আজকের আলোচনার বিষয় গাঙ্গেয় সমভূমির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ – তরাই অঞ্চল। এই অঞ্চল সম্পর্কে জানা দশম শ্রেণীর মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত জরুরি। ভারতের প্রাকৃতিক পরিবেশ অধ্যায়ের ভারতের ভূপ্রকৃতি বিভাগে এই অঞ্চল নিয়ে প্রশ্ন আসতে পারে। তাই, পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে এই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
গাঙ্গেয় সমভূমির বৈশিষ্ট্য
গাঙ্গেয় সমভূমির সৃষ্টি গঙ্গা নদীর দ্বারা। গঙ্গা এবং তার অসংখ্য উপনদী ও শাখানদী পলি সওয় করে ভারতের বৃহত্তম গাঙ্গেয় সমভূমিটি তৈরি করেছে। এর বৈশিষ্ট্যগুলি হল —
- আয়তন – এই সমভূমিটি প্রায় 357000 বর্গকিমি অঞ্চলে জুড়ে বিস্তৃত।
- গভীরতা – গাঙ্গেয় সমভূমির গভীরতা উত্তর দিকে 6000-8000 মিটার, অন্যদিকে দক্ষিণ ভাগে এই গভীরতা কম।
- মাটির বৈশিষ্ট্য – গাঙ্গেয় সমভূমিতে কোথাও প্রাচীন পলিমাটি, কোথাও নবীন পলিমাটি রয়েছে। প্রাচীন পলিগঠিত অঞ্চলকে ভাঙ্গর বলে, আর নবীন পলিগঠিত অঞ্চল খাদার নামে পরিচিত।
- ভূমিরূপ – উত্তর ভারতের সমভূমির ভূবৈচিত্র্য একঘেয়ে। কেবল সমতল, তবে ওই অংশেই নদীর অশ্ব ক্ষুরাকৃতি হ্রদ, স্বাভাবিক বাঁধ, প্লাবনভূমি ও নানা ধরনের ভূমিরূপ চোখে পড়ে।
তরাই অঞ্চল কীভাবে গড়ে উঠেছে?
হিমালয়ের পাদদেশে নুড়ি ও বালিপূর্ণ যে ভাবর অঞ্চল আছে তার ঠিক দক্ষিণে তরাই অঞ্চল অবস্থিত। এখানকার ভূমিতেও যথেষ্ট পরিমাণে নুড়ি ও বালি মিশে থাকে। উত্তরের ভাবর অঞ্চলে যেসব নদী মুড়ি-কাকর স্তূপের মধ্যে হারিয়ে যায় সেগুলি তরাই অঞ্চলে ফল্গুধারার মতো আত্মপ্রকাশ করে। এজন্য এখানে বহু জলাভূমির সৃষ্টি হয়েছে এবং নদীগুলিতেও বন্যার প্রকোপ দেখা যায়। সমগ্র তরাই অঞ্চলেই গভীর বনভূমির সৃষ্টি হয়েছে।
গাঙ্গেয় সমভূমির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল তরাই অঞ্চল। এর স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ, বনভূমি, উর্বর মাটি, বৈচিত্র্যময় উদ্ভিদ ও প্রাণী এবং মানব বসতি এই অঞ্চলকে করে তোলে অনন্য। দশম শ্রেণীর মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষার জন্য প্রশ্নটি অত্যন্ত জরুরি, আশাকরি আপনারা এই প্রশ্নটি মুক্যস্ত করে যাবেন।