আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলে মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞানের প্রথম অধ্যায় “জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয়” অধ্যায়ের ‘উদ্ভিদের সাড়াপ্রদান এবং রাসায়নিক সমন্বয় হরমোন‘ বিভাগের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করবো। এই প্রশ্নগুলো মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য বা আপনি যদি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নেন, তাহলে আপনার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই প্রশ্নগুলি মাধ্যমিক পরীক্ষা বা চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি যে এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হবে।

হরমোন কাকে বলে?
যে জৈব রাসায়নিক পদার্থ কোনো বিশেষ কোশসমষ্টি বা অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হয়ে বিশেষ উপায়ে পরিবাহিত হয়ে জীবের বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়াকলাপের মধ্যে রাসায়নিক সমন্বয়সাধন করে এবং ক্রিয়ার শেষে বিনষ্ট হয়ে যায়, তাকে হরমোন বলে। যেমন – অক্সিন নামক উদ্ভিদ হরমোন।
উদ্ভিদদেহে হরমোনের প্রয়োজনীয়তা কী?
বৃদ্ধির সাথে সাথে উদ্ভিদদেহে জটিলতা বৃদ্ধি পায়। এর ফলস্বরূপ দেহের বিভিন্ন কলাকোশের মধ্যে সমন্বয়সাধনের প্রয়োজনীয়তাও বৃদ্ধি পায়। এই সমন্বয়সাধনের জন্যই উদ্ভিদদেহে হরমোনের প্রয়োজন হয়। বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়াসমূহকে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমেই হরমোন এই সমন্বয়সাধনের কাজ করে থাকে।
হরমোনকে ‘রাসায়নিক দূত’ বা ‘রাসায়নিক বার্তাবাহক’ বলে কেন?
হরমোন একপ্রকার রাসায়নিক পদার্থ যা তার ক্ষরণস্থল থেকে দূরবর্তী কোশগুলির রাসায়নিক বিক্রিয়াগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করে। এই কারণে হরমোনকে ‘রাসায়নিক দূত’ বলে। তবে কিছু হরমোন, ক্ষরণকারী কোশের নিকটবর্তী স্থানেও কাজ করে থাকে।
হরমোনের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য লেখো।
হরমোনের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য হল –
- উৎস – হরমোন নির্দিষ্ট কলাকোশ থেকে উৎপন্ন হয়।
- কাজ – হরমোন দূরবর্তী স্থান বাহিত হয় ও কাজ করে থাকে।
- মাত্রা – খুব স্বল্প মাত্রায় এগুলি কার্যকরী হয় ও ক্রিয়াশেষে তারা বিনষ্ট হয়।
হরমোনকে উদ্ভিদের বৃদ্ধি-নিয়ন্ত্রক বলার কারণ কী?
হরমোন উদ্ভিদদেহের বিভিন্নপ্রকার বৃদ্ধি ও বৃদ্ধি-সম্পর্কিত চলনকে নিয়ন্ত্রণ করে, যেমন – অগ্র ও পার্শ্বীয় মুকুলের বৃদ্ধি, ফলের বৃদ্ধি, ট্রপিক চলন প্রভৃতি। এই কারণে হরমোনকে উদ্ভিদের বৃদ্ধি-নিয়ন্ত্রক বলা হয়।
উদ্ভিদের তিনটি বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রক হরমোনের নাম লেখো।
উদ্ভিদের বৃদ্ধি যে সমস্ত বিশেষ জৈবরাসায়নিক পদার্থ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, তাদের উদ্ভিদের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রক পদার্থ বলে। উদ্ভিদের 3টি বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রক হরমোন হল –
- অক্সিন।
- জিব্বেরেলিন।
- সাইটোকাইনিন।
অক্সিনের রাসায়নিক নাম এবং প্রকৃতি লেখো।
অক্সিনের রাসায়নিক নাম ইনডোল অ্যাসেটিক অ্যাসিড (IAA)। অক্সিন হল কার্বন, হাইড্রোজেন, অক্সিজেন ও নাইট্রোজেনযুক্ত জৈব অ্যাসিড।
অক্সিনের প্রধান দুটি কাজ লেখো।
অক্সিনের প্রধান দুটি কাজ হল –
- এটি উদ্ভিদের বিভিন্ন ধরনের ট্রপিক চলন বিশেষত ফোটোট্রপিক ও জিওট্রপিক চলন নিয়ন্ত্রণ করে।
- এই হরমোনটির প্রভাবে উদ্ভিদে অগ্রস্থ প্রকটতা দেখা যায় অর্থাৎ অগ্রমুকুলের বৃদ্ধি ঘটে এবং পার্শ্বীয় মুকুলের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়।
অক্সিনের ক্ষরণস্থল ও ক্রিয়াস্থল উল্লেখ করো।
অক্সিন উদ্ভিদের বিভিন্ন অগ্রস্থ ভাজক কলা, বিশেষত উদ্ভিদের মূল ও কাণ্ডের অগ্রভাগ, ভ্রূণমুকুলাবরণী, কচি পাতা, বর্ধনশীল পাতার কোশ ইত্যাদি স্থান থেকে ক্ষরিত হয়।

অক্সিন উৎসস্থল থেকে ব্যাপন প্রক্রিয়ায় দেহের বিভিন্ন বর্ধনশীল অঞ্চলে পৌঁছোয় এবং ওই অঞ্চলের কোশ বিভাজন ঘটায়। কোশ বিভাজনের মাধ্যমে অক্সিন উদ্ভিদের বৃদ্ধি ও ট্রপিক চলন নিয়ন্ত্রণ করে।
মূল আলোর উৎসের বিপরীতে বেঁকে যায় কেন?
উদ্ভিদের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রিত হয় প্রধানত অক্সিন হরমোনের অসম বণ্টনের দ্বারা। অক্সিন আলোক উৎসের বিপরীত দিকে বেশি পরিমাণে সঞ্চিত হয়। মূল স্বল্প পরিমাণ বা লঘু ঘনত্বের অক্সিনে বেশি সংবেদনশীল। মূলের ক্ষেত্রে আলোর উৎসের দিকের কোশগুলিতে অক্সিনের পরিমাণ কম থাকে। এই কারণে, ওইদিকের কোশগুলি বেশি বিভাজিত হয় ও মূল আলোর উৎসের বিপরীতে বেঁকে যায়।
অক্সিন ও কাইনিনের একটি বিপরীত ক্রিয়া লেখো।
অক্সিন উদ্ভিদের অগ্রস্থ প্রকটতা, অর্থাৎ অগ্রমুকুলের বিকাশ ঘটায়, কাইনিন তা প্রতিরোধ করে। পক্ষান্তরে, কাইনিন কাক্ষিক মুকুলের বৃদ্ধি ঘটায়, অক্সিন তা প্রতিরোধ করে।
পার্থেনোকার্পি কাকে বলে? এই প্রক্রিয়ায় সাহায্যকারী একটি হরমোনের নাম লেখো।
পার্থেনোকার্পি – নিষেক অথবা পরাগযোগ ছাড়াই ডিম্বাশয় থেকে বীজবিহীন ফল উৎপাদনের পদ্ধতিকে পার্থেনোকার্পি বলে।
পার্থেনোকার্পিতে সাহায্যকারী হরমোন – এই প্রক্রিয়ায় সাহায্যকারী একটি হরমোন হল অক্সিন। পার্থেনোকার্পির দ্বারা লেবু, তরমুজ প্রভৃতি বীজবিহীন ফল উৎপাদন করা হয়।

পেস্তা বা কাজুবাদামের ক্ষেত্রে পার্থেনোকার্পির গুরুত্ব নেই – ব্যাখ্যা করো।
পার্থেনোকার্পির মাধ্যমে নিষেক ছাড়াই ডিম্বাশয় থেকে বীজহীন ফল উৎপাদন করা হয়। কিন্তু পেস্তা বা কাজুবাদামের ক্ষেত্রে বীজটিই খাদ্যযোগ্য, তাই বীজবিহীন ফল তৈরি করার প্রয়োজন হয় না।
পার্থেনোকার্পি কেন হরটিকালচারে করা হয়ে থাকে?
অথবা, বীজবিহীন ফল তৈরি কেন দরকারি?
- পার্থেনোকার্পির মাধ্যমে পরাগসংযোগ ছাড়াই ফল তৈরি সম্ভব হয়।
- বীজবিহীন ফল দেখতে ভালো ও খেতে সুবিধাজনক।
- তরমুজ বা বেগুনের ক্ষেত্রে বীজ ফলের শাঁসকে দ্রুত বিনষ্ট করবার মতো উপাদান তৈরি করে। পার্থেনোকার্পি পদ্ধতিতে সৃষ্ট ফলে বীজ না থাকার কারণে ফল বা সবজি অনেকদিন সতেজ থাকে।
উদ্ভিদের কাণ্ডের অগ্রভাগ কেটে দিলে প্রচুর শাখাপ্রশাখা বের হয় কেন?
উদ্ভিদের কাণ্ডের অগ্রভাগ কেটে দিলে সেইস্থানে অক্সিন হ্রাস পায় ও সাইটোকাইনিন মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এই হরমোন পার্শ্বীয় মুকুলের বৃদ্ধি ঘটায় ও ঝোপ সৃষ্টি করে।
জিব্বেরেলিনের দুটি উৎস ও দুটি কাজ উল্লেখ করো।
জিব্বেরেলিনের দুটি উৎস হল –
- পরিণত বীজ।
- বীজপত্র।
জিব্বেরেলিনের কাজ হল –
- বীজ ও মুকুলের সুপ্তাবস্থাকে ভঙ্গ করা।
- কাণ্ডের পর্বমধ্যের বৃদ্ধিতে সাহায্য করা।
উদ্ভিদের বীজ ও পর্বমধ্যের ওপর জিব্বেরেলিন হরমোন কী কী প্রভাব ফেলে তা ব্যাখ্যা করো।
বীজ ও পর্বমধ্যের ওপর জিব্বেরেলিনের প্রভাবগুলি হল –
- বীজের ওপর – জিব্বেরেলিন বীজের সুপ্তাবস্থা ভঙ্গ করে এবং অঙ্কুরোদগম ঘটায়।
- পর্বমধ্যের ওপর – জিব্বেরেলিন উদ্ভিদের কাণ্ডের পর্বমধ্যের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি করে। এর ফলে কাণ্ড লম্বায় বাড়ে।
বীজের সুপ্তাবস্থা কী? এই দশা ভাঙতে কোন্ হরমোন সাহায্য করে?
- বীজের সুপ্তাবস্থা – উপযুক্ত পরিবেশ থাকা সত্ত্বেও বীজের বিলম্বিত অঙ্কুরোদগম, অর্থাৎ বীজের বৃদ্ধি ও বিপাক না হয়ে অস্থায়ীভাবে বিশ্রাম দশায় থাকাকে বীজের সুপ্তাবস্থা বলে।
- বীজের সুপ্তাবস্থা ভাঙনে সাহায্যকারী হরমোন – বীজের সুপ্তাবস্থা ভাঙনে সাহায্যকারী হরমোনটি হল জিব্বেরেলিন।
একজন আপেল বাগানের মালিক তার বাগানের ফলকে বড়ো ও ভালো করতে চাইলে এবং দাম বাড়ার জন্য অপেক্ষা করে আপেল বিক্রি করতে চাইলে তিনি কোন্ প্ল্যান্ট গ্রোথ রেগুলেটর (PGR) ব্যবহার করবেন?
ওই আপেল বাগানের মালিক তার বাগানের ফলকে বড়ো ও ভালো করতে চাইলে জিব্বেরেলিন ও সাইটোকাইনিন ব্যবহার করবেন। কারণ জিব্বেরেলিন যেমন ফলের আকৃতি বাড়াতে সাহায্য করে, তেমনি সাইটোকাইনিন বার্ধক্য বিলম্বিত করে। এর ফলে বাজারদর মতো ফল বিক্রি করার জন্য তিনি অপেক্ষা করতে পারবেন।
উদ্ভিদের বৃদ্ধিকারক পদার্থ না বলে উদ্ভিদের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রক পদার্থ বা plant growth regulator কাকে বলে?
বেশিরভাগ উদ্ভিদ হরমোনই বৃদ্ধি বা বিকাশ -এ ধনাত্মক প্রভাব সৃষ্টির পাশাপাশি ঋণাত্মক প্রভাবও সৃষ্টি করে। যেমন – অক্সিন অগ্রমুকুলের বৃদ্ধি (ধনাত্মক) ঘটালেও কাক্ষিক মুকুলের বৃদ্ধি (ঋণাত্মক) হ্রাস করে। এজন্য উদ্ভিদ হরমোনকে বর্তমান বিজ্ঞানীরা উদ্ভিদের বৃদ্ধিকারক পদার্থ না বলে উদ্ভিদের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রক পদার্থ বা plant growth regulator বলে থাকেন।
ঘরে তোমার টেবিলে রাখা পাতাবাহারের দৈর্ঘ্য স্তিমিত করে ঘন ঝোপ সৃষ্টি করে তুমি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে চাইছ। এক্ষেত্রে তুমি কোন্ ফাইটোহরমোনের সাহায্য নেবে?
এক্ষেত্রে সাইটোকাইনিন নামক ফাইটোহরমোনটির সাহায্য নেওয়া যায়। এটি অগ্রস্থ প্রকটতা রোধ করে পার্শ্বীয় প্রকটতা বাড়ায়। ফলে পাতাবাহার উদ্ভিদের দৈর্ঘ্য বাড়ে না কিন্তু ঘন ঝোপ তৈরি হতে পারে।
কাইনিন বা সাইটোকাইনিনের উৎস ও কাজ উল্লেখ করো।
সাইটোকাইনিনের দুটি উৎস হল –
- ভুট্টার সস্য।
- ডাবের জল।
সাইটোকাইনিনের কাজ হল –
- কোশ বিভাজনে সহায়তা করা।
- উদ্ভিদের পত্রমোচন বিলম্বিত করা।
সাইটোকাইনিনের রাসায়নিক নাম ও রাসায়নিক প্রকৃতি উল্লেখ করো।
সাইটোকাইনিনের রাসায়নিক নাম হল 6-ফুরফুরাইল অ্যামিনোপিউরিন।
সাইটোকাইনিন কার্বন, হাইড্রোজেন, অক্সিজেন ও নাইট্রোজেনযুক্ত ক্ষারীয় জৈব যৌগ।
রিচমন্ড-ল্যাং প্রভাব কাকে বলে?
সাইটোকাইনিন হরমোনটি ক্লোরোফিল, প্রোটিন ও নিউক্লিক অ্যাসিডের ধ্বংস প্রতিরোধ করে উদ্ভিদের পর্ণমোচন রোধ করে ও নানা অঙ্গের জরাপ্রাপ্তিও বিলম্বিত হয়। একে রিচমন্ড-ল্যাং প্রভাব বলে।
তুমি যদি কোনো অনুশীলন-মাধ্যমে (culture medium) সাইটোকাইনিন প্রয়োগ করতে ভুলে যাও, তাহলে কী ঘটবে?
সাইটোকাইনিন হরমোন কোশ বিভাজনে গুরুত্বপূর্ণভাবে সাহায্য করে। অনুশীলন-মাধ্যমে সাইটোকাইনিন প্রয়োগ করতে ভুল হলে, কোশ বিভাজন ঠিক মতো হবে না। ফলে বৃদ্ধি ব্যাহত হবে।
কৃত্রিম হরমোন কাকে বলে?
গবেষণাগারে কৃত্রিম উপায়ে সংশ্লেষিত, প্রাকৃতিক হরমোনের সমধর্মী রাসায়নিক পদার্থকে কৃত্রিম হরমোন বা সংশ্লেষিত হরমোন বলে। যেমন – কৃত্রিম অক্সিন (IBA, IPA), কৃত্রিম জিব্বেরেলিন।
তোমাদের বিদ্যালয়ের বাগানে অনেক আগাছা হয়েছে। সেগুলি নির্মূল করার জন্য তুমি কোন্ হরমোন প্রয়োগ করবে এবং কেন?
অক্সিন আগাছা নাশ করতে সাহায্য করে। যেমন – নির্দিষ্ট মাত্রার অক্সিন দ্বিবীজপত্রী আগাছাকে মেরে ফেলে। সুতরাং আগাছা যদি দ্বিবীজপত্রী হয় তাহলে নির্দিষ্ট মাত্রার অক্সিন হরমোন প্রয়োগ করে ওই আগাছা নির্মূল করা যাবে। সুতরাং, আগাছা নির্মূল করার জন্য আমরা অক্সিন হরমোন ব্যবহার করবো। একাজে বিশেষভাবে কার্যকরী হয় 2, 4-D নামক কৃত্রিম অক্সিনটি।
প্রকল্পিত হরমোন কী?
যে সকল হরমোনের রাসায়নিক প্রকৃতি জানা নেই কিন্তু তাদের কাজ সম্বন্ধে ধারণা করা হয়, তাদের প্রকল্পিত হরমোন বলে। যেমন – ফ্লোরিজেন। মনে করা হয়, এই হরমোনটি উদ্ভিদের পাতায় সংশ্লেষিত হয় এবং পুষ্প প্রস্ফুটনে সাহায্য করে।
সংশ্লেষিত কৃত্রিম উদ্ভিদ হরমোনের কৃষিকার্যে দুটি ব্যবহার লেখো।
অথবা, কৃষিক্ষেত্রে কৃত্রিম অক্সিনের দুটি ব্যবহার লেখো।
- জবা, গোলাপ, আম প্রভৃতি গাছের শাখাকলম তৈরি করার সময় অস্থানিক মূল উৎপাদনের জন্য কৃত্রিম অক্সিন (NAA, IBA) ব্যবহৃত হয়।
- কৃষিক্ষেত্রে আগাছানাশক হিসেবে বিভিন্ন প্রকার কৃত্রিম অক্সিন হরমোনের (2, 4-D) ব্যবহার আছে।
আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলে মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞানের প্রথম অধ্যায় “জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয়” অধ্যায়ের ‘উদ্ভিদের সাড়াপ্রদান এবং রাসায়নিক সমন্বয় হরমোন‘ বিভাগের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নগুলো মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য বা আপনি যদি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নেন তাহলে আপনার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই প্রশ্নগুলি মাধ্যমিক পরীক্ষা বা চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি যে এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা হলে আপনারা আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো। তাছাড়া, আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জন যার এটি প্রয়োজন হবে তার সাথে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন