নবম শ্রেণী জীবন বিজ্ঞান – জীবন ও তার বৈচিত্র্য – জীবনের প্রধান/মূল বৈশিষ্ট্য – পার্থক্য লেখো

নবম শ্রেণীতে ‘জীবন বিজ্ঞান’ শিক্ষার্থীদেরকে জীবনের নিজেই একটি অদ্ভুত বিশ্ব এবং তার বৈচিত্র্য সম্পর্কে বুঝতে উত্সাহিত করতে এই অধ্যায়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জীবনের প্রধান এবং মূল বৈশিষ্ট্যগুলি সহজে উপলব্ধ করানো হয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের মানবিক এবং বৈজ্ঞানিক চিন্তা বৃদ্ধির পথে পাঠিয়ে দেয়। সংক্ষেপে পার্থক্য লেখা হয়েছে, যা পাঠকদের ধারণা প্রস্তুত করতে সাহায্য করতে এবং তাদেরকে জীবনের বিভিন্ন দিকে বিচার করার উদ্দীপনা দেয়।

নবম শ্রেণী জীবন বিজ্ঞান - জীবন ও তার বৈচিত্র্য

জীব (Living beings) ও জড়ের (Non – living things) মধ্যে পার্থক্য লেখো।

বিষয়জীবজড়
আকার ও আয়তননির্দিষ্ট আকার ও আয়তন আছে।নির্দিষ্ট আকার ও আয়তন থাকে না।
কোশীয় সংগঠনপ্রত্যেক জীবদেহ প্রোটোপ্লাজম সমন্বিত এক বা একাধিক কোশ দিয়ে গঠিত।জড়ের এরকম কোনো প্রোটোপ্লাজমীয় সংগঠন থাকে না।
উত্তেজিতাবাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ উদ্দীপকের প্রভাবে সাড়া দেয়।জড় উত্তেজনায় সাড়া দেয় না।
বৃদ্ধিজীবের বৃদ্ধি আছে।জড়ের বৃদ্ধি হয় না।
বিপাকপ্রত্যেক জীবদেহে বিপাকক্রিয়া সম্পন্ন হয়।জড়ের বিপাকক্রিয়া পরিলক্ষিত হয় না।
পুষ্টিনতুন প্রোটোপ্লাজম গঠন ও শক্তির চাহিদা পূরণের জন্য পুষ্টির প্রয়োজন হয়।পুষ্টির প্রয়োজন হয় না।
চলন ও গমনকয়েকটি ব্যতিক্রম ছাড়া সমস্ত সজীব বস্তুই স্বেচ্ছায় চলন ও গমনে সক্ষম।জড়বস্তু স্বতঃস্ফূর্ত ও স্বেচ্ছায় চলন ও গমনে অক্ষম।
জননজনিতৃ জীব থেকে নিজস্ব সত্তাযুক্ত অপত্য জীব সৃষ্টির মাধ্যমে জীবের বংশবিস্তার হয়।জড় বংশবিস্তার করে না।
পরিব্যক্তিজীবের পরিব্যক্তি ঘটে।জড়ের পরিব্যক্তি ঘটে না।
বিবর্তনজীবের বিবর্তন তথা অভিব্যক্তি ঘটে।জড়ের বিবর্তন দেখা যায় না।
অভিযোজনসজীব বস্তু পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে বেঁচে থাকে।জড়ের কোনো অভিযোজন ঘটে না।
জীবনচক্রজীবের জীবনচক্র সংঘটিত হয়।জড়ের জীবনচক্র নেই।
জীব (Living beings) ও জড়ের (Non – living things) মধ্যে পার্থক্য লেখো।

চলন (Movement) ও গমনের (Locomotion) মধ্যে পার্থক্য লেখো।

বিষয়চলনগমন 
জীবদেহের সামগ্রিক অবস্থাজীবের দেহ বা দেহাংশের কেবলমাত্র সঞ্চালন ঘটে, স্থান পরিবর্তন ঘটে না।জীবের সমগ্র দেহের সঞ্চালন ঘটে এবং সামগ্রিক স্থান পরিবর্তন ঘটে।
নির্দিষ্ট অঙ্গের উপস্থিতিথাকতেও পারে আবার নাও থাকতে পারে।নির্দিষ্ট গমন অঙ্গ থাকে।
পারস্পরিক সম্পর্কচলন গমনের ওপর নির্ভর করে না।গমন হলে চলন হবেই।
সংশ্লিষ্ট জীবসমস্ত জীবদেহেই ঘটে।প্রধানত প্রাণীদেহে ঘটে (ব্যতিক্রম – স্পঞ্জ)।
চলন (Movement) ও গমনের (Locomotion) মধ্যে পার্থক্য লেখো।

কোয়াসারভেট (Coacervate) ও মাইক্রোস্ফিয়ারের (Microsphere) মধ্যে পার্থক্য লেখো।

বিষয়কোয়াসারভেটমাইক্রোস্ফিয়ার
উপস্থাপকবিজ্ঞানী ওপারিন কোয়াসারভেট মডেল উপস্থাপন করেন।বিজ্ঞানী সিডনি ফক্স মাইক্রোস্ফিয়ার মডেল উপস্থাপন করেন।
গঠনপ্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, জল প্রভৃতি দ্বারা গঠিত।নিউক্লিক অ্যাসিড ও নিউক্লিওপ্রোটিন দ্বারা গঠিত।
আবরণদ্বিস্তরীয় লিপিড পর্দা দ্বারা আবৃত।অর্ধভেদ্য পর্দা দ্বারা আবৃত।
গুরুত্বওপারিনের মতে কোয়াসারভেটই ছিল আদি পৃথিবীতে প্রথম কোশীয় অবস্থা। বর্তমানে কোয়াসারভেট মডেল গৃহীত হয় না।ফক্সের মতে মাইক্রোস্ফিয়ারই ছিল আদি পৃথিবীতে প্রথম কোশীয় জীব। বর্তমানে এই মডেলটি সর্বজন গৃহীত হয়েছে।
কোয়াসারভেট (Coacervate) ও মাইক্রোস্ফিয়ারের (Microsphere) মধ্যে পার্থক্য লেখো।

কোয়াসারভেট (Coacervate) ও প্রোটোসেল (Protocell) – এর মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করো।

বিষয়/বৈশিষ্ট্য কোয়াসারভেটপ্রোটোসেল
প্রকৃতিপর্দাবৃত জৈব পদার্থ সমন্বিত জীবন সৃষ্টির প্রাথমিক সংগঠন।কোশ পর্দাবৃত, জৈব পদার্থ পূর্ণ পৃথিবীর প্রথম জীব সদৃশ সংগঠন।
গঠনপ্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট ও লিপিডযুক্ত সলজেলধর্মী যৌগ।প্রোটিন ও নিউক্লিক অ্যাসিডযুক্ত প্রাথমিক প্রোটোপ্লাজমীয় পদার্থ।
বিভাজন ক্ষমতাবিভাজন ক্ষমতাবিহীন।বিভাজন ক্ষমতাযুক্ত।
Coacervate

জিনগত বৈচিত্র্য (Genetic diversity) ও প্রজাতিগত বৈচিত্র্যের (Species diversity) মধ্যে পার্থক্য লেখো।

বিষয়জিনগত বৈচিত্র্যপ্রজাতিগত বৈচিত্র্য
সংজ্ঞাকোনো একটি নির্দিষ্ট প্রজাতির মধ্যে জিনের বিভিন্ন রূপভেদকে বলা হয় জিনগত বৈচিত্র্য।একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের বিভিন্ন প্রজাতির উপস্থিতিকে বলা হয় প্রজাতিগত বৈচিত্র্য।
পারস্পরিক নির্ভরশীলতাজিনগত বৈচিত্র্য প্রজাতিগত বৈচিত্র্যের ওপর নির্ভরশীল নয়।প্রজাতিগত বৈচিত্র্য জিনগত বৈচিত্র্যের ওপর নির্ভরশীল।
তাৎপর্যজীবে-জীবে কিংবা এক প্রজাতির সঙ্গে অন্য প্রজাতির পার্থক্য লক্ষ করা যায়।নির্দিষ্ট অঞ্চলে বিভিন্ন রকম প্রজাতির দ্বারা জীবগোষ্ঠী বা কমিউনিটি গঠন করে।
জিনগত বৈচিত্র্য

নবম শ্রেণীতে ‘জীবন বিজ্ঞান’ অধ্যয়নের সমাপ্তিতে, এই অধ্যয়ন ছাত্র-ছাত্রীদেরকে জীবনের অদ্ভুত বৈচিত্র্য এবং তার মৌলিক বৈশিষ্ট্যগুলির সাথে পরিচিত করিয়েছে। এই অধ্যয়ন সম্পন্ন হয়েছে এবং ছাত্র-ছাত্রীদের জীবনের বিভিন্ন দিকে বিচার করতে উৎসাহিত করতে সাহায্য করে। পার্থক্য লেখার মাধ্যমে তাদের চিন্তা প্রতিরূপ করা হয়েছে এবং এটি একটি শক্তিশালী উপায়ে অধ্যায়ের সারমর্ম বোঝানোর জন্য একটি উপায় হয়েছে।

Share via:

মন্তব্য করুন