আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলে দেখবো যে ক্রেভাস ও বার্গস্রুন্ড কীভাবে তৈরি হয়? এই প্রশ্ন দশম শ্রেণীর পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ, ক্রেভাস ও বার্গস্রুন্ড কীভাবে তৈরি হয়? প্রশ্নটি আপনি পরীক্ষার জন্য তৈরী করে গেলে আপনি লিখে আস্তে পারবেন।
ক্রেভাস ও বার্গস্রুন্ড কীভাবে তৈরি হয়?
ক্রেভাস – হিমবাহ যখন নীচের দিকে নেমে আসে তখন তার পৃষ্ঠদেশ বেশ জমাট ও মসৃণ থাকে। এজন্য বন্ধুর পর্বতের গা বেয়ে নীচের দিকে নেমে আসার সময় ঢালের মুখে এলে হিমবাহের পৃষ্ঠদেশে যথেষ্ট টান পড়ে এবং সেই অংশে চিড় বা ফাটলের সৃষ্টি হয়। হিমবাহের পৃষ্ঠদেশের সেই চিড় বা ফাটলকে বলা হয় ক্রেভাস। ক্রেভাসগুলি কখনও লম্বালম্বিভাবে, আবার কখনও আড়াআড়িভাবে থাকে।
বার্গস্রুন্ড – হিমবাহ যখন নীচের দিকে নামে, তখন অনেক সময় বন্ধুর পর্বতের খাঁজকাটা গা এবং হিমবাহের মধ্যে ফাঁকের সৃষ্টি হয়। সেই ফাঁককে বলা হয় বার্গস্রুন্ড।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বার্গস্রুন্ড ও ক্রেভাস হালকা তুষার দিয়ে ঢাকা বা থাকে বলে দূর থেকে এদের উপস্থিতি বোঝা যায় না। তাই শীতকালে পর্বত অভিযাত্রীদের কাছে এটি বিপদের বিষয়।
আরও পড়ুন – ঝুলন্ত উপত্যকায় জলপ্রপাত গঠিত হয় কেন?
আজকের আলোচনায় আমরা দেখলাম ক্রেভাস ও বার্গস্রুন্ড কীভাবে তৈরি হয়। দুটোই হিমবাহের সাথে সম্পর্কিত প্রাকৃতিক ঘটনা, তবে তাদের গঠন ও বৈশিষ্ট্য ভিন্ন।
ক্রেভাস হল হিমবাহের পৃষ্ঠদেশে তৈরি ফাটল বা চিড়, যা টানের ফলে সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে, বার্গস্রুন্ড হল হিমবাহের মাথার দিকে, পর্বতের গা থেকে হিমবাহের আলাদা হওয়ার ফলে তৈরি উলম্ব গর্ত।
এই ধারণাগুলো দশম শ্রেণীর পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি এই আলোচনা আপনাদের পরীক্ষার প্রস্তুতিতে সহায়তা করবে।