ক্ষিতীশের একটা হাত তোলা। চোয়াল শক্ত। পুরু লেন্সে ভেঙে চোখ দুটো যেন বেরিয়ে আসবে। — কোন্ ঘটনায়, কেন ক্ষিতীশের এরূপ অবস্থা হয়েছিল লেখো।

“ক্ষিতীশের একটা হাত তোলা। চোয়াল শক্ত। পুরু লেন্সে ভেঙে চোখ দুটো যেন বেরিয়ে আসবে।” এই উক্তিটি দশম বাংলা সহায়ক পাঠ কোনি উপন্যাস থেকে নেওয়া হয়েছে।”ক্ষিতীশের একটা হাত তোলা। চোয়াল শক্ত। পুরু লেন্সে ভেঙে চোখ দুটো যেন বেরিয়ে আসবে।” — কোন্ ঘটনায়, কেন ক্ষিতীশের এরূপ অবস্থা হয়েছিল লেখো। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যান্ত গুরুত্তপূর্ণ। কোনি উপন্যাসের এই রচনাধর্মী প্রশ্নটি তৈরী করে গেলে মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষায় একটি ৫ নম্বরের পাওয়া যেতে পারে।

কোনি’ উপন্যাসে, জুপিটার ক্লাবের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ এবং অ্যাপোলোতে যোগদানের পর ক্ষিতীশের মনে এক অদ্ভুত দ্বিধা ও মানসিক যন্ত্রণা দেখা যায়। জুপিটারে কোনিকে ভর্তি করতে গিয়ে ক্ষিতীশকে অপমানিত হতে হয়, যার ফলে তিনি অ্যাপোলোতে যোগদান করতে বাধ্য হন। অ্যাপোলোর ভাইস-প্রেসিডেন্ট নকুল মুখুজ্জে তাকে সম্মান জানিয়ে গ্রহণ করেন এবং কোনিকে সাঁতার শেখার সুযোগ করে দেন। এই ঘটনায় ক্ষিতীশ দুশ্চিন্তামুক্ত হলেও, জুপিটারের সাথে সম্পর্কচ্ছেদের বেদনা তাকে ভেতর থেকে পোড়াতে থাকে।

সারারাত ঘুম না আসায় ক্ষিতীশের মনে একটাই প্রশ্ন ঘুরপাক খায়, “আমি কি ঠিক কাজ করলাম? অ্যাপোলোয় যাওয়া কি উচিত হল?” এই প্রশ্নের উত্তর না পেয়ে তিনি এক অসহায় ও অস্থির মানসিক অবস্থার মধ্যে দিয়ে যান।

এমন সময় ভেলো এসে ক্ষিতীশকে অ্যাপোলোতে যোগদানের জন্য প্রশংসা করে। কিন্তু ক্ষিতীশ মনের কষ্টের কারণে চুপ করে থাকেন। এরপর ভেলো জুপিটারকে শায়েস্তা করার পরামর্শ দেন এবং ক্ষিতীশকে জুপিটারের সাথে সম্পর্ক ভুলে যেতে বলেন।

ক্ষিতীশের মন জুপিটার ও অ্যাপোলোর টানাপোড়েনে ক্ষতবিক্ষত ছিল। ভেলোর কথায় তার যাবতীয় কষ্ট এবং রাগ একসাথে প্রকাশ পায়। এই অবস্থায় ক্ষিতীশ কোন পথ বেছে নেবেন, তা নিয়ে পাঠকের মনে রহস্য ও উত্তেজনা তৈরি হয়।

ক্ষিতীশের একটা হাত তোলা। চোয়াল শক্ত। পুরু লেন্সে ভেঙে চোখ দুটো যেন বেরিয়ে আসবে। — কোন্ ঘটনায়, কেন ক্ষিতীশের এরূপ অবস্থা হয়েছিল লেখো।

“ক্ষিতীশের একটা হাত তোলা। চোয়াল শক্ত। পুরু লেন্সে ভেঙে চোখ দুটো যেন বেরিয়ে আসবে।” — কোন্ ঘটনায়, কেন ক্ষিতীশের এরূপ অবস্থা হয়েছিল লেখো।

ঘটনার বর্ণনা – ‘কোনি’ উপন্যাসে কোনিকে জুপিটারে ভরতি করতে গিয়ে ক্ষিতীশকে অপমানিত হতে হয়। একরকম বাধ্য হয়ে তিনি এসেছিলেন অ্যাপোলোতে। সেখানকার ভাইস-প্রেসিডেন্ট নকুল মুখুজ্জে তাঁকে সম্মান জানিয়ে গ্রহণ করেছেন, আবার কোনিকে সাঁতার শেখারও সুযোগ করে দিয়েছেন। এই ঘটনায় ক্ষিতীশ দুশ্চিন্তামুক্ত হলেও তাঁর বুকের ভেতরটা মোচড় দিয়ে ওঠে।

এরূপ অবস্থার কারণ –

  • জুপিটারের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ – জুপিটারকে ক্ষিতীশ ভালোবাসেন। দীর্ঘদিন পর সেই ক্লাবের সঙ্গে সম্পর্কছেদ হওয়ার বেদনায় তিনি দুঃখিত হয়ে পড়েন।
  • মানসিক যন্ত্রণা অনুভব – সারারাত ঘুম আসে না ক্ষিতীশের। ঘুরে-ফিরে একটাই প্রশ্ন তাঁর মনে আসে, আমি কি ঠিক কাজ করলাম? অ্যাপোলোয় যাওয়া কি উচিত হল? একটা কঠিন মানসিক যন্ত্রণা ক্ষিতীশকে অস্থির করে তোলে।
  • ভেলোর মন্তব্য – এমন সময় ভেলো এসে ক্ষিতীশকে অ্যাপোলোয় যোগদানের জন্য প্রশংসা করে। ক্ষিতীশ কিন্তু মনের কষ্টের কারণে চুপ করেই থাকেন। এরপর ভেলো বলল, জুপিটারকে এবার শায়েস্তা করা দরকার। বুঝলে ক্ষিদ্দা, তুমি শুধু ওই নাড়ির সম্পর্ক-টম্পর্কগুলো একটু ভুলে যাও। এমনিতেই জুপিটার আর অ্যাপোলোর টানাপোড়েনে ক্ষিতীশের মনটা ক্ষতবিক্ষত ছিল। ভেলোর এই কথায় ক্ষিতীশের যাবতীয় কষ্ট এবং রাগ তার শরীরী প্রতিক্রিয়ার মধ্য দিয়ে প্রকাশ পায়।

আরও পড়ুন, ক্ষিতীশ এইসব অপচয় দেখে বিরক্ত বোধ করে। – কোন্ অপচয়ের কথা বলা হয়েছে? তা দেখে ক্ষিতীশের বিরক্ত বোধ করার কারণ কী?

উপসংহারে বলা যায়, ‘কোনি’ উপন্যাসের এই অংশে ক্ষিতীশের মানসিক দ্বন্দ্ব ও যন্ত্রণার চিত্র ফুটে উঠেছে। জুপিটার ক্লাবের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ এবং অ্যাপোলোতে যোগদানের ফলে তিনি এক অদ্ভুত পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। একদিকে অ্যাপোলোতে কোনির সুযোগ সুবিধা এবং নকুল মুখুজ্জের সম্মান তাকে আশ্বস্ত করছে, অন্যদিকে জুপিটারের প্রতি ভালোবাসা এবং দীর্ঘদিনের সম্পর্ক তাকে ভেতর থেকে পোড়াচ্ছে।

ভেলোর কথায় ক্ষিতীশের রাগ ও কষ্ট প্রকাশ পায়, যা তার অস্থির মানসিক অবস্থার প্রমাণ। এই অবস্থা থেকে ক্ষিতীশ কীভাবে মুক্তি পাবেন, তা নিয়ে পাঠকের মনে রহস্য ও উত্তেজনা তৈরি হয়।

এই অংশের মাধ্যমে লেখক মানুষের মনের জটিলতা এবং দ্বন্দ্বের চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন। ক্ষিতীশের চরিত্রের মাধ্যমে আমরা দেখতে পাই যে, কোন সিদ্ধান্তই সহজ নয়, এবং প্রতিটি সিদ্ধান্তেরই কিছু না কিছু পরিণাম থাকে।

Share via:

মন্তব্য করুন