চার বছরের মধ্যেই ‘প্রজাপতি’ ডানা মেলে দিয়েছে। – ‘প্রজাপতি’ সম্পর্কে কী জেনেছ? ‘প্রজাপতি’-কে ঘিরে ক্ষিতীশ সিংহের পরিবারের কোন্ ছবি ধরা পড়েছে?

“চার বছরের মধ্যেই ‘প্রজাপতি’ ডানা মেলে দিয়েছে।” এই উক্তিটি দশম বাংলা সহায়ক পাঠ কোনি উপন্যাস থেকে নেওয়া হয়েছে। “চার বছরের মধ্যেই ‘প্রজাপতি’ ডানা মেলে দিয়েছে।’ – ‘প্রজাপতি’ সম্পর্কে কী জেনেছ? ‘প্রজাপতি’-কে ঘিরে ক্ষিতীশ সিংহের পরিবারের কোন্ ছবি ধরা পড়েছে?” এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যান্ত গুরুত্তপূর্ণ। কোনি উপন্যাসের এই রচনাধর্মী প্রশ্নটি তৈরী করে গেলে মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষায় একটি ৫ নম্বরের পাওয়া যেতে পারে।

মতি নন্দীর “কোনি” উপন্যাসের দ্বিতীয় পরিচ্ছেদে “প্রজাপতি” নামক একটি টেলারিং দোকানের কাহিনী বর্ণিত হয়েছে। ক্ষিতীশ সিংহ এবং লীলাবতী এই দোকানের মালিক। প্রথমে, দোকানটি “সিনহা টেলারিং” নামে পরিচিত ছিল। লীলাবতী দোকানের দায়িত্ব নেওয়ার পর, মেয়েদের ও বাচ্চাদের পোশাক তৈরির জন্য এটি “প্রজাপতি” নামে নতুন করে সাজানো হয়।

উপন্যাসটিতে, ক্ষিতীশ সিংহকে একজন সংসারী মানুষ হিসেবে দেখানো হয়নি। তিনি দোকানে খুব কম সময় ব্যয় করতেন, দুজন দর্জির উপর নির্ভরশীল ছিলেন। ক্রমশ, দোকানের অবস্থা খারাপ হতে থাকে, কাপড় চুরি এবং ভাড়া বাকি থাকে।

এই পরিস্থিতিতে, লীলাবতী দোকানের দায়িত্ব নেন। নিজের গহনা বন্ধক রেখে তিনি দুই মহিলাকে নিয়োগ করে শুধুমাত্র মেয়ে ও শিশুদের পোশাক তৈরি শুরু করেন। তার পরিশ্রম ও বিচক্ষণতার মাধ্যমে, “প্রজাপতি” দ্রুত জনপ্রিয়তা লাভ করে এবং লাভজনক হয়ে ওঠে। লীলাবতী তার গহনা উদ্ধার করতে সক্ষম হন এবং একটি বড়ো দোকানের সন্ধান করতে শুরু করেন।

এই অংশে, লীলাবতীর চরিত্রকে একজন সাহসী, কর্মঠ এবং পরিশ্রমী নারী হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। তার দৃঢ়তা ও দক্ষতার মাধ্যমে, তিনি “প্রজাপতি” কে একটি সফল ব্যবসায় পরিণত করেন।

চার বছরের মধ্যেই 'প্রজাপতি' ডানা মেলে দিয়েছে। - 'প্রজাপতি' সম্পর্কে কী জেনেছ? 'প্রজাপতি'-কে ঘিরে ক্ষিতীশ সিংহের পরিবারের কোন্ ছবি ধরা পড়েছে?

“চার বছরের মধ্যেই ‘প্রজাপতি’ ডানা মেলে দিয়েছে।” – ‘প্রজাপতি’ সম্পর্কে কী জেনেছ? ‘প্রজাপতি’-কে ঘিরে ক্ষিতীশ সিংহের পরিবারের কোন্ ছবি ধরা পড়েছে?

প্রজাপতি-র পরিচয় – মতি নন্দী রচিত কোনি উপন্যাসের দ্বিতীয় পরিচ্ছেদে প্রজাপতি দোকানটি সম্পর্কে জানা যায়। ক্ষিতীশ সিংহ এবং লীলাবতীর একটি টেলারিংয়ের দোকান ছিল। শুরুতে দোকানটির নাম ছিল ‘সিনহা টেলারিং’। লীলাবতী এই দোকানটির দায়িত্ব নিয়ে তাকে ঢেলে সাজান। মেয়েদের ও বাচ্চাদের পোশাক তৈরির দোকান বানান এবং নাম দেন প্রজাপতি।

প্রজাপতি-কে ঘিরে ক্ষিতীশের পরিবারের ছবি –

  • পূর্বকথা – জুপিটার ক্লাব এবং সাঁতার-অন্তপ্রাণ ক্ষিতীশ সিংহ সংসারী মানুষ ছিলেন না। তিনি যখন দোকান চালাতেন দিনে দু-ঘণ্টাও সেখানে বসতেন না। দুজন দর্জি জামা-প্যান্ট বানাতেন।
  • পরিস্থিতির অবনতি – এভাবে চলতে চলতে একদিন দেখা যায় দোকানের আলমারির কাপড় অর্ধেকেরও বেশি অদৃশ্য হয়েছে এবং দোকানের ভাড়া চার মাস বাকি।
  • দোকানের শ্রীবৃদ্ধি – দোকানে যখন লাভের বদলে লোকসান হচ্ছে, ঠিক সেই মুহূর্তে লীলাবতী দোকানের হাল ধরেন। নিজের গহনা বন্ধক দিয়ে দুটি মহিলাকে নিয়ে শুধু মেয়ে ও শিশুদের পোশাক তৈরি শুরু করেন। ক্রমশ ব্যাবসার সমৃদ্ধি ঘটে। লীলাবতী তাঁর বন্ধক দেওয়া গহনাও অর্ধেক ফিরিয়ে আনেন। কাজের পরিমাণও বেড়ে যায়, ব্যাবসা ভালো চলার ফলে, একটা বড়ো দোকানের খোঁজও শুরু করেন লীলাবতী। লীলাবতী তাঁর বিচক্ষণতা, পরিশ্রম এবং সাংসারিক মানসিকতা দিয়ে দোকানটিকে পুনরায় সাজিয়ে তুলেছিলেন।

আরও পড়ুন, ওর চোখে এখন রাগের বদলে কৌতূহল। – কার কথা বলা হয়েছে? তাঁর রাগ এবং কৌতূহলের কারণ লেখো।

উপসংহারে বলা যায়, “প্রজাপতি” টেলারিংয়ের দোকানটি লীলাবতীর পরিশ্রম, বিচক্ষণতা এবং সাংসারিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন। ক্ষিতীশ সিংহের অবহেলা সত্ত্বেও, লীলাবতী দোকানটিকে পুনরুজ্জীবিত করে তোলেন এবং এটিকে একটি সফল ব্যবসায় পরিণত করেন।

এই অংশটি লীলাবতীর সাহস, দৃঢ়তা এবং কর্মঠতার প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। একজন নারী হিসেবে, তিনি তার পরিবারের ভার বহন করেন এবং সমাজে নিজের পরিচয় তৈরি করেন। “প্রজাপতি” কেবল একটি টেলারিংয়ের দোকান নয়, এটি লীলাবতীর স্বপ্ন ও আত্মবিশ্বাসের প্রতীক।

এই অংশটি পাঠকদেরকে অনুপ্রাণিত করে যে, পরিশ্রম এবং আত্মবিশ্বাসের মাধ্যমে যেকোনো বাধা অতিক্রম করা সম্ভব। লীলাবতী একজন আদর্শ নারী চরিত্র যিনি অন্যদের অনুপ্রেরণা জোগান।

Share via:

মন্তব্য করুন