কাম অন অমিয়া, কাম অন বেঙ্গল চ্যামপিয়ন। ফাইট কোনি, ফাইট – এই দুই স্লোগান ব্যবহারের তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।

Rahul

এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলা বইয়ের ‘কোনি’ সহায়ক পাঠ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করব – “কাম অন অমিয়া, কাম অন বেঙ্গল চ্যামপিয়ন।”

কাম অন অমিয়া, কাম অন বেঙ্গল চ্যামপিয়ন। ফাইট কোনি, ফাইট - এই দুই স্লোগান ব্যবহারের তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।

“ফাইট কোনি, ফাইট।” এই দুই স্লোগান ব্যবহারের তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

কাম অন অমিয়া, কাম অন বেঙ্গল চ্যামপিয়ন। ফাইট কোনি, ফাইট - এই দুই স্লোগান ব্যবহারের তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।

“কাম অন অমিয়া, কাম অন বেঙ্গল চ্যামপিয়ন।”
“ফাইট কোনি, ফাইট।”
– এই দুই স্লোগান ব্যবহারের তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।

তাৎপর্য বিশ্লেষণ – মতি নন্দী রচিত কোনি উপন্যাসের একাদশ পরিচ্ছেদে এক টানটান উত্তেজনাপূর্ণ পরিবেশে এই স্লোগান দুটি ব্যবহৃত হয়েছে। জুপিটার সুইমিং ক্লাবের বার্ষিক প্রতিযোগিতার শেষ দিনে অনুষ্ঠিত মেয়েদের ১০০ মিটার ফ্রি-স্টাইল প্রতিযোগিতার শুরুতে এয়ার রাইফেলের ক্যাপ না ফাটলেও অমিয়া ও কোনি বাদে সকলেই জলে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তারপর আবার সকলে পজিশনে ফিরে বলে দ্বিতীয়বার ক্যাপ ফাটে ও সঙ্গে সঙ্গে জুপিটারের আট প্রতিযোগী এবং অন্যপাশে অ্যাপোলোর প্রান্তে কোনি একসঙ্গে জলে ঝাঁপিয়ে পড়ে।

প্রতিযোগিতার ৩০ মিটার পর্যন্ত সমান রেখায় চলে অমিয়া এবং কোনি। এরপরই অমিয়া একটু একটু করে এগোতে থাকে এবং প্রথম ৫০ মিটার স্পর্শ করে। ৬০ মিটার পর্যন্ত অমিয়া এগিয়ে থাকলেও ৬৫ মিটার থেকেই কোনি তাকে টপকে এগিয়ে যায়। বেঙ্গল চ্যাম্পিয়ন দক্ষ সাঁতারু অমিয়ার জন্য জুপিটার ক্লাবের পক্ষ থেকে চিৎকার ওঠে “কাম অন অমিয়া, কাম অন বেঙ্গল চ্যামপিয়ন।” কিন্তু এই চিৎকার ম্লান হয়ে যায় “ফাইট কোনি, ফাইট” এই পালটা আওয়াজে। মসৃণ, স্বচ্ছন্দ কিন্তু হিংস্রভঙ্গিতে কোনি সমস্ত অপমানের জবাব দিয়ে অমিয়ার আগেই ‘ফিনিশিং বোর্ড’ ছোঁয়। প্রথম স্লোগানে প্রকাশিত অহংবোধকে ভেঙে দিয়ে দ্বিতীয় শ্লোগানে জমে থাকা যন্ত্রণা এবং লড়াকু জয়ই বড়ো হয়ে উঠেছে। সমগ্র উপন্যাসটিতে ‘ফাইট’ শব্দটি কোনির পরিশ্রম, নিষ্ঠা এবং লড়াইয়ের পরিচায়ক হয়ে উঠেছে।

আরও পড়ুন, আজও ছিল আমার সঙ্গে। – কার থাকার কথা বলা হয়েছে? সে কীভাবে বক্তার সঙ্গে ছিল ব্যাখ্যা করো।

এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলা বইয়ের ‘কোনিসহায়ক পাঠ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “কাম অন অমিয়া, কাম অন বেঙ্গল চ্যামপিয়ন।””ফাইট কোনি, ফাইট।” – এই দুই স্লোগান ব্যবহারের তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো। তা নিয়ে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি, এই নিবন্ধটি আপনার জন্য সহায়ক হয়েছে। যদি আপনার কোনো প্রশ্ন থাকে বা আরও সহায়তার প্রয়োজন হয়, আপনি টেলিগ্রামে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। এছাড়াও, আপনার বন্ধুদের সঙ্গে এই পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না, যাতে তারাও উপকৃত হতে পারে। ধন্যবাদ!

Please Share This Article

Related Posts

কয়েকটি সাধারণ জিনগত রোগ – রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর

মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান – বংশগতি এবং কয়েকটি সাধারণ জিনগত রোগ – কয়েকটি সাধারণ জিনগত রোগ – রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর

বংশগতি এবং কয়েকটি সাধারণ জিনগত রোগ-কয়েকটি সাধারণ জিনগত রোগ-মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান

মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান – বংশগতি এবং কয়েকটি সাধারণ জিনগত রোগ – কয়েকটি সাধারণ জিনগত রোগ – সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

দেশীর রাজ্য দফতর কেন গঠিত হয়েছিল? দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তির দলিল বলতে কী বোঝায়?

দেশীর রাজ্য দফতর কেন গঠিত হয়েছিল?

About The Author

Rahul

Tags

মন্তব্য করুন

SolutionWbbse

"SolutionWbbse" শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনলাইন অধ্যয়ন প্ল্যাটফর্ম। এখানে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য গাইডলাইন, এবং বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সাহায্য প্রদান করা হয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল বিষয়ের শিক্ষণীয় উপকরণ সহজেই সকল শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়া।

Editor Picks

মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান – বংশগতি এবং কয়েকটি সাধারণ জিনগত রোগ – কয়েকটি সাধারণ জিনগত রোগ – রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর

মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান – বংশগতি এবং কয়েকটি সাধারণ জিনগত রোগ – কয়েকটি সাধারণ জিনগত রোগ – সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

দেশীর রাজ্য দফতর কেন গঠিত হয়েছিল?

ভারতের জনজীবনে নদনদীর প্রভাব আলোচনা করো।

উত্তর ও দক্ষিণ ভারতের নদনদীর পার্থক্য লেখো।