ভারত তার বিস্তৃত নদী জালের জন্য বিখ্যাত, যা দেশের কৃষি, শিল্প এবং দৈনন্দিন জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নদীগুলিকে বিভিন্ন মানদণ্ড অনুসারে শ্রেণিবদ্ধ করা যেতে পারে, যার মধ্যে অববাহিকার আয়তন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। এই ব্লগ পোস্টে, আমরা অববাহিকার আয়তন অনুসারে ভারতের নদনদীর শ্রেণিবিভাগ আলোচনা করবো। দশম শ্রেণীর মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষার জন্য “অববাহিকার আয়তন অনুসারে ভারতের নদনদীর শ্রেণিবিভাগ” একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই বিষয়টি ভারতের প্রাকৃতিক পরিবেশ অধ্যায়ের ভারতের জলসম্পদ বিভাগের অন্তর্গত।
অববাহিকার আয়তন অনুসারে ভারতের নদনদীর শ্রেণিবিভাগ করো।
অববাহিকার আয়তন অনুসারে ভারতের নদনদীকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায় –
- প্রধান নদনদী – গঙ্গা, সিন্ধু, ব্রহ্মপুত্র, নর্মদা, তাপি, মহানদী, গোদাবরী, সবরমতী, কৃয়া, মাহী, ব্রাহ্মণী, সুবর্ণরেখা, পেনার ও কাবেরী – এই 14 টি নদীর প্রত্যেকটির অববাহিকার আয়তন 20000 বর্গ-কিলোমিটারেরও বেশি। অববাহিকার আয়তন খুব বড়ো বলে এগুলিকে প্রধান নদনদী বলা হয়।
- মাঝারি নদনদী – ভারতে প্রায় 45 টি নদী আছে যেগুলির প্রত্যেকটির অববাহিকার আয়তন 2000 থেকে 20000 বর্গকিলোমিটারের মধ্যে। অববাহিকার আয়তন মাঝারি বলে এগুলিকে মাঝারি নদনদী বলা যায়। দক্ষিণ ভারতের শরাবতী, ভাইগাই, পেরিয়ার, পালার, বৈতরণী প্রভৃতি এই ধরনের নদনদী।
- ছোটো নদনদী – ভারতের প্রায় 55 টি নদীর প্রত্যেকটির অববাহিকার আয়তন 2000 বর্গকিলোমিটারেরও কম। অববাহিকার আয়তন কম বলে এদের ছোটো নদনদী বলা যায়। লুনি, বানস, রাচোল, দমন গঙ্গা প্রভৃতি এই ধরনের নদনদী।
আজকের আলোচনায়, আমরা অববাহিকার আয়তন অনুসারে ভারতের নদনদীর শ্রেণিবিভাগ সম্পর্কে জানতে পেরেছি। এই শ্রেণিবিভাগ শুধুমাত্র দশম শ্রেণীর পরীক্ষার জন্য নয়, বরং মাধ্যমিক ভূগোলের পঞ্চম অধ্যায় “ভারতের প্রাকৃতিক পরিবেশ” এর “ভারতের জলসম্পদ” বিভাগেও গুরুত্বপূর্ণ।
এই শ্রেণিবিভাগ আমাদের দেশের নদনদীর আকার, বিস্তৃতি এবং তাদের জলবাহী ক্ষমতা সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ধারণা প্রদান করে। এটি আমাদের নদনদীর উপর নির্ভরশীল বিভিন্ন কার্যকলাপ, যেমন কৃষি, পরিবহন, বিদ্যুৎ উৎপাদন ইত্যাদির জন্য তাদের গুরুত্ব বুঝতে সাহায্য করে।
পরীক্ষার জন্য তৈরি হওয়ার সময়, এই শ্রেণিবিভাগটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনাকে বিভিন্ন নদীর নাম, তাদের অববাহিকার আয়তন এবং তাদের গুরুত্ব সহজেই মনে রাখতে সাহায্য করবে।