মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান – পরিবেশ তার সম্পদ এবং তাদের সংরক্ষণ – পরিবেশ এবং মানব জনসমষ্টি – অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

পরিবেশ এবং মানব জনসমষ্টি একটি মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞানের বিষয়বস্তু। এই বিষয়ে পরিবেশের সম্পদ এবং তাদের সংরক্ষণ নিয়ে আলোচনা করা হয়।

Table of Contents

পরিবেশ হলো আমাদের চারপাশের সব কিছু, যা আমাদের আশরে ঘিরে থাকে। এটি আমাদের পৃথিবীর বায়োস্ফিয়ারের একটি অংশ। পরিবেশে আছে বায়োস্ফিয়ার উপাদান যেমন জল, বাতাস, মাটি, সূর্যের আলো ইত্যাদি। এছাড়াও পরিবেশে অনেক ধরণের জীবনকে বাস করানো হয়, যেমন প্রাণী, গাছ, পাখি, প্রান্তর পোষাকদাতা বাড়ীবৃক্ষ ইত্যাদি।

মানব জনসমষ্টি পরিবেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। মানব জনসমষ্টি পরিবেশের সংকটে বোধ করে এবং পরিবেশ থেকে সম্পদ পাওয়ায় এর সংরক্ষণ করার দায়িত্ব রাখে।

2001-2011 সালের মধ্যে ভারতের জনসংখ্যা কত বেড়েছে?

2001-2011 সালের মধ্যে ভারতের জনসংখ্যা 18.15 কোটি বেড়েছে।

2011 সালের আদমসুমারি অনুযায়ী ভারতের জনসংখ্য কত?

2011 সালের আদমসুমারি অনুযায়ী ভারতের জনসংখ্যা 121.02 কোটি।

বর্তমানে পৃথিবীর জনসংখ্যা কত?

বর্তমানে পৃথিবীর জনসংখ্যা প্রায় 7.3 বিলিয়নের বেশি (2015)|

পৃথিবীর জনসংখ্যা 1 বিলিয়ন ছুঁয়েছিল কবে?

পৃথিবীর জনসংখ্যা 1 বিলিয়ন ছুঁয়েছিল 1800 খ্রিস্টাব্দ নাগাদ।
মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান – পরিবেশ তার সম্পদ এবং তাদের সংরক্ষণ – পরিবেশ এবং মানব জনসমষ্টি

2025 খ্রিস্টাব্দে পৃথিবীর জনসংখ্যা কত হবে?

2025 খ্রিস্টাব্দে পৃথিবীর জনসংখ্যা 8.2 বিলিয়ন হবে।

ভারতে জনসংখ্যার বাৎসরিক বৃদ্ধির হার কত শতাংশ?

ভারতে জনসংখ্যার বাৎসরিক বৃদ্ধির হার 1.26 শতাংশ।

ভারতবর্ষে 2001-2010 সালের মধ্যে কত শতাংশ কৃষিজমি থেকে বাসভূমি হয়েছে?

ভারতবর্ষে 2001-2010 সালের মধ্যে প্রায় 1% কৃষিজমি থেকে বাসভূমি হয়েছে।

বিশ্বের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার সর্বাধিক কোন্ দেশে?

বিশ্বের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার সর্বাধিক লেবাননে (5.9%)।

বিশ্বে সবচেয়ে ঘন জনবসতিপূর্ণ দেশ কোনটি?

বিশ্বে সবচেয়ে ঘন জনবসতিপূর্ণ দেশ বাংলাদেশ।

বিশ্বে সবচেয়ে কম জনবসতিপূর্ণ দেশ কোন্‌টি?

বিশ্বে সবচেয়ে কম জনবসতিপূর্ণ দেশ হল গ্রিনল্যান্ড (45/km2), এরপর অস্ট্রেলিয়ার স্থান।

2050 খ্রিস্টাব্দে পৃথিবীর জনসংখ্যা কত হবে?

রাষ্ট্রপুঞ্জের 2002 খ্রিস্টাব্দের সমীক্ষা অনুযায়ী 2050 সাল। নাগাদ পৃথিবীর জনসংখ্যা হবে 8.9 বিলিয়ন।

নির্দিষ্ট স্থানে, নির্দিষ্ট সময়ে কোনো প্রজাতির সকল সদস্যকে একত্রিতভাবে কী বলে?

নির্দিষ্ট স্থানে, নির্দিষ্ট সময়ে কোনো প্রজাতির সকল সদস্যকে একত্রিতভাবে পপুলেশন বলে।

মানব জনগোষ্ঠীর বিজ্ঞানসম্মত অধ্যায়নকে কী বলে?

মানব জনগোষ্ঠীর বিজ্ঞানসম্মত অধ্যায়ন ও জ্ঞান অর্জনকে ডেমোগ্রাফি বলে।

যে ব্যক্তি মানব জনগোষ্ঠীর প্রবণতা ও পরিবর্তন নিয়ে চর্চা করে তাকে কী বলে?

যে ব্যক্তি মানব জনগোষ্ঠীর প্রবণতা ও পরিবর্তন নিয়ে চর্চা করে তাকে ডেমোগ্রাফার বলে।

পরিমিত শর্তসাপেক্ষে সর্বাধিক জনন ক্ষমতার হারকে কী বলে?

পরিমিত শর্তসাপেক্ষে সর্বাধিক জনন ক্ষমতার হারকে জৈবিক ক্ষমতা বলে।

পপুলেশনের সর্বোচ্চ বৃদ্ধি অর্জনের প্রধান অন্তরায় কী?

পপুলেশনের সর্বোচ্চ বৃদ্ধি অর্জনের প্রধান অন্তরায় হল পরিবেশগত বাধা।

জন্মহার কী?

একক সময়ে কোনো পপুলেশনে যতসংখ্যক নতুন সদস্যের জন্ম হয়, তাকে জন্মহার বলে।

মৃত্যুহার কী?

একক সময়ে কোনো পপুলেশনে যতসংখ্যক সদস্যের মৃত্যু ঘটে, তাকে মৃত্যুহার বলে।

পৃথিবীর দ্বিতীয় সর্বাপেক্ষা জনবহুল দেশ কোনটি?

পৃথিবীর দ্বিতীয় সর্বাপেক্ষা জনবহুল দেশ ভারত।

ফুসফুস ক্যানসার কোন্ কলাকোশে সৃষ্টি হয়?

ফুসফুস ক্যানসার মূলত ক্লোমশাখার আবরণী কলাকোশে সৃষ্টি হয়।

প্রধান দু-প্রকার ফুসফুস ক্যানসারের নাম লেখো।

ফুসফুস ক্যানসার দুটি হল – ক্লোমশাখার ব্রংকোজেনিক কারসিনোমা (95%) ও প্লুরাপর্দার মেসোথেলিওমা।

ক্লোমশাখার অন্তঃস্থ গাত্রের কোন্ কোন্ অংশ আক্রান্ত হলে ব্রংকাইটিস হয়?

ক্লোমশাখার অন্তঃস্থ গাত্রের সেরোমিউকাস গ্রন্থি ও গবলেট কোশ আক্রান্ত হলে ব্রংকাইটিস হয়।

ফুসফুসের প্লুরাপর্দার প্রদাহ ঘটে যে রোগ হয়, তাকে কী বলে?

ফুসফুসের পুরাপর্দার প্রদাহ ঘটে যে রোগ হয়, তাকে প্লুরিসি বলে।

অ্যাজমা বা হাঁপানি কী জাতীয় রোগ?

অ্যাজমা বা হাঁপানি একপ্রকার ফুসফুসের অ্যালার্জি-ঘটিত রোগ।

যে বস্তু অ্যালার্জি ঘটায় তাকে কী বলে?

যে বস্তু অ্যালার্জি ঘটায়, তাকে অ্যালার্জেন বলে।

অ্যাজমা রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির রক্তে কোন্ কণিকার সংখ্যা বৃদ্ধি পায়?

অ্যাজমা রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির রক্তে ইওসিনোফিলের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।

টিউমার কী?

টিউমার বলতে বোঝায় একপ্রকার কোশগুচ্ছকে যা মাতৃকোশের অনিয়ন্ত্রিত পুনঃবিভাজনের ফলে সৃষ্টি হয়।

আবরণী কলার ম্যালিগন্যান্ট টিউমারকে কী বলে?

আবরণী কলার ম্যালিগন্যান্ট টিউমারকে কারসিনোমা বলে।

যোগকলার ম্যালিগন্যান্ট টিউমারকে কী বলে?

যোগকলার ম্যালিগন্যান্ট টিউমারকে সারকোমা বলে।

রক্তের ম্যালিগন্যান্ট টিউমারকে কী বলে?

রক্তের ম্যালিগন্যান্ট টিউমারকে লিউকেমিয়া বলে।

টিউমার কত প্রকারের হয়?

টিউমার প্রধানত দুই প্রকারের হয়। যথা — বিনাইন ও ম্যালিগন্যান্ট।

কোন্ প্রকার টিউমার শরীরের ক্ষতি করে না?

বিনাইন টিউমার শরীরের ক্ষতি করে না।

কোন্ প্রকার টিউমারের ফলে মানুষের মৃত্যু ঘটতে পারে?

ম্যালিগন্যান্ট টিউমারের ফলে ক্যানসারজনিত কারণে মানুষের মৃত্যু ঘটতে পারে।

বিনাইন টিউমারের একটি উদাহরণ দাও।

বিনাইন টিউমারের একটি উদাহরণ হল আঁচিল।

ক্যানসার সৃষ্টির জন্য সক্রিয় জিনকে কী বলে?

ক্যানসার সৃষ্টির জন্য সক্রিয় জিনকে অঙ্কোজিন বলে।

অ্যালার্জির পরিবেশগত কারণগুলি লেখো।

অ্যালার্জির পরিবেশগত কারণগুলি হল – উদ্ভিদের পরাগরেণু, ধুলো, ছত্রাক, প্রাণীর মল ইত্যাদি

অ্যাসবেস্টস এবং ক্রোমিয়াম দেহের কোন্ অংশের ক্যানসারের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত?

অ্যাসবেস্টস এবং ক্রোমিয়াম ফুসফুসের ক্যানসারের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।

মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞানের পরিবেশ, তার সম্পদ এবং তাদের সংরক্ষণ, এবং পরিবেশ এবং মানব জনসমষ্টি নিয়ে আমাদের আলোচনা শেষ করলাম।

আরো পড়ুন, মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান – পরিবেশ তার সম্পদ এবং তাদের সংরক্ষণ – পরিবেশ এবং মানব জনসমষ্টি – সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (বিভাগ ২)

এই বিষয়গুলো জীবন বিজ্ঞানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যেখানে আমরা পরিবেশ ও মানব জনসমষ্টির মধ্যে সম্পর্ক এবং সংগঠনের মাধ্যমে বোধ পাই। পরিবেশের সম্পদ ব্যবহার এবং তাদের সংরক্ষণ আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদগুলোর সংরক্ষণ ও ব্যবহার আমাদের পরিবেশের স্থিতিকে বেঁচে রাখার জন্য প্রয়োজনীয়। এছাড়াও আমাদের মানব জনসমষ্টির উন্নতি ও সমৃদ্ধি পরিবেশ সম্পদের মেধাবী ব্যবহার ও সংরক্ষণের উপর নির্ভর করে।

Share via:

মন্তব্য করুন