অষ্টম শ্রেণি – বাংলা – জেলখানার চিঠি – অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

Sourav Das

অষ্টম শ্রেণির বাংলা বিষয়ের জেলখানার চিঠি অধ্যায়ের অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর গুলি পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এইভাবে জেলখানার চিঠি অধ্যায়ের অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর গুলি যদি তোমরা প্রস্তুত করে না যাও তাহলে পরীক্ষায় জেলখানার চিঠি অধ্যায়ের অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর গুলোর উত্তর দিতে পারবে না। তাই জেলখানার চিঠি অধ্যায়ের অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর গুলি ভালো করে মুখস্ত করে গেলে তোমরা পরীক্ষায় খুব ভালো ফলাফল পাবে।

Table of Contents

ব্যক্তি হিসেবে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে নতুন করে চেনানোর কোন প্রয়োজন নেই। তিনি আজ সূর্যের মতো উজ্জ্বল প্রবাদপ্রতিম ব্যক্তিত্ব যাঁকে কখনো ভোলা যাবে না। তবে তাঁর রচনাবলীতে তাঁর নিজস্ব উপস্থাপনা আমাদের কাছে তাঁর মন ও মনন, কর্ম ও স্বপ্নকে অন্যভাবে চিনিয়ে দেয়।

এই চিঠিটিতে নেতাজি নিজেকে একান্ত ব্যক্তিগতভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। তিনি তাঁর অভিন্নহৃদয় বন্ধু দিলীপ রায়কে লিখেছিলেন। বন্ধুর চিঠি পেয়ে তাঁর মন আনন্দে উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে। তিনি অকপটে জানান যে, বন্ধুর চিঠি তাঁর হৃদয়কে স্পর্শ করে চিন্তা ও অনুভূতিকে অনুপ্রাণিত করেছে। বন্ধুর পাঠানো বই পেয়ে তিনি অত্যন্ত খুশি এবং সেগুলি আর ফেরত না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। বন্ধুর পছন্দ যে অত্যন্ত সুন্দর, তা জানিয়ে তিনি আরও বই প্রত্যাশা করেন।

জেলবন্দি মানুষ সাধারণত নিজেকে নিয়ে বিব্রত হয়ে পড়ে। কিন্তু নেতাজি একজন রাজবন্দি। তিনি নিজেকে নিয়ে অকারণ বিব্রত হননি। সাধারণ জেলবন্দিদের নিয়ে তাঁর চিন্তাভাবনায় বোঝা যায়, তাঁর হৃদয়বোধ কত মহৎ। কারাশাসন প্রণালীর প্রতি তিনি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং বলেন, “এতদিন জেলে বাস করার পর কারা-শাসনের একটা আমূল সংস্কারের একান্ত প্রয়োজনের দিকে আমার চোখ খুলে গেছে এবং ভবিষ্যতে কারা-সংস্কার আমার একটা কর্তব্য হবে।”

আবার অন্যত্র তিনি বলেন, “আমার মনে হয় না, আমি যদি স্বয়ং কারাবাস না করতাম তাহলে একজন কারাবাসী বা অপরাধীকে ঠিক সহানুভূতির চোখে দেখতে পারতাম।”

এককথায়, তিনি জেলে বসে কেবল নিজের পছন্দ বা মুক্তির কথা না ভেবে, দেশের সাধারণ মানুষ হিসেবে জেলবন্দি মানুষদের মানসমুক্তির কথাও ভেবেছেন নির্দিষ্ট ভঙ্গিতে। এখানেই তাঁর সার্থকতা।

জেলখানার চিঠি – বাংলা  – অষ্টম শ্রেণি – অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

জেলখানার চিঠি – অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

সুভাষচন্দ্র বসু প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে বিতাড়িত হয়েছিলেন কেন?

সুভাষচন্দ্র বসু ভারতবিদ্বেষী ইংরেজ অধ্যাপক ওটেনকে প্রহারের অভিযোগে প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে বিতাড়িত হন।

রাসবিহারী বসুর কাছ থেকে তিনি কোন্ দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন?

রাসবিহারী বসুর কাছ থেকে সুভাষচন্দ্র বসু আজাদ হিন্দ ফৌজ-এর দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন।

তোমার পাঠ্য পত্রখানি কে, কোথা থেকে, কাকে লিখেছিলেন?

আমার পাঠ্য পত্রখানি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, মান্দালয় জেল থেকে, তাঁর প্রিয় বন্ধু দিলীপ রায়কে লিখেছিলেন।

কোন্ ব্যাপারটিকে পত্রলেখক আধ্যাত্মিক দৃষ্টিতে দেখার কথা বলেছেন?

পরজাতি শাসিত, পরাধীন দেশের শৃঙ্খলমোচনের ভার নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন বলে অকারণে ও সম্পূর্ণ অজ্ঞাতকারণে জেলে বন্দি থাকার সমস্ত ব্যাপারটিকে পত্রলেখক আধ্যাত্মিক দৃষ্টিতে দেখার কথা বলেছেন।

বন্দিদশায় মানুষের মনে শক্তি সঞ্চারিত হয় কীভাবে?

বন্দিদশায় সাধারণত একটা দার্শনিক ভাব মানুষের অন্তরে শক্তি সঞ্চার করে।

মান্দালয় জেল কোথায় অবস্থিত?

তৎকালীন বৃহত্তম ইংরেজ উপনিবেশ ভারতের সঙ্গে সংযুক্তির কারণে বন্দিদের বার্মা মুলুকে নির্বাসনের বন্দিত্বে পাঠানো হত। বার্মা তথা আজকের মায়ানমারে অবস্থিত ছিল মান্দালয় জেল।

ভারতীয় জেল বিষয়ে একটি পুস্তক সুভাষচন্দ্রের লেখা হয়ে ওঠেনি কেন?

ভারতীয় জেল বিষয়ে একটি পুস্তক সুভাষচন্দ্রের লেখা হয়ে ওঠেনি, তার কারণ – যথেষ্ট উদ্যম ও শক্তির অভাব। তা ছাড়া সেই চেষ্টার উপযুক্ত সামর্থ্য না থাকা।

সুভাষচন্দ্র কেন দিলীপ রায়ের প্রেরিত বইগুলি ফেরত পাঠাতে পারেননি?

সুভাষচন্দ্র বসু তাঁর প্রিয় বন্ধু দিলীপ রায়ের জেলে প্রেরিত বইগুলি তাঁকে ফেরত পাঠাতে পারেননি, তার কারণ – তিনি ছাড়াও সেগুলির আরও অনেক পাঠক জুটেছিল।

বন্ধু দিলীপ রায়ের চিঠিটি নেতাজি পেয়েছিলেন – (২৫/৩/২৫ / ২৪/৩/২৫ / ২৬/৩/২৫) তারিখে।

২৪/৩/২৫ তারিখে।

বন্ধু দিলীপ রায়কে নেতাজির পাঠানো জবাবি চিঠিটি প্রেরণের তারিখ – (৩/৫/২৫ / ৪/৫/২৫ / ২/৫/২৫)।

২/৫/২৫।

সুভাষচন্দ্রের পত্রে কোন কবির নাম উল্লিখিত হয়েছে? (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর/সুকান্ত ভট্টাচার্য/কাজী নজরুল ইসলাম)।

কাজী নজরুল ইসলাম।

তৎকালের কোন্ বিখ্যাত দেশনেতার নাম সুভাষচন্দ্রের পত্রে রয়েছে? (লালা লাজপত রায়/চিত্তরঞ্জন দাশ/বাল গঙ্গাধর তিলক)।

বাল গঙ্গাধর তিলক।

মান্দালয় জেল কোথায় অবস্থিত? (মালয়েশিয়ায়/আন্দামানে/বার্মায়)।

বার্মায়।

Martyrdom শব্দটির অর্থ হল-(শহিদত্ব/রাজনীতিক/রাজবন্দি)।

শহিদত্ব।

লোকমান্য তিলক মান্দালয় জেলে কত বছর বন্দি ছিলেন? (পাঁচ বছর/সাত বছর/ছয় বছর)।

ছয় বছর।

তোমার পাঠ্য সুভাষচন্দ্র বসুর পত্রটি কোন্ মূল ভাষা থেকে অনুদিত? (হিন্দি/ইংরেজি/উর্দু)।

ইংরেজি।

এবারও বুঝি তেমনি চিঠিখানাকে _ -এর ভিতর দিয়ে আসতে হবে।

double distillation.

ভবিষ্যতে _ আমার একটা কর্তব্য হবে।

কারা-সংস্কার।

সাধারণত একটা _ বন্দিদশায় মানুষের অন্তরে শক্তির সঞ্চার করে।

দার্শনিক ভাব।

তাই নিজেকে _ বলে মনে করবার মত স্পর্ধা আমার নেই।

Martyr.

_ ইউরোপীয় বন্দীদের জন্যে সংগীতের সাপ্তাহিক বন্দোবস্ত আছে।

আলিপুর জেলে।

সভ্য সমাজ অপরাধীদের প্রতি আরও _ কেন দেখাবে না?

সহানুভূতি।

সেই দিক দিয়ে দেখলে মনে হয়, এগুলোর _ ব্যর্থ।

উদ্দেশ্য।

তুমি কিছুদিন পূর্বে _ পাঠিয়েছিলে তার সবগুলিই পেয়েছি।

যে সব বই।

অপরাধীদের প্রবৃত্তিগুলি কী বলেই ধরতে হবে?

অপরাধীদের প্রবৃত্তিগুলি মানসিক ব্যাধি বলেই ধরতে হবে।

আমি বরং আরও বলি যে – কী বলা হয়েছে?

প্রশ্নে প্রদত্ত মন্তব্যটিতে যে কথা বলা হয়েছে তা হল – কোনো ভদ্র বা সুশিক্ষিত ব্যক্তি কারাবাস পছন্দ করতেই পারে না।

কাজী নজরুলের কবিতা কীসের কাজে ঋণী বলে লেখক মনে করেন?

কাজী নজরুলের কবিতা তাঁর জেলের অভিজ্ঞতার কাজে অনেকখানি ঋণী বলে লেখক মনে করেন।

জেলখানার সমস্ত আবহাওয়াটা কীসের উপযোগী?

জেলখানার সমস্ত আবহাওয়াটা মানুষকে যেন বিকৃত অমানুষ করে তোলারই উপযোগী।

কারাসংস্কার বিষয়ে আমাদের কী অনুসরণ করা উচিত?

কারাসংস্কার বিষয়ে আমাদের বরং আমেরিকার ইউনাইটেড স্টেটস-এর মতো উন্নত দেশগুলির ব্যবস্থাই অনুসরণ করা উচিত।

বেশিদিনের মেয়াদের পক্ষে সবচেয়ে বড়ো বিপদ কী?

বেশিদিনের মেয়াদের পক্ষে সবচেয়ে বড়ো বিপদ হল – আপনার অজ্ঞাতসারে মানুষকে অকালবার্ধক্য এসে চেপে ধরে।

দীর্ঘ কারাবাসে মানুষ যে দেহে-মনে অকালবৃদ্ধ হয়ে যায়, এর কারণ কী কী?

দীর্ঘ কারাবাসে মানুষ যে দেহে-মনে অকালবৃদ্ধ হয়ে যায়, তার কারণ হল – খারাপ খাদ্য, ব্যায়াম বা স্ফুর্তির অভাব, সমাজবিচ্ছিন্নতা, অধীনতার শৃঙ্খলভার, বন্ধুজন বা সংগীতের অভাব।

বন্ধুর পাঠানো বইগুলি সুভাষচন্দ্র কেন ফেরত পাঠাতে পারবেন না?

বন্ধুর পাঠানো বইগুলি সুভাষচন্দ্র ফেরত পাঠাতে পারবেন না, কারণ সেগুলির অনেক পাঠক জুটেছে।

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু একজন অসাধারণ ব্যক্তিত্ব ছিলেন যিনি রাজনৈতিক বন্দিজীবনের কঠিন পরিস্থিতিতেও তার আত্মবিশ্বাস ও আশাবাদ হারাননি। ব্রিটিশ সরকারের অন্যায় নিপীড়নের শিকার হলেও তিনি হতাশায় ভেঙে পড়েননি বরং আধ্যাত্মিক দিক থেকে এই অভিজ্ঞতাকে গ্রহণ করার চেষ্টা করেছিলেন।

কারাবাসের অন্ধকারেও তিনি ভবিষ্যতের জন্য পরিকল্পনা করেছিলেন এবং কারা সংস্কারকে তার কর্তব্য হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। দুঃখ-কষ্টের মধ্যেও তিনি মহান উদ্দেশ্যের আভাস পেয়েছিলেন এবং তা থেকে অনুপ্রেরণা লাভ করেছিলেন।

নেতাজির এই আশাবাদ ও দৃঢ় বিশ্বাসই তাকে একজন অসাধারণ নেতা ও বিপ্লবী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

উপসংহারে, বলা যায় যে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ছিলেন একজন আদর্শ ব্যক্তিত্ব যিনি যেকোনো পরিস্থিতিতেও তার আত্মবিশ্বাস ও আশাবাদ ধরে রাখতে সক্ষম ছিলেন। তার জীবন আমাদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস।

JOIN US ON WHATSAPP

JOIN US ON TELEGRAM

Please Share This Article

About The Author

Related Posts

লোকটা জানলই না – অষ্টম শ্রেণি – বাংলা – অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

অষ্টম শ্রেণি – বাংলা – লোকটা জানলই না – অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

লোকটা জানলই না – অষ্টম শ্রেণি – বাংলা – ব্যাখ্যাভিত্তিক সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

অষ্টম শ্রেণি – বাংলা – লোকটা জানলই না –  ব্যাখ্যাভিত্তিক সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

লোকটা জানলই না – অষ্টম শ্রেণি – বাংলা – রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর

অষ্টম শ্রেণি – বাংলা – লোকটা জানলই না – রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর

Tags

মন্তব্য করুন

SolutionWbbse

Trending Now

Class 9 – English – A Day in The Zoo – Question and Answer

Class 9 – English Reference – Tom Loses a Tooth – Question and Answer

Class 9 – English Reference – The North Ship – Question and Answer

Class 9 – English – His First Flight – Question and Answer

Class 9 – English – A Shipwrecked Sailor – Question and Answer