নদী উপত্যকা ও হিমবাহ উপত্যকার মধ্যে পার্থক্য লেখো।

Rahul

আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলে দেখবো যে নদী উপত্যকা ও হিমবাহ উপত্যকার মধ্যে পার্থক্য, এই প্রশ্ন দশম শ্রেণীর পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ, নদী উপত্যকা ও হিমবাহ উপত্যকার মধ্যে পার্থক্য – প্রশ্নটি আপনি পরীক্ষার জন্য তৈরী করে গেলে আপনি লিখে আস্তে পারবেন।

নদী উপত্যকা – নদী উপত্যকা হলো নদীর উৎস থেকে মোহনা পর্যন্ত নদীর গতিপথের দু’পাশে অবস্থিত নিম্নভূমি যা নদীর ক্ষয়কার্যের ফলে তৈরি হয়।

হিমবাহ উপত্যকা – হিমবাহ উপত্যকা হলো এমন একটি উপত্যকা যা দীর্ঘ সময় ধরে হিমবাহের প্রবাহের ফলে গঠিত হয়েছে। হিমবাহ যখন পর্বতমালার মধ্য দিয়ে ধীরে ধীরে নেমে আসে, তখন তারা তাদের সাথে বরফ, পাথর এবং ধ্বংসাবশেষ বহন করে। এই বরফ এবং ধ্বংসাবশেষ উপত্যকার তলদেশ এবং পার্শ্বদেশকে ঘষে এবং ক্ষয় করে, ফলে একটি অনন্য ভূ-প্রকৃতি তৈরি করে।

মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান - জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় - প্রাণীদের সাড়া প্রদান ও ভৌত সমন্বয় স্নায়ুতন্ত্র - অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

নদী উপত্যকা ও হিমবাহ উপত্যকার মধ্যে পার্থক্য —

বিষয়নদী উপত্যকাহিমবাহ উপত্যকা
উপত্যকার অবস্থানশুষ্ক-মরু অঞ্চল ও তুষারাবৃত অঞ্চল ছাড়া নদী উপত্যকা ভূপৃষ্ঠের প্রায় সর্বত্রই দেখা যায়।হিমবাহ উপত্যকা শুধুমাত্র সুউচ্চ পার্বত্য অঞ্চল ও শীতল মেরু অঞ্চলেই সীমাবদ্ধ।
উপত্যকার আকৃতিশুষ্ক বা অর্ধ শুষ্ক অঞ্চলে পার্শ্বক্ষয়ের চেয়ে নিম্নক্ষয়ের মাত্রা বেশি হয় বলে ‘T’ আকৃতির এবং আর্দ্র বা আর্দ্রপ্রায় অঞ্চলে নিম্নক্ষয়ের সঙ্গে সঙ্গে কিছুটা পার্শ্বক্ষয়ও হতে থাকে বলে ‘v’ আকৃতির উপত্যকা সৃষ্টি হয়।
 
পার্বত্য অঞ্চলে যে উপত্যকার মধ্যে দিয়ে হিমবাহ প্রবাহিত হয়, সেখানে অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় হিমবাহ উপত্যকার তলদেশ ও পার্শ্বদেশ প্রায় সমানভাবে ক্ষয় ও মসৃণ হয় এবং এর ফলে উপত্যকার আকৃতি ইংরেজি ‘U’ অক্ষরের মতো হয়। 
উপত্যকায় সঞ্চিত পদার্থ- সমূহের আকৃতিনদীবাহিত পাথরগুলি পরস্পরের সঙ্গে সংঘর্ষে বা নদীখাতের সঙ্গে ঘর্ষণের ফলে ক্রমশ গোলাকার ও মসৃণ হয় এবং শেষে বালি ও পলিতে পরিণত হয়। হিমবাহের শেষপ্রান্তে উপত্যকায় পড়ে থাকা হিমবাহ-বাহিত পাথরগুলি এবড়োখেবড়ো, অমসৃণ ও কোণযুক্ত হয়।

আরও পড়ুন – নদীর উচ্চগতিতে V – আকৃতির উপত্যকা সৃষ্টি হয় কেন?

এই আর্টিকেলে আমরা নদী উপত্যকা ও হিমবাহ উপত্যকার মধ্যে পার্থক্যগুলি স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করেছি। এই দুটি ভূ-প্রকৃতির বৈশিষ্ট্য, অবস্থান, আকৃতি, গঠন প্রক্রিয়া এবং অন্যান্য দিকগুলির মধ্যে পার্থক্যগুলি তুলে ধরা হয়েছে।

এই আর্টিকেলটি দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এই বিষয়টি তাদের পরীক্ষার পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত। এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নদী উপত্যকা ও হিমবাহ উপত্যকার মধ্যে পার্থক্য স্পষ্টভাবে বুঝতে পারবে এবং পরীক্ষায় ভালোভাবে উত্তর দিতে পারবে।

Please Share This Article

Related Posts

মাধ্যমিক ইতিহাস - উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত: বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (1947-1964) - সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন

মাধ্যমিক ইতিহাস – উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত: বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (1947-1964) – সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন

মাধ্যমিক ইতিহাস - উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত: বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (1947-1964) - অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন

মাধ্যমিক ইতিহাস – উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত: বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (1947-1964) – অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর

মাধ্যমিক ইতিহাস - উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত: বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (1947-1964) - বিষয়সংক্ষেপ

মাধ্যমিক ইতিহাস – উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত: বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (1947-1964) – বিষয়সংক্ষেপ

About The Author

Rahul

Tags

মন্তব্য করুন

SolutionWbbse

"SolutionWbbse" শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনলাইন অধ্যয়ন প্ল্যাটফর্ম। এখানে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য গাইডলাইন, এবং বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সাহায্য প্রদান করা হয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল বিষয়ের শিক্ষণীয় উপকরণ সহজেই সকল শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়া।

Editor Picks

মাধ্যমিক ইতিহাস – উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত: বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (1947-1964) – সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন

মাধ্যমিক ইতিহাস – উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত: বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (1947-1964) – অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর

মাধ্যমিক ইতিহাস – উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত: বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (1947-1964) – বিষয়সংক্ষেপ

চৌরিচৌরার ঘটনা কী? অসহযোগ আন্দোলনে চৌরিচৌরা ঘটনার গুরুত্ব

তেলেঙ্গানা আন্দোলন সম্পর্কে টীকা লেখো।