একটা মেয়ে পেয়েছি, তাকে শেখাবার সুযোগটুকু দিও তাহলেই হবে। – বক্তার এমন কথা বলার কারণ কী? এ কথায় বক্তার কোন্ মানসিকতার পরিচয় পাও?

“একটা মেয়ে পেয়েছি, তাকে শেখাবার সুযোগটুকু দিও তাহলেই হবে।” এই উক্তিটি দশম বাংলা সহায়ক পাঠ কোনি উপন্যাস থেকে নেওয়া হয়েছে।”একটা মেয়ে পেয়েছি, তাকে শেখাবার সুযোগটুকু দিও তাহলেই হবে।” – বক্তার এমন কথা বলার কারণ কী? এ কথায় বক্তার কোন্ মানসিকতার পরিচয় পাও? এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যান্ত গুরুত্তপূর্ণ। কোনি উপন্যাসের এই রচনাধর্মী প্রশ্নটি তৈরী করে গেলে মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষায় একটি ৫ নম্বরের পাওয়া যেতে পারে।

এই অংশে, আমরা দেখতে পাই যে ক্ষিতীশ কোনিকে জুপিটারে ভর্তি করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু ট্রায়াল পাস করার পরেও তাকে ভর্তি করা হয়নি কারণ জায়গা ছিল না। হতাশ হয়ে, ক্ষিতীশ অ্যাপোলো ক্লাবে যান, যা জুপিটারের চিরশত্রু, এবং তাদের ভাইস-প্রেসিডেন্ট নকুল মুখুজ্জেকে জুপিটার থেকে তাড়ানোর খবর জানান।

এই ঘটনা থেকে আমরা ক্ষিতীশের দুটি গুরুত্বপূর্ণ দিক সম্পর্কে জানতে পারি। প্রথমত, তিনি একজন জাত প্রশিক্ষক। কোনিকে সাঁতার শেখানো এবং তাকে একজন সফল সাঁতারু হিসেবে গড়ে তোলাই তার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। জুপিটার থেকে তাড়ানো হওয়ার পরেও, তিনি কোনিকে গড়ে তোলার জন্য অ্যাপোলোর কাছে যান, যা তার নিঃস্বার্থ মনোভাবের প্রমাণ।

দ্বিতীয়ত, ক্ষিতীশের কাছে প্রশিক্ষণ একটি সাধনা। একজন চ্যাম্পিয়ন সাঁতারু তৈরি করার পরে, তিনি তাদের সাফল্যকে নিজের কৃতিত্ব হিসেবে দাবি করেন না। বরং, তিনি নতুন প্রতিভা খুঁজে বের করার এবং তাদেরকে গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেন। এই মনোভাবই তাকে একজন সত্যিকারের প্রশিক্ষক করে তোলে।

একটা মেয়ে পেয়েছি, তাকে শেখাবার সুযোগটুকু দিও তাহলেই হবে। - বক্তার এমন কথা বলার কারণ কী? এ কথায় বক্তার কোন্ মানসিকতার পরিচয় পাও?

“একটা মেয়ে পেয়েছি, তাকে শেখাবার সুযোগটুকু দিও তাহলেই হবে।” – বক্তার এমন কথা বলার কারণ কী? এ কথায় বক্তার কোন্ মানসিকতার পরিচয় পাও?

এমন কথা বলার কারণ – কোনিকে জুপিটারে ভরতি করতে গিয়ে ক্ষিতীশকে চূড়ান্তভাবে অপমানিত হতে হয়। বলা হয় যে, কোনিকে ট্রায়াল দিতে হবে। কিন্তু ট্রায়ালে পাস করেও কোনি ভরতি হতে পারে না, জলে আর জায়গা নেই – এই যুক্তিতে। শেষ-ধৈর্যটুকুও হারিয়ে ক্ষিতীশ পৌঁছে যান চিরশত্রু ক্লাব অ্যাপোলোর গেটে। তাদের ভাইস-প্রেসিডেন্ট নকুল মুখুজ্জেকে জুপিটার থেকে তাঁকে তাড়িয়ে দেওয়ার খবর জানিয়ে প্রশ্নে উদ্ধৃত মন্তব্যটি করেন।

বক্তার মানসিকতা –

  • জাত প্রশিক্ষক – ক্ষিতীশের কাছে কোনিকে সাঁতার শেখানো এবং সফল সাঁতারু হিসেবে গড়ে তোলাই সবথেকে বেশি গুরুত্ব পায়। যে ক্ষিদ্দা জুপিটারের প্রশিক্ষকের পদ ছাড়তে বাধ্য হওয়ার পরেও ভেবেছিলেন – কতকগুলো স্বার্থপর লোভী মূর্খ আমায় দল পাকিয়ে তাড়িয়েছে বলে শত্রুর ঘরে গিয়ে উঠব? -সেই তিনিই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কোনিকে গড়ে তোলার জন্য অ্যাপোলোর দ্বারস্থ হন। এখানে ক্ষিদ্দার মধ্যে এক জাত প্রশিক্ষককে খুঁজে পাওয়া যায়।
  • প্রশিক্ষণই সাধনা – যে চ্যাম্পিয়ন সাঁতারু তৈরি করে তাদের সফলতাগুলিকে নিজের কৃতিত্ব বলে দাবি করে না, বরং প্রতিভা খুঁজে এনে তাকে গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখে সেই-ই যথার্থ প্রশিক্ষক। আর এই প্রশিক্ষণ ক্ষিতীশের কাছে ছিল সাধনার মতো।

আরও পড়ুন, আমি কি নেমকহারাম হলাম। – বক্তা কে? তাঁর এ কথা মনে হওয়ার কারণ কী?

এই অংশে, আমরা দেখতে পাই যে ক্ষিতীশ একজন সত্যিকারের প্রশিক্ষক, যার কাছে প্রতিভা খুঁজে বের করে তাকে গড়ে তোলার চেয়ে বড় কিছু নেই। কোনিকে জুপিটারে ভর্তি করতে না পারার পরও, হতাশ না হয়ে তিনি অ্যাপোলো ক্লাবে যান, যা জুপিটারের চিরশত্রু। এটি তার নিঃস্বার্থ মনোভাব এবং প্রশিক্ষণের প্রতি নিষ্ঠার প্রমাণ।

ক্ষিতীশের কাছে প্রশিক্ষণ কেবল একটি কাজ নয়, এটি একটি সাধনা। তিনি চ্যাম্পিয়ন সাঁতারু তৈরি করার পর তাদের সাফল্যকে নিজের কৃতিত্ব হিসেবে দাবি করেন না। বরং, তিনি নতুন প্রতিভা খুঁজে বের করার এবং তাদেরকে গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেন। এই মনোভাবই তাকে একজন অনন্য প্রশিক্ষক করে তোলে।

এই অংশে আমরা ক্ষিতীশের ত্যাগ, নিষ্ঠা এবং প্রশিক্ষণের প্রতি দীর্ঘস্থায়ী আগ্রহের প্রমাণ পাই। তিনি একজন সত্যিকারের জাত প্রশিক্ষক, যিনি প্রতিভার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

Share via:

মন্তব্য করুন