জীবিত প্রাণীর বৈশিষ্ট্যগুলি প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে পরিবর্তিত হয়। এই বৈশিষ্ট্যগুলির উত্তরাধিকারের ঘটনাকে বংশগতি বলে। বংশগতির মাধ্যমে, পিতামাতার বৈশিষ্ট্যগুলি তাদের সন্তানদের মধ্যে স্থানান্তরিত হয়।
থ্যালাসেমিয়া কী জাতীয় রোগ?
থ্যালাসেমিয়া একপ্রকার অটোজোম বাহিত জিনগত রোগ।
কে, কত খ্রিস্টাব্দে প্রথম থ্যালাসেমিয়া নামকরণ করেন?
হুইপল এবং ব্রাডফোর্ড (Whipple and Bradford) 1932 খ্রিস্টাব্দে সর্বপ্রথম থ্যালাসেমিয়া নামকরণ করেন।
থ্যালাসেমিয়া রোগে কোন্ সংযুক্ত প্রোটিন কম পরিমাণে তৈরি হয়?
থ্যালাসেমিয়া রোগে হিমোগ্লোবিন নামক সংযুক্ত প্রোটিন কম পরিমাণে তৈরি হয়।
থ্যালাসেমিয়া রোগ হলে অথবা ঘনঘন রক্ত বদলানোর ফলে দেহে কোন্ ধাতু অধিক পরিমাণে সঞ্চিত হয়?
থ্যালাসেমিয়া রোগ হলে অথবা ঘনঘন রক্ত বদলানোর ফলে দেহে লোহা অধিক পরিমাণে সঞ্চিত হয়।
দেহে লোহা সঞ্চিত হলে কোন্ কোন্ অঙ্গ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়?
দেহে লোহা সঞ্চিত হলে হৃৎপিণ্ড, যকৃৎ এবং অন্তঃক্ষরা তন্ত্র বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
হিমোগ্লোবিনের ত্রুটির জন্য যে রোগ হয়, তাকে কী বলে?
হিমোগ্লোবিনের ত্রুটির জন্য যে রোগ হয়, তাকে হিমোগ্লোবিনোপ্যাথি বলে।
হিমোগ্লোবিনে কত শতাংশ লোহা থাকে?
হিমোগ্লোবিনে প্রায় 0.34% লোহা থাকে।
হিমোগ্লোবিন কত ml অক্সিজেন বহন করে?
1g হিমোগ্লোবিন 1.34 ml অক্সিজেন বহন করে।
থ্যালাসেমিয়া রোগীর হিমোগ্লোবিনে α বা β শৃঙ্খল কোন্ কারণের জন্য অনেক সময় সম্পূর্ণ তৈরি হয় না?
থ্যালাসেমিয়া রোগীর হিমোগ্লোবিনে α বা β শৃঙ্খল মিউটেশন বা পরিব্যক্তির জন্য অনেক সময় সম্পূর্ণ তৈরি হয় না।
α থ্যালাসেমিয়া কী?
হিমোগ্লোবিনের α শৃঙ্খল সম্পূর্ণরূপে গঠিত না হওয়ায় হিমোগ্লোবিনের ত্রুটির জন্য যে থ্যালাসেমিয়া হয়, তাকে α থ্যালাসেমিয়া বলা হয়।
β থ্যালাসেমিয়া কী?
হিমোগ্লোবিনের β শৃঙ্খল সম্পূর্ণরূপে গঠিত না হওয়ায় হিমোগ্লোবিনের ত্রুটির ফলে যে থ্যালাসেমিয়া হয়, তাকে β থ্যালাসেমিয়া বলে।
যে রোগে রক্ত তঞ্চিত না হওয়ার ফলে রক্তক্ষরণ বন্ধ হয় না, তাকে কী বলে?
যে রোগে রক্ত তঞ্চিত না হওয়ার ফলে রক্তক্ষরণ বন্ধ হয় না, তাকে হিমোফিলিয়া বলে।
রক্তের ফ্যাক্টর VIII-এর অভাবজনিত রোগটি কী?
রক্তের ফ্যাক্টর VIII-এর অভাবজনিত রোগটি হল — হিমোফিলিয়া A।
রক্তের ফ্যাক্টর IX -এর অভাবজনিত রোগটি কী?
রক্তের ফ্যাক্টর IX -এর অভাবজনিত রোগটি হল- হিমোফিলিয়া B।
হিমোফিলিয়া B রোগটি আর কী নামে পরিচিত?
হিমোফিলিয়া B রোগটি ক্রিস্টমাস রোগ নামে পরিচিত।
রক্তমোক্ষণকারী রোগটি আর কী নামে পরিচিত?
রক্তমোক্ষণকারী রোগটি হিমোফিলিয়া নামে পরিচিত।
হিমোফিলিয়া B কী জাতীয় রোগ?
হিমোফিলিয়া B হল, X ক্রোমোজোমঘটিত একটি প্রচ্ছন্ন বংশগত রোগ।
হিমোফিলিয়া রোগের সৃষ্টি হয় কী কারণে?
X ক্রোমোজোম সংযোজিত প্রচ্ছন্ন জিনের পরিব্যক্তির কারণে হিমোফিলিয়া রোগের সৃষ্টি হয়।
হিমোফিলিয়া রোগের জিন মানুষের কোন্ ক্রোমোজোমে অবস্থান করে?
হিমোফিলিয়া রোগের জিন মানুষের X ক্রোমোজোমে অবস্থান করে।
হিমোফিলিয়া A আর কী নামে পরিচিত?
হিমোফিলিয়া A আর যে নামে পরিচিত তা হল — ক্লাসিক হিমোফিলিয়া।
ইংল্যান্ডের রানি ভিক্টোরিয়া সর্বপ্রথম যে রোগের প্রচ্ছন্ন জিনটি ধারণ করেন, সেটির নাম উল্লেখ করো।
ইংল্যান্ডের রানি ভিক্টোরিয়া সর্বপ্রথম যে রোগের প্রচ্ছন্ন জিনটি ধারণ করেন, সেটির নাম – হিমোফিলিয়া B।
প্রোটানোপ কাদের বলে?
বর্ণান্ধতা রোগে আক্রান্ত যেসব ব্যক্তি প্রধানত লাল বর্ণ শনাক্ত করতে পারেন না, তাঁদের প্রোটানোপ বলে।
ডিউটেরানোপ কাদের বলে?
বর্ণান্ধতা রোগে আক্রান্ত যেসব ব্যক্তি প্রধানত সবুজ বর্ণ শনাক্ত করতে পারেন না, তাঁদের ডিউটেরানোপ বলে।
ট্রাইটানোপ কাদের বলে?
বর্ণান্ধতা রোগে আক্রান্ত যেসব ব্যক্তি নীল বর্ণ শনাক্ত করতে পারেন না, তাঁদের ট্রাইটানোপ বলে।
একজন বর্ণান্ধ মহিলা ও স্বাভাবিক পুরুষের বিবাহে তাদের পুত্রসন্তানের ফিনোটাইপ কী হবে?
একজন বর্ণান্ধ মহিলা ও স্বাভাবিক পুরুষের বিবাহে তাদের পুত্রসন্তান বর্ণান্ধ হবে।
মানুষের কোন্ ক্রোমোজোমের জিনের মিউটেশনে α থ্যালাসেমিয়া হয়?
মানুষের 16 নং ক্রোমোজোমের জিনের মিউটেশনের ফলে α থ্যালাসেমিয়া হয়।
মানুষের কোন্ ক্রোমোজোমের জিনের মিউটেশনে β থ্যালাসেমিয়া হয়?
মানুষের 11 নং ক্রোমোজোমের জিনের মিউটেশনের ফলে β থ্যালাসেমিয়া হয়।
β থ্যালাসেমিয়া মেজর-এর অপর নাম কী?
β থ্যালাসেমিয়া মেজর-এর অপর নাম হল কুলির অ্যানিমিয়া।
একটি বিশেষ হিমোফিলিয়ার নাম লেখো যা লিঙ্গ সংযোজিত নয়।
হিমোফিলিয়া C অটোজোম সংযোজিত হিমোফিলিয়া, এটি লিঙ্গ সংযোজিত নয়। এক্ষেত্রে রক্ততঞ্চনকারী ফ্যাক্টর IX উৎপন্ন হয় না।
ভারতে কোন্ প্রকার থ্যালাসেমিয়ার প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যায়?
ভারতে α থ্যালাসেমিয়ার প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যায়।
মানুষের বেশ কয়েকটি জিনগত রোগ রয়েছে। এই রোগগুলির কারণ, লক্ষণ এবং চিকিৎসা বিভিন্ন হতে পারে। জিনগত রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং ঝুঁকি কমাতে পদক্ষেপ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।