মাধ্যমিক ভূগোল – উপগ্রহ চিত্র ও ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র – সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

Souvick

আমরা আমাদের আর্টিকেলে মাধ্যমিক (দশম শ্রেণী) ভূগোলের সপ্তম অধ্যায় “উপগ্রহ চিত্র ও ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র” -এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ “সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর” নিয়ে আলোচনা করবো। এই প্রশ্নগুলো মাধ্যমিক (দশম শ্রেণী) ভূগোল পরীক্ষার জন্য ও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

মাধ্যমিক ভূগোল - উপগ্রহ চিত্র ও ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র - সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
Contents Show

উপগ্রহ চিত্র কাকে বলে?

পৃথিবীর চারদিকে পরিক্রমণকারী কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে ক্যামেরার সাহায্যে যে সাংকেতিক তথ্যচিত্র পাওয়া যায়, তাকেই উপগ্রহ চিত্র বলে।

কৃত্রিম উপগ্রহ কী?

কৃত্রিম উপগ্রহ হল মানুষের তৈরি এক অত্যাধুনিক যন্ত্র বা উপকরণ যা একটি নির্দিষ্ট সময়ে একটি নির্দিষ্ট কক্ষপথে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করতে পারে।

দূর সংবেদন কী?

দূর সংবেদন হল ভূপৃষ্ঠের কোনো বস্তু বা উপাদানকে স্পর্শ না করে দূর থেকে তার সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা। ওই তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে সেই বস্তু বা উপাদান সম্পর্কে ধারণা লাভ করার এটি একটি উন্নত প্রযুক্তি।

তড়িৎচুম্বকীয় বিকিরণ কী?

কোনো স্থানে শক্তি (তাপ, আলো) কোনো জড় মাধ্যমের সাহায্য ছাড়াই পরিবর্তনশীল তড়িৎক্ষেত্র ও চৌম্বকক্ষেত্রের মতো তরঙ্গের আকারে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে, তাকে তড়িৎচুম্বকীয় বিকিরণ বলা হয়।

নাদির বিন্দু কী?

উপগ্রহের সোজাসুজি ঠিক নীচে ভূপৃষ্ঠের ওপর অবস্থিত বিন্দুকে নাদির বিন্দু বলে।

নাদির বিন্দু

উপগ্রহ চিত্রের দুটি গুরুত্ব লেখো।

উপগ্রহ চিত্রের দুটি গুরুত্ব –

  • উপগ্রহ চিত্রের মাধ্যমে ভূপৃষ্ঠের প্রাকৃতিক ও অর্থনৈতিক সম্পদের বণ্টন সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়।
  • উপগ্রহের সাহায্যে তোলা বায়ুমণ্ডলের চিত্র আবহাওয়ার পূর্বাভাস পেতে সহায়তা করে।

IRS উপগ্রহ সিরিজ কী?

IRS -এর অর্থ Indian Remote Sensing। এরা ভারতীয় দূর সংবেদন উপগ্রহ তৈরি করে এবং উৎক্ষেপণ করে। 1988 সালে ভারত প্রথম IRS-1A নামক কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে উৎক্ষেপণ করে।

জিওস্টেশনারি উপগ্রহ কী?

যেসব কৃত্রিম উপগ্রহ পৃথিবীর আবর্তন গতির সমান সময়ে (24 ঘণ্টা) পৃথিবীর চারপাশে পশ্চিম থেকে পূর্বে ঘোরে, তাদের জিওস্টেশনারি উপগ্রহ বলে। এই উপগ্রহগুলি ভূপৃষ্ঠ থেকে 36000 কিমি উচ্চতায় নিরক্ষীয় তল বরাবর একটি বৃত্তাকার কক্ষপথে স্থাপন করা হয়। যেমন – GOES-E, GOES-W।

সান সিনক্রোনাস উপগ্রহ কী?

সান সিনক্রোনাস বা সূর্যসমলয় (কৃত্রিম) উপগ্রহগুলি সূর্যরশ্মির পতন কোণের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণে মেরু কক্ষপথে পরিক্রমণ করে। এই উপগ্রহগুলি পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে 700-900 কিমি উচ্চতায় অবস্থান করে। যেমন – IRS, LANDSAT। এই ধরনের উপগ্রহগুলির মাধ্যমে সাধারণত খনিজ সম্পদের সন্ধান করা হয়।

উপগ্রহ চিত্র কখন ভালো আসে?

ভালো উপগ্রহ চিত্র পাওয়ার জন্য দিনেরবেলা আকাশ মেঘমুক্ত ও আবহাওয়া পরিষ্কার থাকা প্রয়োজন। কারণ সূর্যালোক যথেষ্ট থাকলে উপগ্রহ চিত্রও খুব স্পষ্ট ও সুন্দরভাবে পাওয়া যায়।

ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র কী?

যখন কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চলের প্রাকৃতিক এবং সাংস্কৃতিক উপাদানগুলিকে বিভিন্ন প্রচলিত প্রতীক চিহ্নের ব্যবহারের মাধ্যমে দেখানো হয়, তখন সেই মানচিত্রকে ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র বলে।

সমোন্নতি রেখা কাকে বলে?

মানচিত্রে গড় সমুদ্রতল থেকে সমান উচ্চতাবিশিষ্ট স্থানগুলিকে যেসব কাল্পনিক রেখা দিয়ে যোগ করা হয় তাদের সমোন্নতি রেখা বলে। অর্থাৎ একই সমোন্নতি রেখার উচ্চতা সব জায়গায় সমান হয়।

ভূপৃষ্ঠে উচ্চতা কত প্রকারের হয় ও কী কী?

ভূপৃষ্ঠ থেকে তিন রকমের উচ্চতা দেখানো যায় –

  • সমুদ্র সমতল থেকে উচ্চতা,
  • চরম বা সর্বাধিক উচ্চতা,
  • আপেক্ষিক উচ্চতা।

আপেক্ষিক উচ্চতা কাকে বলে?

কোনো একটি স্থানের উচ্চতা এবং ওই অঞ্চলের সর্বোচ্চ উচ্চতার মধ্যে যে ব্যবধান বা পার্থক্য, তাকে আপেক্ষিক উচ্চতা বলে।

R.F. 1 : 50000 বলতে কী বোঝ?

R.F. (Representative Fraction) -এর অর্থ হল স্কেলসূচক ভগ্নাংশ। R.F. 1 : 50000 বলতে বোঝায় মানচিত্রের 1 একক দূরত্ব ভূমির 50000 একক দূরত্বের সমান বা মানচিত্রে 1 সেমি দূরত্ব ভূমিতে 50000 সেমি দূরত্বের সমান।

ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্রে সবুজ রং দিয়ে কী দেখানো হয়?

ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্রে সবুজ রং দিয়ে বনভূমিকে দেখানো হয়। এ ছাড়াও সবুজ রঙের নির্দিষ্ট সাংকেতিক চিহ্নের সাহায্যে বিভিন্ন ধরনের স্বাভাবিক উদ্ভিদ বোঝানো হয়।

ভূবৈচিত্রসূচক মানচিত্র সবুজ রঙের ব্যবহার

কোন্ ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্রকে সিকি মানচিত্র বলে?

যেসব ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্রের স্কেল 1 ইঞ্চিতে 4 মাইল বা 1 : 250000 বা 1 সেমিতে 2.5 কিমি সেইসব ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্রকে সিকি মানচিত্র বলে। এই ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্রে অক্ষাংশের বিস্তার 1° এবং দ্রাঘিমার বিস্তার 1°। একে ডিগ্রি শিটও বলে।

ইঞ্চি টোপোশিট বলতে কী বোঝ?

যেসব টোপ্যে মানচিত্রের স্কেল 1 ইঞ্চিতে 1 মাইল বা 1 সেমিতে 500 মিটার, সেইসব মানচিত্রকে ইঞ্চি টোপোশিট বলে। এই ধরনের টোপো, মানচিত্রে অক্ষাংশের বিস্তার 15′ এবং দ্রাঘিমার বিস্তার 15′ হয়।

ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্রে শঙ্কু আকৃতির পাহাড়কে কীভাবে বুঝবে?

সমোন্নতি রেখাগুলি যদি বৃত্তাকারে প্রায় সমদূরত্বে বিন্যস্ত থাকে এবং বৃত্তের কেন্দ্রের দিকে উচ্চতা যদি ক্রমশ বাড়তে থাকে তবে তা শঙ্কু আকৃতির পাহাড়।

ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্রে badland বা বদভূমিরূপ কীভাবে চেনা যায়?

গাছপালা খুব কম, এরকম জায়গায় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নদী, নালী ক্ষয় ও খাত ক্ষয়ের দ্বারা অঞ্চলটিকে ক্ষয় করে। এই ক্ষয় হয়ে যাওয়া অঞ্চলটিকে যা ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্রে নদীর দু-পাশে ভাঙা ভাঙা রেখা দ্বারা বদভূমিরূপে দেখানো হয়। মূলত নালী ক্ষয় থেকেই বদভূমিরূপ তৈরি হয়ে থাকে।

স্পট হাইট কী?

সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে কোনো নির্দিষ্ট স্থানের বা বিন্দুর উচ্চতাকে স্পট হাইট বলে। ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্রে এগুলিকে বিন্দুর (•) সাহায্যে দেখানো হয়। এই বিন্দুগুলির একপাশে উচ্চতা লেখা থাকে। উচ্চতাটি ফুট অথবা মিটার হতে পারে। সেটি নির্ভর করবে ওই ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্রের স্কেলের ওপর। মেট্রিক এককে স্কেল থাকলে স্পট হাইট হবে •237 মিটার ও •572 মিটার ইত্যাদি।

স্পট হাইট

নিষ্ক্রিয় সেন্সর কাকে বলে?

কৃত্রিম উপগ্রহে যেসব সেন্সর ভূপৃষ্ঠের বিভিন্ন বস্তু বা উপাদান থেকে তথ্য সংগ্রহের জন্য প্রাকৃতিক উৎস অর্থাৎ সৌররশ্মির প্রতিফলনের মাধ্যমে সৃষ্ট তড়িৎচুম্বকীয় বিকিরণ গ্রহণ করে প্রতিকৃতি তৈরি করে, তাদের নিষ্ক্রিয় সেন্সর বলে।

মিলিয়ন শিট মানচিত্র কী?

ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র সঠিকভাবে অঙ্কন তথা সমীক্ষার সুবিধার্থে ভারতীয় সর্বেক্ষণ বিভাগ বা সার্ভে অফ ইন্ডিয়া সমগ্র ভারতীয় উপমহাদেশকে প্রথম পর্যায়ে 4° অক্ষরেখা এবং 4° দ্রাঘিমারেখার (4° × 4°) ভিত্তিতে 135টি গ্রিডে ভাগ করেছে। এগুলি বৃহৎ পর্যায়ের মানচিত্র এবং এর স্কেল হল 1 সেমিতে 10 কিমি (R.F. = 1 : 1000000)। এই ধরনের ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্রগুলিকে মিলিয়ন শিট (1000000 বা 10 লক্ষ বা এক মিলিয়ন) বলে।

FCC কী?

পুরো কথাটি হল False Colour Composite বা ছদ্ম রং মিশ্রণ। ভূপৃষ্ঠের বিভিন্ন বস্তু বা উপাদানের স্বাভাবিক রং যা হয়, উপগ্রহ চিত্রে সেই রঙের পরিবর্তে বিভিন্ন ব্যান্ড (band) বা রং ব্যবহার করা হয়। একেই FCC বা False Colour Composite অর্থাৎ ছদ্ম রং মিশ্রণ বলে। অবশ্য এক্ষেত্রে সারা বিশ্বে একই রকমের রং ব্যবহৃত হয়। যেমন লাল ব্যান্ডে সবুজ, সবুজ ব্যান্ডে লাল উপগ্রহ চিত্র তৈরি করা হয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় সবুজ অরণ্যকে উপগ্রহ চিত্রে লাল রঙে দেখানো হয়।

উপগ্রহ চিত্রের অসুবিধাগুলি কী?

উপগ্রহ চিত্রের অনেক সুবিধা থাকলেও কিছু অসুবিধাও রয়েছে –

  • আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলে তথ্য সংগ্রহ করা অসুবিধাজনক।
  • কোনো বস্তুর উচ্চতা সঠিকভাবে নির্ণয় করা যায় না।
  • উপগ্রহ চিত্র তৈরি করার জন্য নানা প্রযুক্তি ও পুর অর্থের প্রয়োজন। সব দেশের পক্ষে এটি সম্ভব নাও হতে পারে।

এক ইঞ্চিতে এক মাইল ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র বলতে কী বোঝ?

1° × 1° শিট মানচিত্রকে 15′ × 15′ হিসাবে 16টি ভাগে ভাগ করা যায়। এই প্রতিটি ভাগকে 1-16 নম্বর দিয়ে চিহ্নিত করা হয়। এগুলিকে এক ইঞ্চি শিট বলে। অনেকে একে ইঞ্চি ম্যাপ-ও বলে। যেমন – এই মানচিত্রে 1 সেমিতে 0.5 কিমি বা 2 সেমিতে । কিমি হিসাবে দেখানো হয়। 72A/12 এরূপ একটি ইঞ্চি মানচিত্রের সূচক নম্বর।

4° × 4°, 1° × 1°, 15′ × 15′ -ব্যবধানে আঁকা টোপোশিটের সূচক উল্লেখ করো।

  • টোপোশিষ্ট 4° × 4° ব্যবধানে আঁকা হলে সূচক নম্বর হতে পারে – 54, 55, 56, 57 ইত্যাদি।
  • টোপোশিট 1° × 1° ব্যবধানে আঁকা হলে সূচক নম্বর হতে পারে 54B, 55P, 56D ইত্যাদি।
  • টোপোশিট 15′ × 15′ ব্যবধানে আঁকা হলে সূচক নম্বর হতে পারে 54B/5, 55P/12, 56D/10 ইত্যাদি।

কোনো ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র দেখে কীভাবে বুঝবে সেটি সমভূমির মানচিত্র?

ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্রে সমোন্নতি রেখার অবস্থান দেখে ভূপ্রকৃতি বোঝা যায়। যদি দেখা যায় সমোন্নতি রেখাগুলি খুব দূরে দূরে রয়েছে বা মানচিত্রে তেমন কোনো সমোন্নতি রেখা নেই তবে বুঝতে হবে অঞ্চলটি সমভূমি। এ ছাড়া, সমভূমি অঞ্চলের নদীগুলি অগভীর এবং প্রশস্ত হয়। এগুলি এঁকেবেঁকে প্রবাহিত হয়। সমভূমিতে নদীর গতিপথে প্রচুর নদীবাঁক ও অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ দেখা যায়।

ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র দেখে কীভাবে মালভূমিকে চিহ্নিত করা যায়?

মানচিত্রে মাঝে মাঝে সমোন্নতি রেখাগুলি খুব এঁকেবেঁকে যায় এবং স্থানটির উচ্চতা 400-600 মিটারের মধ্যে হয় তবে বুঝতে হবে সেটি একটি মালভূমি অঞ্চল। এইসব মালভূমি অঞ্চলে অনেকসময় ছোটো ছোটো গোলাকৃতি পাহাড়ের অবস্থান থাকতে পারে। বেশিরভাগ মালভূমির দুটি উঁচু অংশের মধ্যে দিয়ে নদী প্রবাহিত হয়।

উপগ্রহ চিত্রে ছদ্ম রং ব্যবহার করা হয় কেন?

রঙের ভিত্তিতে উপগ্রহ চিত্র দুই প্রকার –

  • প্রকৃত রঙে উপস্থাপিত উপগ্রহ চিত্র ও ছদ্ম রঙে উপস্থাপিত উপগ্রহ চিত্র।
  • ছদ্ম রং ব্যবহার করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান-সংক্রান্ত তথ্য এবং সেনাবাহিনীর নানা কাজ-সংক্রান্ত তথ্য গোপন রাখা হয়।

ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র থেকে কী কী জানা যায়?

ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র থেকে পৃথিবীপৃষ্ঠের বিভিন্ন অংশ সম্পর্কে নানা ধরনের জ্ঞান অর্জন করতে পারি। এই মানচিত্র থেকে ওই অঞ্চলের ভূপ্রকৃতি, নদনদী, উদ্ভিদ, শিল্প, খনিজ, জনবসতি, পরিবহণ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক বিষয়ে জানা যায়।

ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র ভারতে কারা তৈরি করে।

ভারতে ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্রগুলি তৈরি করে সার্ভে অব ইন্ডিয়া বা ভারতীয় সর্বেক্ষণ বিভাগ। এই সংস্থাটি 1767 সালে গঠিত হয়। এর সদর দফতর উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনে অবস্থিত।

সমোন্নতি রেখাগুলির মধ্যে দূরত্ব বাড়লে বা কমলে ভূমির ঢালের কীরকম পরিবর্তন হয়?

সমোন্নতি রেখাগুলির মধ্যে পারস্পরিক দূরত্ব বেশি হলে বুঝতে হবে ভূমির ঢাল কম। আবার রেখাগুলি কাছাকাছি থাকলে ভূমির ঢাল বেশি হয়। অর্থাৎ উভয়ের মধ্যে সম্পর্ক ব্যাস্তানুপাতিক।

ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্রে নির্মাণ-সংক্রান্ত কী কী তথ্য থাকে?

ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্রের ওপরে ও নীচে মানচিত্রের নির্মাণ-সংক্রান্ত যেসব তথ্য থাকে, সেগুলি হল – মানচিত্রের সূচক সংখ্যা বা টোপো মানচিত্রের নম্বর, দ্রাঘিমার বিস্তার, অক্ষাংশগত বিস্তার, জেলা, রাজ্যের নাম, জরিপের সময়, বিবৃতিমূলক স্কেল এবং ভগ্নাংশসূচক স্কেল, দুটি সমোন্নতি রেখার মধ্যে ব্যবধান, প্রশাসনিক সূচক, প্রচলিত প্রতীক চিহ্ন ও তার অর্থ।

ল্যান্ডস্যাট সিরিজের উপগ্রহ বলতে কী বোঝ?

আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের NASA 1972 সালে ERTS (Earth Resource Technology Satellite) নামক উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করে। পরবর্তীকালে এর নাম পরিবর্তন করে LANDSAT নামকরণ করা হয়।

এই সিরিজের উপগ্রহগুলি ভূপৃষ্ঠের কৃষি, জল, ভূমির ব্যবহার, অরণ্য এবং ভূখণ্ড সম্পর্কিত নানা তথ্য সংগ্রহ ও প্রেরণ করে। বর্তমানে LANDSAT 7 ও 8 সক্রিয় রয়েছে এবং তথ্য সংগ্রহ করে চলেছে।

ভারতের কয়েকটি উৎক্ষিপ্ত উপগ্রহের নাম করো।

ভারতের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ আর্যভট্ট। 1975 সালে এটি মহাকাশে প্রেরণ করা হয়। এরপর ভাস্কর-1 (1979), 2 (1981) এবং আরও কয়েকটি কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে প্রেরণ করা হয়। 1982 সালে INSAT সিরিজের উপগ্রহগুলির উৎক্ষেপণ শুরু হয়। এর মধ্যে INSAT 1A, 1B, 2A, 2B, 2C ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।


আমরা আমাদের আর্টিকেলে মাধ্যমিক (দশম শ্রেণী) ভূগোলের সপ্তম অধ্যায় “উপগ্রহ চিত্র ও ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র” -এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ “সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর” নিয়ে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নগুলো মাধ্যমিক (দশম শ্রেণী) ভূগোল পরীক্ষার জন্য ও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই প্রশ্নগুলি মাধ্যমিক (দশম শ্রেণী) পরীক্ষা বা চাকরির পরীক্ষায় প্রায় দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা হলে, আপনারা আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো। তাছাড়া নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।

Categories -
Please Share This Article

Related Posts

মাধ্যমিক ভূগোল - উপগ্রহ চিত্র ও ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র - মানচিত্র চিহ্নিতকরণ

মাধ্যমিক ভূগোল – উপগ্রহ চিত্র ও ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র – মানচিত্র চিহ্নিতকরণ

মাধ্যমিক ভূগোল - উপগ্রহ চিত্র ও ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র - ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন ও উত্তর

মাধ্যমিক ভূগোল – উপগ্রহ চিত্র ও ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র – ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন ও উত্তর

মাধ্যমিক ভূগোল - উপগ্রহ চিত্র ও ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র - অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

মাধ্যমিক ভূগোল – উপগ্রহ চিত্র ও ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র – অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

About The Author

Souvick

Tags

মন্তব্য করুন

SolutionWbbse

"SolutionWbbse" শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনলাইন অধ্যয়ন প্ল্যাটফর্ম। এখানে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য গাইডলাইন, এবং বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সাহায্য প্রদান করা হয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল বিষয়ের শিক্ষণীয় উপকরণ সহজেই সকল শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়া।

Editor Picks

ইস্ট্রোজেন হরমোনের ক্ষরণস্থল উল্লেখ করে এর প্রধান কাজগুলি সংক্ষেপে বর্ণনা করো।

ইনসুলিন হরমোনের প্রধান কাজগুলির সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।

হরমোনের ফিডব্যাক নিয়ন্ত্রণ কাকে বলে? উদাহরণসহ হরমোনের ফিডব্যাক নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি

প্রাণীদেহের বিভিন্ন কাজ নিয়ন্ত্রণে হরমোনের ভূমিকা সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখো।

প্রাণী হরমোনের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যগুলি সংক্ষেপে বর্ণনা করো।