মধ্যে প্রচণ্ড মোচড় সে অনুভব করল। চিকচিক করে উঠল চোখ দুটো” — কার, কেন এমন হয়েছিল?
উদ্দিষ্টের পরিচয় – মতি নন্দী রচিত কোনি উপন্যাসের যষ্ঠ পরিচ্ছেদে ক্ষিতীশ সিংহের এই অবস্থা হয়েছিল।
এমন অবস্থার কারণ –
- নোংরা ষড়যন্ত্রের শিকার – জুপিটার সুইমিং ক্লাবের সঙ্গে ক্ষিতীশ সিংহের ছিল নাড়ির সম্পর্ক। সাঁতারু তৈরি করাই ছিল তাঁর জীবনের ধ্যান-জ্ঞান। এই মানুষটি শেষপর্যন্ত ক্লাবের কর্মকর্তাদের নোংরা ষড়যন্ত্রের শিকার হন। হরিচরণের মতো কিছু স্বার্থপর, সুবিধালোভী মানুষের চক্রান্তে তিনি ক্লাবের চিফ ট্রেনারের পদ ছেড়ে দিতে বাধ্য হন।
- সাঁতার-অন্তপ্রাণ – কিন্তু চ্যাম্পিয়ন সাঁতারু তৈরি করা যার জীবনের সর্বস্ব তিনি থেমে থাকতে পারেন না। কোনি নামে মেয়েটির মধ্যে ক্ষিতীশ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভাবনা দেখে তাকে জুপিটার ক্লাবে ভরতি করতে চান। কিন্তু ক্লাবে ক্ষিতীশের অবদানকে মনে না রেখে কোনিকে ট্রায়াল দিতে বলা হয়। তাতে পাস করার পরেও কোনিকে ভরতি নেওয়া হয় না।
- সম্পর্কের অবসান – অপমানিত ক্ষিতীশ বাধ্য হয়েই প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাপোলো ক্লাবের দিকে পা বাড়ান। জুপিটারের কমলদিঘি, বড়ো ঘড়ি ইত্যাদির সঙ্গে তাঁর যে প্রাণের সম্পর্ক ও স্মৃতি যুক্ত ছিল তা ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় বুকের মধ্যে একটা প্রচণ্ড কষ্ট অনুভব করেন ক্ষিতীশ সিংহ। তাঁর চোখের কোনায় জল দেখা দেয়।
ক্ষিতীশ সিংহ, একজন নিবেদিতপ্রাণ সাঁতার প্রশিক্ষক, জুপিটার সুইমিং ক্লাবের নোংরা ষড়যন্ত্রের শিকার হন। ক্ষিতীশের একমাত্র লক্ষ্য ছিল চ্যাম্পিয়ন সাঁতারু তৈরি করা, কিন্তু ক্লাবের স্বার্থপর কর্মকর্তারা তাকে ক্ষমতাচ্যুত করে।
কোনি নামের মেয়েটির মধ্যে ক্ষিতীশ প্রতিভার স্ফুলিঙ্গ দেখতে পান এবং তাকে জুপিটারে ভর্তি করার চেষ্টা করেন। কিন্তু ক্লাব কর্তৃপক্ষ ক্ষিতীশের অবদানকে উপেক্ষা করে কোনিকে ট্রায়াল দিতে বাধ্য করে। ট্রায়ালে উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও কোনিকে ভর্তি না নেওয়ায় ক্ষিতীশ অপমানিত হন।
অবশেষে, ক্ষিতীশ প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাপোলো ক্লাবে যোগদান করতে বাধ্য হন। জুপিটারের সাথে তার অসংখ্য স্মৃতি ছিল, যা ছেড়ে যেতে তাকে প্রচণ্ড কষ্ট হয়।
এই ঘটনা ক্ষিতীশের জীবনে গভীর আঘাত করে, তবুও তিনি হাল ছাড়েন না। প্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবে নতুন করে শুরু করার সাহস এবং দৃঢ়তা তাঁর মধ্যে বিদ্যমান।