মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান – পরিবেশ তার সম্পদ এবং তাদের সংরক্ষণ – পরিবেশ এবং মানব জনসমষ্টি – অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

Rahul

 আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলে মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞানের পঞ্চম অধ্যায় “পরিবেশ, তার সম্পদ এবং তাদের সংরক্ষণ” অধ্যায়ের ‘পরিবেশ এবং মানব জনসমষ্টি‘ বিভাগের অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করবো। এই প্রশ্নগুলো মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য বা আপনি যদি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নেন, তাহলে আপনার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই প্রশ্নগুলি মাধ্যমিক পরীক্ষা বা চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি যে এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হবে।

পরিবেশ এবং মানব জনসমষ্টি – অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
পরিবেশ এবং মানব জনসমষ্টি – অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
Contents Show

সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো

পৃথিবীব্যাপী জনসংখ্যা বৃদ্ধির বার্ষিক হার –

  1. 1.2%
  2. 2.2%
  3. 3.2%
  4. 4.2%

উত্তর – 1. 1.2%

অত্যধিক জনসংখ্যা বৃদ্ধিকে বলা হয় –

  1. জন সম্প্রসারণ
  2. জন উন্নয়ন
  3. জনবিস্ফোরণ
  4. জনসংকোচন

উত্তর – 3. জনবিস্ফোরণ

UNFPA -এর বর্তমান নামটি কী?

  1. ইউনাইটেড নেশনস ফান্ড ফর পপুলেশন
  2. ইউনাইটেড নেশনস পপুলেশন ফান্ড
  3. ইউনাইটেড নেশনস ফিনানসিয়াল প্রপার্টি
  4. ইউনাইটেড নেশনস ফান্ড ফর পারসোনাল অ্যাক্টিভিটিস

উত্তর – 2. ইউনাইটেড নেশনস পপুলেশন ফান্ড

কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চলের বা দেশের মোট জনসংখ্যাকে ওই অঞ্চলের বা দেশের মোট জমির পরিমাণ দিয়ে ভাগ করলে পাওয়া যায় –

  1. জনসংখ্যা আয়তন
  2. জনসংখ্যা বৃদ্ধির পরিমাণ
  3. ধারণ ক্ষমতা
  4. জনসংখ্যা ঘনত্ব

উত্তর – 4. জনসংখ্যা ঘনত্ব

যে প্রভাবকটি জনসংখ্যা বৃদ্ধির বিপরীতে কাজ করে, তা হল –

  1. সম্পৃক্ত বিন্দু
  2. ধারণ ক্ষমতা
  3. পরিবেশগত বাধা
  4. জনসংখ্যার চাপ

উত্তর – 3. পরিবেশগত বাধা

বিজ্ঞানের যে শাখায় জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং ভবিষ্যতে জনসংখ্যার পরিবর্তন সম্পর্কিত আলোচনা করা হয়, তাকে বলে –

  1. ডেমোগ্রাফি
  2. ক্যালিগ্রাফি
  3. বায়োগ্রাফি
  4. সাইকোলজি

উত্তর – 1. ডেমোগ্রাফি

প্রতি বছর 11 জুলাই দিনটিতে আমরা পালন করি –

  1. বিশ্ব পরিবেশ দিবস
  2. বিশ্ব AIDS দিবস
  3. বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস
  4. বিশ্ব জলাভূমি দিবস

উত্তর – 3. বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস

জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে ঘটা বাস্তুতান্ত্রিক ক্ষতি হল –

  1. ভূমিক্ষয়
  2. জৈববৈচিত্র্যের হ্রাস
  3. মরুভূমির বিস্তার
  4. সবকটি

উত্তর – 4. সবকটি

জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে কোন্ সমস্যা দেখা দেয়? –

  1. সামাজিক বিভাজন
  2. খাদ্য সংকট
  3. মানব উন্নয়ন
  4. কোনোটিই নয়

উত্তর – 2. খাদ্য সংকট

জনসংখ্যা ক্রমবৃদ্ধি ঘটলে ঘটে থাকে –

  1. পরিবেশ বিনাশ
  2. জলদূষণ
  3. দারিদ্র্য
  4. সবকটি

উত্তর – 4. সবকটি

নীচের কোনটি প্রকৃতির বৃক্ক নামে পরিচিত? –

  1. সমুদ্র
  2. জলাভূমি
  3. N2 গ্যাস
  4. নালি

উত্তর – 2. জলাভূমি

বায়ুদূষণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রোগগুলি হল –

  1. ডায়ারিয়া, টাইফয়েড, হেপাটাইটিস
  2. হেপাটাইটিস, ব্রংকাইটিস, বধিরতা
  3. ব্রংকাইটিস, হাঁপানি, ফুসফুস ক্যানসার
  4. ফুসফুস ক্যানসার, পোলিও, ম্যালেরিয়া

উত্তর – 3. ব্রংকাইটিস, হাঁপানি, ফুসফুস ক্যানসার

বায়ুতে পরাগরেণু, ছত্রাকের রেণু ও ধূলিকণার পরিমাণ হঠাৎ বেড়ে গেলে নীচের কোন্ সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায় তা স্থির করো।

  1. যক্ষ্মা
  2. অ্যাজমা
  3. ম্যালেরিয়া
  4. ডেঙ্গু

উত্তর – 2. অ্যাজমা

শ্বাসনালী ও ব্রংকাসের সংকোচনে শ্বাসক্রিয়ায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হলে তাকে বলা হয় –

  1. এমফাইসিমা
  2. অ্যাজমা
  3. নিউমোনিয়া
  4. ক্যানসার

উত্তর – 2. অ্যাজমা

বিশ্ব অ্যাজমা দিবস হল –

  1. 5 সেপ্টেম্বর
  2. 6 জুন
  3. 5 মে
  4. 8 ডিসেম্বর

উত্তর – 3. 5 মে

অ্যাজমা রোগের কারণ –

  1. ধূলিকণা
  2. তেজস্ক্রিয় পদার্থ
  3. N2 গ্যাস
  4. SO2

উত্তর – 1. ধূলিকণা

হাঁপানির জন্য দায়ী –

  1. লিউকোট্রিন
  2. প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন
  3. হিস্টামিন
  4. সবকটি

উত্তর – 4. সবকটি

ব্রংকাইটিস হল –

  1. মস্তিষ্কের রোগ
  2. যকৃতের রোগ
  3. ফুসফুসের রোগ
  4. হৃৎপিণ্ডের রোগ

উত্তর – 3. ফুসফুসের রোগ

ফুসফুসের বায়ু চলাচলের পথে প্রদাহ হল –

  1. ব্রংকাইটিস
  2. ক্যানসার
  3. অ্যাসবেসটোসিস
  4. হাইপক্সিয়া

উত্তর – 1. ব্রংকাইটিস

ব্রংকাইটিসের লক্ষণগুলি হল –

  1. কাশি ও কফ
  2. দমবন্ধভাব
  3. অবরুদ্ধ নাক
  4. সবকটি

উত্তর – 4. সবকটি

ফুসফুসের কলাকোশের অনিয়ন্ত্রিত বিভাজনের ফলে ফুসফুসের কাজে বাধা সৃষ্টি হলে, তাকে বলে –

  1. ফুসফুসীয় যক্ষ্মা
  2. ফুসফুস ক্যানসার
  3. এমফাইসিমা
  4. সিস্টিক ফাইব্রোসিস

উত্তর – 2. ফুসফুস ক্যানসার

ফুসফুস ক্যানসারের জন্য দায়ী গ্যাসটি হল –

  1. রেডন
  2. কার্বন ডাইঅক্সাইড
  3. হাইড্রোজেন
  4. নাইট্রোজেন

উত্তর – 1. রেডন

দেহের কলাকোশ অনিয়ন্ত্রিভাবে বিভাজিত হয়ে সারাদেহে ছড়িয়ে পড়াকে বলে –

  1. অ্যাপোপটোসিস
  2. হাইপোস্ট্যাটিস
  3. মেটাস্ট্যাসিস
  4. কোনোটিই নয়

উত্তর – 3. মেটাস্ট্যাসিস

কারসিনোজেন ক্যানসার সৃষ্টি করতে পারে কারণ –

  1. এগুলি শরীরের অনাক্রম্যতন্ত্রকে ধবংস করতে পারে
  2. এগুলি DNA -এর পরিবর্তন ঘটাতে পারে
  3. এগুলি কোশ বিভাজন বন্ধ করে দেয়
  4. এগুলি জীবাণু সংক্রমণ বাড়িয়ে দেয়

উত্তর – 2. এগুলি DNA -এর পরিবর্তন ঘটাতে পারে

ক্যানসার সৃষ্টিকারী জিনকে বলে –

  1. ট্রান্সজিন
  2. অঙ্কোজিন
  3. স্পিট জিন
  4. কোনোটিই নয়

উত্তর – 2. অঙ্কোজিন

নীচের কোন্ বক্তব্যটি ত্রুটিপূর্ণ?

  1. ক্যানসার সৃষ্টির প্রথম ধাপ হল টিউমার সৃষ্টি
  2. ক্যানসার সৃষ্টির অন্তিম ধাপে টিউমার সৃষ্টি হয়
  3. অস্বাভাবিক হারে কোশ বিভাজনই ক্যানসারের কারণ
  4. সকলপ্রকার টিউমার ক্যানসার নয়

উত্তর – 2. ক্যানসার সৃষ্টির অন্তিম ধাপে টিউমার সৃষ্টি হয়

রেডন গ্যাস যে তেজস্ক্রিয় মৌল থেকে উৎপন্ন হয়, সেটি হল –

  1. প্লুটোনিয়াম
  2. ইউরেনিয়াম
  3. সেলেনিয়াম
  4. কোনোটিই নয়

উত্তর – 2. ইউরেনিয়াম

নীচের কোনটি ক্যানসারের কারণ নয়?

  1. রেডন গ্যাস
  2. নাইট্রোজেন গ্যাস
  3. অ্যাসিট্যালডিহাইড
  4. কোনোটিই নয়

উত্তর – 2. নাইট্রোজেন গ্যাস

বায়োপসি করা হয় –

  1. ক্যানসার নিরাময়ের জন্য
  2. ক্যানসার নির্ণয়ের জন্য
  3. ক্যানসার সৃষ্টির জন্য
  4. ক্যানসার প্রতিরোধের জন্য

উত্তর – 2. ক্যানসার নির্ণয়ের জন্য

কেমোথেরাপি যে রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় তা হল –

  1. ক্যানসার
  2. AIDS
  3. ব্রংকাইটিস
  4. অ্যাজমা

উত্তর – 1. ক্যানসার

রেডিয়েশন থেরাপি যে রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় তা হল –

  1. AIDS
  2. ব্রংকাইটিস
  3. অ্যালার্জি
  4. ক্যানসার

উত্তর – 4. ক্যানসার

শূন্যস্থান পূরণ করো

পৃথিবীর মোট জলের ___ হল মিষ্টি জল।

উত্তর – পৃথিবীর মোট জলের 3 শতাংশ হল মিষ্টি জল।

পৃথিবীতে পানযোগ্য জলের পরিমাণ সমগ্র জলের ___।

উত্তর – পৃথিবীতে পানযোগ্য জলের পরিমাণ সমগ্র জলের 1 শতাংশ

___ গ্যাসগুলি বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণ।

উত্তর – গ্রিনহাউস গ্যাসগুলি বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণ।

বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে সমুদ্রের জলতল ___ পায়।

উত্তর – বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে সমুদ্রের জলতল বৃদ্ধি পায়।

বায়ুদূষণজনিত একটি ফুসফুসের রোগ হল ___।

উত্তর – বায়ুদূষণজনিত একটি ফুসফুসের রোগ হল ব্রংকাইটিস

___ একটি দীর্ঘকালীন শ্বাসতন্ত্রীয় রোগ।

উত্তর – অ্যাজমা একটি দীর্ঘকালীন শ্বাসতন্ত্রীয় রোগ।

উদ্ভিদের পরাগরেণু ___ রোগের একটি কারণ।

উত্তর – উদ্ভিদের পরাগরেণু হাঁপানি রোগের একটি কারণ।

___ রোগে ফুসফুসের ব্রংকাস ও ব্রংকিওলগুলির শ্লেষ্মাপর্দায় প্রদাহ ঘটে।

উত্তর – ব্রংকাইটিস রোগে ফুসফুসের ব্রংকাস ও ব্রংকিওলগুলির শ্লেষ্মাপর্দায় প্রদাহ ঘটে।

কয়লাখনিতে কর্মরত শ্রমিকদের ফুসফুসে ___ রোগ দেখা যায়।

উত্তর – কয়লাখনিতে কর্মরত শ্রমিকদের ফুসফুসে অ্যানথ্রাকোসিস রোগ দেখা যায়।

ফুসফুসে তুলোর তন্তু জমে ___ নামক রোগ হয়।

উত্তর – ফুসফুসে তুলোর তন্তু জমে বিসিনোসিস নামক রোগ হয়।

শ্বাস চলাচল পথের প্রদাহ হল ___।

উত্তর – শ্বাস চলাচল পথের প্রদাহ হল ব্রংকাইটিস

ধূমপানে ___ ও ফুসফুস ক্যানসার রোগ হয়ে থাকে।

উত্তর – ধূমপানে ব্রংকাইটিস ও ফুসফুস ক্যানসার রোগ হয়ে থাকে।

ফুসফুস ক্যানসারের মূল কারণ হল ___।

উত্তর – ফুসফুস ক্যানসারের মূল কারণ হল ধূমপান

কলাকোশ অনিয়ন্ত্রিতভাবে বিভাজিত হলে_রোগটি হয়।

উত্তর – কলাকোশ অনিয়ন্ত্রিতভাবে বিভাজিত হলে ক্যানসার রোগটি হয়।

মুখের অভ্যন্তরে ক্যানসার হওয়ার একটি প্রধান কারণ হল ___।

উত্তর – মুখের অভ্যন্তরে ক্যানসার হওয়ার একটি প্রধান কারণ হল তামাক সেবন

___ বিশ্ব ক্যানসার দিবস পালিত হয়।

উত্তর – 4 ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ক্যানসার দিবস পালিত হয়।

ক্যানসার সৃষ্টিকারী রাসায়নিক পদার্থকে ___ বলে।

উত্তর – ক্যানসার সৃষ্টিকারী রাসায়নিক পদার্থকে কারসিনোজেন বলে।

সত্য/মিথ্যা নির্বাচন করো

কয়লা ও তেলের দহনে সৃষ্ট ধোঁয়া অ্যাজমার একটি কারণ।

উত্তর – সত্য [সূত্র – এগুলি অ্যালার্জেন রূপে অ্যাজমা সৃষ্টি করে বা তার প্রকোপ বৃদ্ধি করে।]

হাঁপানি রোগে ব্রংকিওলগুলি সরু হয়ে যায়।

উত্তর – সত্য [সূত্র – এর ফলে শ্বাসগ্যাস পরিবহণে সমস্যা সৃষ্টি হয় ও শ্বাসকষ্ট ঘটে থাকে।]

শ্বাসনালীর প্রদাহ সৃষ্টির কারণে ব্রংকাইটিস নামক রোগটি হয়।

উত্তর – সত্য [সূত্র – বায়ুদূষণ ও ধূমপানজনিত কারণে রোগটি হয়ে থাকে।]

ব্রংকাইটিস সৃষ্টিকারী রাসায়নিক দূষক হল অ্যাসবেসটস -এর সূক্ষ্ম গুঁড়ো।

উত্তর – সত্য [সূত্র – এর ফলে ফুসফুসের ক্লোমশাখায় প্রদাহ ঘটে।]

ক্যানসার রোগ সৃষ্টিতে পরিবেশদূষণের কোনও ভূমিকা নেই।

উত্তর – মিথ্যা [সূত্র – পরিবেশদূষণ ও জিনগত বংশানুসরণ উভয়ই ক্যানসার রোগ সৃষ্টির জন্য দায়ী।]

দেহের কলাকোশ অনিয়ন্ত্রিতভাবে বিভাজিত হলে তা ক্যানসার সৃষ্টি করতে পারে।

উত্তর – সত্য [সূত্র – অনিয়ন্ত্রিতভাবে বিভাজিত কোশ অন্যস্থানে বাহিত হয়ে নতুন টিউমার সৃষ্টি হলে তা ক্যানসারের বৈশিষ্ট্য (মেটাস্ট্যাসিস) বলে সূচিত হয়।]

কারসিনোজেনগুলি মানব জিনকে অঙ্কোজিন -এ পরিবর্তিত করে।

উত্তর – সত্য [সূত্র – মানব জিনকে সক্রিয় বা নিষ্ক্রিয় করে কারসিনোজেন তাকে ক্যানসার সৃষ্টিতে উদ্বুদ্ধ করে।]

বিনাইন টিউমার কোশে মেটাস্ট্যাসিস দেখা যায়।

উত্তর – মিথ্যা [সূত্র – ম্যালিগন্যান্ট টিউমার কোশ ক্যানসার সৃষ্টি করে ও মেটাস্ট্যাসিস ঘটায়।]

ক্যানসার রোগগ্রস্ত কোশগুলি সারা দেহে ছড়িয়ে পড়ার ঘটনাকে মেটাস্ট্যাসিস বলে।

উত্তর – সত্য [সূত্র – ক্যানসারের চূড়ান্ত পর্যায়ে ক্যানসার কোশগুলি দেহের নানা স্থানে ছড়িয়ে পড়ে ও সেই স্থানে নতুন টিউমার সৃষ্টি করে।]

ফুসফুসের প্লুরা পর্দার প্রদাহের কারণে কোন রোগ সৃষ্টি হয়? এবং এমফাইসিমা রোগে ফুসফুসের কোন পরিবর্তনের ফলে এর সম্প্রসারণশীলতা হ্রাস পায়?

ফুসফুসের প্লুরা পর্দার প্রদাহ সৃষ্টির কারণে প্লুরিসি নামক রোগ হয়। আবার এমফাইসিমা নামক রোগে ফুসফুসের কলাকোশ বিনষ্ট হওয়ার ফলে ফুসফুসের সম্প্রসারণশীলতা কমে যায়।

ফুসফুসের বায়ুথলি চুপসে গেলে যে রোগ সৃষ্টি হয়, তাকে কী বলে?

শ্বাসবায়ুর চলাচলের পথ বন্ধ হওয়ার ফলে বা বহিস্থ চাপের প্রভাবে ফুসফুসের বায়ুথলি চুপসে গেলে যে রোগ সৃষ্টি হয় তাকে অ্যালেকটাসিস বলা হয়।

কারসিনোমা, সারকোমা, লিউকেমিয়া ও লিম্ফোমা — এই ম্যালিগন্যান্ট টিউমার বা ক্যানসারগুলো কোন কোন টিস্যু বা অঙ্গ থেকে উৎপত্তি হয়?

1. আবরণী কলার ম্যালিগন্যান্ট টিউমার – কারসিনোমা।
2. যোগকলার ম্যালিগন্যান্ট টিউমার – সারকোমা।
3. রক্তের ক্যানসার – লিউকেমিয়া।
4. প্লিহা ও অন্যান্য লসিকাগ্রন্থির ক্যানসার – লিম্ফোমা।

স্তম্ভ মেলাও

স্তম্ভ মেলাও – 1

বামস্তম্ভডানস্তম্ভ
1. হাঁপানির কারণA. রেডন গ্যাস
2. মুখের ক্যানসারের কারণB. গ্রিনহাউস গ্যাস
3. অ্যাসবেসটোসিসের কারণC. তামাক সেবন
4. ফুসফুস ক্যানসারের কারণD. কয়লার দহনে সৃষ্ট ধোঁয়া
5. পপুলেশন বৃদ্ধিE. জলাভূমি
6. প্রকৃতির বৃক্কF. কৃষিজমির হ্রাস
G. অ্যাসবেসটসের সূক্ষ্ম গুঁড়ো

উত্তর –

বামস্তম্ভডানস্তম্ভ
1. হাঁপানির কারণD. কয়লার দহনে সৃষ্ট ধোঁয়া
2. মুখের ক্যানসারের কারণC. তামাক সেবন
3. অ্যাসবেসটোসিসের কারণG. অ্যাসবেসটসের সূক্ষ্ম গুঁড়ো
4. ফুসফুস ক্যানসারের কারণA. রেডন গ্যাস
5. পপুলেশন বৃদ্ধিF. কৃষিজমির হ্রাস
6. প্রকৃতির বৃক্কE. জলাভূমি

স্তম্ভ মেলাও – 2

বামস্তম্ভডানস্তম্ভ
1. ম্যালিগন্যান্ট টিউমারA. ক্যানসার
2. ক্যানসারের ছড়িয়ে যাওয়াB. 4 ফেব্রুয়ারি
3. জনসংখ্যার সমস্যাC. 5 মে
4. অ্যালার্জেনD. মিষ্টি জলের অভাব
5. বিশ্ব অ্যাজমা দিবসE. হাঁপানি
6. বিশ্ব ক্যানসার দিবসF. মেটাস্ট্যাসিস
G. 5 জুন

উত্তর –

বামস্তম্ভডানস্তম্ভ
1. ম্যালিগন্যান্ট টিউমারA. ক্যানসার
2. ক্যানসারের ছড়িয়ে যাওয়াF. মেটাস্ট্যাসিস
3. জনসংখ্যার সমস্যাD. মিষ্টি জলের অভাব
4. অ্যালার্জেনE. হাঁপানি
5. বিশ্ব অ্যাজমা দিবসG. 5 জুন
6. বিশ্ব ক্যানসার দিবসB. 4 ফেব্রুয়ারি

বিসদৃশ শব্দটি বেছে লেখো

প্রশ্নউত্তর ও উত্তর-সূত্র
বায়ুমণ্ডল পরিবর্তন, জলাভূমি বিনাশ, কৃষিজমির হ্রাস, বৃক্ষরোপণ।বৃক্ষরোপণ। [সূত্র – বাকিগুলি ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার কারণে ঘটা ক্ষতিকর পরবির্তনসমূহ।]
খাদ্যসংকট, কৃষিজমির হ্রাস, মানব উন্নয়ন, প্রাকৃতিক সম্পদের অতিব্যবহার।মানব উন্নয়ন। [সূত্র – বাকিগুলি জনসংখ্যার অতিবৃদ্ধির ফল।]
রাসায়নিক দূষক, ব্রংকাইটিস, ধোঁয়া, ডায়াবেটিস।ডায়াবেটিস। [সূত্র – বাকিগুলি শ্বাসরোগ ও তার কারণ।]
ক্যানসার, অঙ্কোজিন, কারসিনোজেন, কলেরা।কলেরা। [সূত্র – কলেরা ছাড়া বাকিগুলি সম্পর্কযুক্ত। অঙ্কোজিন ও কারসিনোজেন ক্যানসার সৃষ্টির কারণ।]
অ্যাজমা, ব্রংকাইটিস, ক্যানসার, ডায়ারিয়া।ডায়ারিয়া। [সূত্র – বাকিগুলি পরিবেশগত কারণে সৃষ্ট নানা রোগ।]

নীচে সম্পর্কযুক্ত শব্দজোড় দেওয়া আছে। প্রথম জোড়টির সম্পর্ক দেখে দ্বিতীয়টির শূন্যস্থানে উপযুক্ত শব্দ বসাও।

অরণ্যবিনাশ : মরুকরণ : : গ্রিনহাউস গ্যাস : ___।

উত্তর – বিশ্ব উষ্ণায়ন।

কৃষিতে জলের অধিক ব্যবহার : মিষ্টি জলের অভাব : : কৃষি জমির ‘রান অফ’ : ___।

উত্তর – জল ও মাটি দূষণ।

ধূমপান : ফুসফুস ক্যানসার : : খৈনি : ___।

উত্তর – মুখের ক্যানসার।

অ্যালার্জেন : অ্যালার্জি : : কারসিনোজেন : ___।

উত্তর – ক্যানসার।

বিশ্ব অ্যাজমা দিবস : 5 মে : : বিশ্ব ক্যানসার দিবস : ___।

উত্তর – 4 ফেব্রুয়ারি।

নীচের চারটি বিষয়ের মধ্যে তিনটি একটি বিষয়ের অন্তর্গত। সে বিষয়টি খুঁজে বার করে নাম লেখো।

প্রশ্নউত্তর ও উত্তর-সূত্র
স্থানীয় আবহাওয়া নিয়ন্ত্রণ, জলাভূমির প্রয়োজনীয়তা, জলজ বাস্তুতন্ত্রের রক্ষা, জলদূষক অপসারণ।জলাভূমির প্রয়োজনীয়তা। [সূত্র – জলাভূমির নানা গুরুত্ব উল্লেখিত হয়েছে।]
হাঁপানি, ফুসফুসের রোগ, ব্রংকাইটিস, ফুসফুসের ক্যানসার।ফুসফুসের রোগ। [সূত্র – নানাপ্রকার ফুসফুসের রোগের কথা বলা হয়েছে।]
PAN, কলকারখানার ধোঁয়া, পরাগরেণু, অ্যাজমার কারণ।অ্যাজমার কারণ। [সূত্র – অ্যাজমা রোগটির জন্য দায়ী নানা কারণ উল্লেখ করা হয়েছে।]

দু-একটি শব্দে বা বাক্যে উত্তর দাও

2018 -এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী ভারতে জনসংখ্যার বাৎসরিক বৃদ্ধির হার কত শতাংশ?

2018 -এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী ভারতে জনসংখ্যার বাৎসরিক বৃদ্ধির হার 1.2 শতাংশ।

ভারতবর্ষে 2001-2010 সালের মধ্যে কত শতাংশ কৃষিজমি থেকে বাসভূমি হয়েছে?

ভারতবর্ষে 2001-2010 সালের মধ্যে 1 শতাংশ কৃষিজমি থেকে বাসভূমি হয়েছে।

বিশ্বে সবচেয়ে ঘন জনবসতিপূর্ণ দেশ কোনটি?

বিশ্বে সবচেয়ে ঘন জনবসতিপূর্ণ দেশ হল মোনাকো।

মানব জনগোষ্ঠীর বিজ্ঞানসম্মত অধ্যয়নকে কী বলে?

মানব জনগোষ্ঠীর বিজ্ঞানসম্মত অধ্যয়নকে ডেমোগ্রাফি বলে।

জৈবিক ক্ষমতা কাকে বলে?

পরিমিত শর্তসাপেক্ষে সর্বাধিক জনন ক্ষমতার হারকে জৈবিক ক্ষমতা বলে।

পপুলেশনের সর্বোচ্চ বৃদ্ধি অর্জনের প্রধান অন্তরায় কী?

পপুলেশনের সর্বোচ্চ বৃদ্ধি অর্জনের প্রধান অন্তরায় পরিবেশগত বাধা।

কৃষিজমির পরিমাণ কোন্ কারণে হ্রাস পাচ্ছে?

অতিরিক্ত জনসংখ্যার কারণে কৃষিজমি বাসভূমি হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ায় কৃষিজমির পরিমাণ হ্রাস পাচ্ছে।

অ্যাজমা বা হাঁপানি কী জাতীয় রোগ?

অ্যাজমা বা হাঁপানি একপ্রকার ফুসফুসের অ্যালার্জি ঘটিত রোগ।

অ্যাজমা রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির রক্তে কোনপ্রকার রক্তকণিকার সংখ্যা বৃদ্ধি পায়?

অ্যাজমা রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির রক্তে ইওসিনোফিল নামক শ্বেত রক্তকণিকার সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।

ফুসফুসের ক্লোমশাখা বা ব্রংকাসের প্রদাহ হয় কোন্ রোগে?

ফুসফুসের ক্লোমশাখা বা ব্রংকাসের প্রদাহ হয় ব্রংকাইটিস রোগে।

ব্রংকাইটিসে কাদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি?

ঝালাইকর্মী, দমকলকর্মী ও ধূমপায়ীদের ব্রংকাইটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

ডাক্তার তোমাকে বুকের এক্স-রে ও লাং ফাংশন টেস্ট করতে বললেন। তোমার কোন্ রোগের সম্ভাবনা আছে যা বায়ুদূষণের ফলে হয়ে থাকতে পারে?

ব্রংকাইটিস ও হাঁপানি রোগের সম্ভাবনা আছে যা বায়ুদূষণের ফলে হয়ে থাকতে পারে।

সার্জিকাল মাস্ক পরলে কোন্ রোগ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব?

সার্জিকাল মাস্ক পরলে বায়ুবাহিত বিভিন্ন রোগ এবং ব্রংকাইটিস জাতীয় রোগ (Chronic Obstructive Disease) থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।

ফুসফুস ক্যানসার কোন্ কলাকোশে সৃষ্টি হয়?

ফুসফুস ক্যানসার মূলত ক্লোমশাখার আবরণী কলাকোশে সৃষ্টি হয়।

প্রধান দু-প্রকার ফুসফুস ক্যানসারের নাম লেখো।

প্রধান দু-প্রকার ফুসফুস ক্যানসার হল – ক্লোমশাখার ক্যানসার অর্থাৎ ব্রংকোজেনিক কারসিনোমা (95%) ও প্লুরাপর্দার ক্যানসার অর্থাৎ মেসোথেলিওমা।

অ্যাসবেসটোসিস কাদের মধ্যে দেখা যায়?

অ্যাসবেসটস শিল্পের শ্রমিকদের মধ্যে অ্যাসবেসটোসিস রোগ দেখা দেয়।

অ্যাসবেসটস ও ক্রোমিয়াম দেহের কোন্ অংশের ক্যানসারের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত?

অ্যাসবেসটস ও ক্রোমিয়াম ফুসফুস ক্যানসারের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।

ক্যানসার কী?

যে রোগে দেহের কলাকোশে অনিয়ন্ত্রিতভাবে বিভাজিত হয় এবং তা সারাদেহে ছড়িয়ে পড়ে (মেটাস্ট্যাসিস) অন্যান্য কলার ক্ষতিসাধন করে, তাকে ক্যানসার বলে।

একটি ভৌত কারসিনোজেন ও একটি রাসায়নিক কারসিনোজেনের নাম লেখো।

একটি ভৌত কারসিনোজেন হল অতিবেগুনি রশ্মি এবং একটি রাসায়নিক কারসিনোজেন হল ফরম্যালিন।

মেটাস্ট্যাসিস কী?

ক্যানসারের চূড়ান্ত পর্যায়ে (advance stage) ক্যানসার কোশগুলি দেহের নানা স্থানে ছড়িয়ে পড়ার বৈশিষ্ট্য অর্জন করে, এই পর্যায়কে মেটাস্ট্যাসিস বলে।

একটি প্রাকৃতিক কারসিনোজেনের নাম লেখো।

একটি প্রাকৃতিক কারসিনোজেনের নাম অতিবেগুনি রশ্মি বা UV রশ্মি।

কীটনাশক ও আগাছানাশকের একটি ক্ষতিকর প্রভাব লেখো।

কীটনাশক ও আগাছানাশক কারসিনোজেন রূপে কাজ করে ও ক্যানসার রোগ সৃষ্টি করে।

ক্যানসার সৃষ্টির জন্য সক্রিয় জিনকে কী বলে?

ক্যানসার সৃষ্টির জন্য সক্রিয় জিনকে অঙ্কোজিন বলে।

ক্যানসার সৃষ্টিতে সক্ষম পদার্থকে কী বলা হয়?

ক্যানসার সৃষ্টিতে সক্ষম পদার্থকে কারসিনোজেন বলা হয়।


আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলে মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞানের পঞ্চম অধ্যায় “পরিবেশ, তার সম্পদ এবং তাদের সংরক্ষণ” অধ্যায়ের ‘পরিবেশ এবং মানব জনসমষ্টি‘ বিভাগের অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নগুলো মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য বা আপনি যদি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নেন তাহলে আপনার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই প্রশ্নগুলি মাধ্যমিক পরীক্ষা বা চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি যে এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা হলে আপনারা আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো। তাছাড়া, আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জন যার এটি প্রয়োজন হবে তার সাথে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।

Please Share This Article

Related Posts

ভারতের পূর্ব ও পশ্চিম উপকূলের সমভূমির তুলনা-

ভারতের পূর্ব ও পশ্চিম উপকূলের সমভূমির তুলনা করো।

ভারতের পশ্চিম উপকূলীয় সমভূমি ও পূর্ব উপকূলীয় সমভূমি-

ভারতের পশ্চিম উপকূলীয় সমভূমি ও পূর্ব উপকূলীয় সমভূমি সম্বন্ধে আলোচনা করো।

ভারতের উপকূলীয় সমভূমি অঞ্চল-

ভারতের উপকূলীয় সমভূমি অঞ্চলের বিস্তারিত বিবরণ দাও।

About The Author

Rahul

Tags

মন্তব্য করুন

SolutionWbbse

"SolutionWbbse" শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনলাইন অধ্যয়ন প্ল্যাটফর্ম। এখানে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য গাইডলাইন, এবং বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সাহায্য প্রদান করা হয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল বিষয়ের শিক্ষণীয় উপকরণ সহজেই সকল শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়া।

Editor Picks

ভারতের পূর্ব ও পশ্চিম উপকূলের সমভূমির তুলনা করো।

ভারতের পশ্চিম উপকূলীয় সমভূমি ও পূর্ব উপকূলীয় সমভূমি সম্বন্ধে আলোচনা করো।

ভারতের উপকূলীয় সমভূমি অঞ্চলের বিস্তারিত বিবরণ দাও।

ভারতের প্রাকৃতিক অঞ্চল রূপে মরু অঞ্চলের পরিচয় দাও।

দাক্ষিণাত্য মালভূমি অঞ্চলের ভূপ্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো।