নবম শ্রেণি – বাংলা – কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি – অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি একটি পাঠ্যক্রম যা বাংলা ভাষার নবম শ্রেণীতে অধ্যয়নের জন্য উন্নয়ন করা হয়েছে। এই পাঠ্যক্রমে কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। এই পাঠ্যক্রমে শিক্ষার্থীদের পরিচিত করানো হয় কলিঙ্গদেশে বৃষ্টির সময় হওয়া ঝড়ের ধরণ, ঝড়ের বৈশিষ্ট্য, তার কারণ এবং বিভিন্ন প্রভাব সম্পর্কে। এছাড়াও এই পাঠ্যক্রমে শিক্ষার্থীদের ঝড়-বৃষ্টি সম্পর্কিত সমস্যার সমাধান করার উপায় সম্পর্কে শেখানো হয়।

Table of Contents

কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি এই বিষয়টি বাংলা নবম শ্রেণী পাঠ্যপুস্তকের অন্তর্গত। এই পাঠ্যপুস্তকের মূল উদ্দেশ্য হল বাংলাদেশের একটি অঞ্চলে প্রচলিত ঝড়-বৃষ্টি নিয়ে ছাত্রদের পরিচিত করা এবং তাদের জ্ঞান ও বুদ্ধিমত্তা উন্নয়ন করা। এই বইয়ে কলিঙ্গদেশ এলাকার ঝড়-বৃষ্টি সম্পর্কে কবিতা বানিয়ে বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া হয়েছে যা একটি রচনামূলক উপাদান রয়েছে। এর পাশাপাশি বইটিতে সামগ্রিক বিষয় ভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর রয়েছে যা ছাত্রদের জ্ঞান ও বুদ্ধিমত্তা উন্নয়নে সাহায্য করবে।

বাংলা – কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি – অতিসংক্ষিপ্ত উত্তর ভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর

কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি কাব্যাংশটি কার লেখা, কোন্ কাব্যের অন্তর্গত?

কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি কাব্যাংশটি মধ্যযুগের কবি মুকুন্দ চক্রবর্তী রচিত চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের অন্তর্গত।

মুকুন্দ চক্রবর্তী রচিত চণ্ডীমঙ্গল কাব্যটি অন্য কী কী নামে পরিচিত?

মুকুন্দ চক্রবর্তী রচিত চণ্ডীমঙ্গল কাব্যটি অভয়ামঙ্গল, চণ্ডিকামঙ্গল, কবিকঙ্কণ চণ্ডী, অম্বিকামঙ্গল প্রভৃতি নামেও পরিচিত।

মুকুন্দ চক্রবর্তী রচিত চণ্ডীমঙ্গল কাব্যটির ক-টি খণ্ড ও কী কী?

মুকুন্দ চক্রবর্তী রচিত চণ্ডীমঙ্গল কাব্যটির দুটি খণ্ড, যথা- আখেটিক খণ্ড এবং বণিক খণ্ড।

কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের কোন্ খণ্ডের অন্তর্গত?

কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি কাব্যাংশটি চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের আখেটিক খণ্ডের অন্তর্গত।

দেখিতে না পায় কেহ অঙ্গ আপনার। কলিঙ্গবাসী নিজেদের অঙ্গ দেখতে পাচ্ছে না কেন?

চারদিকের আকাশ মেঘে আচ্ছন্ন হওয়ায় সমগ্র কলিঙ্গদেশ অন্ধকারে ঢেকে গেছে, ফলে কলিঙ্গবাসী নিজেদের অঙ্গ দেখতে পাচ্ছেন না।

চারি মেঘে বরিষে মুষলধারে জল। — চারিমেঘ কী কী?

চারি মেঘ হল মেঘের চারটি রূপ – সম্বর্ত, আবর্ত, পুষ্কর এবং দ্রোণ ৷

উচ্চনাদে কলিঙ্গে কীসের ডাক শোনা গিয়েছে?

ঘন মেঘে ঢাকা কলিঙ্গের আকাশে জোরে জোরে মেঘের ডাক শোনা গিয়েছে।

প্রলয় গণিয়া প্রজা ভাবয়ে বিষাদ। — মন্তব্যটির অর্থ লেখো।
অথবা, কলিঙ্গের প্রজাদের মন বিষাদগ্রস্ত কেন?

চারদিক মেঘে ঢাকা অবস্থায় মুশলধারে বৃষ্টিপাতের সঙ্গে ঘনঘন মেঘের ডাকে প্রজারা ভয়াবহ বিপদের আশঙ্কায় বিষাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।

হুড় হুড় দুড় দুড় বহে ঘন ঝড়। — উক্তিটির তাৎপর্য কী?

উদ্ধৃতাংশটিতে কলিঙ্গদেশে মেঘের প্রবল গর্জন এবং মুশলধারে বৃষ্টিপাতের সঙ্গে যে প্রচণ্ড ঝড় হচ্ছিল তার ভয়ানক রূপ প্রকাশ পাচ্ছে।

বিপাকে ভবন ছাড়ি প্রজা দিল রড়। — কোন্ বিপাকে পড়ে প্রজারা পালিয়েছিল?

মুশলধারায় বৃষ্টিপাতের সঙ্গে ভয়ংকর ঝড়ের তাণ্ডব শুরু হওয়ায় আসন্ন বিপদের কথা ভেবে প্রজারা নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছিল।

শ্রীকবিকঙ্কণ কার উপাধি?

শ্রীকবিকঙ্কণ চণ্ডীমঙ্গল কাব্যধারার শ্রেষ্ঠ কবি মুকুন্দ চক্রবর্তীর উপাধি।

ধূলে আচ্ছাদিত হইল যে ছিল হরিত — লাইনটির অর্থ লেখো।

উদ্ধৃত পঙ্ক্তিটির অর্থ হল সবুজ শস্যখেত ধুলোয় ঢেকে গেল।

প্রজা চমকিত। — কোথাকার প্রজা কেন চমকিত হল?

বিধ্বংসী ঝড়বৃষ্টির তাণ্ডবে সমগ্র কলিঙ্গদেশ ধুলোয় ঢেকে যায় এবং প্রবল দুর্যোগে শস্যখেতের ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় সেখানকার প্রজারা চমকিত হয়।

চারি মেঘে জল দেয় অষ্ট গজরাজ। — চারি মেঘ – এর নাম লেখো।

চারি মেঘ হল সম্বর্ত, আবর্ত, পুষ্কর এবং দ্রোণ।

চারদিকে মেঘে জল দেয় কারা?

কলিঙ্গদেশে প্রবল ঝড়বৃষ্টির সময় চারদিকে মেঘে জল দিয়েছিল অষ্ট গজরাজ বা আটটি শ্রেষ্ঠ হাতি।

জলধারার বর্ষণকে কীসের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে?

জলধারার প্রবল বর্ষণকে করি-কর অর্থাৎ হাতির শুঁড় দিয়ে জল ঢালার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।

করি-কর সমান বরিষে জলধারা – করি কর শব্দের অর্থ কী?

করি শব্দের অর্থ হাতি ও কর অর্থ হাত। কিন্তু করি কর এই শব্দবন্ধে উল্লিখিত অংশে হাতির শুঁড় বুঝিয়েছে।

কারো কথা শুনিতে না পায় কোনো জন। — কারও কথা শুনতে না পাওয়ার কারণ কী?

প্রবল বৃষ্টিপাতের সঙ্গে বারবার মেঘের প্রবল গর্জনে কলিঙ্গবাসীরা কেউ কারও কথা শুনতে পাচ্ছিল না।

মেঘ ঝড়বৃষ্টির থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কলিঙ্গবাসী কার কথা স্মরণ করেছেন?
অথবা, কলিঙ্গবাসী জৈমিনিকে স্মরণ করে কেন?

মেঘ ঝড়বৃষ্টির সঙ্গে প্রবল বজ্রপাতেরও হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কলিঙ্গবাসী ঋষি জৈমিনির কথা স্মরণ করেছেন।

জৈমিনি কে?

ঋষিপুরুষ জৈমিনি হলেন মীমাংসা দর্শনের রচয়িতা এবং ব্যাসদেবের শিষ্য।

না পায় দেখিতে কেহ রবির কিরণ। — রবির কিরণ দেখতে না পাওয়ার কারণ কী?

ভয়ংকর কালো মেঘে চারদিক ঢেকে গিয়ে প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে কেউ সূর্যরশ্মি দেখতে পাচ্ছিল না।

গর্ত ছেড়ে কারা জলে ভেসে বেড়াচ্ছে?

প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে কলিঙ্গদেশ জলমগ্ন হয়ে যাওয়ায় গর্ত ছেড়ে সাপ জলে ভেসে বেড়াচ্ছে।

কলিঙ্গদেশে কত দিন টানা বৃষ্টিপাত হয়েছিল?

কলিঙ্গদেশে টানা সাত দিন প্রবল বৃষ্টিপাত হয়েছিল।

সাত দিনের বৃষ্টিতে কৃষিকাজ ও ঘরবাড়ির কী ক্ষতি হল?

সাত দিনের বৃষ্টিতে শস্যখেত জলে ডুবে যাওয়ায় ফসল নষ্ট হয়ে গেল এবং প্রবল শিলাবৃষ্টিতে বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেল।

ভাদ্রপদ মাসে যেন পড়ে থাকা তাল। — কবি কোন্ বিষয়ের সঙ্গে এমন তুলনা করেছেন?

প্রবল ঝড়বৃষ্টিতে ঘরের চাল ভেদ করে যে শিল মেঝেতে এসে পড়ে তার সঙ্গে ভাদ্র মাসের পাকা তালের তুলনা করা হয়েছে।

কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি কাব্যাংশে শিল পড়াকে কীসের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে?

কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি কাব্যাংশে বড়ো আকারের শিল পড়াকে ভাদ্র মাসে তাল পড়ার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।

চণ্ডীর আদেশ পান বীর হনুমান। — আদেশ পেয়ে হনুমান কী করেছিল?

দেবী চণ্ডীর আদেশ পেয়ে বীর হনুমান মঠ, অট্টালিকা ভেঙে খানখান করেছিল।

উঠে পড়ে ঘরগুলা করে দলমল। – এর কারণ কী?

পর্বতের সমান নদীর ঢেউয়ের দাপটে কলিঙ্গদেশের বাড়িঘর জলে ভাসতে ভাসতে টলমল করছিল।

চণ্ডীর আদেশে নদনদী কী করে?

চণ্ডীর আদেশে নদনদীরা ছুটে যায়, আর চারদিকে তারা পর্বতের সমান ঢেউ তোলে।

মঙ্গলকাব্য কাকে বলে?

আনুমানিক খ্রিস্টীয় ত্রয়োদশ শতক থেকে অষ্টাদশ শতক পর্যন্ত বাংলাদেশের সমাজজীবনে লোকদেবতার প্রশস্তিমুখর যে বিশেষ এক শ্রেণির ধর্ম বিষয়ক আখ্যানকাব্য প্রচলিত ছিল, বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে সেই কাহিনিকাব্য মঙ্গলকাব্য নামে পরিচিত।

মঙ্গলকাব্য কয় প্রকার?

মঙ্গলকাব্য প্রধানত চার প্রকার।

মঙ্গলকাব্যের প্রকারভেদ লেখো।

মঙ্গলকাব্যের মূলত চারটি ভাগ। যেমন – মনসামঙ্গল, ধর্মমঙ্গল, চণ্ডীমঙ্গল, অন্নদামঙ্গল। এ ছাড়াও মঙ্গলকাব্যের বহু অপ্রধান শাখা তৎকালীন সমাজে প্রচলিত ছিল। যেমন — শীতলামঙ্গল, ষষ্ঠীমঙ্গল, রায়মঙ্গল, পঞ্চাননমঙ্গল ইত্যাদি।

মঙ্গলকাব্যের দুটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।

মঙ্গলকাব্যের দুটি বৈশিষ্ট্য হল —
1. গ্রন্থারম্ভে দেববন্দনা ও গ্রন্থউৎপত্তির কারণ বর্ণিত হবে।
2. বারোমাস্যা, চৌতিশা, নারীগণের পতিনিন্দা ইত্যাদি বর্ণনা এই কাব্যে উপস্থিত থাকবে।

অভয়ামঙ্গল বা অম্বিকামঙ্গল – এ কোন্ দেবীর মহিমা ব্যক্ত হয়েছে?

অভয়ামঙ্গল বা অম্বিকামঙ্গল – এ কোন্ দেবীর মহিমা ব্যক্ত হয়েছে?

কবিকঙ্কণ কোন্ কবির উপাধি?

কবিকঙ্কণ কবি মুকুন্দ চক্রবর্তীর উপাধি।

কবিকঙ্কণ মুকুন্দ জন্মস্থান কোথায়?

বর্ধমান জেলায় রত্নানদী তীরস্থ দামিন্যা গ্রামে কবিকঙ্কণ মুকুন্দ জন্মগ্রহণ করেন।

কবি মুকুন্দ চক্রবর্তীর পিতা ও মাতার নাম লেখো।

কবি মুকুন্দ চক্রবর্তীর পিতার নাম হৃদয় মিশ্র ও মাতার নাম দৈবকী।

মুকুন্দ চক্রবর্তী কোন সময়ের কবি?

মুকুন্দ চক্রবর্তী ষোড়শ শতকের কবি। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে যুগবিভাজন পর্বের বিচারে মধ্যযুগের কবি তিনি।

কবি মুকুন্দ কোন্ রাজার সভাকবি ছিলেন?

কবি মুকুন্দ চক্রবর্তী বাঁকুড়া রায়ের পুত্র রঘুনাথ রায়ের সভাকবি ছিলেন।

কবি মুকুন্দ চক্রবর্তীর লেখা মঙ্গলকাব্যের নাম কী?

কবি মুকুন্দ চক্রবর্তীর লেখা মঙ্গলকাব্যের নাম অভয়ামঙ্গল।

চণ্ডীমঙ্গল কার লেখা?

চণ্ডীমঙ্গল কবিকঙ্কণ মুকুন্দ চক্রবর্তীর লেখা।

কবি মুকুন্দ চক্রবর্তীর লেখা পাঠ্যকবিতার নাম কী?

কবি মুকুন্দ চক্রবর্তীর লেখা পাঠ্যকবিতার নাম ‘কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি’।

কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি কোন্ কাব্যের অন্তর্গত?

কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি পদ্যাংশটি কবি মুকুন্দ চক্রবর্তী রচিত ‘অভয়ামঙ্গল’ কাব্যের ‘আখেটিক’ খণ্ডের অন্তর্গত।

এই কবিতায় কোন প্রদেশের কথা আছে?

এই কবিতায় কলিঙ্গ প্রদেশের কথা আছে।

কলিঙ্গের বর্তমান নাম কী?

কলিঙ্গের বর্তমান নাম উড়িষ্যা বা ওড়িশা।

কলিঙ্গদেশে অন্ধকার নেমে এল কীভাবে?

মুকুন্দ চক্রবর্তী বিরচিত কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি কবিতায় ঘন মেঘে আকাশ আচ্ছন্ন হয়ে কলিঙ্গদেশে অন্ধকার নেমে এসেছিল।

কেউ নিজের অঙ্গ দেখতে পায়নি কেন?

কলিাদেশের আকাশ ঘন কালো মেঘে আবৃত হয়ে যায়, ফলে দিনের বেলাতেই যেন রাতের আঁধার নেমে আসে। এর ফলে দৃশ্যমানতা কমে গেলে প্রজারা নিজের অঙ্গ দেখতে পায় না।

কোন প্রান্তে চিকুর সমনে উড়ল?

ঈশান কোণে চিকুর সঘনে উড়ল।

সমনে শব্দের অর্থ কী?

সঘনে শব্দের অর্থ ঘন ঘন।

চিকুর কথার অর্থ কী?

চিকুর কথার অর্থ চুল বা কেশ হলেও পাঠ্যাংশে ‘চিকুর’ কথার অর্থ তীব্রবিদ্যুৎ বা বাজ।

কোথায় মেঘ ডাকে?

কবি মুকুন্দ চক্রবর্তী রচিত কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি কবিতায় উত্তর পবনে দুরদুর শব্দে মেঘ ডাকে।

কত প্রকার মেঘে জল দেয়?

মুকুন্দ চক্রবর্তী রচিত কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি কবিতায় চার প্রকার মেঘে জল দেয়। পুরাণ মতে সেই চার প্রকার মেঘ হল – সম্বত, আবর্ত, পুষ্কর, দ্রোণ।

চারি মেঘে কেমন বর্ষণ হচ্ছিল?

কবিকঙ্কণ রচিত কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি পদ্যাংশে কলিঙ্গদেশে চারি মেঘে মুষলধারায় বর্ষণ হচ্ছিল।

নাদ শব্দের অর্থ কী?

নাদ শব্দের অর্থ তীব্র আওয়াজ।

কারা প্রলয় গুণল?

কবি মুকুন্দ চক্রবর্তী রচিত কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি কবিতায় কলিঙ্গদেশের প্রজারা প্রলয় গুণল।

কারা ভবন ছাড়ল?

কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি কবিতাংশে কলিঙ্গদেশের প্রজারা ভবন ছাড়ল।

প্রজারা ভবন ছেড়ে বেরিয়ে গেল কেন?

কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি পদ্যাংশে কলিঙ্গদেশে প্রচণ্ড ঝড়ের দাপটে প্রজারা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে প্রাণ রক্ষার্থে ভবন ছেড়ে বেরিয়ে গেল।

রড় শব্দের অর্থ কী?

রড় শব্দের অর্থ ছুট বা দৌড়।

হরিত শব্দের অর্থ কী?

হরিত শব্দের অর্থ সবুজ।

ধূলে আচ্ছাদিত হইল যে ছিল হরিত। — বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?

কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি’ কবিতাংশে কবি মুকুন্দ চক্রবর্তী বলতে চেয়েছেন কলিঙ্গদেশে প্রবল ঝড়ের দাপটে উড়ে আসা ধুলোর আস্তরণে সমস্ত সবুজ আচ্ছাদিত হয়েছিল।

কী উলটে পড়েছিল?

মুকুন্দ চক্রবর্তী রচিত ‘কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি’ কবিতায়খেতের শস্য উলটে পড়েছিল।

প্রজা চমকিত হয়েছিল কেন?

কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি ও বজ্রপাতের ফলে এক দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া সৃষ্টি হয়। ঝড়ের দাপটে মাঠের শস্য উপড়ে পড়ে লন্ডভন্ড হয়ে যায়। তা দেখে প্রজ্ঞা চমকিত হয়েছিল।

গজ শব্দের দুটি সমার্থক শব্দ লেখো।

গজ শব্দের দুটি সমার্থক শব্দ হস্তী,মাতঙ্গ।

অষ্ট গজরাজ কী করেছিল?

 অষ্ট গজরাজ চার মেঘের সহায়তায় প্রবল বৃষ্টিপাত ঘটিয়েছিল। পুরাণ মতে অষ্টগজরাজ হল – ঐরাবত, পুন্ডরীক, বামন,কুমুদ, অঞ্জন, পুষ্পদত্ত, সার্বভৌম ও সুপ্রতীক।

বেঙ্গ-তড়কা কথার অর্থ কী?

বেঙ্গ তড়কা কথার অর্থ ব্যাঙের মতো তড়াক করে লাফ দেওয়া।

বরিষে শব্দের গদ্যরূপ কী?

 বরিষে শব্দের গদ্যরূপ বর্ষণ করে।

মহী শব্দের দুটি সমার্থক শব্দ লেখো।

মহী শব্দের দুটি সমার্থক শব্দ হল – পৃথিবী, ভুবন।

পথ চেনা যায় না কেন?

কলিঙ্গদেশে প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে জলস্থল একাকার হয়েপথ হারিয়ে যায়।

কেউ কারোর কোনো কথা শুনতে পায় না কেন?

 কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি’ পদ্যাংশে মেঘের গর্জনের তীব্রতায় কেউ কারোর কোনো কথা শুনতে পায় না।

পরিচ্ছিন্ন কথাটির অর্থ কী?

পরিচ্ছিন্ন কথাটির অর্থ হল বিভক্ত বা বিচ্ছিন্ন।

কলিঙ্গদেশে সন্ধ্যা দিবস রজনী – র কী অবস্থা?

কলিঙ্গদেশের আকাশ ঘন কালো মেঘে আচ্ছন্ন। প্রবলবৃষ্টিপাতের ফলে সন্ধ্যা দিবস রজনী পৃথকভাবে দৃশ্যমান হচ্ছে না। একটানা আঁধারে দিনরাতের সীমানা মুছে গেছে।

কলিঙ্গে সোত্তরে — কথার অর্থ কী?

কলিঙ্গে সোঙরে’ কথার অর্থ কলিাদেশ স্মরণ করে।

জৈমিনি কে?

জৈমিনি মুনি মীমাংসা দর্শন প্রণেতা। জৈমিনি মুনির অপর নাম বজ্রপাত নিবারক। তাই বজ্রপাতের সময় তার নামকীর্তন করা হয়।

হুড়হুড়, দুড়দুড়, ঝনঝন কী ধরনের শব্দ?

হুড়হুড়, দুড়পুড়, ঝনঝন ধ্বন্যাত্মক শব্দ।

না পায় দেখিতে কেহ – কী দেখতে পায় না?

কলিঙ্গদেশের প্রজারা ঘন কালো মেঘে ছাওয়া অন্ধকারে দিনে নিজের অঙ্গ বা দেহ দেখতে পায় না।

কলিঙ্গদেশে কেন কেউ ‘রবির কিরণ দেখতে পায় না?

কবিকঙ্কণ রচিত কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি পদ্যাংশে কলিঙ্গদেশের আকাশে ঘন কালো মেঘের আড়ালে সূর্য ঢাকা পড়ে যাওয়ায় দৃশ্যমানতা একদম নষ্ট হয়ে যায়। ফলে ‘রবির কিরণ’ দেখা যায় না।

ভুজঙ্গ শব্দের দুটি প্রতিশব্দ লেখো।

ভুজঙ্গ শব্দের দুটি প্রতিশব্দ – ফণী, সৰ্প।

গর্ত ছেড়ে কে বেরোল?

মুকুন্দ চক্রবর্তী রচিত ‘কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি’ কবিতায়ভুজঙ্গ অর্থাৎ সাপ গর্ত ছেড়ে বেরোল। 

নিরন্তর কতদিন বৃষ্টি হয়েছে কলিঙ্গদেশে?

কলিঙ্গদেশে নিরস্তর সাতদিন বৃষ্টি হয়েছে।

কী হেজ্যা গেল?

কলিঙ্গবাসীর ঘর হেজ্যা গেল।

হেজ্যা গেল ঘর। কথার অর্থ কী?

মুকুন্দ চক্রবর্তী রচিত কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি পদ্যাংশে সাতদিনের প্রবল বর্ষায় জল ঢুকে বাড়িঘর নষ্ট হয়ে গেল। এ কথাই বোঝানো হয়েছে।

কী ভেদ করে শিল পড়ে?

মুকুন্দ চক্রবর্তী রচিত ‘কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি’ কবিতায় কলিঙ্গবাসীর ঘরের চাল ভেদ করে শিল পড়ে।

কবিতায় চাল শব্দের অর্থ কী? সাধারণভাবে চাল শব্দের অর্থ কী?

কবিতায় ‘চাল’ শব্দের অর্থ ঘরের আচ্ছাদন বা ছাউনি।
সাধারণভাবে চাল শব্দের অর্থ ধান থেকে জাত দানা, যা দিয়ে ভাত প্রস্তুত করা হয়’ কিংবা মতলব।

শিলকে কীসের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে?

মুকুন্দ চক্রবর্তী রচিত কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি কবিতায় শিলকে ভাদ্রমাসে পড়ে থাকা তালের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।

কবিতায় কোন মাসের কথা পাওয়া যায়?

মুকুন্দ চক্রবর্তীর কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি কবিতায় ভাদ্র মাসের কথা পাওয়া যায়।

কোন্ মাসে তাল পড়ে?

কলিাদেশে ঝড়-বৃষ্টি কবিতায় ভাদ্র মাসে পড়ে।

বীর হনুমান কার আদেশ পান?

কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি’ পদ্যাংশে বীর হনুমান দেবী চণ্ডীরআদেশ পান। 

কী কী ভেঙে খানখান হয়েছে?

কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি’ পদ্যাংশে মঠ, অট্টালিকা ভেঙে খানখান হয়েছে।

কে মঠ অট্টালিকা ভেঙে খানখান করে?

মুকুন্দ চক্রবর্তী রচিত ‘কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি’ পদ্যাংশে দেবী চণ্ডীর আদেশে বীর হনুমান মঠ অট্টালিকা ভেঙে খানখানকরে।

ঢেউগুলির আকৃতি কেমন ছিল?

কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি কাব্যাংশে প্রবল জলোচ্ছ্বাসের কারণে ঢেউগুলি পর্বতের ন্যায় বিশাল ছিল। 

ঘরগুলির কী অবস্থা হয়েছিল?

কলিঙ্গদেশে সংঘটিত প্রচণ্ড দুর্যোগে পর্বতসম ঢেউয়ের আঘাতে প্রজাদের ঘরগুলি ধ্বংস হওয়ার অবস্থা হয়েছিল।

নদনদীগণ কার আদেশে ধায়?

কবিকঙ্কণ রচিত ‘কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি’ কবিতায় দেবীচণ্ডীর আদেশে নদনদীগণ ধায়।

অম্বিকা কার নাম?

মুকুন্দ চক্রবর্তী রচিত কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি কবিতায় অম্বিকা দেবী চণ্ডীর নাম।

শ্রীকবিকঙ্কণ কার গান গেয়েছেন?

শ্রীকবিকঙ্কণ দেবী অম্বিকার তথা চণ্ডীর স্তুতিগান ‘অম্বিকামঙ্গল’গেয়েছেন।

শ্রীকবিকঙ্কণ কার গান গেয়েছেন?

শ্রীকবিকঙ্কণ দেবী অম্বিকার তথা চণ্ডীর স্তুতিগান অম্বিকামঙ্গল গেয়েছেন।

উপরে বর্ণিত পাঠ্য থেকে বুঝা যাচ্ছে যে কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি সাধারণত বৈশিষ্ট্যপূর্ণ প্রকৃতির অধিকারী। এই পরিস্থিতিতে মানুষ ও প্রাণীর জীবনকে বিপর্যস্ত করতে পারে এবং অসুখ, মৃত্যু ও নির্বাসনের কারণ হতে পারে। তাই এই বিষয়টি নবম শ্রেণির বাংলা পাঠ্যবইয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও এই পাঠ্য থেকে বিভিন্ন প্রকার প্রশ্ন প্রদত্ত হয় যা শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা প্রস্তুতি করার জন্য সহায়তা করে। এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল নিরাপদ থাকা এবং প্রকৃতির সংরক্ষণে সহযোগিতা করা।

Share via:

মন্তব্য করুন