দশম শ্রেণি – বাংলা – আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি (কবিতা) শঙ্খ ঘোষ

Gopi

এই কবিতাটিতে কবি শঙ্খ ঘোষ মানবতার ঐক্য ও সংহতির আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বিশ্বাস করেন যে, সকল প্রতিকূলতা ও বিপদাপদে মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করতে হবে। কবিতাটিতে কবি বারবার ‘বেঁধে বেঁধে থাকা’র উপর জোর দিয়েছেন। এর অর্থ হল, মানুষকে একে অপরের সাথে দৃঢ়ভাবে জড়িয়ে ধরে, সহমর্মিতা ও সহযোগিতার জোরে সকল বাধা অতিক্রম করতে হবে।

দশম শ্রেণি – বাংলা – আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি

কবি পরিচিতি

জন্ম – কবি শঙ্খ ঘোষ ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দের ৫ ফেব্রুয়ারি (২২ মাঘ, ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ) ত্রিপুরা জেলার চাঁদপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর প্রকৃত নাম চিত্তপ্রিয় ঘোষ। চাঁদপুর বর্তমানে বাংলাদেশের অন্তর্গত। কবির পৈতৃক বাসস্থান ছিল বর্তমান বাংলাদেশের বরিশাল জেলার বানরিপাড়ায়। তাঁর মায়ের নাম অমলাবালা ঘোষ, বাবা মণীন্দ্রকুমার ঘোষ।

ছাত্রজীবন – বাবা-মায়ের চতুর্থ সন্তান চিত্তপ্রিয়ের শৈশবশিক্ষার শুরু বাড়িতেই। পাবনা জেলার পাকশি চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠে ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে একেবারে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভরতি হন। তাঁর বাবা ছিলেন সেই স্কুলের প্রধানশিক্ষক। ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে যখন তিনি দশম শ্রেণির ছাত্র, তখন বিশ্বভারতীর লোকশিক্ষা সংসদের আদ্যভারতী পরীক্ষায় তিনি উত্তীর্ণ হন। পরের বছর প্রবেশিকা পরীক্ষায় পাঁচটি বিষয়ে লেটার মার্কস পেয়ে তিনি প্রথম বিভাগে পাস করেন ও সরকারি বৃত্তি লাভ করেন। ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে তিনি আইএ পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। এক্ষেত্রেও তিনি সরকারি বৃত্তি লাভ করেন। ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকেই শঙ্খ ঘোষ বিএ পরীক্ষায় পাস করেন। ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে তিনি এমএ পরীক্ষায় প্রথম স্থান পান।

কর্মজীবন ও সাহিত্যজীবন – ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দের জুলাই মাসে কৃত্তিবাস পত্রিকা প্রকাশিত হলে তার প্রথম বর্ষের প্রথম সংখ্যাতেই শঙ্খ ঘোষ ‘দিনগুলি রাতগুলি‘ শিরোনামে একটি কবিতা লেখেন। ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গবাসী কলেজে তিনি কিছুকাল অধ্যাপনা করেন। ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দের শেষদিকে মুরশিদাবাদে জঙ্গিপুর কলেজে অধ্যাপনার কাজে যোগ দেন। ১৯৫৬-য় তাঁর লেখা কিশোরপাঠ্য জীবনীগ্রন্থ বিদ্যাসাগর প্রকাশিত হয়। সে বছর তিনি যোগ দেন বহরমপুর গার্লস কলেজে, বিবাহ করেন শ্রীমতী প্রতিমা বিশ্বাসকে। তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ দিনগুলি রাতগুলি

১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দে তিনি সিটি কলেজের অধ্যাপক হয়ে কলকাতায় চলে আসেন। ১৯৬৩-তে অলোকরঞ্জন দাশগুপ্তের সঙ্গে যৌথভাবে সম্পাদনা করলেন বাংলা ভাষায় বিশ্বকবিতা সংকলন সপ্তসিন্ধু দশদিগন্ত। বইটি উৎসর্গ করলেন কবি সুধীন্দ্রনাথ দত্তকে। ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ যে ভারতকোষ গ্রন্থ প্রকাশ করে, শঙ্খ ঘোষ ছিলেন তার সহসম্পাদকবৃন্দের মধ্যে অন্যতম। এর পরের বছর তিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে যোগ দেন। ১৯৬৭-তে প্রকাশিত হয় এখন সময় নয়, নিহিত পাতালছায়া কাব্যগ্রন্থ। সে বছরই অক্টোবরে আমেরিকার আইওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনটারন্যাশনাল ক্রিয়েটিভ রাইটিং প্রোগ্রামে আমন্ত্রিত হয়ে তিনি প্রথমবার বিদেশযাত্রা করেন। ১৯৬৮-তে তিনি দেশে ফেরেন এবং পরের বছর তাঁর কালের যাত্রা ও রবীন্দ্রনাটক প্রবন্ধগ্রন্থ প্রকাশিত হয়।

১৯৭১-এ বেরোয় নিঃশব্দের তর্জনী, ছন্দের বারান্দা প্রভৃতি প্রবন্ধগ্রন্থ। পরের বছর প্রকাশিত হয় কাব্যগ্রন্থ আদিম লতাগুল্মময়, কিশোর উপন্যাস সকালবেলার আলো। ১৯৭৩-এ নির্মাল্য আচার্যকে সঙ্গে নিয়ে সম্পাদনা করলেন সতীনাথ গ্রন্থাবলী, অনুবাদ করলেন স্প্যানিশ ভাষায় রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে ভিক্টোরিয়া ওকাম্পোর লেখা গ্রন্থ ওকাম্পোর রবীন্দ্রনাথ নামে। ১৯৭৪-এ প্রকাশিত হল কাব্যগ্রন্থ মূর্খ বড়ো, সামাজিক নয়। এ বছরই কিছুকাল তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিজিটিং প্রফেসার পদে কাজ করেন। ১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দে ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত তিনি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিথি অধ্যাপকের পদ সামলান। এই সময়েই প্রকাশিত হয় তুমি তো তেমন গৌরী নও কাব্যগ্রন্থ।

১৯৭৯-তে কিউবার কবিতার বঙ্গানুবাদ করলেন নিকোলাস গ্যিয়েনের চিড়িয়াখানা ও অন্যান্য কবিতা নামে। ১৯৮০ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয় তাঁর পাঁজরে দাঁড়ের শব্দ কাব্যগ্রন্থটি। সে বছরই প্রকাশ পায় এ আমির আবরণ প্রবন্ধগ্রন্থ। কুন্তক ছদ্মনামে লেখেন শব্দ নিয়ে খেলা বইটি। ১৯৮১-তে প্রকাশিত হয় উর্বশীর হাসি। ১৯৮৫-তে নির্মাণ আর সৃষ্টি প্রবন্ধগ্রন্থ প্রকাশিত হয়। প্রহর জোড়া ত্রিতাল কাব্যগ্রন্থের জন্য শঙ্খ ঘোষ ত্রিবান্দ্রমের ‘কুমারন আসান পুরস্কার‘ লাভ করেন।

১৯৮৩-তে প্রকাশিত হয় ছোটোদের জন্য ছড়া সংকলন রাগ করো না রাগুনি। ১৯৮৪-তে মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে, বন্ধুরা মাতি তরজায় কাব্যগ্রন্থ এবং কল্পনার হিস্টিরিয়া প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। ১৯৮৫-তে বেরোয় জার্নাল, ১৯৮৬-তে ঘুমিয়ে পড়া অ্যালবাম, হয়বদন, বহুল দেবতা বহুস্বর। ১৯৮৭-তে প্রকাশিত হয় কবিতার মুহূর্ত, ধুম লেগেছে হৃৎকমলে, সব কিছুতেই খেলনা হয় কাব্যগ্রন্থগুলি। ১৯৮৯-এ কবিতা লেখা কবিতা পড়া প্রবন্ধগ্রন্থের প্রকাশ। সে বছর ধুম লেগেছে হৃৎকমলে গ্রন্থের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দেওয়া রবীন্দ্র পুরস্কারের টাকা শঙ্খ ঘোষ নির্যাতিত ও অসহায় মেয়েদের সম্মানজনক পুনর্বাসনের জন্য তুলে দেন শ্রীশিবশঙ্কর চক্রবর্তী মহাশয়ের হাতে।

১৯৯০ খ্রিস্টাব্দে তাঁর লেখা সুপুরিবনের সারি নামের কিশোরপাঠ্য উপন্যাসটি প্রকাশিত হয়। ১৯৯২ খ্রিস্টাব্দে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপনা থেকে তিনি অবসর নেন। অসমের কমলকুমারী ফাউন্ডেশন থেকে সাহিত্য-সংস্কৃতিতে বিশেষ অবদানের জন্য পান ‘কমলকুমারী ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড ফর কালচার‘। টেগোর রিসার্চ ইন্সটিটিউট তাঁকে ‘রবীন্দ্রতত্ত্বাচার্য‘ উপাধি দিয়ে সম্মানিত করে। এরপর একের পর এক প্রকাশিত হয় তাঁর লাইনেই ছিলাম বাবা, ছন্দোময় জীবন, কথা নিয়ে খেলা, গান্ধর্ব কবিতাগুচ্ছ, কবির অভিপ্রায়, এখন সব অলীক, প্রহর জোড়া ত্রিতাল, আমন যাবে লাট্টু-পাহাড়, বইয়ের ঘর, শবের উপর সামিয়ানা, সময়ের জলছবি, ছোট্ট একটা স্কুল, ছন্দের ভিতরে এত অন্ধকার, ইশারা অবিরত, এই শহরের রাখাল, ইছামতীর মশা, বড়ো হওয়া খুব ভুল, দামিনীর গান, জলই পাষাণ হয়ে আছে, বল তো দেখি কেমন হতো, সামান্য অসামান্য, ছেঁড়া ক্যাম্বিসের ব্যাগ, অবিশ্বাসের বাস্তব, ইরাকি কবিতার ছায়ায়, শহর পথের ধুলো, আরোপ আর উদভাবন, বটপাকুড়ের ফেনা, কথার পিঠে কথা, ইকবাল থেকে অনুবাদ, প্রতি প্রশ্নে কেঁপে ওঠে ভিটে ইত্যাদি কাব্যগ্রন্থ।

পুরস্কার ও সম্মান – শঙ্খ ঘোষ সারাজীবনে বহু পুরস্কার ও সম্মানে সম্মানিত হয়েছেন। ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয় তাঁর বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ বাবরের প্রার্থনা। ১৯৭৭-এ মুর্খ বড়ো, সামাজিক নয় কাব্যগ্রন্থের জন্য দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে ‘নরসিংহ দাস পুরস্কার‘ দিল, বাবরের প্রার্থনা কাব্যগ্রন্থের জন্য তিনি পান ‘নক্ষত্র পুরস্কার‘ এবং ‘সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার’। ১৯৯৫-তে ভারতীয় ভাষা পরিষদ তাঁকে ‘স্বর্ণাঞ্চল পুরস্কার‘ এবং ১৯৯৮-এ মধ্যপ্রদেশ সরকার তাঁকে ‘কবীর সম্মান’ দেয়। সে বছরই কবিতার মুহূর্ত গ্রন্থের জন্য পান ‘শিরোমণি পুরস্কার‘।

গান্ধর্ব কবিতাগুচ্ছ কাব্যগ্রন্থের জন্য কে কে বিড়লা ফাউন্ডেশন তাঁকে ‘সরস্বতী সম্মান‘ জ্ঞাপন করে। ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে ‘দেশিকোত্তম‘ উপাধি দেয়। ২০০৩ খ্রিস্টাব্দে সম্বলপুর বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে ‘গঙ্গাধর মেহের জাতীয় পুরস্কার‘ দান করে। ২০০৪ খ্রিস্টাব্দে তিনি পান ‘অন্নদাশঙ্কর রায় স্মৃতি পুরস্কার’, ‘শরৎস্মৃতি পুরস্কার’ এবং বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্মানিক ডিলিট। ২০০৬-এ শঙ্খ ঘোষ পান বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাম্মানিক ডিলিট। ২০১১ খ্রিস্টাব্দে ভারত সরকার তাঁকে ‘পদ্মভূষণ‘ উপাধি দিয়ে ভূষিত করে। ২০১৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি ‘জ্ঞানপীঠ‘ পুরস্কারে সম্মানিত হন।

উৎস

শঙ্খ ঘোষের জলই পাষাণ হয়ে আছে কাব্যগ্রন্থ থেকে ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি‘ কবিতাটি নেওয়া হয়েছে।

সারসংক্ষেপ

আমাদের পৃথিবী আজ সংকটের মুখোমুখি। সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন, ধর্মান্ধতা ইত্যাদির প্রেক্ষাপটে কবি শঙ্খ ঘোষ ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতাটি রচনা করেন। আমাদের ডান কিংবা বাম উভয় দিকেই রয়েছে ধ্বংসের নিশ্চিত ইঙ্গিত। মাথার ওপরে কিংবা পায়ের নীচে প্রতিমুহূর্তে প্রতিবন্ধকতা। নানারকম বাধায় আমাদের বেঁচে থাকাই সমস্যার হয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থায় মানুষের অস্তিত্বই আজ সংকটের সামনে। প্রেরণা খুঁজে নেওয়ার মতো কোনো ইতিহাসও আমাদের নেই। কেন-না ইতিহাস এখানে ক্ষমতাবানদের দ্বারা বিকৃত। তাই প্রতিমুহূর্তে মৃত্যুর আশঙ্কায় জীবন অনিশ্চিত। এই অবস্থায় বিরোধী শক্তিকে আটকাতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে চলতে হবে।

অন্যের দাসত্ব করতে গিয়ে আমরা আমাদের কৃষ্টি ও সংস্কৃতিকে অন্যের পায়ে সমর্পণ করে ফেলেছি। নিজেদের ঐতিহ্যকে ভুলে অন্যের চাপিয়ে দেওয়া ইতিহাসকে গ্রহণ করে আমার বেঁচে রয়েছি। এই বেঁচে থাকার আড়ালে রয়েছে ভিক্ষাবৃত্তি। এরই মধ্যে দু-চারজন শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ এখনও আছেন, যাঁরা মানুষে মানুষে একাত্মতার কথা বলেন। এই একাত্মতাই হল আমাদের পৃথিবীর প্রাণশক্তি। পারস্পরিক প্রীতিই সভ্যতাকে বাঁচাতে পারে। এই চেষ্টাই এখন সকলকে করতে হবে।

নামকরণ

নামকরণ যে-কোনো সাহিত্যিক রচনায় প্রবেশের চাবিকাঠি। তাই সাহিত্যে নামকরণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, আর এই নামকরণ নানান দিক থেকে হতে পারে। আমাদের আলোচ্য ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতাটির নামকরণ কতখানি প্রাসঙ্গিক তা বিচার খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

নানারকম সংকটের মধ্য দিয়ে আজকের পৃথিবী এগিয়ে চলেছে। সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন, ধর্মান্ধতা ইত্যাদি বিষয়গুলি মানবতার বিপর্যয় ঘটাচ্ছে। এই অবস্থায় মানুষের অস্তিত্বই আজ সংকটের সামনে। প্রেরণা খুঁজে নেওয়ার মতো কোনো ইতিহাসও আমাদের নেই, কারণ ইতিহাস এখানে ক্ষমতাবানদের দ্বারা বিকৃত। তাই অন্ধ ও ভিখারি হয়ে বেঁচে থাকাই আজ মানুষের নিয়তি। সাধারণ মানুষ এখানে কোনো মর্যাদাই পায় না। তবুও যাবতীয় শুভবুদ্ধির অবসান এখনও হয়নি। সংখ্যায় অল্প হলেও কিছু মানুষ আজও সম্প্রীতির কথা বলে, মানুষে মানুষে মিলনের কথা বলে। ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’-কবিতার দুটি স্তবকে ধ্রুবপদের মতো পঙ্ক্তিটিকে দু-বার ব্যবহার করেছেন কবি। মিলনের আকাঙ্ক্ষা এতে আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। ব্যঞ্জনার দিক থেকে নামকরণটি তাই অত্যন্ত সার্থক হয়েছে।

‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতাটি বাংলা সাহিত্যের একটি অমূল্য সম্পদ। এই কবিতাটি মানুষকে সকল প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য অনুপ্রাণিত করে। এই কবিতাটি শিক্ষার্থীদের মনে ঐক্য ও সংহতির ভাব জাগিয়ে তোলে এবং তাদের ভাষা ও সাহিত্য সম্পর্কে জ্ঞান বৃদ্ধি করে।

JOIN US ON WHATSAPP

JOIN US ON TELEGRAM

Please Share This Article

About The Author

Related Posts

মাধ্যমিক - ভূগোল - বারিমন্ডল - জোয়ার ভাটা - রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর

মাধ্যমিক – ভূগোল – বারিমন্ডল – জোয়ার ভাটা – রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর

Class 10 English – The Passing Away of Bapu – About Author and Story

Class 10 English – The Passing Away of Bapu – About Author and Story

The Passing Away of Bapu

Class 10 English – The Passing Away of Bapu – Question and Answer

Tags

মন্তব্য করুন

SolutionWbbse

Trending Now

Class 9 – English – A Day in The Zoo – Question and Answer

Class 9 – English Reference – Tom Loses a Tooth – Question and Answer

Class 9 – English Reference – The North Ship – Question and Answer

Class 9 – English – His First Flight – Question and Answer

Class 9 – English – A Shipwrecked Sailor – Question and Answer