নবম শ্রেণী – বাংলা – কর্ভাস – অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

‘কর্ভাস’ গল্পটি লেখেন সত্যজিৎ রায়।

1379 বঙ্গাব্দে ‘আনন্দমেলা’ পূজাবার্ষিকী-তে গল্পটি প্রকাশিত হয়। পরে ‘কর্ভাস’ গল্পটি ‘সাবাস প্রোফেসর শঙ্কু’ নামক গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত হয়।

ডায়ারির আদলে লেখা গোয়েন্দাধর্মী ও গবেষণামূলক গল্প হল ‘কর্ভাস’।

ল্যাটিন শব্দ ‘কর্ভাস’ -এর অর্থ কাক।

গল্পে ডায়ারির মোট 9টি তারিখের উল্লেখ আছে; যথা – 15/8, 20/9, 27/9, 4/10, 20/10, 22/10, 7/11, 10/11, 14/11।

পক্ষীবিষয়ক বিজ্ঞান শাখাটির নাম হল ‘অরনিথলজি’।

শঙ্কুদের পরিবারের পোষা ময়না ভূমিকম্প বলে চিৎকার করেছিল।

সিসমোগ্রাফ যন্ত্রে ভূকম্পন মাপা হয়।

প্রফেসার-গবেষক এবং বিজ্ঞানী শঙ্কুর পাখি সম্পর্কে কৌতূহল ছিল।

শঙ্কুর বেড়াল নিউটন ছিল তাঁর একাকী জীবনের বহুদিনের সাথি।

বয়সের কারণে নিউটন পাখি সম্বন্ধে অনেকটা উদাসীন হয়ে পড়েছে।

কাক, চড়ুই, শালিক প্রায়শই আসত শঙ্কুর ল্যাবরেটরিতে।

বাবুই পাখির বাসা বোনার কৌশল দেখে স্তম্ভিত হয়ে যান প্রফেসার শঙ্কু।

অস্ট্রেলিয়ার পাখি ম্যালি-ফাউল মাটির ভিতর বাসা বাঁধে।

মাটির ভিতর ম্যালি-ফাউলের বাসার তাপমাত্রা থাকে 78° ফারেনহাইট।

গ্রিব পাখির বিশেষত্ব হল তারা নিজের পালক ছিঁড়ে নিজে খায় আর তার শাবকদের খাওয়ায়।

দেহের স্পেসিফিক গ্র্যাভিটি বাড়িয়ে নিয়ে গলা অবধি জলে ডুবে গ্রিব পাখি আত্মরক্ষা করে।

‘কর্ভাস’ গল্পে পাখিদের দিকনির্ণয়, শিকারক্ষমতা, ঘ্রাণশক্তি ও সংগীতপ্রতিভার উল্লেখ আছে।

‘অরনিথন’ যন্ত্রের দ্বারা পাখির মস্তিষ্কের মধ্যে মানুষের বুদ্ধি সঞ্চারিত করা সম্ভব হবে।

‘অরনিথন’ যন্ত্রটির দুটি অংশ – একটি খাঁচা, অন্যটি বৈদ্যুতিক যোগে পাখির মস্তিষ্কে জ্ঞান ও বুদ্ধির সঞ্চার ঘটানোর প্রকোষ্ঠ।

একটি সাধারণ কাক শঙ্কুকে বিশেষভাবে আকর্ষণ করত।

কাকটির ডান চোখের নীচে একটা সাদা ফুটকি দেখে এবং অন্যান্য কাকের চেয়ে হাবেভাবে একটু আলাদা হওয়ার কারণে কাকটিকে সহজেই চিনে নিতে পারতেন শঙ্কু।

কাকটি ঠোঁটে পেনসিল নিয়ে টেবিলের উপর আঁচড় কাটত।

একটি আধখোলা দেশলাই বাক্স থেকে কাঠি বার করে খচখচ শব্দে কাকটি ঘষছিল।

চিলির রাজধানী সানতিয়াগোতে বসেছিল বিশ্ব-পক্ষীসম্মেলন।

শঙ্কুর বন্ধুবর রিউফাস গ্রেনফেল থাকেন মিনেসোটাতে।

‘বায়স’ শব্দের অর্থ হল কাক।

কর্ভাস ‘কা’ না বলে ‘কি’ শব্দটি উচ্চারণ করতে পারত।

কণ্ঠস্বর দিয়ে নয়, কর্ভাস তার কাজ ও আচরণের মাধ্যমে এবং শরীরি বিভঙ্গের দ্বারা বুদ্ধির পরিচয় দিত।

সকাল 8টা থেকে 9টা – এই একঘণ্টা কর্ভাসের ট্রেনিং পিরিয়ড ছিল।

কর্ভাসের সঙ্গে নিউটনের সম্পর্ক ছিল বেশ গভীর বন্ধুত্বের।

বন্ধু গ্রেনফেল বিশ্ব পক্ষীসম্মেলনের নিমন্ত্রণের সুখবর চিঠিতে জানিয়েছিল।

কর্ভাস শিখেছিল সংখ্যাপাঠ, সহজ যোগবিয়োগ, মাস-বার-তারিখ ইত্যাদি। এ ছাড়াও ও শিখেছিল CORVUS ও FRIDAY লিখতে।

একটি কাক বজ্রপাতের ফলে মরে পড়েছিল গাছের নীচে। বাকি কাকেদের মতো সে চিৎকার করছিল না। এই দেখে শঙ্কু উক্ত কথাটি বলেছেন।

প্রহ্লাদ ছিল শঙ্কুর চাকর। শঙ্কুর একাকী জীবনে সর্বক্ষণের সঙ্গী ছিল প্রহ্লাদ।

একটি কাক মরে পড়েছিল শিমুলগাছের তলায়, তাই অন্য কাকেরা চিৎকার করছিল। যদিও সে-দলে ছিল না কর্ভাস।

বজ্রপাতসহ প্রবল ঝড়বৃষ্টির ফলে অর্থাৎ প্রাকৃতিক দুর্যোগে কাকটি মারা যায়।

অঙ্ক, জ্যামিতি, রসায়ন, ভূগোল, পদার্থবিজ্ঞান ইত্যাদি সব বিষয়ে কর্ভাস উত্তর দেয় সংখ্যা প্রয়োগ করে বা আরও কিছু শব্দ ব্যবহার করে।

হিউম্যান ইনটেলিজেন্সের দিক থেকে কর্ভাস অন্য পাখিদের থেকে আলাদা।

সানতিগোয়াতে যাবার জন্য শঙ্কুর গোছানো সুটকেসের চাবি ঠোঁটে করে দিয়েছিল কর্ভাস।

পাখির মস্তিষ্ক বিষয়ে দুর্লভ জ্ঞানের কথা প্রবন্ধাকারে লিখেছিলেন প্রফেসার শঙ্কু তার সেমিনারের পেপারে।

রাইটিং টেবিলের দেরাজের মধ্যে থাকা পাসপোর্টের কথা ঠোঁটে টোকা মেরে মনে করিয়ে দিয়েছিল কর্ভাস।

আমেরিকা যাত্রাকালে প্লেনের সঙ্গে সহনীয় তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, কর্ভাসের পক্ষে অনুকূল আবহাওয়াযুক্ত বিশেষ খাঁচা তৈরি করেছিলেন প্রফেসার শঙ্কু।

বিমানযাত্রাকালে কর্তাসের খাবার ছিল হোমিওপ্যাথিক বড়ির মতো পুষ্টিকর ভিটামিনসমৃদ্ধ মুখরোচক বড়ি।

সানতিয়াগোতে হোটেল একসেলসিয়র-এ শঙ্কু কর্ভাসকে নিয়ে উঠেছিলেন।

সম্মেলনে প্রবন্ধ পড়া হয়েছিল আধ ঘণ্টা আর কর্ভাসবে নিয়ে ডিমন্সট্রেশন চলেছিল এক ঘণ্টা ধরে।

বক্তৃতা শেষে সমবেত করতালির সঙ্গে কর্ভাস ঠোঁট দিয়ে টেবিল ঠুকে তাল দিয়েছিল।

ডিমন্সট্রেশনের সময় কর্ভাস তার অধিগত শিক্ষাবলি দেখিয়ে অভ্যাগতদের তাক লাগিয়ে দিয়েছিল।

চিলির বিখ্যাত সান্ধ্য দৈনিক ‘কোরিয়েরে দেল সানতিয়াগো’-তে কর্ভাসের খবর প্রকাশিত হয়।

বিশ্ব-পক্ষীসম্মেলনের চেয়ারম্যান ছিলেন সিনিয়র কোভারুবিয়াস।

চিলি আর আর্জেন্টিনার মধ্যে আছে আন্ডিজ পর্বতমালা।

পৃথিবী বিখ্যাত চিলিয়ান জাদুকর আর্গাস, যে পাখি নিয়ে ম্যাজিক দেখাত।

রাত 9টায় ডিনারের পর শঙ্কুর হোটেলের ঘরে টেলিফোনটা বেজে ওঠে।

চারজন সাংবাদিককে সেমিনার শেষে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন শঙ্কু।

গ্রিক উপকথায় আর্গাস হল কীর্তিমান পুরুষ।

গ্রীক উপকথায় আর্গাসের সুন্দর চোখগুলি তুলে গ্রিক দেবী হেরা ময়ূরের পুচ্ছে বসিয়ে দেয়, সেই থেকে ময়ূরের পুচ্ছে আছে চোখের ছাপ।

ঘরের একমাত্র আলোর উৎস ল্যাম্পটা কর্ভাস ঠোঁট দিয়ে নিভিয়ে দিলে হোটেলের ঘর হঠাৎ অন্ধকার হয়ে যায়।

আর্গাসের মাইনাস কুড়ি পাওয়ারের চশমার পুরু কাচের ওপর বাইরের নিয়নের আলো সাপের মতো জ্বলছিল নিভছিল বলে মনে হয়েছিল।

ঘরের বাতি হঠাৎ নিভিয়ে দিলে উত্তেজিত আর্গাস ‘ম্যানিফিকো’ অর্থাৎ চমকপ্রদ বা অসামান্য বলে ওঠে।

“আই ওয়ান্ট দ্যাট ক্রো!” – কর্ভাসকে দেখে আর্গাস বলে উঠেছিল।

জাদু নিয়ে বিশ্বভ্রমণে বেরিয়ে আর্গাস যাবে মাদ্রিদ, প্যারিস, লন্ডন, রোম, অ্যাথেন্স, স্টকহোমস, টোকিও, হংকং ইত্যাদি স্থানে।

শুধু শিষ্যই নয়, কর্ভাস ছিল শঙ্কুর সন্তানের মতো; তাঁর বন্ধু, তাঁর অক্লান্ত পরিশ্রম আর গবেষণার ফসল।

দশ হাজার এসকুডো অর্থাৎ প্রায় পনেরো হাজার টাকায় আর্গাস পখিটিকে কিনতে রাজি ছিল।

চারটি সিলভার ক্যাডিলাক গাড়ি ছিল আর্গাসের।

স্প্যানিশ ভাষায় ‘গুড নাইট’ বলে আর্গাস বিদায় নিয়েছিল।

জাপানি পক্ষীবিজ্ঞানী তোমাসাকা মোরিমোতোর ভাষণ ছিল খুব ক্লান্তিকর।

হোটেলের 71নং ঘরে কর্ভাসকে রেখে শঙ্কু ডেলিগেটদের সঙ্গে লাঞ্চ করতে গিয়েছিলেন।

আধঘণ্টা আগে একটা সিলভার ক্যাডিলক গাড়িতে আর্গাস বেরিয়ে গেছে, তার হাতে ছিল একটা সেলোফোনের ব্যাগ-দ্বাররক্ষক এ কথাই জানিয়েছিল।

মারসেডিস গাড়ি, দুজন সশস্ত্র পুলিশ আর ভালো ড্রাইভারের ব্যবস্থা করে দিয়েছিল সম্মেলনের চেয়ারম্যান কোভারুবিয়াস-তারা হাইওয়ে ধরে ধাওয়া করেছিল পলাতক আর্গাসকে।

আর্গাসের পুরো নাম দ্যেমিনগো বার্তেলেমে সারমিয়েনতো।

তরুণ পুলিশ অফিসার কারেরাস আর্গাস সম্বন্ধে অনেক তথ্য জানত।

দুভাগ হয়ে হাইওয়ে উত্তরে লস্ আনডিজের দিকে আর পশ্চিমে ভালপারাইজো বন্দর -এর দিকে প্রসারিত ছিল।

শঙ্কুদের গাড়ি ছিল কালো মারসেডিস।

অপর সিলভার ক্যাডিলাকের মালিক ছিল ব্যাংকার সিনিয়র গালদামেস।

দুর্ধর্ষ পুলিশ কারেরাসের হুংকারে হাতের বন্দুক ফেলে আর্গাস আত্মসমর্পণ করল।

কর্ভাস বসেছিল রাস্তার উলটোদিকে নেড়া অ্যাকেসিয়া গাছের সবচেয়ে উঁচু ডালে। সেখানেই তাকে পাওয়া গেল।