এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলা বইয়ের ‘কোনি‘ সহায়ক পাঠ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করব – “ক্লাবই সুইমার তৈরি করে, ওরা করে মোড়লি।” — কাকে উদ্দেশ্য করে কথাটা বলা হয়েছে? এর তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো। এই প্রশ্নের বিশ্লেষণ মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তাই এর সঠিক উত্তর জানা ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিশেষভাবে সহায়ক হবে।
“ক্লাবই সুইমার তৈরি করে, ওরা করে মোড়লি।” — কাকে উদ্দেশ্য করে কথাটা বলা হয়েছে? এর তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।
উদ্দিষ্ট ব্যক্তি – কোনি উপন্যাসে সাঁতার প্রশিক্ষক ক্ষিতীশ সিংহ অ্যাপোলো ক্লাবের ভাইস-প্রেসিডেন্ট নকুল মুখুজ্জেকে উদ্দেশ্য করে আলোচ্য মন্তব্যটি করেছেন।
তাৎপর্য বিশ্লেষণ – জুপিটার থেকে চলে এলে অ্যাপোলো ক্ষিতীশকে সাদরে গ্রহণ করেছিল। সেইসময় নকুল মুখুজ্জে ক্ষিতীশকে বলেছিলেন – “তোর জুপিটার থেকে বেরিয়ে আসা মানে আমাদের শত্রুর দুর্গের একটা খিলেন ভেঙে পড়া।” পরবর্তী সময়ে এই ক্ষিতীশই হয়ে ওঠেন অ্যাপোলোর অন্যতম ভরসার জায়গা। তাঁকেই নকুল মুখুজ্জে একজন পয়সাওয়ালা লোক জোগাড় করে দিতে বলেন, যাকে ক্লাবের প্রেসিডেন্ট করা হবে। এইসময়ই তিনি ক্ষিতীশকে বলেছিলেন যে তাঁকে রাজ্য সংস্থার নির্বাচন কমিটি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে এবং সে সবই হয়েছে জুপিটারের চক্রান্তে। এই কথার পরিপ্রেক্ষিতেই ক্ষিতীশ আলোচ্য মন্তব্যটি করেছিলেন। নির্বাচন কমিটি থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার জন্য নকুল মুখুজ্জেকে মন খারাপ করতে বারণ করেন ক্ষিতীশ। তাঁর মতে, খেলোয়াড় তৈরি করে ক্লাবই, নির্বাচন সংস্থার কাজ কেবল মোড়লি করা, অর্থাৎ প্রকৃত কাজ তারা করে না।
ক্ষিদ্দার মন্তব্যে স্পষ্ট হয়ে ওঠে একজন দক্ষ সাঁতার প্রশিক্ষকের মনোভাব। তিনি মনে করেন যে, একজন সাঁতারুর জীবনে রাজ্যসংস্থার থেকে ক্লাব অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ক্লাবই সাঁতারু তৈরি করে। সেই সাঁতারু যখন জাতীয় বা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সাফল্য পায়, তখন রাজ্যসংস্থা সেটাকে তার কৃতিত্ব বলেই দাবি করে। রাজ্যসংস্থার ভূমিকাটা আসলে মাতব্বরির। একজন প্রশিক্ষক হিসেবে সেটাকে মেনে নিতে ক্ষিদ্দা একটুও রাজি ছিলেন না।
আরও পড়ুন, ক্ষিতীশের রাগটা মুহূর্তে অবাক হয়ে যায়। — ক্ষিতীশের এই মনোভাবের পরিবর্তনের কারণ আলোচনা করো।
এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলা বইয়ের ‘কোনি‘ সহায়ক পাঠ থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন“ক্লাবই সুইমার তৈরি করে, ওরা করে মোড়লি।” — কাকে উদ্দেশ্য করে কথাটা বলা হয়েছে? এর তাৎপর্য বিশ্লেষণ করেছি। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং আশা করি, এই আলোচনা আপনাদের পড়াশোনায় সহায়ক হয়েছে। যদি আপনার কোনো প্রশ্ন থাকে বা আরও কিছু জানতে চান, অনুগ্রহ করে টেলিগ্রামে আমার সাথে যোগাযোগ করুন। পোস্টটি শেয়ার করে আপনার বন্ধুদেরও সাহায্য করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ!