আকাশে সাতটি তারা কবিতাটি জীবনানন্দ দাশের একটি চিরন্তন সৃষ্টি। কবিতাটি প্রকৃতির মাধুর্য ও ঐশ্বর্য্য, মানুষের জীবনের স্বপ্ন ও আশা, মৃত্যুর পরের জীবনের শান্তি ও ঐশ্বর্য্যের এক অনন্য চিত্রায়ন। কবিতাটি পড়লে পাঠক প্রকৃতির মাধুর্য্যে মুগ্ধ হবেন, মানুষের জীবনের স্বপ্ন ও আশায় অনুপ্রাণিত হবেন এবং মৃত্যুর পরের জীবনের শান্তি ও ঐশ্বর্য্যের প্রতি আকৃষ্ট হবেন।
আকাশে সাতটি তারা ওঠার সময় কবি কোথায় বসে থাকেন?
কবি জীবনানন্দ দাশ আকাশে সাতটি তারা উঠলে ঘাসের উপর বসে সন্ধ্যার রূপ দেখেন।
আকাশে সাতটি তারা কবিতায় কবি বাংলার সন্ধ্যা সম্পর্কে কী কী বিশেষণ ব্যবহার করেছেন?
আকাশে সাতটি তারা’ কবিতায় কবি বাংলার সন্ধ্যা সম্পর্কে শান্ত, অনুগত ও নীল — এই তিনটি বিশেষণ ব্যবহার করেছেন।
বাংলার সন্ধ্যাকে কবি শান্ত অনুগত’ বলেছেন কেন?
প্রকৃতির স্নিগ্ধ বিস্তারে বাংলার সন্ধ্যার প্রকাশ ঘটে বলে তাকে কবি শান্ত অনুগত’ বলেছেন।
বাংলার নীল সন্ধ্যাকে কবি কীসের সঙ্গে তুলনা করেছেন?
বাংলার নীল সন্ধ্যাকে কবি কেশবতী কন্যার সঙ্গে তুলনা করেছেন।
আকাশে সাতটি তারা কবিতায় সন্ধ্যার আকাশে কে এসেছে বলে কবির মনে হয়েছে?
আকাশে সাতটি তারা কবিতায় বাংলার সন্ধ্যার আকাশে এক কেশবতী কন্যা এসেছে বলে কবি জীবনানন্দ দাশের মনে হয়েছে।
কামরাঙা – লাল মেঘের ডুবে যাওয়াকে কবি কীসের সঙ্গে তুলনা করেছেন?
কামরাঙা – লাল মেঘের সাগরজলে ডুবে যাওয়াকে কবি মৃত মনিয়া পাখির সঙ্গে তুলনা করেছেন।
কাকে মৃত মনিয়ার মতো মনে হয়েছে?
গঙ্গাসাগরের ঢেউয়ে ডুবে যাওয়া কামরাঙা রঙের লাল মেঘকে মৃত মনিয়ার মতো মনে হয়েছে।
পৃথিবীর কোনো পথ কাকে দেখেনি বলে কবির মনে হয়?
বাংলার সন্ধ্যার আকাশের কেশবতী কন্যাকে পৃথিবীর কোনো পথ দেখেনি বলে কবির মনে হয়।
কবির চোখের পরে, মুখের পরে কী ভাসে?
কবি জীবনানন্দ দাশের চোখের পরে’, মুখের পরে বাংলার নীল সন্ধ্যার চেহারায় আসা কেশবতী কন্যার চুল ভাসে।
অজস্র চুলের চুমা কবি কী অর্থে ব্যবহার করেছেন?
প্রকৃতির বুকে অন্ধকারের নিবিড়তাকে বোঝাতে কবি অজস্র চুলের চুমা কথাটি ব্যবহার করেছেন।
কেশবতী কন্যার চুলের চুমা কোথায় ঝরে?
কেশবতী কন্যার চুলের চুমা হিজলে কাঁঠালে – জামে অবিরত ঝরে পড়ে।
জানি নাই এত স্নিগ্ধ ঝরে — কোথায় এই গন্ধ ঝরে?
স্নিগ্ধ গন্ধ ঝরে পড়ে রূপসির চুলের বিন্যাসে, যা আসলে বাংলার প্রকৃতিতে নেমে আসা সন্ধ্যার অন্ধকার।
আকাশে সাতটি তারা কবিতায় কবি কীসের ঘ্রাণ অনুভব করেন?
আকাশে সাতটি তারা কবিতায় কবি নরম ধান, কলমি শাকের গন্ধ যেমন অনুভব করেছেন, সেরকমই চাঁদা – সরপুঁটি মাছের মৃদু গন্ধও পেয়েছেন।
কিশোরীর চালধোয়া হাত কেমন ছিল?
কিশোরীর চালধোয়া হাত ছিল ভিজে এবং ঠান্ডা।
কী রঙের বট ফলের উল্লেখ রয়েছে কবিতায়?
জীবনানন্দ দাশের আকাশে সাতটি তারা’ কবিতায় লাল রঙের বট ফলের উল্লেখ রয়েছে।
লাল বটের ফলে কী মিশে আছে?
লাল বটের ফলে কবি দেখেছেন মিশে আছে ব্যথিত গন্ধের ক্লান্ত নীরবতা।
জীবনানন্দ দাশের আকাশে সাতটি তারা কবিতাটি একটি স্বপ্নময়, রোমান্টিক ও প্রকৃতিপ্রেমী কবিত। কবি আকাশের সাতটি তারাকে দেখে তার মনের মধ্যে এক অপার বিস্ময় ও আনন্দের সঞ্চার হয়। তিনি মনে করেন, এই সাতটি তারা যেন এক বিশাল রহস্যের প্রতীক। তারার আলোর মধ্যে তিনি দেখতে পান এক অচিন্ত্যনীয় সৌন্দর্য ও মাধুর্য। কবি মনে করেন, এই তারার আলো আমাদের জীবনকে আলোকিত করে তোলে। তারা আমাদেরকে প্রেরণা ও উৎসাহ দেয়।