এই আর্টিকেলে আমরা নবম শ্রেণীর ইংরেজি বিষয়ের অষ্টম অধ্যায় “His First Flight” নিয়ে আলোচনা করবো। এখানে লেখকের পরিচিতি, গল্পের সারসংক্ষেপ এবং এর প্রধান বিষয়বস্তু সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। এই আর্টিকেলটি আপনাদের “His First Flight” সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত কিন্তু গভীর ধারণা দেবে এবং গল্পটি ভালোভাবে বোঝার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। এছাড়া, নবম শ্রেণীর পরীক্ষায় এই অধ্যায় থেকে লেখক ও গল্পের সারসংক্ষেপ সম্পর্কিত প্রশ্ন আসতে পারে, তাই এই তথ্যগুলো জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
Introduction
Liam O Flaherty is one of the most significant Irish novelists and short story writers. He joined the Irish Guards under the name ‘Bill Ganly’ in the World War I. After coming back from the war-front this socialist gradually became passionate about writing novels and short stories. The Informer, Return of the Brute, House of Gold, The Neighbour’s Wife, The Black Soul, His First Flight are some of the memorable creations of the author.
‘His First Flight’ is ranked among the best short stories written by Liam O’ Flaherty. It is a magnificent story on the need of courage and self-confidence. The story is a true parable about overcoming fears in life. The hungry young seagull in the story being left alone on the rock without food by his parents looked down desperately at the vast expanse of sea that stretched down beneath his ledge. He had tried his level best several times to run forward to the brink of the ledge and flap his wings but he became afraid. He felt that he was going to starve to death on his ledge. The sight of his mother tearing a piece of fish maddened him. He cried but she just screamed back mockingly.
Suddenly he felt the joy seeing his mother approaching him with food. Maddened by hunger, he dived at the fish. But his mother flew upward and he started falling. After having a monstrous terror, he realised that he was flying. He was born to fly and he made his first flight.
Liam O’ Flaherty was a keen observer of sea life and he believed that man has a lot to learn from nature. He has given a humane touch to the seagull’s flight so as to remind the readers of the possible nervousness before doing something new.
ভূমিকা
লিয়াম ও ফ্লেহার্টি আইরিশ ঔপন্যাসিক ও ছোটোগল্প রচয়িতাদের মধ্যে অন্যতম উল্লেখযোগ্য। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে আইরিশ সৈন্যদলে বিল গ্যানলি নামে তিনি যোগদান করেন। যুদ্ধক্ষেত্র থেকে প্রত্যাবর্তনের পর এই সমাজতাত্ত্বিক ক্রমশ উপন্যাস ও ছোটোগল্প লেখার বিষয়ে আবেগতাড়িত হন। লেখকের অবিস্মরণীয় কিছু সৃষ্টির মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হল-The Informer, Return of the Brute, House of Gold, The Neighbour’s Wife, The Black Soul, His First Flight।
লিয়াম ও’ ফ্লেহার্টির ছোটোগল্প সমগ্রের মধ্যে ‘হিজ ফার্স্ট ফ্লাইট’-কে অন্যতম সেরা মানা হয়। সাহসিকতা ও আত্মবিশ্বাসের প্রয়োজনীয়তার ওপর এটি একটি দুর্ধর্ষ কাহিনি। জীবনে ভয়কে জয় করার জন্য এটি একটি প্রকৃত নীতিগর্ভ রূপক কাহিনি। গল্পে বর্ণিত পিতা-মাতা দ্বারা পাহাড়ে খাদ্যবিহীন অবস্থায় ফেলে যাওয়া ক্ষুধার্ত তরুণ শঙ্খচিল তার সংকীর্ণ শৈলশিরার নীচে সুদূর বিস্তৃত সমুদ্রের দিকে চরম হতাশায় তাকিয়ে ছিল। সে বহুবার যথাসাধ্য প্রচেষ্টা চালায় সংকীর্ণ শৈলশিরার প্রান্ত বরাবর দৌড়োবার এবং ডানা ঝাপটানোর, কিন্তু সে ভয় পায়। সে উপলব্ধি করল যে সংকীর্ণ শৈলশিরার ওপর অনশনেই তার মৃত্যু হতে চলেছে। মায়ের মাংসের টুকরো ছিঁড়ে খাওয়ার দৃশ্য তাকে ক্ষিপ্ত করে তুলল। সে আর্তনাদ করে উঠল, কিন্তু তার মা তার দিকে তীক্ষ্ণ হাসির কলরব ফিরিয়ে দিল।
হঠাৎ খাদ্য সহযোগে মাকে তার দিকে আসতে দেখে তার আনন্দ হল। ক্ষুধার তাড়নায় সে মাছের জন্য ঝাঁপ দিল। কিন্তু তার মা ওপর দিকে উড়ে গেল এবং সে নীচে পড়ে যেতে থাকল। ভয়ংকর আতঙ্কে সে বুঝতে পারল যে সে উড়তে পারছে। সে যে জন্মেছে উড়ানের জন্য এবং তার প্রথম উড়ান সম্ভব হয়েছে।
লিয়াম সামুদ্রিক জীবনের একজন নিবিড় পর্যবেক্ষক ছিলেন এবং তিনি বিশ্বাস করতেন যে, প্রকৃতি থেকে মানুষের অনেক কিছু শেখার আছে। তিনি শঙ্খচিলের উড়ানপর্বটিকে এক মানবিক স্পর্শ দিয়েছেন পাঠকদের স্মরণ করাতে যে, নতুন কর্মের প্রাক্কালে স্নায়বিক দৌর্বল্য স্বাভাবিক।
Life and Works of the Writer
Liam O’ Flaherty (also known as Liam O’ Flaithearta) was born in 1896 in the small village of Gort na gCapall, on one of the Aran Islands in Galway.
In 1908, at the age of twelve he went to Rockwell College, and then went to study at Holy Cross and University College, Dublin He did not attend the above mentioned school for long. According to The Sunday Times, he also attended Belvedere College and Blackrock College. He had intended joining the priesthood, but in 1917, he left school and joined the Irish Guards under the name ‘Bill Ganly.’ He was injured on the western front and some believed that shell shock may have been responsible for his mental illness which became apparent when he suffered the first of two mental breakdowns in 1933.
After the war, O’ Flaherty left Ireland and moved to the United States where he lived in Hollywood for a short time. He also travelled throughout the US and Europe, and the letters he wrote during his wanderings were later published. Many of his works of fiction have common theme of nature and Ireland, some of his best short stories were written in Irish. In 1923, O’ Flaherty published his first novel, The Neighbour’s Wife, thought to be one of his best. In 1935, his novel The Informer (for which he has been awarded the 1935 James Tait Black Memorial prize for fiction) was made into the epoch-making film by John Ford, a cousin of O’ Flaherty. Over the next couple of years, he published other novels and short stories while struggling with mental illness and breakdowns. And such a great personality breathed his last on 7th September, 1984 in Dublin at the age of 88. He is remembered today as a powerful writer and a strong voice in Irish culture.
লেখকের জীবন ও কর্ম
লিয়াম ও ফ্লেহার্টি (লিয়াম ও ফ্লেহার্টি নামেও পরিচিত) গলওয়ের এরান দ্বীপপুঞ্জের গর্ট না জিক্যাপালের এক অখ্যাত গ্রামে 1896 খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন।
1908 খ্রিস্টাব্দে মাত্র 12 বছর বয়সে তিনি রকওয়েল কলেজে ভরতি হন এবং পরবর্তীকালে হোলিক্রশ এবং বেলভেডিয়ার ডাবলিনের ইউনিভার্সিটি কলেজে তিনি পড়াশোনা করেন। উল্লিখিত শিক্ষাঙ্গনে তিনি বেশিদিন পড়াশোনা করেননি। The Sunday Times – এর মতে তিনি বেলভেডিয়ার কলেজ ও ব্ল্যাকরক কলেজেও পড়েছেন। তিনি পেশাদারি জীবনে যাজক হতে চেয়েছিলেন কিন্তু 1917 খ্রিস্টাব্দে তিনি বিদ্যালয়ের শিক্ষা ছেড়ে ‘বিল গ্যানলি’ নামে আইরিশ সৈন্যদলে যোগদান করেন। তিনি সম্মুখ সমরে আহত হন এবং কারও মতে, যুদ্ধক্ষেত্রে বোমার টুকরোর আঘাত পরবর্তীকালে তাঁর মানসিক অসুস্থতার জন্য দায়ী, যা 1933 খ্রিস্টাব্দে প্রথমবার স্পষ্টভাবে ধরা পড়ে।
যুদ্ধের পর ও’ ফ্লেহার্টি আয়ারল্যান্ড ত্যাগ করে আমেরিকায় চলে যান যেখানে কিছুদিনের জন্য তিনি হলিউডে বসবাস করেন। তিনি আমেরিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পরিভ্রমণ করেন এবং এই সময়ে তাঁর অভিজ্ঞতাসমৃদ্ধ পত্রগুলি লেখেন যা পরবর্তীকালে প্রকাশিত হয়েছিল। তাঁর বিরচিত বহু কল্পকাহিনির সাধারণ বিষয়বস্তু হল প্রকৃতি এবং আয়ারল্যান্ড। তাঁর কয়েকটি বিখ্যাত ছোটোগল্প আইরিশ ভাষায় লেখা। 1923 খ্রিস্টাব্দে তাঁর প্রথম উপন্যাস The Neighbour’s Wife প্রথম প্রকাশিত হয়। এই উপন্যাসটি তাঁর অন্যতম শ্রেষ্ঠ লেখা রূপে স্বীকৃত। 1935 খ্রিস্টাব্দে ফ্লেহার্টির The Informer (যার জন্য তাঁকে 1935 – এ কথাসাহিত্য বিভাগে জেমস টেট ব্ল্যাক মেমোরিয়াল পুরস্কার দেওয়া হয়) উপন্যাসের কাহিনি অবলম্বনে তাঁর তুতোভাই জনফোর্ড নির্দেশিত চলচ্চিত্র অন্যতম যুগান্তকারী সৃষ্টি হিসেবে খ্যাতি লাভ করে। পরবর্তী কয়েক বছরে মানসিক অসুস্থতা ও স্থবিরতার সঙ্গে জীবনসংগ্রামকালে তাঁর লেখা অন্যান্য ছোটোগল্প ও উপন্যাস প্রকাশিত হয়। এরকম একজন মহান ব্যক্তিত্ব 1984 খ্রিস্টাব্দের 7 সেপ্টেম্বর ৪৪ বছর বয়সে ডাবলিনে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। আইরিশ সংস্কৃতির একজন ক্ষমতাবান লেখক ও শক্তিশালী কণ্ঠরূপে আজ তাঁকে স্মরণ করা হয়।
Summary
This is the story of the first flight of a young seagull. He was alone on his ledge. His two brothers and his sister had already flown away the day before. But he did not have the courage to fly like them. He had watched his parents flying with other family members and perfecting them in the art of flying. He felt hungry and his parents were worried about him. He searched for food but all in vain.
There was not a single piece of food left for him. His brothers and sister were flying and eating. He too loved to tear food that way. He tried to attract his mother. He kept calling her plaintively. At last, she picked up a piece of fish and flew to him. He leaned out eagerly. But when she was just opposite to him, she halted, her legs hanging and wings motionless.
The piece of fish was within his reach. He waited for a moment and then maddened by hunger, he dived at the fish. He fella downwards. His mother flew upwards. He started flying up and down. He could feela the tips of his wings cutting through the air. He began to flap his wings and soared higher and higher. He uttered a joyous scream. His parents also responded with the screams of joy. He was then flying above the surface of the sea. Around him all his family members were screaming and praising him. Their beaks were offering him scraps of dog fish. Thus he made his first flight.
সারসংক্ষেপ
এটি একটি তরুণ শঙ্খচিলের প্রথম উড়ানের গল্প। সে তার সংকীর্ণ শৈলশিরার ওপর একাকী অবস্থান করছিল। আগের দিন তার দুই ভাই ও বোন উড়ে গিয়েছিল। কিন্তু সহোদর ভাই-বোনের মতন উড়ানের সাহস তার ছিল না। সে তার পিতা-মাতাকে পরিবারের অন্যান্য সদস্যের সঙ্গে উড়তে লক্ষ করেছিল এবং উড়ান শিল্পে তাদেরকে নিখুঁত করতে দেখেছিল। সে ক্ষুধা অনুভব করল এবং তার পিতা-মাতা তার সম্পর্কে চিন্তিত ছিল। সে খাবারের অনুসন্ধান করল কিন্তু তার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হল।
তার জন্য এক টুকরো খাবারও অবশিষ্ট ছিল না। তার ভাই-বোন খাবার খেতে খেতে উড়ছিল। একইভাবে সেও খাবারের টুকরো ছিঁড়তে ভালোবাসত। সে কাতরভাবে তার মায়ের মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করল। অবশেষে এক টুকরো মাছ তুলে নিয়ে মা তার দিকে উড়ে এল। সাগ্রহে সে খাবারের দিকে ঝুঁকল। কিন্তু তার ঠিক বিপরীতে এসেই পদযুগল ঝুলন্ত অবস্থায় ও ডানা আন্দোলনহীন অবস্থায় মা থামল।
মাছের টুকরো তার আয়ত্তের মধ্যে ছিল। মূহূর্তকাল অপেক্ষার পর ক্ষুধার জ্বালায় অতিষ্ট হয়ে সে মাছের দিকে ঝাঁপ দিল। সে নীচের দিকে পড়ল। তার মা ওপরে উড়ে গেল। ওপরে-নীচে দোদুল্যমান অবস্থায় উড়তে থাকল সে। সে উপলব্ধি করল যে ডানার সম্মুখ ভাগ বাতাস কেটে অগ্রসর হচ্ছিল। সে ডানা ঝাপটাতে শুরু করল এবং ক্রমশ ওপরে উঠতে লাগল। আনন্দে চিৎকার করে উঠল সে। উত্তরে তার মা-বাবাও আনন্দে চেঁচিয়ে উঠল। সে এখন সমুদ্রপৃষ্ঠের ওপরে উড়ছিল। তার চর্তুদিকে সকল পারিবারিক সদস্য চিৎকার করছিল ও তার প্রশংসা করছিল। তাদের তীক্ষ্ণ ঠোঁটগুলি তাকে ক্ষুদ্রাকার হাঙরের বর্জিতাংশ দিচ্ছিল। এইভাবে সে তার প্রথম উড়ান শিখল।
Title
The short story ‘His First Flight’ by Irish author Liam O’ Flaherty is about a family of Seagulls. They all can fly except the youngest one, who has tried several times but to no avail. The story is a metaphorical representation of a human need to be independent and confident but still appreciative and understanding of friends and family. All the seagulls in the family have learnt to fly except for the youngest son. The parents have tried countless times to get him to fly but he too scared, and he relies on the food that his parents bring back from their flights. So once left with no other options, his parents decided that they must take firm measures to help the youngest son learn to fly. The whole family flies away; leaving the youngest son alone on the rock without food. This is an attempt to motivate the youngest son to so that he can be with his family and find food. After a while, it becomes apparent that the youngest son is still very hesitant and afraid.
sees his mother eating fish in the distance and begins begging her to let him share. The mother then approaches him but keeps the fish just out of reach. The youngest son desperately tries to jump for the fish but he is not successful. Suddenly, he jumps the one final attempt to reach the fish rock begins falling. Instinctively, he starts to his wings and therefore starts to fly. The entire family is thoroughly overjoyed. This story highlights the importance of independence and self-belief, as well as the need to remain involved in family life. Thus, the title of the story is apt and justified.
শিরোনাম
আইরিশ লেখক লিয়াম ও’ ফ্লেহার্টির ছোটোগল্প হিজ ফার্স্ট ফ্লাইট একটি শঙ্খচিলের পারিবারিক গল্প। পরিবারের প্রতিটি সদস্য/সদস্যা উড়তে পারে কিন্তু ব্যতিক্রম কনিষ্ঠতম পাখিটি যে বহু প্রচেষ্টা সত্ত্বেও উড়তে পারেনি। গল্পটি শুধুমাত্র কোনো মানুষের ব্যক্তিস্বাধীনতা ও আস্থাশীলতার একটি আলঙ্কারিক প্রতিরূপ নয়, এটি পরিবার ও বন্ধু সম্পর্কিত সপ্রশংস উপলব্ধিমূলক ও বোধমূলক রচনা। কনিষ্ঠতম সদস্য ব্যতিরেকে সকলেই উড়তে শিখেছে। পিতা-মাতা কনিষ্ঠতমকে অসংখ্যবার উড়তে শেখানোর চেষ্টা করেছে কিন্তু সে চির আতঙ্কগ্রস্ত। পিতা-মাতা উড়ানের পর যে – খাদ্য সামগ্রী নিয়ে আসে, সে তাতেই আস্থাশীল। সুতরাং একদিন উপায়ন্তর না দেখে তার পিতা-মাতা স্থির করে যে, কনিষ্ঠতম সদস্যকে – যে-কোনো মূল্যে উড়ান শেখাতে তাঁরা যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সমগ্র পরিবার কনিষ্ঠতমকে খাদ্যবিহীন অবস্থায় – একাকী শৈলশিরার ওপরে রেখে পরিকল্পনামাফিক উড়ে যায়। – এটি তাকে উড়ানের বিষয় অনুপ্রাণিত করতে একটি প্রচেষ্টা – যাতে সে তার পরিবারের সঙ্গে একত্রিতভাবে খাবার খোঁজ করতে পারে। কিছুক্ষণ পর স্পষ্ট হয় যে, কনিষ্ঠতম পুত্রটি তবুও দ্বিধাগ্রস্ত এবং ভীত। সে দ্যাখে তার মা কিছুদূরে মাছ ছিঁড়ে খেতে উদ্যত।
সে মায়ের কাছে খাবার ভিক্ষা করে। মা তার দিকে এগিয়ে আসে কিন্তু মাছটি তার নাগালের বাইরে রেখে দেয়। কনিষ্ঠতম শঙ্খচিলটি ক্ষুধার তাড়নায় বেপরোয়াভাবে মাছের জন্য ঝাঁপ দেয় কিন্তু ব্যর্থ হয়। আচমকা সে মাছের কাছে পৌঁছোতে মরিয়া হয়ে শৈলখণ্ডটি থেকে শেষ ঝাঁপ দেয় এবং পড়ে যেতে থাকে। সহজাত প্রবৃত্তির কারণেই সে ডানা ঝাপটাতে শুরু করে এবং অচিরেই সে উড়তে শেখে। পুরো পরিবারটি দারুণভাবে রোমাঞ্চিত হয়। এই গল্প ব্যক্তিস্বাধীনতা ও আত্মবিশ্বাসের গুরুত্ব, একই সঙ্গে পারিবারিক জীবনের সঙ্গে জুড়ে থাকার প্রয়োজনীয়তা আমাদের সামনে তুলে ধরে। শিরোনামটি তাই যথার্থ ও যুক্তিসঙ্গত।
Critical Analysis
This story is written by Liam O’ Flaherty who is well known for his novels and short stories. This story is about a family of seagulls in which the psychology and intelligence of these birds have been described. The author talks about a young seagull afraid of flying.
After going through the whole story one can easily conclude that the author has deeply observed and analysed the behaviour of these birds. This story is written in a very simple, lucid and convincing manner.
There was a family of seagulls consisting of six members. Among them there were parents, three sons and one daughter. All the youngsters of the family had started flying except the youngest one. He was afraid of flying because he thought that his wings would never support him. His parents tried their best to persuade him to fly but all in vain. At last, he was left alone hungry and unattended. His parents thought that one day by the bite of hunger he will definitely join them. This part of the story has nicely presented the psychological aspect.
the young seagull was alone on his ledge. He was left with no food. He became impatient With hunger and searched every inch of edge for food. He ran to the brink of the eage and attempted to fly but due to lack of courage not succeed. He had been watching his parents teaching his brothers and sister the art of flving the day before.
They were taught to skim the waves and dive for the fish. The next morning the whole family gathered on the plateau just opposite to him and taunted him for his cowardice.
He wanted to join the family but there was a deep breach in between. While the seagull was lacking self-confidence, his parents did not come to his support.
The young seagull was experiencing a dismal situation as he had nothing to eat and he could not seek food for himself. Meanwhile, he saw his mother tearing and eating a fish.
He begged his mother mournfully to bring some food. At this, she took pity on him and started flying towards him. She was carrying a piece of fish her beak. As she came near to his ledge, she became motionless in the air. The young seagull was surprised. That the parental care and affection is badly needed to build up a strong family bondage has been apparent here.
He was maddened with hunger. The piece of fish was within the reach of the seagull and without even thinking he dived at the fish. He made his way in space without opening his wing. He was going down. In a moment his wings spread. He soared. He started flying easily. He flapped his wings and started curveting, soaring, banking and diving without any fear. Thus, he gradually gathered his lost self-confidence. He made his first flight.
রসগ্রাহী আলোচনা
এই গল্পটি লিয়াম ও ফ্লেহার্টি রচিত যিনি উপন্যাস ও ছোটোগল্পের জন্য সুপ্রসিদ্ধ। আলোচ্য গল্পটি শঙ্খচিলের একটি পরিবারকেন্দ্রিক যাতে এই পাখিগুলির মনস্তত্ত্ব ও বুদ্ধিমত্তার কাহিনি বর্ণিত হয়েছে। লেখক একটি তরুণ শঙ্খচিলের কথা উল্লেখ করেছেন যে উড়ানে ভীত।
সমগ্র গল্পের শেষে সহজেই এই উপসংহারে পৌঁছোনো যায় যে, লেখক গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ করেছেন এই পাখিগুলির স্বভাব-বৈশিষ্ট্য। এই গল্পটি খুবই সহজ, সরল ও বিশ্বাসযোগ্যভাবে লিখিত।
শঙ্খচিলের এক ছয় সদস্যবিশিষ্ট পরিবার ছিল। বাবা-মা, তিন ভাই ও এক বোনের পরিবার ছিল এটি। পরিবারের সব তরুণ সদস্যই উড়তে শিখেছিল ব্যতিক্রম, এই সর্বকনিষ্ঠ শঙ্খচিলটি। সে উড়তে ভয় পেত কারণ সে ভেবেছিল তার ডানা তাকে উড়তে সহায়তা করবে না। তার পিতা-মাতা তাকে উড়ানের ব্যাপারে উৎসাহিত করতে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তাদের সব প্রচেষ্টাই ব্যর্থ হল। অবশেষে, তাকে একাকী ক্ষুধার্ত এবং সঙ্গীহীন হয়ে থাকতে হল। তার পিতা-মাতা ভেবেছিল একদিন ক্ষুধার জ্বালায় তাকে অবশ্যই ওদের সঙ্গে যোগদান করতে হবে। গল্পের এই অংশ সুচারুভাবে মনস্তাত্ত্বিক দিকটি উত্থাপন করেছে।
তরুণ শঙ্খচিল তার শৈলশিরার ওপরে একাকী ছিল। তার কাছে কোনো খাবার ছিল না। ক্ষুধার তাড়নায় সে অধৈর্য হয়ে উঠল এবং শৈলশিরার আনাচেকানাচে খাবার খুঁজতে লাগল। সে শৈলশিরার প্রান্ত বরাবর দৌড়োল ও উড়তে চেষ্টা করল। কিন্তু সাহসিকতার অভাবে সে সফল হল না। আগের দিন সে তার বাবা-মাকে, ভাই-বোনেদের উড়ানের কৌশল শেখাতে দেখেছিল।
ঢেউয়ের উপরিভাগে আলতোভাবে ভেসে থাকা ও মাছের জন্য ছোঁ মারা তাদের শেখানো হয়েছিল। পরদিন সকালে সমগ্র পরিবার তার ঠিক বিপরীতে মালভূমিতে জড়ো হল ও তার ভীরুতার জন্য বিদ্রুপ করল।
সে পরিবারের সঙ্গে যোগদান করতে চেয়েছিল কিন্তু মাঝখানে গভীর ফাঁক ছিল। যখন শঙ্খচিলটি আত্মবিশ্বাসের অভাব বোধ করছিল, তখন তার বাবা-মা তার পাশে আসেনি।
তরুণ শঙ্খচিলের বেদনাদায়ক অভিজ্ঞতা হচ্ছিল যেহেতু খাবারের কোনো টুকরোই তার কাছে ছিল না এবং নিজের কারণে সে ক্ষুধার জ্বালাতেও খাবার চাইতে পারছিল না। ইতিমধ্যে সে তার মাকে মাছ ছিঁড়ে খেতে দেখল।
বিষণ্ণভাবে মাকে সে কিছু খাবার নিয়ে আসতে বলল। এই অবস্থায় মায়ের শাবকের প্রতি করুণা হল এবং মাছের টুকরো ঠোঁটে নিয়ে সে তার দিকে আসতে উদ্যত হল। তার শৈলশিরার কাছে এসে সে হাওয়ায় নিশ্চল হয়ে রইল। শাবকটি অবাক হয়ে গেল। একটি শক্তিশালী পারিবারিক বন্ধন গড়ে তুলতে যে পিতা-মাতার স্নেহ, মমতা ভীষণভাবে দরকার তা এই অংশে স্পষ্টতই প্রতীয়মান।
তরুণ সদস্যটি ক্ষুধার জ্বালায় অতিষ্ট। চিন্তাভাবনা না-করেই সে নাগালের মধ্যে থাকা মাছের টুকরোটার দিকে ঝাঁপ দিল। ডানা না-খুলেই সে শূন্যে ঝাঁপ দিয়েছে। সে নীচের দিকে নেমে যেতে থাকল। মুহূর্তে তার ডানাগুলো বিস্তৃত হল। সে ওপরের দিকে উড়তে লাগল। সহজেই উড়তে থাকল সে। সে তার ডানা ঝাপটাল এবং ঝুঁকিপূর্ণভাবে ডিগবাজি খেতে খেতে নিজের অজান্তেই নির্ভীকভাবে উঁচুতে উড়তে আরম্ভ করল। এইভাবে ধীরে ধীরে সে তার হারানো আত্মবিশ্বাস ফিরে পেল। সে তার প্রথম উড়ান শিখল।
এই আর্টিকেলে আমরা নবম শ্রেণীর ইংরেজি বিষয়ের অষ্টম অধ্যায় “This First Flight” এর লেখক পরিচিতি এবং গল্পের সারসংক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেছি। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের “This First Flight” সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত ধারণা দিয়েছে এবং এর মাধ্যমে আপনারা গল্পটি আরও ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। নবম শ্রেণীর পরীক্ষায় লেখকের নাম ও সারসংক্ষেপ থেকে প্রশ্ন আসার সম্ভাবনা থাকে, তাই এই তথ্যগুলো গুরুত্বপূর্ণ। আপনার মতামত এবং অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করতে নিচের কমেন্ট সেকশনে জানাতে ভুলবেন না। কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা হলে আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে যোগাযোগ করতে পারেন।