দাদা আমায় বলেছিল টাকা থাকলেই সবাই খাতির করে। — এখানে ‘দাদা’ বলতে কার কথা বলা হয়েছে? কোন্ প্রসঙ্গে কথাটি উদ্ধৃত করা হয়েছে?

“দাদা আমায় বলেছিল টাকা থাকলেই সবাই খাতির করে।” এই উক্তিটি দশম বাংলা সহায়ক পাঠ কোনি উপন্যাস থেকে নেওয়া হয়েছে। “দাদা আমায় বলেছিল টাকা থাকলেই সবাই খাতির করে।” — এখানে ‘দাদা’ বলতে কার কথা বলা হয়েছে? কোন্ প্রসঙ্গে কথাটি উদ্ধৃত করা হয়েছে? এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যান্ত গুরুত্তপূর্ণ। কোনি উপন্যাসের এই রচনাধর্মী প্রশ্নটি তৈরী করে গেলে মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষায় একটি ৫ নম্বরের পাওয়া যেতে পারে।

একদিন, ক্ষিদ্দা কোনিকে তার স্বপ্ন পূরণের জন্য চিড়িয়াখানায় নিয়ে যায়। ক্ষিদ্দার ঝোলার ভিতরে খাবার থাকলেও কাছে জল ছিল না। কিছুদূরে কোনি লক্ষ করেছিল স্কুলের পোশাক পরা মেয়েরা হইচই করছে। তাদের কাছে খাবারের ঝুড়ি যেমন ছিল, তেমনই ছিল ড্রামভরতি জলও। কোনি ক্ষিতীশের সম্মতি নিয়ে তাদের কাছে জল চাইলে এক শিক্ষিকার কাছ থেকে সে প্রত্যাখ্যাত হয়। অপ্রতিভ কোনি ফিরে আসে এবং ক্ষিদ্দার মন্তব্যের উত্তরে জানায় যে, বড়োলোকেরা গরিবদের ঘেন্না করে। কোনির মুখে এসব কথা শুনে ক্ষিদ্দা অবাক হয়ে যান। বুঝতে চান যে কোনির এইসব কথা ভাবার কারণ কী। তার উত্তরেই কোনি বলেছিল, তার দাদা তাকে বলে গিয়েছে যে, টাকা থাকলে সবাই খাতির করে। কোনির দাদা কমল নিজের অভিজ্ঞতা থেকে এই সত্যে পৌঁছেছিল এবং মারা যাওয়ার আগে কোনিকে সেই শিক্ষাই দিয়ে গিয়েছিল। কারণ কমল জানত, আগামী দিনে তার মতোই কোনিকেও বেঁচে থাকার জন্য দুরন্ত লড়াই করতে হবে।

এই গল্পটি দারিদ্র্যের বেদনাদায়ক দিক তুলে ধরে। কোনি, একজন ছোট্ট ছেলে, তার দাদার শিক্ষা থেকে বিশ্বাস করে যে টাকা থাকলে সবাই খাতির করে। কিন্তু চিড়িয়াখানায় তার অভিজ্ঞতা তাকে ভিন্ন দিক দেখায়। বড়োলোকদের উচ্চবিত্ত ও অহংকারী মনোভাব তাকে হতাশ করে। এই গল্পটি আমাদের সমাজের অসমতা ও বৈষম্যের দিকে মনোযোগ আকর্ষণ করে।

দাদা আমায় বলেছিল টাকা থাকলেই সবাই খাতির করে। — এখানে 'দাদা' বলতে কার কথা বলা হয়েছে? কোন্ প্রসঙ্গে কথাটি উদ্ধৃত করা হয়েছে?

“দাদা আমায় বলেছিল টাকা থাকলেই সবাই খাতির করে।” — এখানে ‘দাদা’ বলতে কার কথা বলা হয়েছে? কোন্ প্রসঙ্গে কথাটি উদ্ধৃত করা হয়েছে?

দাদা-র পরিচয় – কোনি উপন্যাসের উল্লিখিত অংশে ‘দাদা’ বলতে কোনির দাদা কমলের কথা বলা হয়েছে।

প্রসঙ্গ – কোনির ঘুমের মধ্যে উচ্চারণ করা স্বপ্ন পুরণ করার জন্য ক্ষিদ্দা কোনিকে নিয়ে গিয়েছিলেন চিড়িয়াখানায়। ক্ষিদ্দার ঝোলার ভিতরে খাবার থাকলেও কাছে জল ছিল না। কিছুদূরে কোনি লক্ষ করেছিল স্কুলের পোশাক পরা মেয়েরা হইচই করছে। তাদের কাছে খাবারের ঝুড়ি যেমন ছিল, তেমনই ছিল ড্রামভরতি জলও। কোনি ক্ষিতীশের সম্মতি নিয়ে তাদের কাছে জল চাইলে এক শিক্ষিকার কাছ থেকে সে প্রত্যাখ্যাত হয়। অপ্রতিভ কোনি ফিরে আসে এবং ক্ষিদ্দার মন্তব্যের উত্তরে জানায় যে, বড়োলোকেরা গরিবদের ঘেন্না করে। কোনির মুখে এসব কথা শুনে ক্ষিদ্দা অবাক হয়ে যান। বুঝতে চান যে কোনির এইসব কথা ভাবার কারণ কী। তার উত্তরেই কোনি বলেছিল, তার দাদা তাকে বলে গিয়েছে যে, টাকা থাকলে সবাই খাতির করে। কোনির দাদা কমল নিজের অভিজ্ঞতা থেকে এই সত্যে পৌঁছেছিল এবং মারা যাওয়ার আগে কোনিকে সেই শিক্ষাই দিয়ে গিয়েছিল। কারণ কমল জানত, আগামী দিনে তার মতোই কোনিকেও বেঁচে থাকার জন্য দুরন্ত লড়াই করতে হবে।

আরও পড়ুন, বড়োলোকরা গরিবদের ঘেন্না করে। — কোন্ পরিপ্রেক্ষিতে বক্তা এ কথা বলেছেন? এই ঘটনা থেকে ক্ষিতীশ সিংহ কী উপলব্ধি করেছিলেন?

এই গল্পটি দারিদ্র্যের বেদনাদায়ক দিক তুলে ধরে। কোনি, একজন ছোট্ট ছেলে, তার দাদার শিক্ষা থেকে বিশ্বাস করে যে টাকা থাকলে সবাই খাতির করে। কিন্তু চিড়িয়াখানায় তার অভিজ্ঞতা তাকে ভিন্ন দিক দেখায়। বড়োলোকদের উচ্চবিত্ত ও অহংকারী মনোভাব তাকে হতাশ করে। এই গল্পটি আমাদের সমাজের অসমতা ও বৈষম্যের দিকে মনোযোগ আকর্ষণ করে।

এই গল্পের মাধ্যমে লেখক আমাদের বোঝাতে চেয়েছেন যে টাকা সবকিছু নয়। টাকা থাকলেও মানুষের মনে ভালোবাসা, সহানুভূতি ও মানবিকতা থাকা প্রয়োজন। বড়োলোকদের উচিত গরিবদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া এবং তাদের সাহায্য করা।

Share via:

মন্তব্য করুন