এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলা বইয়ের সহায়ক পাঠ “কোনি” থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করব – “নেতৃত্ব দিতে হলে সামনে থাকতে হয়” — কে, কাকে এ কথা বলেছে? এই কথা বলার পেছনে বক্তার কোন মানসিকতা কাজ করেছে? এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
“নেতৃত্ব দিতে হলে সামনে থাকতে হয়।” — কে, কাকে এ কথা বলেছে? এই কথা বলার পেছনে বক্তার কোন্ মানসিকতা কাজ করেছে?
বক্তা ও উদ্দিষ্ট ব্যক্তি – নেতাজি বালক সংঘের পৃষ্ঠপোষক বিষ্টুচরণ ধরকে প্রশ্নোদ্ধৃত কথাটি বলেছেন ক্ষিতীশ সিংহ।
বক্তার মানসিকতা –
- তির্যক রসিকতা – নেতাজি বালক সংঘ আয়োজিত কুড়ি ঘণ্টা ব্যাপী হাঁটা প্রতিযোগিতার শেষে সভাপতির ভাষণ দিতে উঠে বিষ্টুচরণ হাঁটা এবং ব্যায়ামের উপযোগিতার কথা বলেন। তারপর বলেন যে, সমস্ত জনসেবামূলক কাজে তিনি সংঘের তরুণ কর্মীদের পাশে আছেন। তখন মঞ্চের পেছন থেকে ক্ষিতীশ সিংহ বিষ্টুচরণের প্রতি আলোচ্য উক্তিটি করেছেন। নেতা তিনিই, যিনি সবার আগে সব কাজে এগিয়ে আসবেন। বিষ্টুচরণ জননেতা হতে চান, ভোটে দাঁড়াতে চান-সেইজন্য তাঁর কর্তব্য স্মরণ করাতেই ক্ষিতীশ প্রশ্নোদ্ধৃত উক্তিটি করেছেন। তবে এই উক্তির আড়ালে এক তির্যক রসিকতাও আছে।
- যুক্তিহীন বক্তব্য – সাড়ে তিন মন ওজনের বিষ্টুচরণ যখন ২০ ঘণ্টা ‘হাঁটা’ প্রতিযোগিতায় পাশে থাকার কথা বলেন, তখন তা খুব একটা যুক্তিযুক্ত শোনায় না। তাঁর চেহারার সাথে যে তাঁর বক্তব্য মানানসই হচ্ছে না। তা বোঝাতেই ক্ষিতীশ আলোচ্য উক্তিটি করেন। নেতৃত্ব দিতে হলে সকলের সামনে থাকতে হবে, এ কথাই বিষ্টু ধরকে বুঝিয়ে দেন ক্ষিতীশ।
এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলা বইয়ের ‘কোনি‘ সহায়ক পাঠ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “নেতৃত্ব দিতে হলে সামনে থাকতে হয়।” — কে, কাকে এ কথা বলেছে? এই কথা বলার পেছনে বক্তার কোন্ মানসিকতা কাজ করেছে? তা নিয়ে বিশ্লেষণ করেছি। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং পরীক্ষার্থীদের প্রস্তুতির ক্ষেত্রে এটি সহায়ক হবে বলে আশা করি।
আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে বা আরও সহায়তার প্রয়োজন হয়, আপনি টেলিগ্রামে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। এছাড়াও, পোস্টটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না, যাতে তারাও উপকৃত হতে পারে। ধন্যবাদ!