নবম শ্রেণি – বাংলা – ইলিয়াস – অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর

নবম শ্রেণির বাংলা পাঠ্যবইয়ে রয়েছে “ইলিয়াস” নামক একটি গল্প। এই গল্পটি রচনা করেছেন বিশ্ববিখ্যাত রুশ লেখক লিও তলস্তয়। গল্পটি মূলত একটি যুদ্ধের গল্প। গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র ইলিয়াস একজন সাধারণ মানুষ। তিনি যুদ্ধে যান তার প্রিয়জনদের রক্ষা করার জন্য। যুদ্ধে তিনি বীরোত্বের সাথে লড়াই করেন এবং শেষ পর্যন্ত শহীদ হন।

Table of Contents

ইলিয়াস – অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর

ইলিয়াস গল্পটি কার লেখা?

ইলিয়াস গল্পটি রুশ সাহিত্যিক লিও তলস্তয়ের লেখা।

ইলিয়াস গল্পটি কে বাংলায় অনুবাদ করেছেন?

ইলিয়াস গল্পটি বাংলায় অনুবাদ করেছেন মণীন্দ্র দত্ত।

ইলিয়াস কোথায় বসবাস করত?

ইলিয়াস গল্পের প্রধান চরিত্র ইলিয়াস পশ্চিম রাশিয়ার উফা প্রদেশে বসবাস করত।

ইলিয়াস কোন্ জনগোষ্ঠীর মানুষ ছিল?

ইলিয়াস বাস্কির জনগোষ্ঠীর মানুষ ছিল।

ইলিয়াস যখন পিতৃহীন হয় তখন তার অবস্থা কেমন ছিল?

ইলিয়াস যখন পিতৃহীন হয়, তখন তার অবস্থা ধনী ও দরিদ্রের মাঝামাঝি ছিল।

এই তার যা কিছু বিষয় সম্পত্তি — কী কী বিষয়সম্পত্তির কথা বলা হয়েছে?
অথবা, বাবা মারা যাওয়ার সময়ে ইলিয়াসের বিষয়সম্পত্তির পরিমাণ কী ছিল?

ইলিয়াস গল্প থেকে নেওয়া উদ্ধৃতাংশে তার বিষয়সম্পত্তি বলতে সাতটা ঘোটকী, দুটো গোরু এবং কুড়িটা ভেড়ার কথা বলা হয়েছে।

প্রতি বছরই তার অবস্থার উন্নতি হতে লাগল — কীভাবে ইলিয়াসের অবস্থার উন্নতি হয়েছিল?

ইলিয়াস ও তার স্ত্রীর ব্যাবসায়িক বুদ্ধিতে এবং সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কঠোর পরিশ্রমে তাদের অবস্থার উন্নতি হয়েছিল।

কত বছর পরিশ্রম করে ইলিয়াস প্রচুর সম্পত্তি বানিয়েছিল?

দীর্ঘ পঁয়ত্রিশ বছর পরিশ্রম করে ইলিয়াস প্রচুর সম্পত্তি বানিয়েছিল।

ইলিয়াসের তখন খুব বোলবোলাও — কীভাবে তার বোলবোলাও হল?

পঁয়ত্রিশ বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমে ইলিয়াস বিপুল সম্পত্তির মালিক হয়ে ওঠে। ফলে চারদিকে ইলিয়াসের নাম ছড়িয়ে পড়ে।

সকলেই তাকে ঈর্ষা করে — কাকে, কেন সকলেই ঈর্ষা করে?
অথবা, প্রতিবেশীরা কেন ইলিয়াসকে ঈর্ষা করত? 

ইলিয়াসের বিপুল সম্পত্তি এবং সমৃদ্ধি ও প্রতিপত্তি দেখে তার প্রতিবেশীরা সকলেই তাকে ঈর্ষা করে।

ওর তো মরবারই দরকার নেই। — কার, কেন মরবার দরকার নেই?

বিপুল সম্পত্তির মালিক ইলিয়াসের কোনো কিছুর অভাব ছিল না। বলেই প্রতিবেশীরা বলেছিল যে তার মরবার দরকার নেই।

দূর দূরান্তর থেকে অতিথিরা তার সঙ্গে দেখা করতে আসে। — কার সঙ্গে অতিথিরা দেখা করতে আসে?

দূরদূরান্ত থেকে অতিথিরা বিপুল সম্পত্তির অধিকারী প্রভাবশালী ইলিয়াসের সঙ্গে দেখা করতে আসত।

ইলিয়াস অতিথিদের কী দিয়ে সেবা করত?

ইলিয়াস তার অতিথিদের কুমিস, চা, শরবত, মাংস প্রভৃতি ভোজ্য ও পানীয় দিয়ে সেবা করত।

ইলিয়াসের কয়টি সন্তান ছিল?

ইলিয়াসের দুই ছেলে ও এক মেয়ে অর্থাৎ মোট তিনটি সন্তান ছিল।

ইলিয়াস যখন গরিব ছিল ছেলেরা তাকে কীভাবে সাহায্য করত?

ইলিয়াস যখন গরিব ছিল তখন ছেলেরা তার সঙ্গে গোরু-ভেড়া চরিয়ে তার কাজে সাহায্য করত।

তারা আয়েশি হয়ে উঠল — কারা, কখন আয়েশি হয়ে উঠল?

ইলিয়াস ধনী ব্যক্তি হয়ে উঠলে তার ছেলেরা আয়েশি হয়ে উঠল।

ইলিয়াসের বড়ো ছেলেটির কীভাবে মৃত্যু ঘটে?

ইলিয়াস ও তার পরিবার যখন সচ্ছল জীবন কাটাতে শুরু করল, তখন এক মারামারির ঘটনায় তার বড়ো ছেলেটির মৃত্যু ঘটে।

বাড়ি থেকে তাদের তাড়িয়ে দেওয়া হলো। – কাদের কেন বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হল?

ইলিয়াসের ছোটো ছেলে একটি মুখরা মেয়েকে বিয়ে করার পর বাবার আদেশ অমান্য করায় তাদের বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হল।

ইলিয়াসের সম্পত্তিতে টান পড়ল – কেন?

ছোটো ছেলেকে ইলিয়াস একটি বাড়ি এবং কিছু গোরু-ঘোড়া দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়ায় তার সম্পত্তিতে টান পড়ল।

ইলিয়াসের অনেকগুলি ভেড়ার কীভাবে মৃত্যু ঘটল?

ভেড়ার পালে মড়ক লেগে ইলিয়াসের অনেকগুলি ভেড়ার মৃত্যু হয়েছিল।

অনেক গোরু-মোষ না খেয়ে মরল – কেন?

দুর্ভিক্ষের ফলে খড়ের অভাবে শীতকালে অনেক গোরু-মোষ না খেতে পেয়ে মারা যায়।

কারা ইলিয়াসের সবচেয়ে ভালো ঘোড়াগুলি চুরি করেছিল?

কিরবিজরা ইলিয়াসের সবচেয়ে ভালো ঘোড়াগুলি চুরি করেছিল।

কখন ইলিয়াসের শরীরের জোর কমতে লাগল?

সম্পত্তি কমে গিয়ে ইলিয়াসের অবস্থার যত অবনতি ঘটতে লাগল ততই তার শরীরের জোরও কমতে লাগল।

সত্তর বছর বয়সে দুর্দশার চরমে নেমে ইলিয়াস কী কী বিক্রি করতে বাধ্য হল?

সত্তর বছর বয়সে দুর্দশার চরমে নেমে ইলিয়াস তার পশমের কোট, কম্বল, ঘোড়ার জিন, তাঁবু এবং গৃহপালিত পশুগুলি বিক্রি করতে বাধ্য হল।

বৃদ্ধ বয়সে ইলিয়াস ও তার স্ত্রী কোথায় বাস করত ও কীভাবে খাবার জোগাড় করত?

ইলিয়াস ও তার স্ত্রী অপরিচিত লোকের বাড়িতে বাস করত এবং তাদের যাবতীয় কাজ করে খাবার জোগাড় করত।

ইলিয়াসের স্ত্রীর নাম কী?

ইলিয়াসের স্ত্রীর নাম ছিল শাম-শেমাগি।

বৃদ্ধ বয়সে ইলিয়াসের সম্বল বলতে কী রইল?

ইলিয়াসের সম্বল ছিল লোমের তৈরি একটি কোট, টুপি, জুতো এবং বুট সমেত একটা বোঁচকা আর স্ত্রী শাম-শেমাগি।

বৃদ্ধ দম্পতিকে সাহায্য করার তখন কেউ নেই – কেন?

ইলিয়াসের বিতাড়িত ছোটো পুত্র বিদেশে থাকত এবং একমাত্র মেয়েও মারা যাওয়ায় ইলিয়াস ও শাম-শেমাগিকে সাহায্যের কেউ ছিল না।

বৃদ্ধ ইলিয়াসকে দেখে কার তার প্রতি করুণা হয়েছিল?

বৃদ্ধ ইলিয়াসকে দেখে মহম্মদ শা নামে এক প্রতিবেশীর করুণা হয়েছিল।

আর লোকও ভালো — এখানে ভালো লোক কে?

লিও তলস্তয়ের ইলিয়াস গল্পের উদ্ধৃতাংশটিতে ইলিয়াসের প্রতিবেশী মহম্মদ শা-কে ভালো লোক বলা হয়েছে।

তার খুব দুঃখ হলো — কার, কেন দুঃখ হল?

আর্থিক সচ্ছলতার সময়ে ইলিয়াস অত্যন্ত অতিথিবৎসল ছিল। ইলিয়াসের দুঃখের দিনে সেই কথা স্মরণ করে মহম্মদ শা-র দুঃখ হল।

মহম্মদ শা ইলিয়াসকে কী কাজ দিল?

মহম্মদ শা ইলিয়াসকে গ্রীষ্মকালে তরমুজের খেত দেখভাল করা এবং শীতকালে গোরু-ঘোড়াদের খাওয়ানোর কাজ দিয়েছিল।

ইলিয়াসের স্ত্রীর জন্য মহম্মদ শা কী কাজ দিয়েছিল?

মহম্মদ শা ইলিয়াসের স্ত্রীকে ঘোটকীদের দুধ দোয়ানো এবং কুমিস তৈরির কাজ দিয়েছিল।

এছাড়া যদি কখনও কিছু লাগে, বলবে, তাও দেবো। – কে, কাকে এ কথা বলেছিল?

বৃদ্ধ ইলিয়াসের প্রতিবেশী মহম্মদ শা ইলিয়াসকে এ কথা বলেছিল।

ইলিয়াস ও তার স্ত্রী মহম্মদ শা-র বাড়িতে কীসের মতো কাজ করত?

ইলিয়াস ও তার স্ত্রী মহম্মদ শা-র বাড়িতে ভাড়াটে মজুরের মতো কাজ করত।

ক্রমে ক্রমে সব সয়ে গেল — কার কী সয়ে গেল?

বৃদ্ধ ইলিয়াস ও তার স্ত্রী প্রতিবেশী মহম্মদ শা-র বাড়িতে থেকে ভাড়াটে মজুরের মতো পরিশ্রম করত। প্রথমদিকে কষ্ট হলেও পরে তাদের এই পরিশ্রম সয়ে যায়।

তা ছাড়া তারা অলস নয় – কারা অলস নয়?

লিও তলস্তয়ের ইলিয়াস গল্পের উদ্ধৃতাংশে বৃদ্ধ ইলিয়াস ও তার স্ত্রী শাম-শেমাগির সম্পর্কে বলা হয়েছে যে তারা অলস নয়।

তবু এই সম্পন্ন মানুষ দুটির দুরবস্থা দেখে – সম্পন্ন মানুষ দুটি কারা?

উদ্ধৃতাংশে সম্পন্ন মানুষ দুটি বলতে একসময়ের ধনী বৃদ্ধ ইলিয়াস ও তার স্ত্রী শাম-শেমাগির কথা বলা হয়েছে।

মহম্মদ শা-র বাড়িতে আসা আত্মীয়দের মধ্যে একজন কী ছিলেন?

মহম্মদ শা-র বাড়িতে আগত আত্মীয়দের মধ্যে একজন ছিলেন মুসলিম পণ্ডিত বা মোল্লাসাহেব।

মহম্মদ শা অতিথিদের জন্য কী মারতে বলেছিল?

মহম্মদ শা অতিথিদের জন্য একটি ভেড়া মারতে বলেছিল।

বিশেষত্ব এই যে — কার বিশেষত্বর কথা বলা হয়েছে?

বৃদ্ধ চাকর ইলিয়াস, যে একসময় এলাকার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ছিল, তার বিশেষত্বর কথাই বলতে চেয়েছেন মহম্মদ শা।

এ তল্লাটের সবচেয়ে ধনী ছিল – কে সবচেয়ে ধনী ছিল?

আলোচ্য উদ্ধৃতাংশে বৃদ্ধ ইলিয়াস একসময় এলাকার সবচেয়ে ধনী ছিল।

কিন্তু তার সুনাম ছড়িয়েছিল বহুদূর – কার সুনামের কথা বলা হয়েছে?

আলোচ্য উদ্ধৃতাংশে বর্তমানে দরিদ্র বৃদ্ধ কিন্তু একসময়ের ধনী ও অতিথিপরায়ণ ইলিয়াসের সুনামের কথা বলা হয়েছে।

অতিথি সবিস্ময়ে জিভ দিয়ে চুক্‌-চুক্‌ শব্দ করল — অতিথিদের বিস্ময়ের কারণ কী?

একসময়ের ধনী এবং অতিথিপরায়ণ ইলিয়াস ও তার স্ত্রী মহম্মদ শার বাড়িতে মজুরের কাজ করার কথায় অতিথিদের বিস্ময় জাগে।

অতিথির মতে ভাগ্য কীসের মতো ঘোরে?

মহম্মদ শা-র বাড়িতে আগত অতিথির মতে ভাগ্য চাকার মতো ঘোরে।

লোকটির সঙ্গে একটু কথা বলতে পারি কি? – কে, কোন্ লোকটির সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছেন?

মহম্মদ শা-র বাড়িতে আগত অতিথি বর্তমানে মহম্মদ শা-র মজুর বৃদ্ধ ইলিয়াসের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন।

বাবাই, একবার এদিকে এসো তো – বাবাই বলে কাকে সম্বোধন করা হয়েছে?

আলোচ্য উদ্ধৃতাংশে বৃদ্ধ ইলিয়াসকে বাবাই বলে সম্বোধন করা হয়েছে।

অতিথি ইলিয়াসকে কী জিজ্ঞাসা করেছিলেন?

সুখসমৃদ্ধির জীবন হারিয়ে বর্তমান দুরবস্থার কথা ভেবে ইলিয়াসের মানসিক কষ্ট হয় কি না, অতিথি তা জানতে চেয়েছিলেন।

তাঁর মনেও যা মুখেও তাই — কার মন ও মুখ সমান?

লিও তলস্তয়ের ইলিয়াস গল্পের ইলিয়াসের বৃদ্ধা স্ত্রী শাম-শেমাগির এমন ও মুখ সমান বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে তিনিই পুরো সত্য বলতে পারবেন — কোন্ বিষয়ের কথা বলা হয়েছে?

এ বিষয়ে বলতে বৃদ্ধ ইলিয়াস ও তার স্ত্রীর অতীত জীবনের সুখসমৃদ্ধি এবং বর্তমান জীবনের দুরবস্থায় মানসিক কষ্টের কথা বলা হয়েছে।

অতিথিরা পর্দার দিকে তাকিয়ে ইলিয়াসের স্ত্রীর কাছে কী জানতে চেয়েছিলেন?

অতিথিরা ইলিয়াসের স্ত্রী-র কাছে আগেকার সুখী জীবন আর এখনকার কষ্টের জীবন সম্পর্কে তার মনের কথা জানতে চেয়েছিলেন।

কত বছর ধরে ইলিয়াস ও তার স্ত্রী একত্রে বাস করেছে?

দীর্ঘ পঞ্চাশ বছর ধরে ইলিয়াস ও তার স্ত্রী একত্রে বাস করেছে।

কিন্তু কখনও পাইনি — কখনও কে কী পায়নি?

দাম্পত্যের পঞ্চাশ বছরেও ইলিয়াস এবং তার স্ত্রী সম্পত্তির চিন্তায় সুখের সন্ধান পায়নি।

তখন আমরা পেয়েছি সত্যিকারের সুখ — কখন সত্যিকারের সুখ পাওয়া গেছে?

সর্বহারা হয়ে মহম্মদ শা-র বাড়িতে মজুরের কাজ করা ইলিয়াস দম্পতির পাওয়া প্রকৃত সুখের কথা বলা হয়েছে।

অতিথিরা বিস্মিত – কেন?

ধনীজীবনে সুখের সন্ধান না পেয়ে ভাড়াটে মজুরের জীবনে সত্যিকারের সুখের সন্ধান তাঁরা পেয়েছেন— শাম-শেমাগির মুখে এ কথা শুনে অতিথিরা বিস্মিত হয়।

কথা বলবার সময় নেই। — কখন কথা বলবার সময় ছিল না?

ইলিয়াস দম্পতি যখন ধনী ছিল তখন ইলিয়াস ও তার স্ত্রী শাম- শেমাগির নিজেদের মধ্যে কথা বলার সময় ছিল না।

ফলে সারারাত ঘুমই ছিল না। — সারারাত ঘুম না থাকার কারণ কী ছিল?

রাতে ঘুমোতে গিয়ে দুশ্চিন্তা হত যে মা-ভেড়া হয়তো বাচ্চাগুলোকে চেপে মেরে ফেলল, তাই সারারাত ঘুম হত না।

নিজেদের স্বার্থে তাদের ওপর নজর রাখি — কীসের প্রতি নজর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে?

মজুররা ঠিকমতো পরিশ্রম করছে কি না সেদিকে নজর রাখার কথা বলা হয়েছে।

অন্যদিকে দুশ্চিন্তা — কোন্ দুশ্চিন্তার কথা বলা হয়েছে?

নেকড়ে এসে ঘোড়ার বাচ্চা বা গোরুর বাছুর নিয়ে গেল কিনা কিংবা চোর এসে ঘোড়াগুলোকে নিয়ে গেল কি না — এই দুশ্চিন্তার কথা বলা হয়েছে।

অন্যের কাজ করার জীবনে শাম-শেমাগিরা কীসের সময় খুঁজে পেয়েছিল?

মহম্মদ শা-র কাজ করার সময় শাম-শেমাগিরা মনের কথা আলোচনা করার বা ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করার সময় খুঁজে পেয়েছিল।

আমার স্ত্রী আর আমি অবুঝ ছিলাম – অবুঝ হওয়ায় তারা কী করেছিল?

দীর্ঘদিন ধনীজীবন কাটানোর কারণে ইলিয়াস আর তার স্ত্রী অবুঝ হয়ে সম্পত্তি হারিয়ে কেঁদেছিল।

ইলিয়াস গল্পটি একজন ধনী ব্যক্তির জীবনের দুঃখ-সুখের গল্প। ইলিয়াস একসময় এ তল্লাটের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ছিলেন। তার ছিল বিশাল সম্পত্তি, সুন্দর ঘর, এবং অনেক লোকজনের চাকর। কিন্তু একদিন তার সব সম্পত্তি খোয়া যায়। তিনি হয়ে যান একজন গরিব কৃষক।

ইলিয়াসের এই দুঃখের গল্প আমাদের অনেক কিছু শেখায়। প্রথমত, এটি আমাদের বোঝায় যে, ধন-সম্পত্তি চিরস্থায়ী নয়। দ্বিতীয়ত, এটি আমাদের বোঝায় যে, সুখ-দুঃখ জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তৃতীয়ত, এটি আমাদের বোঝায় যে, ধন-সম্পত্তির চেয়ে মানবতাই মূল্যবান।

Share via:

মন্তব্য করুন