আজকের এই আর্টিকেলে আমরা অষ্টম শ্রেণির বাংলা বইয়ের সপ্তত্রিংশ অধ্যায় “লোকটা জানলই না” থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে আলোচনা করবো। এই প্রশ্নগুলো অষ্টম শ্রেণির বাংলা পরীক্ষার প্রস্তুতি অথবা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের জন্য বিশেষভাবে সহায়ক হবে, কারণ এগুলো পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি, এই আর্টিকেলটি আপনাদের প্রস্তুতির জন্য সহায়ক হবে।
লোকটা জানলই না – অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় রচিত প্রথম কাব্যগ্রন্থের নাম কী?
কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় রচিত প্রথম কাব্যগ্রন্থের নাম হল ‘পদাতিক’।
তাঁর লেখা দুটি গদ্যগ্রন্থের নাম লেখো।
সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের লেখা দুটি গদ্যগ্রন্থের নাম হল – ‘কাঁচা-পাকা’ এবং ‘টানাপোড়েনের মাঝখানে’।
লোকটা জানলই না কবিতাটির রচয়িতা হলেন – (সুভাষ মুখোপাধ্যায়/শঙ্খ ঘোষ/জয় গোস্বামী)।
লোকটা জানলই না কবিতাটির রচয়িতা হলেন সুভাষ মুখোপাধ্যায়।
সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের প্রথম কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হল – (১৯৩৮/১৯৩৯/১৯৪০) খ্রিস্টাব্দে।
সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের প্রথম কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হল ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দে।
কবি সুভাষের প্রথম কাব্যগ্রন্থ – (পদাতিক/হইচই হইচই/জল সইতে)।
কবি সুভাষের প্রথম কাব্যগ্রন্থ পদাতিক।
ফুল ফুটুক কাব্যটি – (রবীন্দ্রনাথ/নজরুল ইসলাম/সুভাষ মুখোপাধ্যায়) – এর লেখা।
ফুল ফুটুক কাব্যটি সুভাষ মুখোপাধ্যায় – এর লেখা।
কাঁচা-পাকা একটি (কাব্যগ্রন্থ/গদ্যগ্রন্থ/ছড়া)।
কাঁচা-পাকা একটি গদ্যগ্রন্থ।
বাঁ দিকের _______ সামলাতে সামলাতে।
বাঁ দিকের বুক-পকেটটা সামলাতে সামলাতে।
লোকটার ইহকাল _______ গেল।
লোকটার ইহকাল পরকাল গেল।
আলাদিনের আশ্চর্য-প্রদীপ/তার _______।
আলাদিনের আশ্চর্য-প্রদীপ/তার হৃদয়।
দেয়াল দিল _______।
দেয়াল দিল পাহারা।
একদিন _______ গিলতে গিলতে।
একদিন গোগ্রাসে গিলতে গিলতে।
টানাপোড়েনের মাঝখানে কোন্ শ্রেণির রচনা?
টানাপোড়েনের মাঝখানে গদ্যগ্রন্থ।
কবি সুভাষের লেখা অগ্নিকোণ কোন্ শ্রেণির সাহিত্য?
কবি সুভাষের লেখা ‘অগ্নিকোণ’ একটি কাব্যগ্রন্থ।
কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় কী নামে অধিক জনপ্রিয়?
কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় ‘পদাতিক কবি’ নামে অধিক জনপ্রিয়।
কবিতার মধ্যে একটি মাত্র শব্দ দিয়ে ক-টি পঙক্তি রচিত হয়েছে?
কবিতার মধ্যে একটি মাত্র শব্দ দিয়ে তিনটি পঙ্ক্তি রচিত হয়েছে।
একদিন গোগ্রাসে গিলতে গিলতে – গোগ্রাসে কথার অর্থ কী?
গোগ্রাসে কথার অর্থ হল বড়ো বড়ো গ্রাস।
আর একটু নীচে – আর একটু নীচে হলে কী হত?
লোকটা জানলই না কবিতায় বর্ণিত লোকটা বাঁ-দিকের পকেটের আর – একটু নীচে হাত দিলে অনুভব করতে পারত যে, সেখানে অস্থিমজ্জার ভিতরে ‘হৃদয়’ অবস্থান করছে, যে হৃদয় আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপের মতোই ক্ষমতাসম্পন্ন।
লোকটার ইহকাল পরকাল গেল। – উক্তিটি কোথা থেকে নেওয়া হয়েছে? পরকাল কোন্ সময়কে বলা হয়?
প্রশ্নোক্ত উক্তিটি কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ‘লোকটা জানলই না’ নামক কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে।
পরকাল বলতে মৃত্যুর পরবর্তী অবস্থার কথা বলা হয়।
যেন ঢুকতে না পারে। – কীসের ঢোকার কথা বলা হয়েছে? তাকে কী অভিধা দেওয়া হয়েছে?
এখানে ‘হাওয়া’-র ঢোকার কথা বলা হয়েছে।
হাওয়া’কে ‘ছোটোলোক’ অভিধা দেওয়া হয়েছে।
কখন/খসে পড়ল – কী খসে পড়ল? কার খসে পড়ল?
জীবন খসে পড়েছিল।
সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ‘লোকটা জানলই না’ কবিতায় বর্ণিত ‘লোকটার’ জীবন খসে পড়েছিল।
কবিতায় লোকটির দু-আঙুলের ফাঁক দিয়ে কী খসে পড়ল?
সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ‘লোকটা জানলই না’ কবিতায় বর্ণিত লোকটার জীবন খসে পড়েছিল ‘দুই আঙুলের ফাঁক দিয়ে’। অর্থাৎ নিজেরই অগোচরে কখন যে সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল তা ‘লোকটা’ অনুভবই করতে পারল না।
আজকের এই আর্টিকেলে আমরা অষ্টম শ্রেণির বাংলা বইয়ের সপ্তত্রিংশ অধ্যায় “লোকটা জানলই না” থেকে অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নোত্তরগুলো অষ্টম শ্রেণির বাংলা পরীক্ষার প্রস্তুতি বা বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সহায়ক হবে, কারণ এ ধরনের প্রশ্ন প্রায়ই পরীক্ষায় আসে। আশা করি, এই আর্টিকেলটি আপনার কাজে লেগেছে। আপনার কোনো প্রশ্ন বা মতামত থাকলে, টেলিগ্রামে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দিতে সর্বদা প্রস্তুত থাকবো।এই পোস্টটি ভালো লাগলে আপনি এটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ!