আজকের এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলার দ্বিতীয় পাঠের প্রথম অংশ “অসুখী একজন” থেকে কিছু অতিসংক্ষিপ্ত উত্তর ভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে আলোচনা করবো। মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য এই প্রশ্নগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এগুলো পরীক্ষায় প্রায়ই আসতে দেখা যায়। আশা করি, এই আর্টিকেলটি আপনাদের পরীক্ষার প্রস্তুতিতে সহায়ক হবে।
অসুখী একজন কবিতাটি কার লেখা?
অসুখী একজন কবিতাটি চিলির প্রখ্যাত প্রতিবাদী কবি পাবলো নেরুদার লেখা। প্রেমের কবিতাতেও এক আশ্চর্য কন্ঠস্বরের স্রষ্টা এই কবি।
তোমাদের পাঠ্য অসুখী একজন কবিতাটি বাংলা ভাষায় কে তরজমা করেছেন?
অথবা, অসুখী একজন কবিতাটি কে বাংলায় তরজমা করেছেন?
আমাদের পাঠ্য ‘অসুখী একজন’ কবিতাটি বাংলা ভাষায় তরজমা করেছেন কবি নবারুণ ভট্টাচার্য।
অসুখী একজন কবিতাটির ইংরেজি তরজমাটির নাম কী?
অসুখী একজন কবিতাটির ইংরেজি তরজমাটির নাম The Unhappy One.
অসুখী একজন কবিতাটি কোন্ অনুবাদ কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে?
পাবলো নেরুদা রচিত ‘অসুখী একজন’ কবিতাটি কবি নবারুণ ভট্টাচার্যের বিদেশি ফুলে রক্তের ছিটে নামের অনুবাদ কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে।
অসুখী একজন কবিতাটি পাবলো নেরুদার কোন্ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত কবিতা?
অসুখী একজন কবিতাটি চিলির প্রখ্যাত কবি পাবলো নেরুদার Extravagaria কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত কবিতা।
Extravagaria কাব্যগ্রন্থটি কত খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয়?
কবি পাবলো নেরুদা রচিত Extravagaria কাব্যগ্রন্থটি ১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয়।
Extravagaria কাব্যগ্রন্থের কবিতাগুলি কোন সময়পর্বে রচিত?
কবি পাবলো নেরুদা রচিত Extravagaria কাব্যগ্রন্থের কবিতাগুলি ১৯৫৭-১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দ সময়পর্বে রচিত।
Extravagaria কাব্যগ্রন্থে মোট কটি কবিতা রয়েছে?
কবি পাবলো নেরুদা রচিত Extravagaria কাব্যগ্রন্থে মোট ৬১টি কবিতা রয়েছে।
কবি পাবলো নেরুদার জীবনকাল নির্দেশ করো।
চিলির প্রখ্যাত কবি পাবলো নেরুদার জীবনকাল ১৯০৪-১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দ।
কবি পাবলো নেরুদার প্রকৃত নাম কী?
কবি পাবলো নেরুদার প্রকৃত নাম নেফতালি রিকার্দো রেয়েস বাসোয়ালতো।
কবি পাবলো নেরুদা কত খ্রিস্টাব্দে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন?
কবি পাবলো নেরুদা ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
অপেক্ষায় দাঁড় করিয়ে রেখে দরজায় – কে, কাকে দাঁড় করিয়ে রেখেছেন?
কবি পাবলো নেরুদা রচিত ‘অসুখী একজন’ কবিতায় কথক তাঁর প্রেমিকাকে অপেক্ষায় দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন।
সে জানত না – কার কী না জানার কথা বলা হয়েছে?
কবি যে তাঁর প্রেমিকার কাছে আর কখনও ফিরে আসবেন না, সেই বিষয়টি প্রেমিকার না জানার কথা উদ্ধৃতাংশটিতে বলা হয়েছে।
একটা সপ্তাহ আর একটা বছর কেটে গেল। – এই ব্যঞ্জনাটি কীভাবে কবিতায় উপস্থাপিত হয়েছে?
একটা কুকুর বা এক গির্জার নানের হেঁটে যাওয়ার ঘটনাটি উল্লেখের মধ্য দিয়ে একটা সপ্তাহ আর একটা বছর কেটে যাওয়ার ব্যঞ্জনা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
বৃষ্টিতে ধুয়ে দিল – বৃষ্টি এসে কী ধুয়ে দিল?
কবি পাবলো নেরুদা রচিত ‘অসুখী একজন’ কবিতায় বৃষ্টি এসে পথের থেকে কথকের পায়ের দাগ ধুয়ে দিল।
ঘাস জন্মালো রাস্তায় – ব্যঞ্জনাটি কীসের?
অসুখী একজন কবিতায় রাস্তায় ঘাস জন্মানোর কথা বলার মধ্য দিয়ে যে পথে রেখে যাওয়া কবির পায়ের ছাপ চিরতরে হারিয়ে যাওয়ার অর্থাৎ কবির স্মৃতি নষ্টের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
নেমে এল তার মাথার ওপর। – মাথার ওপর কী নেমে এল?
কবি পাবলো নেরুদা রচিত ‘অসুখী একজন’ কবিতায় কথকের জন্য অপেক্ষারতা নারীর ‘মাথার ওপর’ একটার পর একটা বছর নেমে আসার কথা বলা হয়েছে।
অসুখী একজন কবিতায় বছরগুলো পাথরের মতো মাথার ওপর নেমে আসার কথা বলা হয়েছে কেন?
কবিতায় প্রতীক্ষারতা মেয়েটির দুঃসহ, সীমাহীন অপেক্ষাকে মাথার ওপর ক্রমাগত নেমে আসা পাথরের গুরুভারের সঙ্গে তুলনা করে বিচ্ছেদবেদনাময় বছরগুলি অতিক্রান্ত হওয়ার কথাই বলা হয়েছে।
তারপর যুদ্ধ এল – যুদ্ধ কীভাবে এল?
কবি পাবলো নেরুদা রচিত ‘অসুখী একজন’ কবিতায় রক্তের এক আগ্নেয় পাহাড়ের মতো যুদ্ধ এসেছিল।
অসুখী একজন কবিতায় কারা খুন হয়েছিল?
বিখ্যাত চিলিয়ান কবি পাবলো নেরুদা রচিত ‘অসুখী একজন’ কবিতায় শিশু আর বাড়িরা খুন হয়েছিল।
শিশু আর বাড়িরা খুন হলো। — কীভাবে শিশু আর বাড়িরা খুন হল?
অথবা, শিশু আর বাড়িরা খুন হলো। — শিশু আর বাড়িরা খুন হয়েছিল কেন?
কবি পাবলো নেরুদার লেখা ‘অসুখী একজন’ কবিতায় ভয়াবহ যুদ্ধে শিশু আর গৃহস্থ মানুষেরা খুন হল।
সেই মেয়েটির মৃত্যু হলো না। – কোন্ মেয়েটির মৃত্যু হল না?
কবি পাবলো নেরুদার ‘অসুখী একজন’ কবিতায় কালান্তক যুদ্ধে বহু শিশু ও গৃহস্থের মৃত্যু হলেও কথকের অপেক্ষায় থাকা মেয়েটির মৃত্যু হল না।
সমস্ত সমতলে ধরে গেল আগুন – কীভাবে সমস্ত সমতলে আগুন ধরে গেল?
কবি পাবলো নেরুদা রচিত ‘অসুখী একজন’ কবিতায় ভয়াবহ যুদ্ধের কারণে সমস্ত সমতলে আগুন ধরে গেল।
শান্ত হলুদ দেবতারা কত বছর ধ্যানে ডুবেছিল?
শান্ত হলুদ দেবতারা হাজার বছর ধরে ধ্যানে ডুবেছিল।
শান্ত হলুদ দেবতারা/যারা হাজার বছর ধরে – কী করছিলেন?
কবি পাবলো নেরুদা রচিত ‘অসুখী একজন’ কবিতায় শান্ত হলুদ দেবতারা হাজার বছর ধরে ধ্যানমগ্ন ছিলেন।
উলটে পড়ল মন্দির থেকে টুকরো টুকরো হয়ে – কী উলটে পড়ল?
অথবা, যুদ্ধের ফলে শান্ত হলুদ দেবতাদের কী পরিণতি হয়েছিল?
অসুখী একজন কবিতায় হাজার বছর ধরে ধ্যানমগ্ন, স্বপ্নে বিভোর পাথুরে দেবতারা যুদ্ধের আঘাতে মন্দির থেকে টুকরো টুকরো হয়ে উলটে পড়লেন।
তারা আর স্বপ্ন দেখতে পারল না। – কারা কোন্ স্বপ্ন দেখতে পারল না?
অসুখী একজন কবিতায় যুদ্ধের বীভৎসতায় ভেঙে পড়া শান্ত হলুদ দেবতারা আর স্বপ্ন দেখতে পারল না।
সেই মিষ্টি বাড়ি – বাড়িটিকে বক্তা মিষ্টি বলেছেন কেন?
বাড়িটি কবির কাছে ‘মিষ্টি’, কারণ তার সঙ্গে যুক্ত হয়ে আছে কবির অনেক প্রিয় স্মৃতি।
সব চূর্ণ হয়ে গেল – কীভাবে, কী চূর্ণ হয়ে গেল?
কবিতায় যুদ্ধের প্রচণ্ড তান্ডবে কথকের ফেলে আসা মিষ্টি বাড়ি, বারান্দা, গোলাপি গাছ, চিমনি, প্রাচীন জলতরঙ্গ সব চূর্ণ হয়ে গেল।
যেখানে ছিল শহর – যেখানে শহর ছিল সেখানে যুদ্ধের পরে কী অবস্থা হয়েছিল?
যেখানে শহর ছিল, যুদ্ধের পরে সেই শহরে ধ্বংসস্তূপের মাঝে ছড়িয়ে ছিল কাঠকয়লা, দোমড়ানো লোহা, মৃত পাথরের মূর্তির বীভৎস মাথা, রক্তের কালো দাগ।
আর সেই মেয়েটি আমার অপেক্ষায় – কোন্ পরিস্থিতিতে মেয়েটি কথকের জন্য অপেক্ষা করেছে?
অসুখী একজন কবিতায় মৃত্যু, ধ্বংস আর অবিশ্বাসের মধ্যেও কথকের প্রেমিকা অর্থাৎ ‘সেই মেয়েটি’ তাঁর জন্য অপেক্ষা করেছে।
আজকের এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলার দ্বিতীয় পাঠের প্রথম অংশ, “অসুখী একজন,” থেকে কিছু অতিসংক্ষিপ্ত উত্তর ভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নগুলো মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ মাধ্যমিক পরীক্ষায় এই ধরনের প্রশ্ন প্রায়ই আসে। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের উপকারে এসেছে। যদি কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকে, তবে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন; আমি উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো। আর এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না, যাদের এটির প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ!