এঁরা সুইমারদের কোচ, নভিসদের নয়। — এখানে ‘এঁরা’ বলতে কাদের কথা বলা হয়েছে? মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করো।

“এঁরা সুইমারদের কোচ, নভিসদের নয়।” এই উক্তিটি দশম বাংলা সহায়ক পাঠ কোনি উপন্যাস থেকে নেওয়া হয়েছে।”এঁরা সুইমারদের কোচ, নভিসদের নয়।” — এখানে ‘এঁরা’ বলতে কাদের কথা বলা হয়েছে? মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করো। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যান্ত গুরুত্তপূর্ণ। কোনি উপন্যাসের এই রচনাধর্মী প্রশ্নটি তৈরী করে গেলে মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষায় একটি ৫ নম্বরের পাওয়া যেতে পারে।

জুপিটার সুইমিং ক্লাবের মিটিংয়ে, সিনিয়র সাঁতারুরা ক্ষিতীশ সিংহের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ আনার পর তিনি নিজের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন। ক্ষিতীশ স্বীকার করেন যে তিনি একজন সফল সাঁতারু ছিলেন না, কিন্তু তিনি বিশ্বের বিখ্যাত সাঁতার প্রশিক্ষকদের উদাহরণ দিয়েছিলেন যারা কখনো অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন ছিলেন না।

ক্ষিতীশ ট্যালবট, কারলাইল, গ্যালাঘার, হেইনস, কাউন্সিলম্যান প্রমুখ প্রশিক্ষকদের নাম উল্লেখ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে এই প্রশিক্ষকরা তাদের জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতার মাধ্যমে অনেক দক্ষ সাঁতারু তৈরি করেছেন। ক্ষিতীশের মতে, একজন দক্ষ প্রশিক্ষকের জলে নেমে সাঁতার কাটানোর চেয়ে জলের বাইরে থেকে সাঁতারুদের দিক নির্দেশনা দেওয়ার মাধ্যমে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করতে পারেন।

ক্ষিতীশ আরও বলেছিলেন যে তিনি ক্লাবের সকল সাঁতারুর প্রতি নিরপেক্ষ এবং তাদের সকলের উন্নতি চান। তিনি পুরস্কার বিজয়ী সাঁতারুদের অনুশীলনে ফাঁকি বরদাস্ত করেন না কারণ তিনি তাদের পূর্ণ সম্ভাবনায় পৌঁছাতে সাহায্য করতে চান।

মিটিংয়ে ক্ষিতীশের বক্তব্য বিতর্কিত হলেও, তার আন্তরিকতা এবং সাঁতার ক্লাবের প্রতি নিষ্ঠা স্পষ্ট ছিল।

এই বর্ণনা ক্ষিতীশের বক্তব্যের একটি সংক্ষিপ্তসার এবং মিটিংয়ে আলোচিত বিষয়গুলির একটি সারসংক্ষেপ প্রদান করে।

koni - এঁরা সুইমারদের কোচ, নভিসদের নয়। — এখানে 'এঁরা' বলতে কাদের কথা বলা হয়েছে? মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করো।

“এঁরা সুইমারদের কোচ, নভিসদের নয়।” — এখানে ‘এঁরা’ বলতে কাদের কথা বলা হয়েছে? মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করো।

এঁরা-র পরিচয় – জুপিটার সুইমিং ক্লাবের মিটিংয়ে ক্ষিতীশ কথাপ্রসঙ্গে বিশ্বসেরা ট্রেনারদের নাম জানান। ট্যালবট, কারলাইল, গ্যালাঘার, হেইনস, কাউন্সিলম্যান প্রমুখ প্রশিক্ষককে আলোচ্য অংশে ‘এঁরা’ বলা হয়েছে।

মন্তব্যটির বিশ্লেষণ –

  • ক্ষিতীশের কাজের ধরন – জুপিটার সুইমিং ক্লাবের সাঁতার প্রশিক্ষক ছিলেন ক্ষিতীশ সিংহ। ক্লাব এবং সাঁতারই ছিল তাঁর ধ্যানজ্ঞান। ক্ষিতীশ সিংহ ক্লাবের পুরস্কার বিজয়ী সাঁতারুদেরও অনুশীলনে ফাঁকি বরদাস্ত করতেন না। এইসব কারণে সিনিয়র সাঁতারুরা ক্ষিতীশ সিংহের ওপর ক্ষুব্ধ ছিল।
  • ক্ষিতীশের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ – সিনিয়র সাঁতারুরা ক্ষিতীশের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের লিখিত অভিযোগ আনে। ক্লাবের মিটিংয়ে শুরু থেকেই এই ধারণা প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা হয় যে, সাঁতারু হিসেবে ক্ষিতীশের দক্ষতা একেবারেই নেই।
  • ক্ষিতীশের মতামত – ক্ষিতীশও নিজের সীমাবদ্ধতা আংশিকভাবে মেনে নিয়ে জানান যে, সাঁতারু হিসেবে প্রতিযোগিতায় পদক পাওয়া তাঁর হয়নি। কিন্তু একাধিক বিখ্যাত সাঁতার প্রশিক্ষকদের নাম উল্লেখ করে ক্ষিতীশ বলেন যে, তাঁরা কেউই অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন নন। চ্যাম্পিয়ন না হয়েও তাঁরা দক্ষ সাঁতারুদের এমন প্রশিক্ষণ দেন, যাতে তারা বিশ্বসেরা হয়ে ওঠে। সদ্য শিখতে আসা সাঁতারুদের তাঁরা প্রশিক্ষণ দেন না। আসলে এক জন দক্ষ সাঁতার প্রশিক্ষক জলে নেমে সাঁতার শেখানোর কাজ করেন না, জলের উপরে থেকেই সাঁতারুদের দক্ষতাকে বাড়িয়ে দেন-এটাই ছিল তাঁর মত।

আরও পড়ুন, শরীরের নাম মহাশয় যা সহাবে তাই সয়। — ক্ষিতীশ সিংহের এই উক্তিতে তার কীরূপ মানসিকতা ফুটে উঠেছে?

উপসংহারে, জুপিটার সুইমিং ক্লাবের মিটিংয়ে ক্ষিতীশ সিংহ স্পষ্টভাবে বলতে চেয়েছিলেন যে, একজন সফল সাঁতার প্রশিক্ষক হওয়ার জন্য অতীতে একজন সেরা সাঁতারু হওয়া জরুরি নয়। তিনি ট্যালবট, কারলাইল, গ্যালাঘার, হেইনস, কাউন্সিলম্যান প্রমুখ বিশ্বখ্যাত প্রশিক্ষকদের উদাহরণ দিয়েছিলেন যারা কখনো অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন ছিলেন না, তবুও তারা অনেক দক্ষ সাঁতারু তৈরি করেছেন। ক্ষিতীশের মতে, একজন দক্ষ প্রশিক্ষক জলে নেমে সাঁতার কাটানোর চেয়ে জলের বাইরে থেকে সাঁতারুদের দিক নির্দেশনা দেওয়ার মাধ্যমে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করতে পারেন।

ক্ষিতীশের বক্তব্য সিনিয়র সাঁতারুদের কাছে গ্রহণযোগ্য না হলেও, তার যুক্তি স্পষ্ট এবং সুসঙ্গত ছিল। প্রশিক্ষক হিসেবে তার দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও, তার আন্তরিকতা এবং সাঁতার ক্লাবের প্রতি নিষ্ঠা অস্বীকার করা যায় না।

সর্বোপরি, এই মিটিং ক্ষিতীশের জন্য একটি চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি ছিল, তবুও তিনি স্পষ্টবাদী এবং আত্মবিশ্বাসীভাবে নিজের মতামত তুলে ধরেছিলেন।

Share via:

মন্তব্য করুন