এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলা বইয়ের ‘কোনি‘ সহায়ক পাঠ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করব – “লড়াকু এবং অনুপ্রেরণামূলক উপন্যাস হিসেবে ‘কোনি’ তোমার মনকে কতটা স্পর্শ করেছে?”। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতির জন্য বিশেষভাবে সহায়ক হবে।
লড়াকু এবং অনুপ্রেরণামূলক উপন্যাস হিসেবে কোনি তোমার মনকে কতটা স্পর্শ করেছে লেখো।
“ফাইট, কোনি ফাইট” স্লোগানটিই কোনি উপন্যাসের মূলমন্ত্র। একজন সাঁতার প্রশিক্ষক হিসেবে ক্ষিতীশ সিংহের লড়াকু মানসিকতা, পরিশ্রমী সত্তা, একাগ্রতা এবং নিষ্ঠা তাঁর স্বপ্নকে লক্ষ্যে পৌঁছে দিয়েছে। বস্তির মেয়ে হতদরিদ্র, প্রায় অশিক্ষিত কোনিকে তিনি যেভাবে তৈরি করেছেন এবং পদে পদে সমস্ত প্রতিবন্ধকতার সঙ্গে লড়াই করেছেন তা রোমহর্ষক এবং অনুপ্রেরণামূলক। একজন মনস্তাত্ত্বিকের মতো তিনি তাঁর শিষ্যার কাছে ক্রমশ শ্রদ্ধেয় এবং অপরিহার্য হয়ে উঠেছেন। নিজের সংসার, ব্যাবসা সমস্ত কিছু ভুলে শিষ্যার মতোই কঠোর জীবনযাপন ও লক্ষ্যে পৌঁছোনোর জন্য কষ্ট স্বীকার করেছেন তিনি। ক্লাবের সংকীর্ণ দলাদলিতে ট্রেনারের পদ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। প্রাণের প্রিয় ক্লাব জুপিটারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছে কিন্তু তাঁর লড়াই থামেনি। কোনিও পদে পদে নিজের দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করেছে। ক্লাবের রাজনীতি, চূড়ান্ত অপমান, অবহেলার বিপক্ষে শুধুই অনুশীলনে মন দিয়েছে। তার এই অনুশীলন, অমানুষিক পরিশ্রম তাকে সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছে দিয়েছে। তাই বাংলার সম্মান বাঁচানোর লড়াইয়ে শামিল হয়ে কোনি যে লড়াই আমাদের দেখায় তা আমাকে শিহরিত উত্তেজিত ও আনন্দিত করেছে।
আরও পড়ুন, জুপিটারের যে সভায় ক্ষিতীশ সিংহ চিফ ট্রেনারের পদ ছেড়েছিলেন সেই সভার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও।
এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলা বইয়ের ‘কোনি‘ সহায়ক পাঠ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন—লড়াকু এবং অনুপ্রেরণামূলক উপন্যাস হিসেবে “কোনি” তোমার মনকে কতটা স্পর্শ করেছে—এ বিষয়ে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এবং আমরা আশা করি এই নিবন্ধটি আপনার প্রস্তুতিতে সহায়ক হবে। যদি আপনার কোনো প্রশ্ন থাকে বা আরও কোনো সহায়তার প্রয়োজন হয়, আপনি নির্দ্বিধায় টেলিগ্রামে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। পোস্টটি আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করতে ভুলবেন না, যাতে তারাও এই তথ্য থেকে উপকৃত হতে পারে। ধন্যবাদ!