আজকের আলোচনায় আমরা কাশ্মীর উপত্যকাকে কেন “প্রাচ্যের নন্দনকানন” বলা হয় এবং উত্তর ভারতের সমভূমি কীভাবে গঠিত হয়েছে তা নিয়ে আলোচনা করব। এই দুটি প্রশ্ন দশম শ্রেণীর মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি “ভারতের প্রাকৃতিক পরিবেশ” অধ্যায়ের “ভারতের ভূপ্রকৃতি” বিভাগ থেকে এসেছে।পরীক্ষার জন্য ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে এই বিষয়গুলো মনে রাখা জরুরি।
কাশ্মীর উপত্যকাকে ‘প্রাচ্যের নন্দনকানন’ বলে কেন?
কাশ্মীর উপত্যকার প্রাকৃতিক ভূদৃশ্য অসাধারণ এবং অনুপম। তুষারাবৃত সুউচ্চ পর্বতশৃঙ্গ, হ্রদ, গিরিপথের অবস্থান, মনোরম জলবায়ু এসবের কারণে এই উপত্যকাকে প্রাচ্যের নন্দনকানন বা ভূস্বর্গ বলে।
উত্তর ভারতের সমভূমি কীভাবে তৈরি হয়েছে?
ভূবিজ্ঞানীরা মনে করেন, টার্শিয়ারি যুগে হিমালয় পর্বতের উত্থানের সময় প্রবল ভূ-আন্দোলনের ফলে গন্ডোয়ানা ল্যান্ডের উত্তর দিক নীচু হয়ে গভীর নিম্নভূমি তৈরি করে। পরে ওই নিম্নভূমিতে হিমালয় থেকে বয়ে আসা নদীগুলি পলি ভরাট করে নিম্নসমভূমি তৈরি করেছে।
আজকের আলোচনায় আমরা কাশ্মীর উপত্যকার অপার সৌন্দর্য্যের জন্য ‘প্রাচ্যের নন্দনকানন’ খ্যাতি এবং উত্তর ভারতের বিশাল সমভূমির রহস্য উন্মোচন করেছি।
কাশ্মীর উপত্যকা, হিমালয়ের কোলে অবস্থিত, তার তুষারাবৃত পর্বতমালা, মনোরম হ্রদ, উর্বর উপত্যকা এবং মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক দৃশ্যের জন্য বিখ্যাত। এই অসাধারণ সৌন্দর্য্যই এটিকে ‘প্রাচ্যের নন্দনকানন’ উপাধি এনে দিয়েছে।
অন্যদিকে, উত্তর ভারতের সমভূমি, বিশ্বের বৃহত্তম অববাহিকাগুলির মধ্যে একটি, লক্ষ লক্ষ বছর ধরে নদীগুলির অবক্ষেপণের মাধ্যমে গঠিত হয়েছে। হিমালয় থেকে উৎপন্ন নদীগুলি প্রচুর পরিমাণে পলি বহন করে এনে এই সমভূমি তৈরি করেছে।
এই দুটি আলোচনাই দশম শ্রেণীর ভূগোল পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ‘ভারতের প্রাকৃতিক পরিবেশ’ অধ্যায়ের ‘ভারতের ভূপ্রকৃতি’ বিভাগে এই বিষয়গুলি বারবার দেখা যায়।