ক্ষিতীশ এইসব অপচয় দেখে বিরক্ত বোধ করে। – কোন্ অপচয়ের কথা বলা হয়েছে? তা দেখে ক্ষিতীশের বিরক্ত বোধ করার কারণ কী?

Sourav Das

“ক্ষিতীশ এইসব অপচয় দেখে বিরক্ত বোধ করে।” এই উক্তিটি দশম বাংলা সহায়ক পাঠ কোনি উপন্যাস থেকে নেওয়া হয়েছে। “ক্ষিতীশ এইসব অপচয় দেখে বিরক্ত বোধ করে।” – কোন্ অপচয়ের কথা বলা হয়েছে? তা দেখে ক্ষিতীশের বিরক্ত বোধ করার কারণ কী? এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যান্ত গুরুত্তপূর্ণ। কোনি উপন্যাসের এই রচনাধর্মী প্রশ্নটি তৈরী করে গেলে মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষায় একটি ৫ নম্বরের পাওয়া যেতে পারে।

এই অংশে, লেখক ক্ষিতীশের চোখে ‘অপচয়’ এর ধারণা তুলে ধরেছেন। ক্ষিতীশের মতে, সুশৃঙ্খল প্রশিক্ষণ এবং টেকনিকের ব্যবহার ছাড়া কোনো প্রতিযোগিতাই খেলাধুলার পর্যায়ে পড়ে না। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের চিলড্রেন পার্কে আয়োজিত অবিরাম হাঁটা প্রতিযোগিতা এবং ৯০ ঘণ্টা সাঁতার প্রতিযোগিতা – এই দুটোই ক্ষিতীশের কাছে ‘অপচয়’ ছাড়া আর কিছুই নয়। কারণ এই প্রতিযোগিতাগুলোতে নিয়ন্ত্রণ, শৃঙ্খলা, বুদ্ধি, গতি, পেশির শক্তি, প্রতিযোগিতামূলক ভাব – এসবেরই অভাব দেখা যায়। ক্ষিতীশের মতে, অবিরাম হাঁটা ‘বলদের মতো শুধু পাক খাওয়া’ ছাড়া আর কিছুই নয়। অন্যদিকে, সাঁতারের নিজস্ব ‘ব্যাকরণ’ আছে, এবং নিয়মিত অনুশীলন ছাড়া সাঁতার কেবলই শ্রম ও সময়ের অপচয়। এই কারণেই ক্ষিতীশ এই ধরনের প্রতিযোগিতা দেখে বিরক্ত বোধ করতেন।

এই অংশে লেখক কেবল ‘অপচয়’ এর ধারণাটাই তুলে ধরেননি, বরং খেলাধুলার সারবস্তু কী, এবং কীভাবে খেলাধুলাকে ‘অপচয়’ থেকে রক্ষা করা যায়, সে সম্পর্কেও ধারণা দিয়েছেন।

ক্ষিতীশ এইসব অপচয় দেখে বিরক্ত বোধ করে। - কোন্ অপচয়ের কথা বলা হয়েছে? তা দেখে ক্ষিতীশের বিরক্ত বোধ করার কারণ কী?

“ক্ষিতীশ এইসব অপচয় দেখে বিরক্ত বোধ করে।” – কোন্ অপচয়ের কথা বলা হয়েছে? তা দেখে ক্ষিতীশের বিরক্ত বোধ করার কারণ কী?

অপচয়ের পরিচয় – সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের চিলড্রেন পার্কে অবিরাম হাঁটা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। ক্ষিতীশ একে ‘স্পোর্ট’ বলতে চান না। আর-একবার তিনি গোলদিঘিতে ৯০ ঘণ্টা সাঁতার প্রতিযোগিতা দেখেছিলেন। তাঁর মতে সেটাও প্রতিযোগিতার মধ্যে পড়ে না। কারণ সুশৃঙ্খল ট্রেনিং আর টেকনিক মারফত খেলা না হলে তার কোনো মূল্য নেই। এই ধরনের প্রতিযোগিতাকেই ক্ষিতীশ সময় ও শ্রমের অপচয় বলে মনে করেছেন।

বিরক্তবোধের কারণ –

  • নিয়ন্ত্রণহীন প্রতিযোগিতা – ক্ষিতীশের কাছে অবিরাম হাঁটা প্রতিযোগিতা বা ৯০ ঘণ্টা সাঁতার প্রতিযোগিতা কোনো খেলা বলেই গণ্য হয় না। এই ধরনের প্রতিযোগিতায় কোনো শৃঙ্খলা বা নিয়ন্ত্রণ থাকে না।
  • কেবলই পাক খাওয়া – অবিরাম হাঁটায় বুদ্ধির দরকার হয় না, গতি লাগে না, পেশির শক্তির প্রয়োজন হয় না, পাল্লা দিতে হয় না অন্য একজন মানুষের সঙ্গে। ক্ষিতীশের মনে হয়েছে, এ যেন বলদের মতো শুধু পাক খাওয়া।
  • নিয়মিত অনুশীলন – কিন্তু সাঁতারের একটা ব্যাকরণ আছে। তা মেনেই নিয়মিত অনুশীলন করতে হবে। না হলে তা হবে শুধুই শ্রম আর সময়ের অপচয়। এই কারণেই ক্ষিতীশ এই ধরনের প্রতিযোগিতা দেখে বিরক্ত বোধ করতেন।

আরও পড়ুন, কম্পিটিশনে পড়লে মেয়েটা তো আমার পা ধোয়া জল খাবে। – বক্তা কে? কী প্রসঙ্গে তার এই উক্তি? এই উক্তিতে বক্তার কীরূপ মনোভাব ফুটে উঠেছে?

উপসংহারে বলা যায়, ক্ষিতীশের মতে, যেকোনো প্রতিযোগিতায় যদি সুশৃঙ্খল প্রশিক্ষণ এবং টেকনিকের ব্যবহার না থাকে, তাহলে সেটা খেলাধুলার পরিবর্তে সময় ও শ্রমের অপচয়। নিয়ন্ত্রণহীন প্রতিযোগিতা, যেখানে বুদ্ধি, গতি, পেশির শক্তি, বা প্রতিযোগিতার কোনো দিক নেই, তা ক্ষিতীশের কাছে বলদের মতো ‘পাক খাওয়া’ ছাড়া আর কিছুই নয়। নিয়মিত অনুশীলন এবং সুশৃঙ্খল প্রশিক্ষণ ছাড়া যেকোনো খেলাধুলাই অর্থহীন, এবং ক্ষিতীশ এই ধরনের অর্থহীন প্রতিযোগিতা দেখে বিরক্ত বোধ করতেন।

JOIN US ON WHATSAPP

JOIN US ON TELEGRAM

Please Share This Article

About The Author

Related Posts

মাধ্যমিক - ভূগোল - বারিমন্ডল - জোয়ার ভাটা - রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর

মাধ্যমিক – ভূগোল – বারিমন্ডল – জোয়ার ভাটা – রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর

Class 10 English – The Passing Away of Bapu – About Author and Story

Class 10 English – The Passing Away of Bapu – About Author and Story

The Passing Away of Bapu

Class 10 English – The Passing Away of Bapu – Question and Answer

Tags

মন্তব্য করুন

SolutionWbbse

Trending Now

Class 9 – English – A Day in The Zoo – Question and Answer

Class 9 – English Reference – Tom Loses a Tooth – Question and Answer

Class 9 – English Reference – The North Ship – Question and Answer

Class 9 – English – His First Flight – Question and Answer

Class 9 – English – A Shipwrecked Sailor – Question and Answer