মাধ্যমিক ভূগোল – ভারতের প্রকৃতিক পরিবেশ – ভারতের জলসম্পদ – একটি বা দুটি শব্দে উত্তর দাও।

ভূগোল হল ভূপৃষ্ঠের বৈশিষ্ট্য, এর বিবর্তন ও মানুষের সাথে এর সম্পর্ক নিয়ে আলোচনার বিজ্ঞান। ভূগোলকে ভূবিজ্ঞান, ভূপ্রকৃতিবিদ্যা, ভূমিবিদ্যা, ভূপ্রকৌশল, ভূ-রাজনীতি, ভূ-সম্পদ ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি বিভিন্ন শাখায় বিভক্ত করা যায়।

মাধ্যমিক স্তরে ভূগোল পাঠের উদ্দেশ্য হল শিক্ষার্থীদের ভূপৃষ্ঠের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জ্ঞান ও বোঝাপড়া অর্জন করানো। এছাড়াও, ভূগোল পাঠের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ভূপৃষ্ঠের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক ও প্রভাব বুঝতে পারবে এবং ভূপৃষ্ঠের পরিবর্তন সম্পর্কে সচেতন হবে।

মাধ্যমিক ভূগোল একটি শিক্ষামূলক বিষয় যা প্রাথমিক ভূগোল শিক্ষার্থীদের জন্য প্রস্তুত করা হয়। এই বিষয়ে ভারতের প্রকৃতিক পরিবেশ এবং ভারতের জলসম্পদ নিয়ে আলোচনা করা হয়।

ভারতের প্রকৃতিক পরিবেশ একটি শব্দে সংক্ষেপে একটি দেশের ভূমি উপকূল ও জীব বৈচিত্র্য সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। ভারতের প্রকৃতিক পরিবেশ অত্যন্ত বিস্তৃত এবং উভয় উত্তরে এবং দক্ষিণে পর্বত শ্রেণী রয়েছে। এছাড়াও দক্ষিণে একটি উচ্চস্থান ও উত্তরে একটি মরুভূমি রয়েছে। ভারতে উষ্ণতা, বৃষ্টিপাত, বাতাসের প্রভাব ও অন্যান্য পরিবেশ পরিমাপক উপায়ে ভিন্নতা রয়েছে।

ভারতের জলসম্পদ হল ভারতের সমস্ত জল সম্পদ বা জলবায়ু পরিবর্তনগুলির সমন্বয় এবং তার উপযোগ নিয়ে চর্চা করা। এটি ভারতের নদী, পানির সংগ্রহকেন্দ্র, বাঁধ ও জলাশয় ইত্যাদি সম্পর্কে আলোচনা করে। এছাড়াও ভারতের জলসম্পদ শক্তি উৎপাদন, পরিবহন, কৃষি এবং পরিবেশ প্রতিষ্ঠানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি সামগ্রিকভাবে ভারতের উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।

ভারতের জলসম্পদ একটি পরিশীলিত বিষয় যা ভারতের প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং জলসম্পদের উপর ভিত্তি করে আলোচনা করে। এই বিষয়টি মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি ভারতের পরিবেশ এবং জলসম্পদের সম্পূর্ণ পরিচয় প্রদান করে এবং তাদের সমস্যা সমাধান করতে সাহায্য করে। এটি ভারতের উন্নয়নের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং ভারতীয় প্রকৃতির সংরক্ষণের প্রতি সচেতনতা উত্তেজনা করে।

ভারতের প্রাকৃতিক বিভাগগুলি অত্যন্ত বৈচিত্র্যময়। উত্তরে হিমালয়ের বিশাল পর্বতমালা থেকে দক্ষিণে মালদ্বীপের দ্বীপপুঞ্জ পর্যন্ত, ভারতের ভূপ্রকৃতি সমগ্র বিশ্বের মধ্যেই অনন্য। এই বৈচিত্র্যময় ভূপ্রকৃতি ভারতের জলবায়ু, উদ্ভিদ ও প্রাণীজগত, কৃষি, শিল্প, পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং জনবসতির উপর গভীর প্রভাব ফেলেছে।