এখনই আমাদের Telegram Community গ্রুপে যোগ দিন।। এখানে WBBSE বোর্ডের পঞ্চম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণির যেকোনো বিষয়ভিত্তিক সমস্যা শেয়ার করতে পারেন এবং একে অপরের সাহায্য করতে পারবেন। এছাড়া, কোনও সমস্যা হলে আমাদের শিক্ষকরা তা সমাধান করে দেবেন।

Telegram Logo Join Our Telegram Community

অষ্টম শ্রেণি – বাংলা – হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় – ব্যাখ্যাভিত্তিক সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

এই আর্টিকেলে আমরা অষ্টম শ্রেণীর বাংলা বিষয়ের ত্রিংশ অধ্যায়হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়’ থেকে ব্যাখ্যাভিত্তিক সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে আলোচনা করবো। এই প্রশ্নগুলো অষ্টম শ্রেণীর বাংলা পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এ ধরনের প্রশ্ন পরীক্ষায় প্রায়ই আসে।

অষ্টম শ্রেণি – বাংলা – হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় – ব্যাখ্যাভিত্তিক সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
অষ্টম শ্রেণি – বাংলা – হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় – ব্যাখ্যাভিত্তিক সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

রবীন্দ্রনাথের অধ্যাপক নির্বাচনকে কেন শেকসপিয়রের প্লট নির্বাচনের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে?

শেকসপিয়র যেমন যা কিছু প্লট অর্থাৎ কাহিনির সন্ধান পেতেন তা দিয়েই মহৎ সাহিত্য সৃষ্টি করতেন আপন ক্ষমতাগুণে তেমনি রবীন্দ্রনাথও অতি সাধারণ অথচ সম্ভাবনাময় ব্যক্তিদের দিয়ে অসাধ্যসাধন করিয়ে নিতেন। মানুষের মধ্যে নিহিত প্রচ্ছন্ন সম্ভাবনাকে তিনি উৎসাহ ও প্রেরণা দিয়ে পত্রেপুষ্পে সমৃদ্ধিশালী করিয়ে নিতে পারতেন।

হরিচরণকে অভিধান প্রণয়নে পুনঃপ্রবৃত্ত করতে রবীন্দ্রনাথ কোন্ উদ্যোগ নেন?

আর্থিক অনটনের কারণে শান্তিনিকেতন ছেড়ে হরিচরণ কলকাতায় চলে গেলে রচনাকাজে ব্যাঘাত ঘটে। এ ঘটনায় দুঃখিত রবীন্দ্রনাথ বিদ্যোৎসাহী রাজা মণীন্দ্রচন্দ্র নন্দীকে অনুরোধ করে। হরিচরণকে মাসিক পঞ্চাশ টাকা বৃত্তির ব্যবস্থা করে দেন। এভাবে আর্থিক নিশ্চয়তার বাতাবরণ তৈরি হলে অভিধান রচনায় জোয়ার আসে। হয়তো আপাতভাবে সে প্লট বা কাহিনিসূত্র ক্ষীণ ও দুর্বল মনে হত।

হরিচরণ কোন্ কোন্ লৌকিক পুরস্কার লাভ করেন?

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে ‘সরোজিনী স্বর্ণপদক’ দিয়ে সম্মানিত করেছে। শান্তিনিকেতনের আশ্রমিক সংঘ প্রাচীন ভারতীয় রীতিতে যোড়শোপচারে তাঁকে সংবর্ধনা দেয়। বিশ্বভারতী হরিচরণকে ‘দেশিকোত্তম’ (ডিলিট) উপাধিদানে সম্মানিত করে। এ ছাড়াও ‘শিশির কুমার স্মৃতি পুরস্কারে’ তিনি ভূষিত হয়েছেন।

একক প্রচেষ্টায় এরূপ বিরাট কাজের দৃষ্টান্ত বিরল। – কোন্ কাজের কথা বলা হয়েছে? একে ‘বিরাট কাজ’ বলার কারণ কী?

হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত সুবৃহৎ বাংলা অভিধান ‘বঙ্গীয় শব্দকোষ’ -এর কথা এখানে বলা হয়েছে।

অভিধান রচনা অত্যন্ত পরিশ্রমসাধ্য এবং সময়সাধ্য কাজ। বিশেষত হরিচরণের আলোচ্য অভিধানটি সেকালে ১০৫ খণ্ডে মুদ্রিত হয়ে প্রকাশ পেয়েছিল। পরবর্তীকালে ‘সাহিত্য আকাদেমি’ থেকে দুটি খণ্ডে গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়। শুধুমাত্র পরিমাণগত বাহুল্যে নয়, গুণগত উৎকর্ষের দিক থেকেও এ গ্রন্থ মহান। নানা বিদ্যার একত্র সমাবেশে এই অভিধান রচনা তাই ‘বিরাট কাজ’ বলে চিহ্নিত হয়েছে।

হরিচরণবাবুকে দেখে তাঁর সম্পর্কিত শ্লোকটি আমার মনে পড়ে যেত – শ্লোকটি কার লেখা? শ্লোকটি উদ্ধৃত করো।

শ্লোকটি রচনা করেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর।

শ্লোকটি হল –

‘কোথা গো ডুব মেরে রয়েছ তলে
হরিচরণ! কোন্ গরতে?
বুঝেছি! শব্দ-অবধি-জলে
মুঠাচ্ছ খুব অরথে!


আজকের এই আর্টিকেলে অষ্টম শ্রেণীর বাংলা বিষয়ের ত্রিংশ অধ্যায়হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়‘ – এর ব্যাখ্যাভিত্তিক সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নগুলো অষ্টম শ্রেণীর বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ পরীক্ষায় এগুলো প্রায়ই আসে। আশা করি, এই নিবন্ধটি আপনার পড়াশোনায় সহায়ক হবে। যদি আপনার কোনো প্রশ্ন থাকে বা আরও সহায়তার প্রয়োজন হয়, তবে টেলিগ্রামে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আর হ্যাঁ, আপনার বন্ধুদের সঙ্গেও এই পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না, যাতে তারাও উপকৃত হতে পারে। ধন্যবাদ!

Share via:

মন্তব্য করুন