আজকের এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলার দ্বিতীয় পাঠের প্রথম অংশ, “অসুখী একজন” থেকে কিছু অতিসংক্ষিপ্ত উত্তর ভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে আলোচনা করবো। মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য এই প্রশ্নগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এগুলো পরীক্ষায় প্রায়ই আসতে দেখা যায়। আশা করি, এই আর্টিকেলটি আপনাদের পরীক্ষার প্রস্তুতিতে সহায়ক হবে।

বহুবিকল্পীয় প্রশ্ন ও উত্তর
ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো।
‘অসুখী একজন’ কবিতাটি যে মূল কবিতার ভাষান্তর, তার কবি হলেন –
- পাবলো পিকাসো
- পাবলো নেরুদা
- গিউসেপ্লে উনগারেত্তিঘ
- পেনত্তি সারিকোস্কি
উত্তর – 2. পাবলো নেরুদা
‘অসুখী একজন’ কবিতাটির ইংরেজি তরজমাটি হল –
- The Unhappy Woman
- The Unhapy
- The Unhappy One
- The Unhappy Man
উত্তর – 3. The Unhappy One
‘অসুখী একজন’ শীর্ষক অনুবাদ-কবিতাটি নবারুণ ভট্টাচার্যের যে কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে –
- বিদেশি ফুলে রক্তের ছিটে
- এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ না
- মুখে মেঘের রুমাল বাঁধা
- রাতের সার্কাস
উত্তর – 1. বিদেশি ফুলে রক্তের ছিটে
কবি পাবলো নেরুদার জন্মস্থান –
- চিলি
- ফ্রান্স
- ইটালি
- জার্মানি
উত্তর – 1. চিলি
কবি পাবলো নেরুদার জীবনকাল –
- 1904-1973 খ্রিস্টাব্দ
- 1900-1976 খ্রিস্টাব্দ
- 1905-1978 খ্রিস্টাব্দ
- 1907-1987 খ্রিস্টাব্দ
উত্তর – 1. 1904-1973 খ্রিস্টাব্দ
পাবলো নেরুদার আসল নাম –
- নেফতালি রেয়েস বাসোয়ালতো
- নেফতালি রিকার্দো রেয়েস বাসোয়ালতো
- নেফতালি রিকার্দো পাবলো রেয়েস নেরুদা
- নেফতালি রিকার্দো পাবলো রেয়েস নেরুদা বাসোয়ালতো
উত্তর – 2. নেফতালি রিকার্দো রেয়েস বাসোয়ালতো
কবি পাবলো নেরুদা সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন –
- 1941 খ্রিস্টাব্দে
- 1970 খ্রিস্টাব্দে
- 1952 খ্রিস্টাব্দে
- 1971 খ্রিস্টাব্দে
উত্তর – 4. 1971 খ্রিস্টাব্দে
নীচের যে কাব্যগ্রন্থটি পাবলো নেরুদার রচিত –
- Extravagaria
- Extravaganza
- Ozymandias
- The Masque of Anarchy
উত্তর – 1. Extravagaria
‘অসুখী একজন’ কবিতাটি কবি পাবলো নেরুদার যে কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত, সেটি হল –
- Intimacies: Poems of Love
- Extravagaria
- The Captain’s Verses
- On the Blue Shore of Silence: Poems of the Sea
উত্তর – 2. Extravagaria
“আমি তাকে ছেড়ে দিলাম” – কথক ছেড়ে দিয়েছেন –
- তাঁর বাড়িকে
- তাঁর ঘোড়াটিকে
- একজন মেয়েকে
- তাঁর মাকে
উত্তর – 3. একজন মেয়েকে
“সে জানত না” – ‘অসুখী একজন’ কবিতায় ‘সে’ বলতে বোঝানো হয়েছে –
- গির্জার এক নানকে
- একটা কুকুরকে
- একজন সাধারণ নারীকে
- বাড়ির ভৃত্যকে
উত্তর – 3. একজন সাধারণ নারীকে
‘সে জানত না’ যে –
- কবিতার কথক আর কখনোই ফিরে আসবে না
- কবিতার কথক তাকে ফিরে এসে সঙ্গে নিয়ে যাবে
- যুদ্ধ আসবে রক্তের এক আগ্নেয়পাহাড়ের মতো
- সমতলে আগুন ধরে যাবে
উত্তর – 1. কবিতার কথক আর কখনোই ফিরে আসবে না
“একটা কুকুর চলে গেল, হেঁটে গেল” –
- একজন অসুখী মেয়ে
- গির্জার এক নান
- শান্ত হলুদ দেবতারা
- গল্পের কথক
উত্তর – 2. গির্জার এক নান
“বৃষ্টিতে ধুয়ে দিল।” – বৃষ্টিতে যা ধুয়ে দিল –
- পায়ের দাগ
- রক্তের দাগ
- চকের দাগ
- চাকার দাগ
উত্তর – 1. পায়ের দাগ
“ঘাস জন্মালো রাস্তায়” – কারণ –
- সেই রাস্তা দিয়ে কেউ ফিরে আসেনি
- রাস্তাটি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল
- রাস্তাটি যুদ্ধে নষ্ট হয়ে গিয়েছিল
- রাস্তার ওপর মাঠ তৈরি হয়েছিল
উত্তর – 1. সেই রাস্তা দিয়ে কেউ ফিরে আসেনি
“বছরগুলো নেমে এল তার” –
- চলার পথে
- জীবনের ওপর
- মাথার ওপর
- ঘরের দরজায়
উত্তর – 3. মাথার ওপর
“বছরগুলো/নেমে এল তার মাথার ওপর।” – বছরগুলোর ‘নেমে আসা’-কে কবিতায় তুলনা করা হয়েছে –
- পরপর নেমে-আসা বৃষ্টিফোঁটার সঙ্গে
- পরপর নেমে-আসা পাথরের সঙ্গে
- রাস্তায় ঘাস জন্মানোর সঙ্গে
- শান্ত হলুদ দেবতাদের হাজার বছরের ধ্যানের সঙ্গে
উত্তর – 2. পরপর নেমে-আসা পাথরের সঙ্গে
“তারপর যুদ্ধ এল” –
- পাহাড়ের আগুনের মতো
- রক্তের এক আগ্নেয়পাহাড়ের মতো
- রক্তের সমুদ্রের মতো
- আগ্নেয়পাহাড়ের মতো
উত্তর – 2. রক্তের এক আগ্নেয়পাহাড়ের মতো
“তারপর যুদ্ধ এল” – যুদ্ধে খুন হল –
- শহরের মানুষ
- শান্ত হলুদ দেবতারা
- নিরীহ মানুষ
- শিশু আর বাড়িরা
উত্তর – 4. শিশু আর বাড়িরা
যুদ্ধকে ‘রক্তের এক আগ্নেয়পাহাড়ের মতো’ মনে করার কারণ –
- কখন যুদ্ধ হয় কেউ তা জানে না
- যুদ্ধ আগ্নেয়পাহাড়ের মতোই ভয়ংকর ও রক্তক্ষয়ী
- কবির বাসস্থান এক আগ্নেয়পাহাড়ে ঘেরা অঞ্চলে
- যুদ্ধ পাহাড়ের মতো নির্মম, বাস্তব
উত্তর – 2. যুদ্ধ আগ্নেয়পাহাড়ের মতোই ভয়ংকর ও রক্তক্ষয়ী
“শিশু আর বাড়িরা খুন হলো” যখন –
- মেয়েটি একা হয়ে পড়ল
- দেবতাদের মূর্তি ভেঙে পড়ল
- রক্তের এক আগ্নেয়পাহাড়ের মতো যুদ্ধ এল
- গোলাপি গাছ, চিমনি, প্রাচীন জলতরঙ্গ চূর্ণ হয়ে গেল বিধ্বংসী আগুনে
উত্তর – 3. রক্তের এক আগ্নেয়পাহাড়ের মতো যুদ্ধ এল
“মৃত্যু হলো না” – যার মৃত্যু হল না –
- কবির
- কবিতার
- মেয়েটির
- শিশুটির
উত্তর – 3. মেয়েটির
“সেই মেয়েটির মৃত্যু হলো না।” – ‘সেই মেয়েটি’ বলতে বোঝানো হয়েছে –
- কথকের জন্য অপেক্ষারতা মেয়েটিকে
- গির্জার এক নানকে
- যুদ্ধের সময় মারা না যাওয়া এক শিশুকন্যাকে
- কথকের স্ত্রীকে
উত্তর – 1. কথকের জন্য অপেক্ষারতা মেয়েটিকে
“ধরে গেল আগুন” – কোথায়? –
- ঘন অরণ্যে
- জলবসতিতে
- ফসলের খেতে
- সমস্ত সমতলে
উত্তর – 4. সমস্ত সমতলে
“সমস্ত সমতলে ধরে গেল আগুন” – যার ফলে –
- দেবতা, বাড়ি, বারান্দা, গাছপালা সবই ধ্বংস হল
- গাছগুলো পুড়ে ছাই হয়ে গেল
- আগ্নেয়পাহাড়টি ভয়াবহ বিস্ফোরণে ফেটে পড়ল
- কবিতার কথককে অন্যত্র চলে যেতে হল
উত্তর – 1. দেবতা, বাড়ি, বারান্দা, গাছপালা সবই ধ্বংস হল
হাজার বছর ধরে ধ্যানে ডুবেছিল যারা –
- মন্দিরের সেবাইত
- ভক্তগণ
- দৈত্যরা
- শান্ত হলুদ দেবতারা
উত্তর – 4. শান্ত হলুদ দেবতারা
‘শান্ত হলুদ দেবতারা’ বলতে বোঝানো হয়েছে –
- পাথরের তৈরি দেবতাদের
- জীবন্ত দেবতাদের
- গির্জার সন্ন্যাসীদের
- মৃত দেবতাদের
উত্তর – 1. পাথরের তৈরি দেবতাদের
শান্ত হলুদ দেবতারা ধ্যানে ডুবেছিল –
- সাতশো বছর
- আজীবন
- হাজার বছর
- অনাদিকাল
উত্তর – 3. হাজার বছর
‘শান্ত হলুদ দেবতারা’ হাজার বছর ধরে –
- ধ্যানে ডুবে থেকে স্বপ্ন দেখছিলেন
- সভ্যতাকে রক্ষা করেছিলেন
- অহিংসার বাণী প্রচার করেছিলেন
- মানুষকে দুঃখ জয় করার শক্তি দিয়েছিলেন
উত্তর – 1. ধ্যানে ডুবে থেকে স্বপ্ন দেখছিলেন
“তারা আর স্বপ্ন দেখতে পারল না।” – এখানে যাঁদের স্বপ্ন দেখতে না পারার কথা বলা হয়েছে, তাঁরা হলেন –
- সাধারণ মানুষ
- দেবতারা
- দেশভক্ত
- সৈনিক
উত্তর – 2. দেবতারা
কবিতার কথক ঘুমিয়ে ছিলেন বারান্দার –
- খাটে
- ঝুলন্ত বিছানায়
- চৌকিতে
- মেঝেতে
উত্তর – 2. ঝুলন্ত বিছানায়
যুদ্ধের আগুনের দাবদাহে নষ্ট হয়ে গেল যে বাদ্যটি –
- সেতার
- হারমোনিয়াম
- বীণা
- জলতরঙ্গ
উত্তর – 4. জলতরঙ্গ
“যেখানে ছিল শহর/সেখানে ছড়িয়ে রইল” – কী ছড়িয়ে রইল? –
- পায়ের দাগ
- কাঠকয়লা
- গোলাপি গাছ
- প্রাচীন জলতরঙ্গ
উত্তর – 2. কাঠকয়লা
“সেখানে ছড়িয়ে রইল কাঠকয়লা” – কাঠকয়লা ছড়িয়ে রইল –
- যেখানে গ্রাম ছিল
- যেখানে শহর ছিল
- যেখানে নগর ছিল
- যেখানে জঙ্গল ছিল
উত্তর – 2. যেখানে শহর ছিল
“মৃত পাথরের মূর্তির বীভৎস/মাথা” – পাথরের মূর্তিটি –
- দেবতার
- ফ্যারাও -এর
- একজন মানুষের
- একটি মেয়ের
উত্তর – 1. দেবতার
“আর সেই মেয়েটি আমার অপেক্ষায়।” – সেই মেয়েটি আজও অপেক্ষায়, কারণ –
- সে জানতই না, কথক আর কখনও ফিরে যাবে না তার কাছে
- তার জীবনের সব অবলম্বন যুদ্ধে ধ্বংস হয়ে গেছে
- সে দুঃখ পেতে ভালোবাসে
- সে জানত যুদ্ধ শেষ হলেই কথক তার কাছে ফিরে আসবে
উত্তর – 1. সে জানতই না, কথক আর কখনও ফিরে যাবে না তার কাছে
“তারপর যুদ্ধ এল” – যুদ্ধ কেমন? –
- পাহাড়ের আগুনের মতো
- রক্তের সমুদ্রের মতো
- আগ্নেয়পাহাড়ের মতো
- রক্তের এক আগ্নেয়পাহাড়ের মতো
উত্তর – 4. রক্তের এক আগ্নেয়পাহাড়ের মতো
দু-একটি বাক্যে উত্তর দাও।
‘অসুখী একজন’ কবিতাটি কার লেখা?
‘অসুখী একজন’ কবিতাটি চিলির প্রখ্যাত প্রতিবাদী কবি পাবলো নেরুদার লেখা। প্রেমের কবিতাতেও এক আশ্চর্য কন্ঠস্বরের স্রষ্টা এই কবি।
তোমাদের পাঠ্য ‘অসুখী একজন’ কবিতাটি বাংলা ভাষায় কে তরজমা করেছেন?
অথবা, ‘অসুখী একজন’ কবিতাটি কে বাংলায় তরজমা করেছেন?
আমাদের পাঠ্য ‘অসুখী একজন’ কবিতাটি বাংলা ভাষায় তরজমা করেছেন কবি নবারুণ ভট্টাচার্য।
‘অসুখী একজন’ কবিতাটির ইংরেজি তরজমাটির নাম কী?
‘অসুখী একজন’ কবিতাটির ইংরেজি তরজমাটির নাম ‘The Unhappy One’.
‘অসুখী একজন’ কবিতাটি কোন্ অনুবাদ কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে?
পাবলো নেরুদা রচিত ‘অসুখী একজন’ কবিতাটি কবি নবারুণ ভট্টাচার্যের বিদেশি ফুলে রক্তের ছিটে নামের অনুবাদ কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে।
‘অসুখী একজন’ কবিতাটি পাবলো নেরুদার কোন্ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত কবিতা?
অসুখী একজন কবিতাটি চিলির প্রখ্যাত কবি পাবলো নেরুদার Extravagaria কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত কবিতা।
Extravagaria কাব্যগ্রন্থটি কত খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয়?
কবি পাবলো নেরুদা রচিত Extravagaria কাব্যগ্রন্থটি 1958 খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয়।
Extravagaria কাব্যগ্রন্থের কবিতাগুলি কোন সময়পর্বে রচিত?
কবি পাবলো নেরুদা রচিত Extravagaria কাব্যগ্রন্থের কবিতাগুলি 1957-1958 খ্রিস্টাব্দ সময়পর্বে রচিত।
Extravagaria কাব্যগ্রন্থে মোট কটি কবিতা রয়েছে?
কবি পাবলো নেরুদা রচিত Extravagaria কাব্যগ্রন্থে মোট 61টি কবিতা রয়েছে।
কবি পাবলো নেরুদার জীবনকাল নির্দেশ করো।
চিলির প্রখ্যাত কবি পাবলো নেরুদার জীবনকাল 1904-1973 খ্রিস্টাব্দ।
কবি পাবলো নেরুদার প্রকৃত নাম কী?
কবি পাবলো নেরুদার প্রকৃত নাম নেফতালি রিকার্দো রেয়েস বাসোয়ালতো।
কবি পাবলো নেরুদা কত খ্রিস্টাব্দে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন?
কবি পাবলো নেরুদা 1971 খ্রিস্টাব্দে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
“অপেক্ষায় দাঁড় করিয়ে রেখে দরজায়” – কে, কাকে দাঁড় করিয়ে রেখেছেন?
কবি পাবলো নেরুদা রচিত ‘অসুখী একজন’ কবিতায় কথক তাঁর প্রেমিকাকে অপেক্ষায় দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন।
“সে জানত না” – কার কী না জানার কথা বলা হয়েছে?
কবি যে তাঁর প্রেমিকার কাছে আর কখনও ফিরে আসবেন না, সেই বিষয়টি প্রেমিকার না জানার কথা উদ্ধৃতাংশটিতে বলা হয়েছে।
“একটা সপ্তাহ আর একটা বছর কেটে গেল।” – এই ব্যঞ্জনাটি কীভাবে কবিতায় উপস্থাপিত হয়েছে?
একটা কুকুর বা এক গির্জার নানের হেঁটে যাওয়ার ঘটনাটি উল্লেখের মধ্য দিয়ে একটা সপ্তাহ আর একটা বছর কেটে যাওয়ার ব্যঞ্জনা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
“বৃষ্টিতে ধুয়ে দিল” – বৃষ্টি এসে কী ধুয়ে দিল?
কবি পাবলো নেরুদা রচিত ‘অসুখী একজন’ কবিতায় বৃষ্টি এসে পথের থেকে কথকের পায়ের দাগ ধুয়ে দিল।
“ঘাস জন্মালো রাস্তায়” – ব্যঞ্জনাটি কীসের?
‘অসুখী একজন’ কবিতায় রাস্তায় ঘাস জন্মানোর কথা বলার মধ্য দিয়ে যে পথে রেখে যাওয়া কবির পায়ের ছাপ চিরতরে হারিয়ে যাওয়ার অর্থাৎ কবির স্মৃতি নষ্টের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
“নেমে এল তার মাথার ওপর।” – ‘মাথার ওপর’ কী নেমে এল?
কবি পাবলো নেরুদা রচিত ‘অসুখী একজন’ কবিতায় কথকের জন্য অপেক্ষারতা নারীর ‘মাথার ওপর’ একটার পর একটা বছর নেমে আসার কথা বলা হয়েছে।
‘অসুখী একজন’ কবিতায় বছরগুলো পাথরের মতো মাথার ওপর নেমে আসার কথা বলা হয়েছে কেন?
কবিতায় প্রতীক্ষারতা মেয়েটির দুঃসহ, সীমাহীন অপেক্ষাকে মাথার ওপর ক্রমাগত নেমে আসা পাথরের গুরুভারের সঙ্গে তুলনা করে বিচ্ছেদবেদনাময় বছরগুলি অতিক্রান্ত হওয়ার কথাই বলা হয়েছে।
“তারপর যুদ্ধ এল” – যুদ্ধ কীভাবে এল?
কবি পাবলো নেরুদা রচিত ‘অসুখী একজন’ কবিতায় রক্তের এক আগ্নেয় পাহাড়ের মতো যুদ্ধ এসেছিল।
‘অসুখী একজন’ কবিতায় কারা খুন হয়েছিল?
বিখ্যাত চিলিয়ান কবি পাবলো নেরুদা রচিত ‘অসুখী একজন’ কবিতায় শিশু আর বাড়িরা খুন হয়েছিল।
“শিশু আর বাড়িরা খুন হলো।” — কীভাবে শিশু আর বাড়িরা খুন হল?
অথবা, “শিশু আর বাড়িরা খুন হলো।” — ‘শিশু আর বাড়িরা’ খুন হয়েছিল কেন?
কবি পাবলো নেরুদার লেখা ‘অসুখী একজন’ কবিতায় ভয়াবহ যুদ্ধে শিশু আর গৃহস্থ মানুষেরা খুন হল।
“সেই মেয়েটির মৃত্যু হলো না।” – কোন্ মেয়েটির মৃত্যু হল না?
কবি পাবলো নেরুদার ‘অসুখী একজন’ কবিতায় কালান্তক যুদ্ধে বহু শিশু ও গৃহস্থের মৃত্যু হলেও কথকের অপেক্ষায় থাকা মেয়েটির মৃত্যু হল না।
“সমস্ত সমতলে ধরে গেল আগুন” – কীভাবে সমস্ত সমতলে আগুন ধরে গেল?
কবি পাবলো নেরুদা রচিত ‘অসুখী একজন’ কবিতায় ভয়াবহ যুদ্ধের কারণে সমস্ত সমতলে আগুন ধরে গেল।
শান্ত হলুদ দেবতারা কত বছর ধ্যানে ডুবেছিল?
শান্ত হলুদ দেবতারা হাজার বছর ধরে ধ্যানে ডুবেছিল।
“শান্ত হলুদ দেবতারা/যারা হাজার বছর ধরে” – কী করছিলেন?
কবি পাবলো নেরুদা রচিত ‘অসুখী একজন’ কবিতায় শান্ত হলুদ দেবতারা হাজার বছর ধরে ধ্যানমগ্ন ছিলেন।
“উলটে পড়ল মন্দির থেকে টুকরো টুকরো হয়ে” – কী উলটে পড়ল?
অথবা, যুদ্ধের ফলে শান্ত হলুদ দেবতাদের কী পরিণতি হয়েছিল?
অসুখী একজন কবিতায় হাজার বছর ধরে ধ্যানমগ্ন, স্বপ্নে বিভোর পাথুরে দেবতারা যুদ্ধের আঘাতে মন্দির থেকে টুকরো টুকরো হয়ে উলটে পড়লেন।
“তারা আর স্বপ্ন দেখতে পারল না।” – কারা কোন্ স্বপ্ন দেখতে পারল না?
‘অসুখী একজন’ কবিতায় যুদ্ধের বীভৎসতায় ভেঙে পড়া শান্ত হলুদ দেবতারা আর স্বপ্ন দেখতে পারল না।
‘সেই মিষ্টি বাড়ি’ – বাড়িটিকে বক্তা মিষ্টি বলেছেন কেন?
বাড়িটি কবির কাছে ‘মিষ্টি’, কারণ তার সঙ্গে যুক্ত হয়ে আছে কবির অনেক প্রিয় স্মৃতি।
“সব চূর্ণ হয়ে গেল” – কীভাবে, কী চূর্ণ হয়ে গেল?
কবিতায় যুদ্ধের প্রচণ্ড তাণ্ডবে কথকের ফেলে আসা মিষ্টি বাড়ি, বারান্দা, গোলাপি গাছ, চিমনি, প্রাচীন জলতরঙ্গ সব চূর্ণ হয়ে গেল।
“যেখানে ছিল শহর” – যেখানে শহর ছিল সেখানে যুদ্ধের পরে কী অবস্থা হয়েছিল?
যেখানে শহর ছিল, যুদ্ধের পরে সেই শহরে ধ্বংসস্তূপের মাঝে ছড়িয়ে ছিল কাঠকয়লা, দোমড়ানো লোহা, মৃত পাথরের মূর্তির বীভৎস মাথা, রক্তের কালো দাগ।
“আর সেই মেয়েটি আমার অপেক্ষায়” – কোন্ পরিস্থিতিতে মেয়েটি কথকের জন্য অপেক্ষা করেছে?
অসুখী একজন কবিতায় মৃত্যু, ধ্বংস আর অবিশ্বাসের মধ্যেও কথকের প্রেমিকা অর্থাৎ ‘সেই মেয়েটি’ তাঁর জন্য অপেক্ষা করেছে।
আজকের এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলার দ্বিতীয় পাঠের প্রথম অংশ, “অসুখী একজন,” থেকে কিছু অতিসংক্ষিপ্ত উত্তর ভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নগুলো মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ মাধ্যমিক পরীক্ষায় এই ধরনের প্রশ্ন প্রায়ই আসে। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের উপকারে এসেছে। যদি কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকে, তবে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন; আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো। আর এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না, যাদের এটির প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ!
মন্তব্য করুন