এখনই আমাদের Telegram Community গ্রুপে যোগ দিন। এখানে WBBSE বোর্ডের পঞ্চম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণির যেকোনো বিষয়ভিত্তিক সমস্যা শেয়ার করতে পারেন এবং একে অপরের সাহায্য করতে পারবেন। এছাড়া, কোনও সমস্যা হলে আমাদের শিক্ষকরা তা সমাধান করে দেবেন।

Telegram Logo Join Our Telegram Community

হোমোস্ফিয়ার ও হেটেরোস্ফিয়ার কাকে বলে? হোমোস্ফিয়ার ও হেটেরোস্ফিয়ারের পার্থক্য

এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভূগোলের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “হোমোস্ফিয়ার ও হেটেরোস্ফিয়ার কাকে বলে? হোমোস্ফিয়ার ও হেটেরোস্ফিয়ারের পার্থক্য লেখো।” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। “হোমোস্ফিয়ার ও হেটেরোস্ফিয়ার কাকে বলে? হোমোস্ফিয়ার ও হেটেরোস্ফিয়ারের পার্থক্য লেখো।” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভূগোলের দ্বিতীয় অধ্যায় “বায়ুমণ্ডল – উপাদান ও উষ্ণতার ভিত্তিতে বায়ুমণ্ডলের স্তরবিন্যাস” -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়।

হোমোস্ফিয়ার ও হেটেরোস্ফিয়ারের পার্থক্য লেখো।
হোমোস্ফিয়ার ও হেটেরোস্ফিয়ারের পার্থক্য লেখো।

হোমোস্ফিয়ার ও হেটেরোস্ফিয়ার কাকে বলে?

হোমোস্ফিয়ার –

(Homo = সম, Sphere=মন্ডল) ভূ পৃষ্ঠ থেকে ওপরের দিকে প্রায় 90 কিমি পর্যন্ত বায়ুমন্ডলের রাসায়নিক গঠন বিশেষ করে বিভিন্ন গ্যাসের অনুপাত প্রায় একই ধরনের থাকে। এই জন্য এই স্তরটিকে হোমোস্ফিয়ার বা সমমন্ডল বলে। ট্রপোস্ফিয়ার, স্ট্যাটোস্ফিয়ার, মেসোস্ফিয়ার ও থার্মেস্ফিয়ারের নিম্নাংশ এই স্তরের অন্তর্গত।

হেটেরোস্ফিয়ার –

(Hetero= বিষম, sphere= মন্ডল) হোমোস্ফিয়ারের ওপর থেকে প্রায় 10000 কিমি পর্যন্ত বায়ুমন্ডলের যে স্তর আছে তার নাম হেটোরোস্ফিয়ার বা বিষমমন্ডল। সমমন্ডল ও বিষমমন্ডলের সীমারেখা কে টার্বোপজ বলে। থার্মোস্ফিয়ারের উর্ধ্বাংশ ও এক্সোস্ফিয়ার এই স্তরের অন্তর্গত। হেটেরোস্ফিয়ারের চারটি উপস্তর রয়েছে যথা –

  1. নাইট্রোজেন স্তর – উচ্চতা 90 কিমি-200 কিমি, প্রধান গ্যাস নাইট্রোজেন।
  2. অক্সিজেন স্তর – উচ্চতা প্রায় 200 কিমি-1100 কিমি, প্রধান গ্যাস অক্সিজেন।
  3. হিলিয়াম স্তর – উচ্চতা প্রায় 1100 কিমি-3500 কিমি, প্রধান গ্যাস হিলিয়াম।
  4. হাইড্রোজেন স্তর – উচ্চতা প্রায় 3500 কিমি-10000 কিমি, প্রধান গ্যাস হাইড্রোজে।

হোমোস্ফিয়ার ও হেটেরোস্ফিয়ারের পার্থক্য লেখো।

হোমোস্ফিয়ার ও হেটেরোস্ফিয়ারের মধ্যে পার্থক্য –

বিষয়হোমোস্ফিয়ারহেটেরোস্ফিয়ার
অর্থহোমোস্ফিয়ার শব্দের অর্থ সমমণ্ডল।হেটেরোস্ফিয়ার শব্দের অর্থ বিষমমণ্ডল।
বিস্তৃতিসমুদ্র সমতল থেকে ঊর্ধ্বে 100 কিমি, মতান্তরে 80-90 পর্যন্ত বিস্তৃত।ঊর্ধ্বাকাশে 100-10,000 কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত।
প্রকৃতিএই স্তরে গ্যাসীয় উপাদানগুলি মিলেমিশে একটি নির্দিষ্ট অনুপাতে থাকে।এই স্তরে গ্যাসীয় উপাদানগুলি মিলেমিশে না থেকে এক-একটি গ্যাস একটি নির্দিষ্ট উচ্চতায় অবস্থান করে।
ঘনত্বএখানে বায়ুমণ্ডলের ঘনত্ব খুব বেশি।এই স্তরে উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বায়ুর ঘনত্ব হ্রাস পায়।
উপবিভাগহোমোস্ফিয়ারের কোনো উপবিভাগ নেই।হেটোরোস্ফিয়ারের চারটি উপবিভাগ রয়েছে, যথা – (a) আণবিক নাইট্রোজেন স্তর, (b) পারমাণবিক অক্সিজেন স্তর, (c) হিলিয়াম স্তর, (d) হাইড্রোজেন স্তর।
গুরুত্বএই স্তরটিই পৃথিবীর জলবায়ু নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।পৃথিবীর জলবায়ু নির্ধারণে এই স্তরের গুরুত্ব খুব কম।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর

হোমোস্ফিয়ার কাকে বলে?

হোমোস্ফিয়ার (Homosphere) হলো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের নিম্নস্তর, যেখানে ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় 80-90 কিমি পর্যন্ত বায়ুর রাসায়নিক গঠন প্রায় একই রকম থাকে। এই স্তরে নাইট্রোজেন, অক্সিজেন, কার্বন ডাই-অক্সাইড প্রভৃতি গ্যাসের অনুপাত স্থির থাকে।

হেটেরোস্ফিয়ার কাকে বলে?

হেটেরোস্ফিয়ার (Heterosphere) হলো হোমোস্ফিয়ারের উপরের স্তর, যা প্রায় 10,000 কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত। এখানে গ্যাসীয় উপাদানগুলো ওজন অনুসারে স্তরবদ্ধভাবে অবস্থান করে, যেমন — নাইট্রোজেন স্তর, অক্সিজেন স্তর, হিলিয়াম স্তর ও হাইড্রোজেন স্তর।

হোমোস্ফিয়ারের অন্তর্গত স্তরগুলি কী কী?

হোমোস্ফিয়ারের অন্তর্ভুক্ত স্তরগুলি হলো —
1. ট্রপোস্ফিয়ার (বায়ুমণ্ডলের নিম্নতম স্তর, আবহাওয়ার পরিবর্তন এখানে ঘটে)।
2. স্ট্যাটোস্ফিয়ার (ওজোন স্তর এখানে অবস্থিত)।
3. মেসোস্ফিয়ার (উল্কাপিণ্ড পোড়ার স্তর)।
4. থার্মোস্ফিয়ারের নিম্নাংশ।

হেটেরোস্ফিয়ারের স্তরগুলি কী কী?

হেটেরোস্ফিয়ার চারটি স্তরে বিভক্ত —
1. নাইট্রোজেন স্তর (90-200 কিমি)।
2. অক্সিজেন স্তর (200-1100 কিমি)।
3. হিলিয়াম স্তর (1100-3500 কিমি)।
4. হাইড্রোজেন স্তর (3500-10,000 কিমি)।

হোমোস্ফিয়ার ও হেটেরোস্ফিয়ারের সীমারেখাকে কী বলে?

এই সীমারেখাকে টার্বোপজ (Turbopause) বলা হয়, যা প্রায় 100 কিমি উচ্চতায় অবস্থিত।

হোমোস্ফিয়ার কেন গুরুত্বপূর্ণ?

হোমোস্ফিয়ার পৃথিবীর জলবায়ু, আবহাওয়া এবং জীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ —
1. এখানে বায়ুমণ্ডলের বেশিরভাগ গ্যাস (অক্সিজেন, নাইট্রোজেন) রয়েছে।
2. ট্রপোস্ফিয়ারে মেঘ, বৃষ্টি, বায়ুপ্রবাহ ইত্যাদি ঘটে।
3. স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে ওজোন স্তর সূর্যের ক্ষতিকর UV রশ্মি শোষণ করে।

হেটেরোস্ফিয়ারে গ্যাসগুলি স্তরবদ্ধ কেন?

হেটেরোস্ফিয়ারে মহাকর্ষীয় বলের প্রভাবে গ্যাসের অনুগুলি তাদের আণবিক ওজন অনুযায়ী স্তরবদ্ধ হয়। ভারী গ্যাস (নাইট্রোজেন, অক্সিজেন) নিচে এবং হালকা গ্যাস (হিলিয়াম, হাইড্রোজেন) উপরে থাকে।

হোমোস্ফিয়ার ও হেটেরোস্ফিয়ারের মধ্যে কোনটি বেশি ঘন?

হোমোস্ফিয়ার অনেক বেশি ঘন, কারণ এটি পৃথিবীর পৃষ্ঠের কাছাকাছি অবস্থিত এবং বায়ুর চাপ বেশি। হেটেরোস্ফিয়ারে উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে সাথে বায়ুর ঘনত্ব কমে যায়।

হেটেরোস্ফিয়ার কেন বিষমমণ্ডল নামে পরিচিত?

কারণ এখানে গ্যাসীয় উপাদানগুলি সমানভাবে মিশ্রিত না হয়ে ওজন অনুযায়ী আলাদা আলাদা স্তরে অবস্থান করে, তাই একে বিষমমণ্ডল বলা হয়।


এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভূগোলের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “হোমোস্ফিয়ার ও হেটেরোস্ফিয়ার কাকে বলে? হোমোস্ফিয়ার ও হেটেরোস্ফিয়ারের পার্থক্য লেখো।” নিয়ে আলোচনা করেছি। এই “হোমোস্ফিয়ার ও হেটেরোস্ফিয়ার কাকে বলে? হোমোস্ফিয়ার ও হেটেরোস্ফিয়ারের পার্থক্য লেখো।” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভূগোলের দ্বিতীয় অধ্যায় “বায়ুমণ্ডল – উপাদান ও উষ্ণতার ভিত্তিতে বায়ুমণ্ডলের স্তরবিন্যাস” -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।

Share via:

মন্তব্য করুন