এখনই আমাদের Telegram Community গ্রুপে যোগ দিন।। এখানে WBBSE বোর্ডের পঞ্চম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণির যেকোনো বিষয়ভিত্তিক সমস্যা শেয়ার করতে পারেন এবং একে অপরের সাহায্য করতে পারবেন। এছাড়া, কোনও সমস্যা হলে আমাদের শিক্ষকরা তা সমাধান করে দেবেন।

Telegram Logo Join Our Telegram Community

নবম শ্রেণি – বাংলা – কর্ভাস – রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর

গল্পটিতে কর্ভাসের মাধ্যমে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতির কথা বলা হয়েছে। কর্ভাস একটি অরনিথন যন্ত্রের সাহায্যে মানুষের ভাষা শিখতে পারে। এই যন্ত্রটি প্রোফেসর শঙ্কু আবিষ্কার করেছেন। কর্ভাসের মাধ্যমে প্রোফেসর শঙ্কু প্রমাণ করেন যে, পাখিও মানুষের মতো কথা বলতে পারে।

Table of Contents

সত্যজিৎ রায়ের লেখা “কর্ভাস” গল্পটি নবম শ্রেণীর বাংলা পাঠ্যপুস্তকের একটি সহায়ক পাঠ। গল্পটিতে প্রোফেসর শঙ্কু এবং তার বন্ধুরা এক অদ্ভুত পাখি আবিষ্কার করেন। এই পাখিটির নাম কর্ভাস। কর্ভাস একটি রহস্যময় পাখি। এটি মানুষের কথা বুঝতে পারে এবং মানুষের মতো কথা বলতে পারে।

নবম শ্রেণি – বাংলা – কর্ভাস

ম্যালিফাউল ও গ্রিব নামের পাখি সম্পর্কে আমরা কর্ভাস গল্পে কী কী তথ্য পাই?

ম্যালিফাউল – সত্যজিৎ রায় রচিত কর্ভাস গল্পে অস্ট্রেলিয়াতে বসবাসকারী ম্যালিফাউল বলে এক বিশেষ প্রজাতির পাখির উল্লেখ আছে, যারা মাটিতে বাসা তৈরি করে। বালি, মাটি আর নানারকম উদ্ভিজ্জ দিয়ে তারা একটি ঢিপি তৈরি করে, আর তার ভিতরে ঢোকার জন্য একটি গর্ত থাকে। তারা বাসার ভিতরে ডিম পাড়ে, কিন্তু ডিম ফুটে বাচ্চা বের হওয়ার জন্য ডিমে তা দেয় না। ম্যালি-ফাউলরা কোনো – এক আশ্চর্য ও অজানা কৌশলে বাসার ভিতরের তাপমাত্রা ঠিক আটাত্তর ডিগ্রি ফারেনহাইট রাখে, এক ডিগ্রিও এদিক-ওদিক হতে দেয় না। বাইরের আবহাওয়া ঠান্ডা বা গরম যাই থাকুক না কেন, তাদের বাসার ভিতরের তাপমাত্রা আটাত্তর ডিগ্রি ফারেনহাইটেই স্থির থাকে। এই উষ্ণতাই ডিম ফুটে শাবক বেরোনোর জন্য আদর্শ।

গ্রিব – গ্রিব নামক এক ধরনের পাখি আছে যারা নিজেরাই নিজেদের পালক ছিঁড়ে খায় আর শাবকদেরও খাওয়ায়। তাদের এই আচরণের কারণ কেউ জানে না। এরা আবার জলে ভেসে থাকা অবস্থায় কোনো শত্রুর আগমনের ইঙ্গিত পেলে, নিজের দেহ ও পালক থেকে কোনো – এক অজানা উপায়ে বায়ু বার করে দিয়ে শরীরের স্পেসিফিক গ্র্যাভিটি বা আপেক্ষিক গুরুত্ব বাড়িয়ে গলা অবধি জলে ডুবে থাকতে পারে।

আমার সে ধারণা প্রায় পালটে গেল। – কার, কোন্ ধারণার কথা বলা হয়েছে? তা কীভাবে পালটে গেল?

উদ্দিষ্ট ব্যক্তি ও ধারণা – সত্যজিৎ রায় রচিত কর্ভাস কাহিনি থেকে উদ্ধৃত উক্তিটিতে প্রোফেসর শঙ্কুর ধারণার কথা বলা হয়েছে।

ধারণার বদল – প্রাথমিক ধারণা – ছেলেবেলায় প্রোফেসর শঙ্কুর ধারণা ছিল যে পাখি কথা বললেও সেই কথার মানে বোঝে না। ছেলেবেলায় প্রোফেসর শঙ্কুর বাড়িতে একটি পোষা ময়না ছিল । প্রোফেসর শঙ্কু তাকে একশোরও বেশি বাংলা শব্দ স্পষ্টভাবে বলতে শিখিয়েছিলেন। কিন্তু এই সময় তাঁর ধারণা ছিল, পাখি কথা বললেও সেই কথার মানে বুঝতে পারে না।

পরিবর্তীত ধারণা – একদিন দুপুরবেলা তিনি স্কুল থেকে ফেরার পর তাঁর মা যখন তাঁকে মোহনভোগ খেতে দিয়েছেন তখন হঠাৎই ময়নাটা ভূমিকম্প, ভূমিকম্প বলে চেঁচিয়ে ওঠে। সেই সময় যদিও কেউ কোনো কম্পন বুঝতে পারেনি। কিন্তু পরের দিন কাগজে বেরোয় যে সিসমোগ্রাফ যন্ত্রে সত্যিই নাকি একটা মৃদু কম্পন ধরা পড়েছে। এই ঘটনার পর থেকেই প্রোফেসর শঙ্কুর এই ধারণা পালটে যায় যে পাখি কথা বললেও কথার মানে বোঝে না। তিনি বুঝতে পারেন, পাখিরা যেমন কথা বলতে পারে, তেমন সেই কথার মানেও বুঝতে পারে।

সব পাখির মধ্যে একটি বিশেষ পাখি বিশেষভাবে আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। — প্রসঙ্গ উল্লেখ করে লেখো কোন্ বিশেষ পাখি কী কারণে প্রোফেসর শঙ্কুর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল? এই পাখিটিকে শঙ্কু কোন্ কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন?

বিশেষ পাখি – সত্যজিৎ রায়ের কর্ভাস কাহিনি থেকে উদ্ধৃত অংশে উল্লিখিত পাখিটি হল একটি সাধারণ কাক।

প্রসঙ্গ – প্রোফেসর শঙ্কু লক্ষ করে দেখেন যে কাকটির হাবভাব অন্যান্য কাকের চেয়ে আলাদা। কাকটির ডান চোখের নীচে একটা সাদা ফুটকি থাকায় তাকে অন্য কাকেদের থেকে সহজেই আলাদা করে চেনা যেত। প্রোফেসর খেয়াল করে দেখতে পান কাকটি ঠোঁটে পেনসিল নিয়ে টেবিলের ওপর আঁচড় কাটছে। এই ধরনের আচরণ তিনি অন্য কোনো পাখিকে করতে দেখেননি।

দৃষ্টি আকর্ষণ – একটা ব্যাপারে তো তিনি রীতিমতো হকচকিয়ে গিয়েছিলেন। একদিন একটা খচখচ শব্দ পেয়ে তিনি ঘাড় ঘুড়িয়ে দেখেন, কাকটা একটা আধখোলা দেশলাইয়ের বাক্স থেকে ঠোঁট দিয়ে কাঠি বের করে তার মাথাটা বাক্সের পাশটায় ঘষছে। প্রোফেসর হুসহুস শব্দ করে তাকে থামালে সে জানলায় বসে মুখ দিয়ে দ্রুত এমন একটা শব্দ করে যা শুনে প্রোফেসর শঙ্কুর মনে হয় সে যেন হাসছে। এই সমস্ত কারণেই এই কাকটি বিশেষভাবে প্রোফেসর শঙ্কুর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল।

উদ্দিষ্ট কাজ – এই কাকটিকে প্রোফেসর শঙ্কু তাঁর পাখি নিয়ে গবেষণার কাজের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন।

আমার অরনিথন যন্ত্র আজ তৈরি শেষ হলো। — যন্ত্রটির পরিচয় দাও। এই যন্ত্রটির ব্যবহার কীভাবে শুরু হল?

অরনিথন যন্ত্র – সত্যজিৎ রায়ের কর্ভাস গল্পে প্রোফেসর শঙ্কু পাখিকে পড়ানোর জন্য এই অরনিধন যন্ত্রটি তৈরি করেছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন এই কাজের জন্য তৈরি যন্ত্রের গঠন এবং কার্যপদ্ধতি সরল হোক। এই যন্ত্রটির দুটি অংশ — একটি অংশ খাঁচার মতো, পাখি থাকবে এই খাঁচার মধ্যে। আর এই খাঁচার সঙ্গে দ্বিতীয় অংশের বৈদ্যুতিক যোগ থাকবে। এই দ্বিতীয় অংশ থেকে জ্ঞান ও বুদ্ধি চালিত হবে পাখির মস্তিষ্কে।

যন্ত্রের ব্যবহার – অরনিথন যন্ত্রটি তৈরি শেষ হলে সেটি টেবিলে রেখে দরজা খুলে দিলে প্রোফেসর শঙ্কুর পছন্দের কাকটি নিজে থেকেই লাফাতে লাফাতে যন্ত্রের ভিতর ঢুকে পড়ে। এর থেকে বোঝা যায় কাকটির শেখার আগ্রহ ছিল প্রবল। প্রোফেসর ঠিক করলেন প্রথমে কাকটিকে ভাষা শেখাবেন। তাই তিনি সহজ বাংলা দিয়েই তার শিক্ষা শুরু করলেন। শেখাবার সমস্ত বিষয় যন্ত্রটিতে আগে থেকেই রেকর্ড করা ছিল, শুধু বোতাম টিপে দিলেই তা চলতে শুরু করত। আশ্চর্যের কথা হল, যন্ত্রটির ব্যবহারের শুরুতে বোতাম টিপলেই কাকটার চোখ ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে আসত। আর সঙ্গে সঙ্গে তার নড়াচড়াও বন্ধ হয়ে যেত। কাকের মতো ছটফটে পাখির পক্ষে এটা প্রায় অস্বাভাবিক আচরণ। এভাবেই প্রোফেসর অরনিধন যন্ত্রের ব্যবহার শুরু করেন।

অন্য প্রাণীর তুলনায় পাখির ক্ষমতা আরও বেশি, আরও বিস্ময়কর — কর্ভাস গল্প অনুসারে মন্তব্যটির যথার্থতা নিরূপণ কর।

কথামুখ – প্রত্যেক প্রাণীরই নির্দিষ্ট কিছু সহজাত ক্ষমতা থাকলেও নিজের অভিজ্ঞতা থেকে প্রোফেসর শঙ্কুর মনে হয়েছিল যে, পাখিদের ক্ষমতা আরও বেশি।

বাবুইয়ের অনন্যতা – কোনো মানুষের পক্ষে বাবুইয়ের মতো বাসা তৈরি করা সহজ কাজ নয়।

ম্যালিফাউলের অনন্যতা – অস্ট্রেলিয়ার ম্যালিফাউল নামের পাখিটি নিজে ডিমে তা দেয় না। কিন্তু কোনো এক আশ্চর্য কৌশলে বাসার ভিতরের তাপমাত্রাকে আটাত্তর ডিগ্রি ফারেনহাইটের থেকে সামান্য কমও হতে দেয় না, বাইরের তাপমাত্রা যা – ই হোক না কেন।

গ্লিবের অনন্যতা – গ্রিব নামের পাখি জলে ভেসে থাকা অবস্থায় শত্রুর আগমনের ইঙ্গিত পেলে নিজের দেহ ও পালক থেকে কোনো এক অজ্ঞাত উপায়ে বায়ু বার করে দিয়ে শরীরের স্পেসিফিক গ্র্যাভিটি বাড়িয়ে ডানা অবধি জলে ডুবে ভাসতে থাকে।

অন্যান্য পাখির অনন্যতা – এ ছাড়াও যাযাবর পাখির দিকনির্ণয় ক্ষমতা, ইগল পাখির শিকারক্ষমতা, শকুনের ঘ্রাণশক্তি, অনেক পাখিরই আশ্চর্য সংগীতপ্রতিভা ইত্যাদিও নজরে রাখার মতো। পাখিদের এইসব বিস্ময়কর ক্ষমতাই প্রোফেসর শঙ্কুকে আকৃষ্ট করেছিল।

দু-সপ্তাহে অভাবনীয় প্রোগ্রেস। — কোন্ বিষয়ে এ কথা বলা হয়েছে? কীরকম প্রোগ্রেস হয়েছিল?

বক্তব্যের বিষয় – সত্যজিৎ রায় রচিত কর্ভাস গল্পে প্রোফেসর শঙ্কুর তৈরি অরনিথন যন্ত্রের সাহায্যে কর্ভাস নামের কাকটির শিক্ষাগ্রহণের বিষয়ে এ কথা বলা হয়েছে।

প্রোগ্রেস – এর ধরন – কথামুখ – প্রোফেসর শঙ্কু তাঁর আবিষ্কৃত অরনিথন যন্ত্রের সাহায্যে প্রথমে কর্ভাসকে ভাষাশিক্ষা দিতে শুরু করেন।

ভাষা শিক্ষালাভ – প্রথম পর্যায়ে সহজ বাংলা ভাষা এবং পরবর্তী পর্যায়ে ইংরেজি ভাষাশিক্ষা শুরু হয় তার।

লেখার দক্ষতা অর্জন – মাত্র দু- সপ্তাহের মধ্যেই কর্ভাস ঠোঁটে পেনসিল নিয়ে ইংরেজি কথা আর সংখ্যা লিখতে শুরু করে। টেবিলের উপর কাগজ রেখে কর্ভাস তার উপরেও লিখতে শেখে। ইংরেজিতে নিজের নাম C-O-R-V-U-S লিখতে এবং সহজ যোগ-বিয়োগ করতে শেখে। ইংল্যান্ডের রাজধানীর নাম, প্রফেসারের পদবিও লিখতে শেখে। দেখা যায়, সে মাস, বার, তারিখও লিখতে পারছে। কোনো – এক শুক্রবারে প্রোফেসর সেদিন কী বার জিজ্ঞেস করায় সে পরিষ্কার করে লেখে F-R-I-D-A-Y।

দক্ষতার বিকাশ – এই যন্ত্রের সাহায্যে অন্যান্য বিষয়েও কর্ভাসের দক্ষতার বিকাশ ঘটতে শুরু করে মাত্র দু-সপ্তাহেই। বুদ্ধির প্রকাশ – এ ছাড়া খাওয়ার ব্যাপারেও কর্ভাসের বুদ্ধির পরিচয় পাওয়া গেছে। প্রোফেসর শঙ্কু একদিন একটা পাত্রে রুটি-টোস্টের টুকরো আর – একটা পাত্রে খানিকটা পেয়ারার জেলি কর্ভাসের সামনে রেখেছিলেন। সে রুটির টুকরো মুখে পোরার আগে প্রতিবারই ঠোঁট দিয়ে তাতে খানিকটা জেলি মাখিয়ে নিচ্ছিল।

ইতিকথা – এভাবেই অরনিথন যন্ত্রের সাহায্যে কর্ভাসের জ্ঞান ও বুদ্ধির সামগ্রিক বিকাশ ঘটতে থাকে।

কভার্স যে এখন সাধারণ কাকের থেকে নিজেকে আলাদা রাখতে চায়, তার স্পষ্ট প্রমাণ আজকে পেলা — কোন্ ঘটনায় এই প্রমাণ পেয়েছিলেন প্রোফেসর শঙ্কু?

ঘটনার পরিচয় – শিক্ষায় উন্নতি – সত্যজিৎ রায় রচিত কর্ভাস গল্পে প্রোফেসর শঙ্কুর তৈরি অরনিথন যন্ত্রের মাধ্যমে দু- সপ্তাহের মধ্যে কর্ভাসের শিক্ষায় অভাবনীয় উন্নতি ঘটেছিল। আর তারপর থেকেই সে নিজেকে অন্য সাধারণ কাকদের থেকে আলাদা মনে করতে শুরু করে।

বজ্রপাত পরবর্তী ঘটনা – একদিন দুপুরে হঠাৎ খুব বৃষ্টি শুরু হয়, সঙ্গে বিদ্যুৎ ও বজ্রপাত । তিনটে নাগাদ এক কান – ফাটানো বাজ পড়ার শব্দ হলে প্রোফেসর শঙ্কু জানালার কাছে গিয়ে দেখেন তাঁর বাগানের বাইরের শিমুল গাছটা থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। বিকেলে বৃষ্টি থেমে গেলে বাইরে কাকেদের প্রচণ্ড কোলাহল শোনা যায়। সে অঞ্চলের সব কাক ওই মরা গাছটার কাছে এসে কোলাহল করতে শুরু করে। প্রোফেসর তাঁর চাকর প্রহ্লাদকে ব্যাপারটা দেখতে পাঠালে, সে ফিরে এসে জানায় যে ওই গাছটার নীচে একটা কাক মরে পড়ে আছে। তাই কাকেরা এত চেঁচাচ্ছে। বোঝা যায় ওই বাজ পড়ার ফলেই কাকটার মৃত্যু হয়েছে।

কার্ভাসের অনাগ্রহ প্রকাশ – কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল – যেখানে কাকেরা এসে জড়ো হয়েছে, সেখানে কর্ভাস প্রফেসারের ঘর থেকে বেরোনোর কোনোরকম কোনো আগ্রহ দেখায়নি। সে একমনে তখন পেনসিল দিয়ে প্রাইম নাম্বারস অর্থাৎ মৌলিক সংখ্যা লিখছিল। এই ঘটনায় প্রোফেসর শঙ্কু বুঝতে পারেন যে কর্ভাস নিজেকে সাধারণ কাকেদের থেকে আলাদা করে রাখতে চায়।

কর্ভাসকে এখন সদর্পে বৈজ্ঞানিক মহলে উপস্থিত করা চলে। — কীভাবে প্রোফেসর শঙ্কু বুঝলেন যে কর্ভাস বৈজ্ঞানিকমহলে উপস্থিত হওয়ার উপযুক্ত হয়ে উঠেছে?

অথবা, কর্ভাসকে এখন সদর্পে বৈজ্ঞানিকমহলে উপস্থিত করা চলে। — এমন দাপুটে মন্তব্যের কারণ কী?

পারদর্শিতা অর্জন – সত্যজিৎ রায় রচিত কর্ভাস গল্পে অরনিধন যন্ত্রের সাহায্যে কর্ভাস সব বিষয়ে পারদর্শী এমন একটি শিক্ষিত পাখি হয়ে ওঠে যার নজির পৃথিবীর ইতিহাসে কোথাও নেই।

আচরণে ভিন্নতা – কর্ভাসের আচরণ ক্রমশ অন্য সাধারণ কাকেদের থেকে আলাদা হতে থাকে। প্রোফেসর শঙ্কুর যন্ত্রের মাধ্যমে সে প্রথমে সহজ বাংলা এবং ইংরেজি ভাষা আয়ত্ত করে। এরপরে সে অঙ্ক, জ্যামিতি, ইতিহাস, ভূগোল, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ইত্যাদি সব বিষয়েই প্রশ্নের উত্তর সংখ্যা বা অল্প কয়েকটি শব্দের সাহায্যে লিখতে শিখে নেয়।

মানবসুলভ বুদ্ধির প্রকাশ – এই জ্ঞান অর্জনের সঙ্গেই কর্ভাসের মধ্যে একপ্রকার মানবসুলভ বুদ্ধি বা হিউম্যান ইনটেলিজেন্‌স জেগে ওঠে, যার সঙ্গে পাখিদের কোনো সম্পর্ক নেই। এর উদাহরণস্বরূপ একটা ঘটনার উল্লেখ করেছেন প্রোফেসর শঙ্কু। সানতিয়াগো যাওয়ার দিন সকালে তিনি সুটকেস গোছাচ্ছিলেন। গোছানো শেষ হলে বাক্সের ঢাকনা বন্ধ করে তিনি পাশ ফিরে অবাক হয়ে দেখলেন যে কর্ভাস তাঁর সুটকেসের চাবিটা ঠোঁটে নিয়ে চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে।

শেষের কথা – কর্ভাসের এই জ্ঞান ও বুদ্ধির পরিচয় পেয়ে প্রোফেসর বুঝেছিলেন যে তিনি কর্ভাসকে গর্বের সাথে বৈজ্ঞানিকমহলে উপস্থিত করতে পারবেন।

পাখির চেয়ে আমার অনেক বেশি ইনটারেস্টিং মনে হলো জাদুকর ব্যক্তিটিকে। — এই জাদুকর ব্যক্তির পরিচয় দাও। তাঁকে ইনটারেস্টিং মনে হওয়ার কারণ কী?

জাদুকরের পরিচয় – সত্যজিৎ রায় রচিত কর্ভাস কাহিনি থেকে উদ্ধৃত উক্তিটিতে এই জাদুকর ব্যক্তি হলেন চিলির বিখ্যাত জাদুকর আর্গাস। প্রোফেসর শঙ্কু তার পক্ষীবিজ্ঞানী বন্ধু গ্রেনফেলের সঙ্গে সানতিয়াগোর প্লাজা থিয়েটারে আর্গাসের ম্যাজিক দেখতে গিয়েছিলেন। আর্গাসের ম্যাজিকের বিশেষত্ব হল তিনি হাঁস, কাকাতুয়া, পায়রা, মোরগ, সারস, হামিং বার্ড প্রভৃতি পাখিকে ম্যাজিকে ব্যবহার করেন।

জাদুকরকে ইনটারেস্টিং মনে হওয়ার কারণ – পাখিদের শিক্ষাদান – প্রোফেসর শঙ্কু আর্গাসের ম্যাজিক দেখে বুঝলেন যে তিনি তাঁর পাখিদের যত্ন সহকারেই শিক্ষা দিয়েছেন কিন্তু তাদের কাজ কর্ভাসের কৃতিত্বের কাছে কিছুই নয়।

চেহারা ও সাজপোশাক – সবথেকে বড়ো কথা আর্গাসের পাখিদের ম্যাজিকের চেয়ে প্রফেসারের আর্গাসকেই অনেক বেশি ইনটারেস্টিং মনে হয়েছিল তার চেহারা ও সাজপোশাকের জন্য। আর্গাসের নাক টিয়াপাখির মতো, মাথার মাঝখানে সিঁথি করা, গ্রামোফোন রেকর্ডের মতো চকচকে চুল টান করে পিছনে আঁচড়ানো। আর সবথেকে আকর্ষণীয় হল তাঁর চোখে মাইনাস কুড়ি পাওয়ারের চশমা যার কাচ এত পুরু যে চোখের মণি দুটোকে তীক্ষ্ণ বিন্দুর মতো দেখায়। জাদুকর আর্গাস ছ-ফুটেরও বেশি লম্বা। চকচকে কালো কোটের আস্তিনের ভিতর থেকে দুটো শীর্ণ ফ্যাকাসে হাত বেরিয়ে আছে। এই হাতের ভঙ্গিমাই দর্শককে সম্মোহিত করে রাখে।

মূল্যায়ন – আর্গাসের জাদু উঁচুদরের না হলেও, তাঁর চেহারা ও হাবভাব দেখেই লোকে আকৃষ্ট হয়।

অরনিথন যন্ত্রের প্রয়োজন ফুরিয়ে গেছে। — অরনিথন যন্ত্রের প্রয়োজন হয়েছিল কেন? তার প্রয়োজন ফুরিয়েই বা গেল কেন? 

অরনিথন যন্ত্রের প্রয়োজনীয়তার কারণ – নতুন শিক্ষাদান – পাখিদের বুদ্ধির বেশ আশ্চর্য কিছু পরিচয় পেয়ে প্রোফেসর শঙ্কুর মনে হয়েছিল এমন একটা যন্ত্র তৈরির কথা যা দিয়ে পাখির সহজাত বুদ্ধির বাইরে তাকে নতুন জিনিস শেখানো যাবে, কিংবা মানুষের জ্ঞান, বুদ্ধি তার মধ্যে সঞ্চার করা যাবে। এই লক্ষ্যেই তিনি একটি পাখি – পড়ানো যন্ত্র নির্মাণে উদ্যোগী হন। অত্যন্ত সহজভাবে এই যন্ত্র নির্মাণ হয়।

যন্ত্রটির অংশ – তার দুটি অংশের একটি হবে খাঁচার মতো, যার মধ্যে পাখি থাকবে। আর তার সঙ্গে দ্বিতীয় অংশের বৈদ্যুতিক যোগ থাকবে। দ্বিতীয় অংশ থেকে জ্ঞান ও বুদ্ধি চালিত হবে পাখির মস্তিষ্কে।

যন্ত্রটির প্রয়োজন ফুরিয়ে যাওয়ার কারণ – প্রয়োগের সুযোগ – প্রোফেসর শঙ্কু তাঁর উদ্ভাবিত যন্ত্র অরনিথন – এর প্রয়োগের সুযোগ পেয়ে যান তাঁর ঘরের ভিতরে চলে আসা বিভিন্ন পাখির মধ্যে অত্যন্ত বুদ্ধিমান একটি কাকের উপরে।

কর্ডাসকে ভাষা শিক্ষা – তাকে প্রথমে ভাষাশিক্ষা দেওয়া হয়। দু-সপ্তাহ পরে কর্ভাস ঠোঁটে পেনসিল নিয়ে ইংরেজি কথা আর সংখ্যা লেখে, নিজের নামও লেখা শেখে।

অন্যান্য বিষয়ে শিক্ষা – এরপরে অঙ্ক, জ্যামিতি, ইতিহাস, ভূগোল, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ইত্যাদি বিষয়ের যেসব প্রশ্নের উত্তর সংখ্যার সাহায্যে বা অল্প কথায় দেওয়া যায়, কর্ভাস তা শিখে নিয়েছিল।

শেষের কথা – এর ফলে শিক্ষিত হয়ে ওঠা কর্ভাসের জন্য অরনিথন যন্ত্রের আর প্রয়োজন ছিল না।

বেশ বুঝতে পারছি সে অবাক, হতভম্ব। — সে কে? সে কোন্ ঘটনায় অবাক, হতভম্ব হয়েছিল?

সে – র পরিচয় – সত্যজিৎ রায়ের কভার্স গল্প থেকে নেওয়া আলোচ্য উক্তিটিতে সে হল বিখ্যাত চিলিয়ান জাদুকর আর্গাস।

উদ্দিষ্ট ঘটনা – সানতিয়াগোর সংবাদপত্র কোরিয়েরে দেল সানতিয়াগোর সান্ধ্য সংস্করণে কর্ভাসের ছবি – সহ সংবাদ পড়ে জাদুকর আর্গাস সেদিন রাতেই একসেলসিয়র হোটেলের ঘরে প্রোফেসর শঙ্কুর সঙ্গে দেখা করতে আসেন। প্রফেসারের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলার পর আর্গাস খাঁচার মধ্যে কর্ভাসকে দেখতে পান। আর্গাসের খুব জোরে হাসির আওয়াজে কর্ভাস জেগে ওঠে। কর্ভাসকে দেখেই আর্গাস দেরি না করে প্রোফেসর শঙ্কুকে অনুরোধ করেন যে তিনি তখনই একবার কর্ভাসের বুদ্ধির নমুনা দেখতে চান। প্রোফেসর জানান যে কর্ভাস এখন ক্লান্ত, তাই ওকে দিয়ে জোর করে কিছু করানো সম্ভব নয়। কর্ভাসের মর্জি না হলে সে কিছুই করবে না।

এরপর প্রোফেসর খাঁচার দরজা খুলে দিলে কর্ভাস বেরিয়ে এসে ডানা ঝাপটিয়ে খাটের পাশে টেবিলে গিয়ে ঠোঁটের এক ঠোকরে ল্যাম্পটা নিবিয়ে দেয়। অন্ধকার ঘরের জানলা দিয়ে রাস্তার সবুজ নিয়নের ফিকে আলো ঘরে প্রবেশ করে। কর্ভাস ডানা ঝাপটিয়ে আবার খাঁচায় ঢুকে ঠোঁট দিয়ে দরজা টেনে বন্ধ করে দেয়। কর্ভাস এভাবেই বুঝিয়ে দিয়েছিল যে সে বিশ্রাম চাইছে। সেই সময় প্রোফেসর শঙ্কু আর্গাসের মুখের দিকে তাকিয়ে বুঝতে পারেন যে কর্ভাসের এই আচরণে তিনি অবাক ও হতভম্ব হয়ে গেছেন।

খাঁচা সমেত কর্ভাস উধাও। – কর্ভাস কীভাবে উধাও হয়ে গিয়েছিল?

কর্ভাসের কেনার প্রচেষ্টা – সত্যজিৎ রায়ের কর্ভাস গল্পে পক্ষীবিজ্ঞানীদের সম্মেলনের দিন রাত্রিবেলায় চিলিয়ান জাদুকর আর্গাস প্রোফেসর শঙ্কুর কাছে এসে দশ হাজার এস্কুডো অর্থাৎ পনেরো হাজার টাকার বদলে কর্ভাসকে চান। কিন্তু প্রোফেসর রাজি না হওয়ায় তাঁকে হতাশ হয়ে ফিরে যেতে হয়।

কর্ভাসের উধাওহয়ে যাওয়া – পরদিন সম্মেলনে জাপানি বিজ্ঞানীর ভাষণ – সহ অন্যান্য বক্তৃতা শোনার পর প্রোফেসর শঙ্কু কর্ভাসকে হোটেলের ঘরে রেখে অতিথিদের সঙ্গে দুপুরের খাবার খেতে যান। খাওয়া শেষ করে প্রায় আড়াইটে নাগাদ তিনি হোটেলে ফিরে চাবি দিয়ে দরজা খুলতে গিয়ে দেখেন দরজা খোলা। মুহূর্তের মধ্যে একটা চরম বিপদের আশঙ্কায় তিনি ভয় পেয়ে যান। তিনি ঘরে ঢুকে দেখেন খাঁচাসমেত কর্ভাস উধাও ৷

কর্ভাসকে উদ্ধার – পরে তিনি হোটেলের দারোয়ানের কাছে জানতে পারেন যে প্রায় আধ ঘণ্টা আগে আর্গাস তাঁর রুপোলি ক্যাডিলাক গাড়ি নিয়ে হোটেলে এসেছিলেন। তার ঠিক দশ মিনিট পরে হাতে একটা সেলোফেনের ব্যাগ নিয়ে তিনি হোটেল থেকে বেরিয়ে যান। বোঝা যায়, আর্গাস তাঁর জাদুবলে হোটেলের রুমবয়দের সম্মোহিত করে তাদের থেকে চাবি নিয়ে নিজের কাজ হাসিল করেছেন। এরপর কর্ভাসকে নিয়ে আর্গাস তাঁর গাড়িতে করে ভালপারাইজোের রাস্তা ধরে হাইওয়ের দিকে পালাতে চেষ্টা করেন।

কিন্তু কী অসামান্য তার বুদ্ধি! — এটি কার উক্তি? কার, কোন্ অসামান্য বুদ্ধির কথা এখানে বলা হয়েছে?

বক্তা – সত্যজিৎ রায় রচিত কর্ভাস কাহিনি থেকে নেওয়া আলোচ্য উক্তিটি চিলির বিখ্যাত জাদুকর আর্গাসের।

উদ্দিষ্ট ও তার অসামান্য বুদ্ধি – এখানে শঙ্কুর পোষা কাক কর্ভাসের অসামান্য বুদ্ধির কথা বলা হয়েছে। জাদুকর আর্গাস প্রোফেসর শঙ্কুর পোষা কর্ভাসের কীর্তিকলাপ দেখে তাকে পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন। তিনি প্রোফেসর শঙ্কুকে প্রস্তাব দেন যে দশ হাজার এস্কুডোর বদলে প্রোফেসর যেন কর্ভাসকে তাঁর হাতে তুলে দেন । প্রোফেসর রাজি না হওয়ায় আর্গাসকে হতাশ হয়ে ফিরতে হয়। কিন্তু তিনি পরের দিন প্রফেসারের অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে রুমবয়দের সম্মোহিত করে হোটেলের ঘর থেকে কর্ভাসকে চুরি করে পালান। গাড়ি করে শহরের বাইরে বেরিয়ে যাওয়ার সময় কর্ভাস বুদ্ধি করে আর্গাসের চোখের মাইনাস কুড়ি পাওয়ারের চশমাটা ঠোঁট দিয়ে খুলে নেয়। চশমা ছাড়া আর্গাসের তখন প্রায় অন্ধের মতো অবস্থা। গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাছের গুঁড়িতে ধাক্কা মেরে তিনি দুর্ঘটনা ঘটিয়ে বসেন। এই সুযোগে কর্ভাস চশমাটি নিয়ে উড়ে গিয়ে একটি গাছের ডালে বসে। প্রোফেসর শঙ্কুরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে আর্গাস অন্ধের মতো দু – হাতে পিস্তল নিয়ে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে। ততক্ষণে কারেরাস ও অন্য পুলিশরা সেখানে পৌঁছে যায়। এইভাবেই কর্ভাস তার অসামান্য বুদ্ধির পরিচয় রেখে আর্গাসকে জব্দ করেছিল।

গল্পের শেষে কর্ভাস কীভাবে জাদুকর আর্গাসকে জব্দ করেছিল?

উদ্দিষ্ট ও তার অসামান্য বুদ্ধি – এখানে শঙ্কুর পোষা কাক কর্ভাসের অসামান্য বুদ্ধির কথা বলা হয়েছে। জাদুকর আর্গাস প্রোফেসর শঙ্কুর পোষা কর্ভাসের কীর্তিকলাপ দেখে তাকে পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন। তিনি প্রোফেসর শঙ্কুকে প্রস্তাব দেন যে দশ হাজার এস্কুডোর বদলে প্রোফেসর যেন কর্ভাসকে তাঁর হাতে তুলে দেন । প্রোফেসর রাজি না হওয়ায় আর্গাসকে হতাশ হয়ে ফিরতে হয়। কিন্তু তিনি পরের দিন প্রফেসারের অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে রুমবয়দের সম্মোহিত করে হোটেলের ঘর থেকে কর্ভাসকে চুরি করে পালান। গাড়ি করে শহরের বাইরে বেরিয়ে যাওয়ার সময় কর্ভাস বুদ্ধি করে আর্গাসের চোখের মাইনাস কুড়ি পাওয়ারের চশমাটা ঠোঁট দিয়ে খুলে নেয়। চশমা ছাড়া আর্গাসের তখন প্রায় অন্ধের মতো অবস্থা। গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাছের গুঁড়িতে ধাক্কা মেরে তিনি দুর্ঘটনা ঘটিয়ে বসেন। এই সুযোগে কর্ভাস চশমাটি নিয়ে উড়ে গিয়ে একটি গাছের ডালে বসে। প্রোফেসর শঙ্কুরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে আর্গাস অন্ধের মতো দু – হাতে পিস্তল নিয়ে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে। ততক্ষণে কারেরাস ও অন্য পুলিশরা সেখানে পৌঁছে যায়। এইভাবেই কর্ভাস তার অসামান্য বুদ্ধির পরিচয় রেখে আর্গাসকে জব্দ করেছিল।

শয়তান পাখি, কিন্তু কী অসামান্য তার বুদ্ধি! — কোন্ প্রসঙ্গে কার এই উক্তি? এর পরে কী ঘটনা ঘটেছিল?

প্রসঙ্গ ও বক্তা – কর্ভাস গল্পে উল্লিখিত মন্তব্যটি করেছে আর্গাস। কর্ভাসকে নিয়ে আর্গাস তার সিলভার ক্যাডিলাক গাড়িতে করে পালাচ্ছিল। সেইসময় কর্ভাস খাঁচা থেকে বেরিয়ে আর্গাসের চশমাটি নিয়ে গাড়ি থেকে উধাও হয়ে যায়। মাইনাস কুড়ি পাওয়ারের চশমা ছাড়া সম্পূর্ণ দৃষ্টিশক্তিহীন আর্গাস তার দুরবস্থার জন্য কর্ভাসকে গাল দিতে থাকে। ইতিমধ্যে গাছের গুঁড়িতে ধাক্কা মেরে আর্গাসের গাড়িটি রাস্তার একপাশে ছিটকে গেছে। প্রচণ্ডক্রোধে কর্ভাসকে কটুকথা বললেও তার বুদ্ধিকে মেনে নিতে বাধ্য হয় আর্গাস। এই প্রসঙ্গেই তার এই উল্লিখিত মন্তব্য।

পরবর্তী ঘটনা – এরপরে গ্রেনফেল দেখতে পান যে রাস্তার উলটোদিকে একটা ন্যাড়া অ্যাকেসিয়া গাছের সবচেয়ে উঁচু ডালে কর্ভাস বসে আছে। তিনি শঙ্কুকে তা দেখান। কর্ভাস তাঁদের দিকেই ঘাড় নিচু করে দেখছিল। তাকে হাতছানি দিয়ে ডাকতেই সে গোঁত খাওয়া ঘুড়ির মতো গাছের থেকে নেমে এসে শঙ্কুদের মারসেডিসের ছাদের উপরে এসে বসে। তারপরে খুব সাবধানে আর্গাসের সোনার চশমাটা সামনে নামিয়ে রাখে।

কর্ভাস গল্পটি বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, রহস্য এবং কল্পনা নিয়ে রচিত একটি রোমাঞ্চকর গল্প। গল্পটি থেকে শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান সম্পর্কে জানতে পারবে। গল্পটি শিক্ষার্থীদের চিন্তাশীল এবং সৃজনশীল হতে উৎসাহিত করবে।

Share via:

মন্তব্য করুন