দশম শ্রেণি – বাংলা – আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি – অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর

কবিতাটি বিশ্বব্যাপী সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন ও যুদ্ধবাজদের বিরুদ্ধে মানুষের ঐক্যবদ্ধতার আহ্বান জানানোর দিক থেকে একটি সার্থক কবিতা। কবিতাটি যুদ্ধবিধ্বস্ত ও দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের আশা ও সংগ্রামের গান।

Table of Contents

দশম শ্রেণি – বাংলা – আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি – অতিসংক্ষিপ্ত উত্তর ভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর

কবি শঙ্খ ঘোষ কত খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন?

কবি শঙ্খ ঘোষ ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে বর্তমান বাংলাদেশের চাঁদপুরে জন্মগ্রহণ করেন।

আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি কবিতাটি কবি শঙ্খ ঘোষের কোন্ কাব্যগ্রন্থের কবিতা?

আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি কবিতাটি কবি শঙ্খ ঘোষের জলই পাষাণ হয়ে আছে কাব্যগ্রন্থের কবিতা।

জলই পাষাণ হয়ে আছে কাব্যগ্রন্থটির কবিতাগুলি কোন সময়ের মধ্যে রচিত?

কবি শঙ্খ ঘোষের জলই পাষাণ হয়ে আছে কাব্যগ্রন্থের কবিতাগুলি ২০০০-২০০৩ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে রচিত।

জলই পাষাণ হয়ে আছে কাব্যগ্রন্থটি কত খ্রিস্টাব্দে প্রথম প্রকাশিত হয়?

জলই পাষাণ হয়ে আছে কাব্যগ্রন্থটি ২০০৪ খ্রিস্টাব্দে প্রথম প্রকাশিত হয়।

আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি কবিতাটি জলই পাষাণ হয়ে আছে কাব্যগ্রন্থের কত সংখ্যক কবিতা?

আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি কবিতাটি জলই পাষাণ হয়ে আছে কাব্যগ্রন্থের ৩১ সংখ্যক কবিতা।

কবিতার কথকের ডান পাশে কীসের চিহ্ন ছড়িয়ে রয়েছে?

আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি কবিতার কথকের ডান পাশে ধসের চিহ্ন ছড়িয়ে রয়েছে।

কবিতার কথক তার বাম দিকে কী দেখছেন?

আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি কবিতার কথক তার বাম দিকে দেখছেন গভীর গিরিখাত।

আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি কবিতার কথকের মাথার ওপরে কী উড়ে বেড়াচ্ছে?

আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি কবিতার কথকের মাথার ওপরে উড়ে বেড়াচ্ছে ‘বোমারু’ অর্থাৎ বোমারু বিমান।

আমাদের মাথায় বোমারু – ‘বোমারু’ শব্দটির দ্বারা কবি কোন্ পরিস্থিতির ইঙ্গিত দিয়েছেন?

বোমারু কথাটির দ্বারা কবি যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির দিকে ইঙ্গিত দিয়েছেন।

আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি কবিতার কথকের পায়ে পায়ে কীসের বাঁধ?

আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি কবিতার কথকের পায়ে পায়ে হিমানীর বাঁধ।

পায়ে পায়ে হিমানীর বাঁধ। – ‘হিমানীর বাঁধ’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?

হিংসার উন্মত্ততা সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকাকে দুঃসহ করে তুলেছে। পাহাড়ি পথকে বরফ যেমন দুর্গম করে তোলে তেমনই এই হিংসা সভ্যতার গতিপথকে দুর্গম করে তোলে।

আমাদের পথ নেই কোনো – এরকম মন্তব্যের কারণ কী?

সম্পূর্ণ প্রতিকূল ও অস্থির পরিবেশে এ কথা মনে হয়েছে যে আমাদের কোনো পথ নেই। কেন-না যে-কোনো দিকে পা বাড়ালেই চূড়ান্ত অঘটন ঘটবে।

আমাদের ঘর গেছে উড়ে – কথাটির অর্থ পরিস্ফুট করো।

শক্তিশালী সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলি স্বার্থের জন্য দুর্বল দেশগুলির ওপর বোমারু বিমান থেকে বোমা নিক্ষেপ করেছে। সে-কারণে ‘আমাদের’ অর্থাৎ সাধারণ মানুষের ঘর উড়ে গেছে।

ছড়ানো রয়েছে কাছে দূরে! – কী ছড়ানো রয়েছে?

শঙ্খ ঘোষ রচিত ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতায় কথকের বিবৃতি অনুযায়ী কাছে-দূরে মানবশিশুর মৃতদেহ ছড়ানো রয়েছে।

আমরাও তবে এইভাবে/এ-মুহূর্তে মরে যাব না কি? – কবিতার কথকের মনে এমন সংশয়ের কারণ কী?

শঙ্খ ঘোষের ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতার কথকের মনে এমন সংশয় জেগেছে। কেন-না বেদনাভরা চোখ মেলে তিনি চারদিকে সন্তানদের মৃতদেহ দেখেছেন, যা তাঁকে ভীত করে তুলেছে।

আমাদের পথ নেই আর – ‘পথ’ শব্দটি উদ্ধৃত অংশে কোন্ অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?

আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি কবিতা থেকে নেওয়া ওপরের আলোচ্য অংশে ‘পথ’ শব্দটি ‘উপায়’ অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।

আমাদের পথ নেই আর – তাহলে আমাদের করণীয় কী?

আমাদের সমস্ত পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে কবি হাতে হাত রেখে সংঘবদ্ধভাবে থাকার ডাক দিয়েছেন।

আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি – বেঁধে বেঁধে থাকার উদ্দেশ্য কী?

বেঁধে বেঁধে থাকার উদ্দেশ্য বিপদকে সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করার শক্তি সংগ্রহ করা।

আমাদের ইতিহাস নেই – এ কথা বলা হয়েছে কেন?

শঙ্খ ঘোষের ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতায় আমাদের ইতিহাস নেই বলার কারণ হল বক্তা যাদের প্রতিনিধি, সেই সাধারণ মানুষ কোনোদিনই ইতিহাসে ঠাঁই পায় না।

অথবা এমনই ইতিহাস – ইতিহাস থেকে থাকলে তার স্বরূপটি কেমন?

শঙ্খ ঘোষের ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতার কথকের সমাজের ইতিহাস থেকে থাকলেও সেখানে সকলেরই চোখ-মুখ ঢাকা, ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য দিয়ে সেখানে কেউই ইতিহাসে ঠাঁই পায়নি।

আমরা ভিখারি বারোমাস – এ কথা বলার কারণ কী?

সাধারণ মানুষের দীর্ঘদিনের বঞ্চনা ও বিপুল ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ লক্ষ করে কবি শঙ্খ ঘোষ ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতায় আলোচ্য মন্তব্যটি করেছেন।

পৃথিবী হয়তো বেঁচে আছে/পৃথিবী হয়তো গেছে মরে – এমন কথা মনে হয়েছে কেন?

শোষিত, বঞ্চিত, নিপীড়িত মানুষ যেন অন্য কোনো গ্রহের জীব। তারা এতটাই সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে, যে পৃথিবীর বাঁচা-মরার খবর যেন তাদের কাছে নেই।

আমাদের কথা কে-বা জানে – কাদের কথা কেউ জানে না?

দরিদ্র, ঘরহারা, নিপীড়িত মানুষের কথা কেউ জানে না, কেউ তাদের খবর রাখে না।

আমরা ফিরেছি দোরে দোরে। – এর কারণ কী?

দুর্যোগে সব-হারানো অসহায় মানুষ সাহায্যের আশায় মানুষেরই দরজায় গিয়ে উপস্থিত হয়েছে, কিন্তু কেউ তাদের দিকে ফিরেও তাকায়নি। জীবনযাপনের গ্লানি নিয়ে তাদের দরজায় দরজায় ঘুরতে হয়েছে সাহায্যের আশায়।

কিছুই কোথাও যদি নেই – কোথাও কিছু না থাকার মতো অবস্থা যখন, তখন কী করণীয়?

চারিদিকে অসীম শূন্যতার হাহাকারের দিনে যে ক-জন ‘মানুষ’ রয়েছেন, তাঁরা যেন হাতে হাত রেখে বাঁচার স্বপ্ন দেখেন, সংঘবদ্ধভাবে বেঁচে থাকার রসদ খুঁজে নেন।

আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি – এ কথা বলার কারণ কী?

আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি কথাটির দ্বারা কবি বোঝাতে চেয়েছেন যে, যে-কোনো বাধাই মানুষের ঐক্যের দ্বারা আটকানো সম্ভব।

আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি কবিতাটি কয়টি স্তবকে বিন্যস্ত? প্রতিটি স্তবকে কয়টি করে পঙ্ক্তি আছে?

আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি কবিতাটি দুটি স্তবকে বিন্যস্ত। প্রতিটি স্তবকে ১২টি করে পঙ্ক্তি রয়েছে।

কবিতাটি থেকে আমরা শিক্ষা নিতে পারি যে, সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন ও যুদ্ধবাজদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দাঁড়াতে হবে। পারস্পরিক সাহচর্য ও সহমর্মিতার মাধ্যমেই সমস্ত প্রতিকূলতা ও সংকট মোকাবেলা করা সম্ভব।

Share via:

মন্তব্য করুন