এখনই আমাদের Telegram Community গ্রুপে যোগ দিন।। এখানে WBBSE বোর্ডের পঞ্চম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণির যেকোনো বিষয়ভিত্তিক সমস্যা শেয়ার করতে পারেন এবং একে অপরের সাহায্য করতে পারবেন। এছাড়া, কোনও সমস্যা হলে আমাদের শিক্ষকরা তা সমাধান করে দেবেন।

Telegram Logo Join Our Telegram Community

নদী উপত্যকা I বা V আকৃতির কিন্তু হিমবাহ উপত্যকা U আকৃতির হয় কেন?

আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলে দেখবো যে নদী উপত্যকা I বা V আকৃতির কিন্তু হিমবাহ উপত্যকা U আকৃতির হয় কেন? এই প্রশ্ন দশম শ্রেণীর পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ, নদী উপত্যকা I বা V আকৃতির কিন্তু হিমবাহ উপত্যকা U আকৃতির হয় কেন? প্রশ্নটি আপনি পরীক্ষার জন্য তৈরী করে গেলে আপনি লিখে আস্তে পারবেন।

ক্যানিয়ন (Canyon) অথবা ‘I’ আকৃতির উপত্যকা –

শুষ্ক ও শুষ্কপ্রায় পার্বত্য অঞ্চলে নদীর ক্ষয়কার্যের ফলে যে সমস্ত ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, ক্যানিয়ন হল তার মধ্যে অন্যতম একটি। বৃষ্টিহীন মরুপ্রায় শুষ্ক অঞ্চলে নদীর পার্বত্য প্রবাহে ইংরেজী ‘I’ অক্ষরের মতো গিরিখাতকে ক্যানিয়ন বা ‘I’ আকৃতির উপত্যকা বলে। দীর্ঘপথ ধরে বৃষ্টিহীন পার্বত্য মরূ অঞ্চল দিয়ে কোনো নদী প্রবাহিত হলে নদীর জলের স্বল্পতার জন্য নদীখাতে শুধুমাত্র নিম্নক্ষয় হয়।

শুষ্ক অঞ্চলে বৃষ্টিপাত কম, ফলে দুই পাড় ভেঙ্গে জল নদীতে নেমে আসে না। তাই নদীর পার্শ্বক্ষয় বিশেষ হয় না। শুধুমাত্র নিম্নক্ষয়ের জন্য উপত্যকা সংকীর্ণ হয়ে ইংরেজি ‘I’ অক্ষরের আকার ধারণ করে। এই ‘I’ আকৃতির সুগভীর খাত বা ক্যানিয়ন তৈরি হয়।’

‘V’ আকৃতির উপত্যকা –

উচ্চ-গতির বা পার্বত্য প্রবাহে নদীর ক্ষয়কার্যের ফলে যেসব ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, ‘V’-আকৃতির উপত্যকা তার মধ্যে অন্যতম। পার্বত্য অঞ্চলে ভূমির ঢাল খুব বেশি থাকায় নদীর স্রোতের বেগ প্রচন্ড হয়। নদীর জলস্রোতের সাথে বাহিত প্রস্তরখণ্ড, নুড়ি ইত্যাদি নদীর তলদেশে অবঘর্ষণ ক্ষয়ের মাধ্যমে নদী উপত্যকাকে গভীর ও সংকীর্ণ করে তোলে।

এই প্রক্রিয়ায় নদী উপত্যকার দু’ধার খাড়া দেয়ালের আকার ধারণ করে। এই গভীর ও সংকীর্ণ নদী উপত্যকা ইংরেজি ‘V’ অক্ষরের মতো দেখতে হয়, তাই একে ‘V’-আকৃতির উপত্যকা বলা হয়। কখনো কখনো এই সমস্ত নদী উপত্যকার তলদেশের সাথে পার্শ্ববর্তী পর্বতের চূড়ার মধ্যে উচ্চতার পার্থক্য প্রায় কয়েক হাজার মিটার পর্যন্ত হতে পারে।

উদাহরণ: ভারতের শতদ্রু, ব্রহ্মপুত্র, চিনের ইয়াংসি, জার্মানির রাইন

'V'-আকৃতির উপত্যকা

U – আকৃতির উপত্যকা বা হিমদ্রোণী –

হিমবাহের ক্ষয়কার্যের ফলে নানা রকম ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, U-আকৃতির উপত্যকা বা হিমদ্রোণী হল তাদের মধ্যে অন্যতম একটি। উঁচু পার্বত্য অঞ্চলে হিমবাহ যে উপত্যকার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়, সেখানে হিমবাহের ক্রমাগত পার্শ্বক্ষয় ও নিম্নক্ষয় সমানভাবে হওয়ার ফলে উপত্যাকার তলদেশ প্রশস্ত ও মসৃণ এবং পার্শ্বদেশ খাড়া ঢালযুক্ত হয়। ফলে পার্বত্য উপত্যকাটির আকৃতি ইংরেজি ‘U’ -অক্ষরের মতো হয়ে যায়, একে U-আকৃতির উপত্যকা বা হিমদ্রোণী বলে।

বিজ্ঞানীরা মনে করেন, হিমবাহ যখন কোনো নদী উপত্যকার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়, তখন হিমবাহ ও নদীর একই সঙ্গে ক্ষয়কার্যের ফলে বেশিরভাগ হিমদ্রোণি তৈরি হয়। অনেক সময় হিমদ্রোণির মধ্যে হিমবাহগলা জল জমে হ্রদের সৃষ্টি হয়।

নদী উপত্যকা I বা V আকৃতির কিন্তু হিমবাহ উপত্যকা U আকৃতির হয় কেন?

নদী উপত্যকার আকৃতি ‘।’ অথবা ‘V’ এর মতো হয়। পার্বত্য অংশে নদীর ঢাল খুব বেশি থাকে বলে নদী প্রবলবেগে নীচের দিকে নামতে থাকে। সেজন্য নদীর নিম্নক্ষয় পার্শ্বক্ষয়ের থেকে বেশি হয়। এ ছাড়া আবহবিকার, ধস, জলপ্রবাহ প্রভৃতি কারণে নদী উপত্যকা ‘I’ বা ‘V’-এর মতো দেখতে হয়।
কিন্তু পার্বত্য অঞ্চল দিয়ে হিমবাহ যখন খুব ধীরগতিতে নামে, তখন প্রধানত অবঘর্ষ এবং উৎপাটন প্রক্রিয়ায় নিম্নক্ষয় এবং পার্শ্বক্ষয় সমানভাবেই হয়। তাই এই উপত্যকাগুলি ‘U’-এর মতো হয়ে যায়।

আরও পড়ুন – গ্রাবরেখা কী? গ্রাবরেখার শ্রেণিবিভাগ

এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করেছি নদী উপত্যকা এবং হিমবাহ উপত্যকার আকৃতির পার্থক্য। আমরা দেখেছি যে নদী উপত্যকা I বা V আকৃতির হয়, কিন্তু হিমবাহ উপত্যকা U আকৃতির হয়।

এই আর্টিকেলটি দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এই বিষয়টি তাদের পরীক্ষায় আসতে পারে।

Share via:

মন্তব্য করুন